Wednesday, 16 June 2021

জন্মদিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। ১৬.০৬.২০২১. Vol -405. The blogger in literature e-magazine

 রবীন্দ্রসঙ্গীত আর রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে হেমন্তকুমার তাঁর আত্মকথা "আনন্দধারা" এক জায়গায় লিখেছেন-
" সারা পৃথিবীর গানের সুরকে আয়ত্ত করে নতুন সুর সৃষ্টি করলেন রবীন্দ্রনাথ । সেই সুরের আলপনাকে বাংলা গানে ছিটিয়ে দিলেন । হয়ে গেল এক অপূর্ব সৃষ্টি । সর্বযুগের, সর্বকালের সৃষ্টি । এতবড়ো সুরকার আজও জন্মায়নি কোন দেশে। এই বুড়ো পৃথিবীকে ইচ্ছে হয় জিজ্ঞাসা করি, বয়েস তো অনেক হল। রবীন্দ্রনাথের মতো এমন সর্বতোমুখী প্রতিভা আর দেখেছে একটা ।"


জন্ম ১৬ জুন ১৯২০ বারাণসীতে।তাঁর মাতামহ ছিলেন একজন শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসক। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার জয়নগরে। তাঁর পরিবার কলকাতা শহরে আসে বিশ শতকের প্রথমার্ধে‌। হেমন্ত সেখানে বড়ো হতে থকেন এবং প্রথমে নাসিরুদ্দিন স্কুল এবং পরবর্তীতে ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশনে পড়াশোনা করেছিলেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের, যিনি পরবর্তীকলে বাংলার স্বনামধন্য কবি হয়েছিলেন। ওই সময়কালে বিশিষ্ট লেখক সন্তোষ কুমার ঘোষ মহাশয়ের সঙ্গে তাঁর সখ্যতা গড়ে ওঠে। ওই সময়ে হেমন্ত ছোটো গল্প লিখতেন, সন্তোষ কুমার কবিতা লিখতেন এবং সুভাষ মুখোপাধ্যায় গান গাইতেন।

হেমন্ত মুখোপাধ্যায়রা তিন ভাই এবং এক বোন, নীলিমা। বড়ো ভাই তারাজ্যোতি ছোটো গল্প লিখতেন। ছোটো ভাই অমল মুখোপাধ্যায় কিছু বাংলা চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেছিলেন এবং গানও গেয়েছিলেন, তাঁর গান 'এই পৃথিবীতেই সারাটা জীবন'; নামকরা চলচ্চিত্রগুলো ছিল হসপিটাল এবং অবাক পৃথিবী। তিনি ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের দশকে কিছু গান রেকর্ড করেছিলেন এবং জীবনের অনেকটা পথ একলাই, হেমন্তের এই গানে খুবই স্মরণীয় সুরও দিয়েছিলেন।

১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে হেমন্ত বাংলা সংগীত শিল্পী বেলা মুখোপাধ্যায়ের  সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে কাশীনাথ বাংলা চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালক পঙ্কজ মল্লিক বেলাকে দিয়ে কিছু জনপ্রিয় গান গাইয়েছিলেন কিন্তু বিবাহের পর বেলা আর সংগীত জগতে প্রবেশ করেননি। তাঁদের দুই সন্তান — পুত্র জয়ন্ত এবং কন্যা রাণু। সীমিত সাফল্য নিয়ে রাণু মুখোপাধ্যায় ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের দশকের শেষে এবং ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের দশকের শুরুর দিকে গান গাইতেন। জয়ন্ত ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের দশকের জনপ্রিয় ভারতীয় অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের দশকের মাঝামাঝি হেমন্ত একজন গায়ক ও সুরকার হিসেবে তাঁর অবস্থান মজবুত করেছিলেন। তিনি নিজে গাইতে এবং সুর করতে মূলত পছন্দ করতেন সহজ-সরল মেলডিপ্রধান গান, কেননা বাঙালীর সাঙ্গীতিক অন্তরটি সুরকার ও গায়ক হিসাবে খুব ভালো অনুভব করতেন। বাংলায় তিনি রবীন্দ্র সংগীতের একজন শীর্ষস্থানীয় শিল্পী ছিলেন এবং সম্ভবত পুরুষ গায়কদের মধ্যে খুবই অগ্রগণ্য বিবেচ্য ছিলেন। ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দের মার্চে কলকাতায় দেবব্রত বিশ্বাসের (১৯১১-১৯৮০) সম্মানে হেমন্ত এক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিলেন; ওই অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী দেবব্রত বিশ্বাস নিঃসংকোচে বলেছিলেন যে, হেমন্ত হচ্ছে রবীন্দ্র সংগীতকে জনপ্রিয় করে তোলার 'দ্বিতীয় নায়ক', প্রথম জন হলেন কিংবদন্তি পঙ্কজ কুমার মল্লিক।
মুম্বইতে নেপথ্য গায়নের পাশাপাশি হেমন্ত সুর সৃষ্টিকারীর একটা ঘরানা গড়ে তুলেছিলেন। তিনি নাগিন (১৯৫৪) নাম এক হিন্দি চলচ্চিত্রের জন্যে সুর সৃষ্টি করেছিলেন, যেটা ওই চলচ্চিত্রে সংগীতের জন্যেই বড়ো সাফল্য এসেছিল। নাগিনের গানগুলো ধারাবাহিকভাবে দু-বছর তালিকা-শীর্ষে অবস্থান করেছিল এবং ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে হেমন্তর মর্যাদাপূর্ণ ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ সংগীত নির্দেশনা পুরস্কার লাভে সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে দিয়েছিল। ঠিক ওই বছরই তিনি বাংলা চলচ্চিত্র শাপমোচনের জন্যে সংগীত প্রস্তুত করেন, যেখানে অভিনেতা উত্তম কুমারের জন্যে নেপথ্য কণ্ঠে চারখানা গানও গেয়েছিলেন। এটা নেপথ্য গায়ক-নায়ক হিসেবে হেমন্ত-উত্তম জুটির এক লম্বা মেলবন্ধনের শুরুয়াত ছিল। তাঁরা দুজনে পরবর্তী দশক জুড়ে বাংলা চলচ্চিত্র জগতে ভীষণ জনপ্রিয় গায়ক-নায়ক জুটি ছিলেন।

১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের দশকের শেষ দিকে হেমন্ত অসংখ্য বাংলা এবং হিন্দি চলচ্চিত্রের জন্যে গান গেয়েছিলেন এবং সুর দিয়েছিলেন, অসংখ্য রবীন্দ্র সংগীত এবং চলচ্চিত্রের বাইরের গান রেকর্ড করেছিলেন। যার মধ্যে প্রায় সবই, বিশেষ করে বাংলা গান অত্যধিক জনপ্রিয় হয়েছিল। ওই সময়কালকে তাঁর কর্মজীবনে সাফল্যের শীর্ষবিন্দু হিসেবে ভাবা হয় এবং যেটা মোটামুটি এক দশক স্থায়ী ছিল। তিনি নচিকেতা ঘোষ, রবিন চ্যাটার্জী, সলিল চৌধুরী প্রমুখ বাংলার বিশিষ্ট সংগীত নির্দেশকের সুরে গান গেয়েছেন। বেশ কিছু নামকরা চলচ্চিত্রে হেমন্ত সুর সৃষ্টি করেছেন; তার মধ্যে আছে: বাংলায় হারানো সুর, মরুতীর্থ হিংলাজ, নীল আকাশের নীচে, লুকোচুরি, স্বরলিপি, দীপ জ্বেলে যাই, শেষ পর্যন্ত, কুহক, দুই ভাই, সপ্তপদী এবং হিন্দিতে জাগৃতি, এক হি রাস্তা।

তাঁর গান আজও বাঙালির কাছে চিরবসন্ত৷ রাজকীয় ব্যারিটোন ভয়েস আজও সবুজ৷ গান শোনার মাধ্যম বদলে যাওয়ায় সিডি বিক্রিতে খানিক ভাটা৷ তবে , যে সিডি এখনও বিক্রি হয় , তার মধ্যে অবশ্যই হেমন্তর বিভিন্ন গানের সিডি আলাদা করে উল্লেখ করতে হবে৷ ধর্মতলার সিম্ফনির পাবলিক রিলেশন্স অফিসার শ্বেতা গুন্তা যেমন বলছিলেন , ‘হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সমসাময়িক হিন্দি শিল্পীর মধ্যে যদি আমরা কিশোরকুমারকেও ধরি , তবে বলতে হবে হেমন্তর সিডি এখনও ৪০ -৪৫ শতাংশ বিক্রি হয়৷ আর যদি আমরা শুধু বাংলা বেসিক অ্যালবাম এবং রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে বিশ্লেষণ করি , তবে হেমন্তর সিডি বিক্রির হার ৫৫ -৬০ শতাংশ৷ ’কেন এই প্রজন্ম এখনও হেমন্তর গান এত পছন্দ করেন ?
শ্রীকান্ত আচার্যর ব্যাখ্যা , ‘এই প্রজন্ম অবশ্যই হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান শোনে৷ যাঁরা ওই কণ্ঠ একবার শুনেছেন , তাঁরাই মুগ্ধ হবেন৷ এখনকার গাইয়েদের কণ্ঠ অনেক বেশি প্রযুক্তিগত সহায়তা পেয়ে থাকে৷ হেমন্ত যখন গেয়েছেন , তখন সে সব ছিল না৷ ওঁর কণ্ঠ অনেক বেশি স্বচ্ছ৷ সেই পিওর কণ্ঠস্বর এই প্রজন্মকে অ্যাপিল করে৷ ’ শ্রীকান্ত আরও একটি বিষয় উল্লেখ করলেন৷ ‘সাউন্ড তো আসলে ফ্রিকোয়েন্সি৷ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠের ফ্রিকোয়েন্সি এমন ছিল যা , আগেকার দিনের চোঙ মাইকে শুনে ভালো লেগেছে , আবার এখনকার উন্নততর মিউজিক সিস্টেমেও সেই কণ্ঠ মাধুর্য ধরা দেয়৷ নতুন প্রজন্মকেও এই বিষয়টা ছুঁয়ে যায়৷ ’মীরের বক্তব্য , হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই প্রজন্মের অন্যতম যোগসূত্র এফএম রেডিয়ো৷ নতুন প্রজন্ম পছন্দ করে বলেই ওঁর গান বিভিন্ন এফএম চ্যানেলে এত ব্যবহার করা হয়৷ ‘আসলে হেমন্ত তো ঋতু৷ শীত , গ্রীষ্ম , বর্ষার মতোই তিনি বাঙালির কাছে রয়েছেন৷

ওঁর কণ্ঠ বাঙালি কোনও দিনই ভুলতে পারবে না৷ নতুন বা পুরোনো যে প্রজন্মের কথা বলুন , বাঙালি নস্টালজিয়ায় ভিজতে ভালোবাসে৷ যে কারণেই , হেমন্ত , মান্না , কিশোর , রফি কখনও পুরোনো হন না৷ বারবার আমাদের বাজাতে হয় ওঁদের গান৷ কখনও বিশেষ অনুষ্ঠানও করতে হয় ওঁদের নিয়ে৷ ’‘ব্র্যান্ড ’ হিসেবে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তার কারণ কী ? ইনার সার্কেল অ্যাডভার্টাইজিং ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের কর্ণধার অ্যাডগুরু কাঞ্চন দত্তের বিশ্লেষণ , ‘হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠই আসলে সব থেকে বড় ‘ব্র্যান্ড ’৷ উনি গান করতেন উপলব্ধি থেকে৷ জীবদ্দশাতে উনি ছিলেন সফলতম শিল্পী৷ মৃত্যুর এত বছর পরও ওঁর কণ্ঠ প্রাসঙ্গিক৷ ওঁর কণ্ঠ বিক্রি হয় , এখনও ভালো ব্যবসা হয়৷ এ জন্যই এখনকার বিভিন্ন ওয়েবসাইটে উপরের দিকে রয়ে গিয়েছেন তিনি৷ ’ এই কারণে জনপ্রিয় টিভি রিয়্যালিটি শো -তেও নবীন প্রতিযোগীর কণ্ঠে শোনা যায় ‘দুই ভাই ’ ছবির গান , ‘তারে বলে দিও , সে যেন আসে না আমার দ্বারে৷ ’ ইন্দ্রাণী সেনের মতো শিল্পী রি -মেক করেন , ‘এই রাত তোমার আমার ’৷ ফোনের কলার টিউনেও সেই গান৷

একটি টিভি রিয়্যালিটি শো -এ অনুপম রায়ের অনুষ্ঠান ছিল কিছু দিন আগে৷ সেখানে তাঁকে অনুরোধ করা হয় , ‘এই মেঘলা দিনে একলা ’ গানটি গাওয়ার জন্য৷ সেই গান এত জনপ্রিয় হয় যে , অনুপম বলছেন , ‘আমাকে এখনও বিভিন্ন লাইভ শো -এ এই গানটি করতেই হয়৷ আসলে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের অসামান্য কণ্ঠের জন্য ওঁর গান নতুন প্রজন্ম এখনও শোনে , সামনে আরও অনেক দিন শুনবে৷ ’শুধু কণ্ঠই নয় , সুরের মাদকতা এবং ভয়েস মড্যুলেশনের মধ্যে দিয়ে আধুনিক শৈলী তৈরি করেছিলেন হেমন্ত৷ 

সুরকার হিসেবে বাংলা চলচ্চিত্রের তালিকা :
সর্বমোট চলচ্চিত্রের সংখ্যা: ১৩৮

১৯৪৭ অভিযাত্রী পূর্বরাগ
১৯৪৮ ভুলি নাই পদ্মা প্রমত্ত নদী প্রিয়তমা
১৯৪৯ দিনের পর দিন '৪২ সন্দীপন পাঠশালা
স্বামী
১৯৫১ জিঘাংসা প্রতিদান
১৯৫২ স্বপ্ন ও সমাধি খগেন দাশগুপ্তের সঙ্গে যুগ্মভাবে
১৯৫৫ শাপমোচন
১৯৫৬ সূর্যমুখী
১৯৫৭ শেষ পরিচয়,তাসের ঘর, হারানো সুর
১৯৫৮ লুকোচুরি,শিকার,সূর্যতোরণ,যৌতুক
নীল আকাশের নীচে
১৯৫৯ দীপ জ্বেলে যাই,খেলাঘর,মরুতীর্থ হিংলাজ
সোনার হরিণ,ক্ষণিকের অতিথি
১৯৬০ বাইশে শ্রাবণ,গরিবের মেয়ে কুহক,
খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন,শেষ পর্যন্ত
১৯৬১ দুই ভাই,অগ্নি সংস্কার,মধ্য রাতের তারা
পুনশ্চ,সপ্তপদী,সাথীহারা,স্বরলিপি
১৯৬২ অতল জলের আহ্বান আগুন,দাদাঠাকুর
হাঁসুলী বাঁকের উপকথা,নবদিগন্ত
১৯৬৩ বাদশা,বর্ণচোরা,এক টুকরো আগুন
হাই হিল,পলাতক,সাত পাকে বাঁধা,শেষ প্রহর
ত্রিধারা
১৯৬৪ আরোহী বিভাস,নতুন তীর্থ,প্রতিনিধি
প্রভাতের রং,স্বর্গ হতে বিদায়,সিঁদুরে মেঘ
১৯৬৫ আলোর পিপাসা,একটুকু বাসা
একটুকু ছোঁয়া লাগে,সূর্যতপা
১৯৬৬ কাঁচ কাটা হিরে,মণিহার
১৯৬৭ বালিকা বধূ,দুষ্টু প্রজাপতি,নায়িকা সংবাদ
অজানা শপথ
১৯৬৮ অদ্বিতীয়া,বাঘিনি,হংসমিথুন,জীবন সংগীত
পঞ্চসর,পরিশোধ
১৯৬৯ চেনা অচেনা,মন নিয়ে,পরিণীতা
শুক সারি
১৯৭০ দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন,দুটি মন
১৯৭১ কুহেলি, মাল্যদান,নবরং, নিমন্ত্রণ
সংসার,মহাবিপ্লবী অরবিন্দ
১৯৭২ অনিন্দিতা শ্রীমান পৃথ্বীরাজ
১৯৭৪ বিকেলে ভোরের ফুল,ঠগিনি, ফুলেশ্বরী
১৯৭৫ অগ্নীশ্বর,মোহন বাগানের মেয়ে
নিশি মৃগয়া,রাগ অনুরাগ,সংসার সীমান্তে
১৯৭৬ বহ্নিশিখা,দত্তা,শঙ্খবিষ,প্রতিশ্রুতি
১৯৭৭ দিন আমাদের,হাতে রইল তিন
মন্ত্রমুগ্ধ,প্রতিমা,প্রক্সি,রজনী,সানাই,শেষ রক্ষা
স্বাতী,গণদেবতা গণদেবতা,নদী থেকে সাগরে
প্রণয় পাশা
১৯৭৯ শহর থেকে দূরে,নৌকা ডুবি
১৯৮০ বন্ধন,দাদার কীর্তি,পাকা দেখা
পঙ্খীরাজ,শেষ বিচার
১৯৮১ কপাল কুণ্ডলা,খেলার পুতুল,মেঘমুক্তি
সুবর্ণ গোলক
১৯৮২ ছোটো মা,ছুট,উত্তর মেলেনি,প্রতীক্ষা
১৯৮৩ অমর গীতি,রাজেশ্বরী
১৯৮৪ অগ্নি শুদ্ধি,অজান্তে,বিষবৃক্ষ,দিদি
মধুবন,সূর্যতৃষ্ণা
১৯৮৫ ভালোবাসা ভালোবাসা,টগরী
১৯৮৬ পথভোলা,আশীর্বাদ
১৯৮৭ প্রতিভা,টুনিবউ,বোবা সানাই,পরশমণি
সুরের সাথী
১৯৮৮ আগমন
১৯৮৯ ভালোবাসার রাত

সুরকার হিসেবে হিন্দি চলচ্চিত্রের তালিকা

১৯৫২ আনন্দ মঠ
১৯৫৪ ডাকু কি লেড়কি, ফেরি,নাগিন সম্রাট শর্ত
১৯৫৫ বহূ বন্দিশ ভগবত মহিমা জাগৃতি লগন
১৯৫৬ অনজান আরব কা সউদাগর বন্ধন
দুর্গেশনন্দিনী এক হি রাস্তা হামারা ওয়তন ইন্সপেক্টর লালতেঁ তাজ
১৯৫৭ বাঁদি চম্পাকলি এক ঝলক হিল স্টেশন
কিতনা বদল গয়া ইনসান মিস মেরি পায়ল
ইয়াহুদি কি লেড়কি ফ্যাশন
১৯৫৮ দো মস্তানে পুলিশ সাহারা
১৯৫৯ চাঁদ হম ভি ইনসান হ্যায়
১৯৬০ গার্ল ফেন্ড দুনিয়া ঝুকতি হ্যায়
১৯৬২ বিস সাল বাদ মা বেটা
সাহিব বিবি অওর গুলাম
১৯৬৩ বিন বাদল বরসাত
১৯৬৪ কোহরা
১৯৬৫ দো দিল ফরার
১৯৬৬ বিবি অওর মকান সান্নাটা
অনুপমা
১৯৬৭ মঝলি দিদি
১৯৬৮ দো দুনি চার
১৯৬৯ খামোশি
রাহগীর দেবী চৌধুরানী
১৯৭০ উস রাত কে বাদ
১৯৭২ বিস সাল পহলে
১৯৭৭ দো ল্যাড়কে দোনো কড়কে
১৯৭৯ লভ ইন কানাডা


পুরস্কার ও সম্মাননা :

১৯৫৬: ফিল্মফেয়ার বেস্ট মিউজিক ডাইরেক্টর অ্যাওয়ার্ড: নাগিন
১৯৭১: ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট মেল প্লেব্যাক সিঙ্গার: নিমন্ত্রণ
১৯৮৬: ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট মেল প্লেব্যাক সিঙ্গার: লালন ফকির
১৯৬২: বিএফজেএ বেস্ট মিউজিক ডাইরেক্টর অ্যাওয়ার্ড স্বরলিপি - বিজয়ী
১৯৬৩: বিএফজেএ বেস্ট মিউজিক ডাইরেক্টর অ্যাওয়ার্ড (হিন্দি); বিস সাল বাদ - বিজয়ী
১৯৬৪: বিএফজেএ বেস্ট মিউজিক ডাইরেক্টর অ্যাওয়ার্ড পলাতক - বিজয়ী
১৯৬৭: বিএফজেএ বেস্ট মিউজিক ডাইরেক্টর অ্যাওয়ার্ড মণিহার - বিজয়ী
১৯৬৮: বিএফজেএ বেস্ট মিউজিক ডাইরেক্টর অ্যাওয়ার্ড বালিকা বধূ - বিজয়ী
১৯৭৫: বিএফজেএ বেস্ট মিউজিক ডাইরেক্টর অ্যাওয়ার্ড ফুলেশ্বরী - বিজয়ী
১৯৮৬: বিএফজেএ বেস্ট মিউজিক ডাইরেক্টর অ্যাওয়ার্ড ভালোবাসা ভালোবসা - বিজয়ী
১৯৮৭: বিএফজেএ বেস্ট মিউজিক ডাইরেক্টর অ্যাওয়ার্ড পথভোলা - বিজয়ী
১৯৮৮: বিএফজেএ বেস্ট মিউজিক ডাইরেক্টর অ্যাওয়ার্ড আগমন - বিজয়ী
১৯৭২: বিএফজেএ বেস্ট মেল প্লেব্যাক সিঙ্গার অ্যাওয়ার্ড ধন্যি মেয়ে - বিজয়ী
১৯৭৫: বিএফজেএ বেস্ট মেল প্লেব্যাক সিঙ্গার অ্যাওয়ার্ড ফুলেশ্বরী - বিজয়ী
১৯৭৬: বিএফজেএ বেস্ট মেল প্লেব্যাক সিঙ্গার অ্যাওয়ার্ড প্রিয় বান্ধবী - বিজয়ী
১৯৮৫: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সাম্মানিক ডি.লিট
১৯৮৬: সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার
১৯৮৯: মাইকেল মধুসূদন পুরস্কার


মৃত্যু -২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮৯. 

হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া অসংখ্য গানের মধ্যে জনপ্রিয় কিছু গান:

মাগো ভাবনা কেন
পথের ক্লান্তি ভুলে স্নেহ ভরা কোলে তব মাগো, বলো কবে শীতল হবো
ও নদীরে, একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে
আয় খুকু আয়,আয় খুকু আয়
মুছে যাওয়া দিনগুলি আমায় যে পিছু ডাকে
ও আকাশ প্রদীপ জ্বেলোনা, ও বাতাস আঁখি মেলোনা
আমি দূর হতে তোমারেই দেখেছি,আর মুগ্ধ এ চোখে চেয়ে থেকেছি
এই রাত তোমার আমার, ঐ চাঁদ তোমার আমার…শুধু দুজনে
মেঘ কালো, আঁধার কালো, আর কলঙ্ক যে কালো
রানার ছুটেছে তাই ঝুমঝুম ঘণ্টা বাজছে রাতে
আজ দুজনার দুটি পথ ওগো দুটি দিকে গেছে বেঁকে
আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা,আর কতকাল আমি রব দিশাহারা
বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও,মনের মাঝেতে চিরদিন তাকে ডেকে নিও
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
কেন দূরে থাকো, শুধু আড়াল রাখো
ওলিরও কথা শুনে বকুল হাসে
ছেলে বেলার গল্প শোনার দিনগুলো
আমিও পথের মত হারিয়ে যাবো।


∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆

No comments:

শুভ জন্মদিন শ্রদ্ধাঞ্জলি। পশুপতি ভট্টাচার্য । খ্যাতনামা চিকিৎসক ও সাহিত্যিক। Dt -15.11.2024. Vol -1053. Friday. The blogger post in literary e magazine

পশুপতি ভট্টাচার্য  ১৫ নভেম্বর ১৮৯১ -  ২৭ জানুয়ারি ১৯৭৮   একজন খ্যাতনামা চিকিৎসক ও সাহিত্যিক। জন্ম  বিহার রাজ্যে পিতার কর্মস্থল আরায়। তাদ...