Saturday 9 November 2024

শুভ জন্মদিন শ্রদ্ধাঞ্জলি। অমল হোম । একজন বাঙালি সাংবাদিক এবং সাহিত্যিক ছিলেন। তিনি বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার মজিলপুরে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা গগনচন্দ্র হোম ছিলেন ময়মনসিংহের সিটি স্কুলের শিক্ষক, এবং 'সঞ্জীবনী' পত্রিকার সহ সম্পাদক। তাঁর ভাই অজয় হোম[২] ছিলেন বিশিষ্ট ক্রিকেটার, ক্রীড়া সম্পাদক ও বিশিষ্ট পক্ষীবিদ্‌।‌। Dt -10.11.2024. Vol -1049. Sunday. The blogger post in literary e magazine.


অমল হোম
 (১০ নভেম্বর ১৮৯৩- ২৩ আগস্ট ১৯৭৫)



 একজন বাঙালি সাংবাদিক এবং সাহিত্যিক ছিলেন। তিনি বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার মজিলপুরে জন্মগ্রহণ করেন।[] বাবা গগনচন্দ্র হোম ছিলেন ময়মনসিংহের সিটি স্কুলের শিক্ষক, এবং 'সঞ্জীবনী' পত্রিকার সহ সম্পাদক। তাঁর ভাই অজয় হোম ছিলেন বিশিষ্ট ক্রিকেটার, ক্রীড়া সম্পাদক ও বিশিষ্ট পক্ষীবিদ্. 


অমল হোম ছাত্রাবস্থাতেই সাহিত্য ও সাংবাদিকতার দিকে আকৃষ্ট হন । তিনি প্রবাসী এবং মডার্ন রিভিউ পত্রিকায় শিক্ষানবিশ ছিলেন ।সাংবাদিকতা জীবনের বিভিন্ন সময় তিনি সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঙ্গলী, লালা লাজপত রায় প্রতিষ্ঠিত ইংরেজি দৈনিক দি পাঞ্জাবী, কালীনাথ রায় সম্পাদিত লাহোরের দি ট্রিবিউন, বিপিনচন্দ্র পালের সহকারী হিসেবে মতিলাল নেহেরুর দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট, কলকাতায় ইন্ডিয়ান ডেইলী নিউজ, হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন। ১৯২৪ সালে তিনি এবং সুভাষচন্দ্র বসু দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের পরিকল্পিত ক্যালকাটা মিউনিসিপ্যাল নামক পত্রিকার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনিই ১৯৩১ সালে কলকাতায় প্রথম রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করেন। ১৯৪৯ সালে অমল হোম তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের আগ্রহে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ডাইরেক্টর অব পাবলিসিটি পদে যোগদান করেন। তিনি রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন।

উনি প্রখ্যাত ব্রাহ্ম সমাজ নেতা ও সমাজ সংস্কারক শিবনাথ শাস্ত্রীর দৌহিত্রী, শিক্ষাবিদ হেমলতা সরকারের এক কন্যাকে বিবাহ করেন যিনি 'খোদনদি' নামে সুপরিচিত ছিলেন।

উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : 

পুরুষোত্তম রবীন্দ্রনাথ
রামমোহন রয় এন্ড হিজ ওয়ার্কস (Rammohan Roy and His Works)
সাম অ্যাসপেক্টস অফ মডার্ন জার্নালিজম ইন ইন্ডিয়া (Some Aspects of Modern Journalism in India)

পিতৃবন্ধু রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের উৎসাহে ‘প্রবাসী’ ও ‘মডার্ন রিভিউ পত্রিকায় শিক্ষানবীশ হিসাবে যোগ দেন। এর পরে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বেঙ্গলী’ পত্রিকায়, ১৯১৮ খ্রী. লাহোরের ‘দি পাঞ্জাবী’ ইংরেজী দৈনিকপত্রে এবং কালীনাথ রায়ের ‘দি ট্রিবিউন’ পত্রিকায় কাজ করেন। ১৯১৯ খ্রী. কালা আইনের গোলমালে কালীনাথ রায় কারারুদ্ধ হলে তিনি ঐ পত্রিকার দায়িত্ব গ্ৰহণ করেন। ১৯২০ খ্রী. এলাহাবাদে পণ্ডিত মতিলাল নেহরুর ‘দি ইণ্ডিপেণ্ডেন্ট’ দৈনিক পত্রিকায় বিপিনচন্দ্ৰ পালের সহকারিরূপে যোগ দেন। ঐ সময় পণ্ডিত জওহরলালের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠত হয়। ১৯২১ খ্রী. কলিকাতায় ফেরেন এবং ‘ইণ্ডিয়ান ডেইলি নিউজ’ কাগজের সহ-সম্পাদক হন। ১৯২৪ খ্রী. পর্যন্ত তিনি এই পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ে কর্পোরেশনের মেয়র দেশবন্ধুর পরিকল্পিত একটি মিউনিসিপ্যাল পত্রিকার দায়িত্ব তিনি ও সুভাষচন্দ্ৰ বসু গ্রহণ করেন এবং ১৯২৫–৪৯ খ্রী. ‘ক্যালকাটা মিউনিসিপ্যাল গেজেট’-এর সম্পাদকরূপে নিযুক্ত থাকেন। ১৯২৭ খ্রী. পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর দৌহিত্রী ইলা দেবীকে বিবাহ করেন। ‘হিন্দুস্থান স্ট্যাণ্ডার্ড পত্রিকার প্ৰথম অবস্থায় তার রবিবাসরীয় বিভাগের দায়িত্ব গ্ৰহণ করেছিলেন। ১৯২০ খ্রী. কলিকাতায় তারই উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘অল ইণ্ডিয়া সোশ্যাল সার্ভিস কনফারেন্সে মহাত্মা গান্ধী সভাপতিত্ব করেন। ১৯৩১ খ্রী. কলিকাতায় সর্বপ্ৰথম ‘রবীন্দ্রজয়ন্তী’ উৎসবের আয়োজন করেন। ১৯৪৯ খ্রী. রাজ্য সরকারের ডাইরেক্টর অফ পাবলিসিটির পদে যোগ দেন। তিন বছর পরে দামোদর ভ্যালী কর্পোরেশনের চীফ ইনফর্মেশন অফিসার নিযুক্ত হন। রবীন্দ্রনাথের প্রতিভাজন ও স্নেহধন্য ছিলেন। রবীন্দ্রজীবনের বহু অপ্রকাশিত খুঁটিনাটি বিষয়ের তিনি একজন ‘অথরিটি’ এবং কবির বহু অপ্রকাশিত চিঠিপত্র ও তথ্যের সংগ্ৰহ তার নিজস্ব সম্পদরাপে সংরক্ষিত আছে। রবীন্দ্র জন্ম-শতবর্ষে অল ইণ্ডিয়া রেডিওর রবীন্দ্ৰশতবার্ষিকীর প্রধান-রূপে তিনি দিল্লীতে যোগ দেন। তার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্ৰন্থ : ‘পুরুষোত্তম রবীন্দ্রনাথ’, ‘রামমোহন রায় অ্যাণ্ড হিজ ওয়ার্কস’, ‘সাম অ্যাসপেক্টস অফ মডার্ন জার্নালিজম ইন ইণ্ডিয়া’ প্রভৃতি। রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য উপাধিতে ভূষিত ছিলেন।









========∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆===========