##############@@@#############
রাস পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে
বিশেষ কবিতার সংখ্যা
" সম্পর্ক "
¶¶¶¶¶¶¶¶¶¶¶¶¶§¶¶¶¶¶¶¶¶¶¶¶§¶¶¶¶¶¶¶¶¶¶¶¶
Doinik Sabder Methopath
Vol -206. Dt -29.11.2020
১৩ অগ্রহায়ণ ,১৪২৭. রবিবার
$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$
=================================
কবিতা ' বিশেষ সংখ্যা
++++++++++++++++±+++++++++++++++++
১.
সম্পর্ক
দুর্গাদাস মিদ্যা
সম্পর্কের শীতলতায় জল জমে বরফ হয়
সুনিবিড় ছায়া ছুঁয়ে থাকে গাছ যেভাবে
সেভাবে ঘোরতর সংসারী হতে চাই আমি
তোমাকে ছুঁয়ে।
এইযে ঘরে ঘরে ভালোবাসার তোরণ তৈরী হয়
সে তো আর এমনি এমনি নয়
চারপাশ ঘিরে থাকে ভালো সম্পর্কের
নিবিড় আশ্রয়। তাই মান্যতা পায় সামাজিক
পরিচয়। নতুবা সব খেলাঘর
বাসর ভাঙে গোপন সম্পর্ক-হীনতায়।
=============///==========
২.
পোশাক বদল
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
মুক্তো কুড়িয়ে নিলে দুই খোল ডিঙি
ভেসে যায় কান্না ধোয়া নীলের তারল্য।
আলোর গতি মহাকাশ ছোঁয়
ছায়াপথ পায়না স্টেশন।
হয়তো স্বপ্নের গাড়ি স্বর্গের কাছাকাছি
পারিজাত ব্লটিংয়ে আটপৌরে ঘাম
অজানা দানব চোষে স্বপ্নময় বীজ।
দৃশ্য সুন্দর হলে কোমলতা পায়?
তাহলে অদৃশ্য কেন কাঁটাদের দাঁত!
ধুসর ফুলের মধু জমে জমে ক্ষীর
নীলকণ্ঠ খুঁজে ফেরে বিজাতি পতঙ্গ।
ভোগপদ গেয়ে গেয়ে পোশাক বদল
মহাকাশে পাতা যাক ভোজের টেবিল.....
গোলমালে সুর দিলে সবই শাবাশ।
==========////=========
৩.
তৈমুর খান
হাসপাতালের দিকে
কিছু নীরবতা আমাকে হাসপাতালের দিকে নিয়ে যায়
যদিও কোনও তৃষ্ণার কথা বলিনি কখনও
যদিও গুচ্ছ গুচ্ছ কোঁকড়া চুলের রমণীদের কথা গোপন রেখেছি
মসৃণ ত্বকের কিছু উপমা খুঁজতে খুঁজতে
আমি শুশ্রূষার অভিমুখে দাঁড়াই
আমাকে ভাসিয়ে দিক সময়
আজ কোনও নৌকার কাছে যাব নাকো আমি
ক্রমাগত একটা দ্বীপ, দ্বীপের অরণ্য
আর নীরব ভাষার সংলাপ…
==================////======
৪.
পাপেট শো
অশোককুমার লাটুয়া
জীবন মানেই সম্পর্ক।
সম্পর্ক মানেই পাপেট শো।
বিশ্বাস, বন্ধুত্ব, ভালোবাসা
শরীর হৃদয় পিপাসা
উপকরণ।
গাছ, বাতাস, পাখি, মৌমাছি
নদী, মাটি, আকাশ
আবেগ, অনুভূতি,
স্বপ্ন, প্রেম, স্মৃতি
প্রেক্ষাপট।
বৃষ্টি, গোলাপ, আলো
মনভালো, মনখারাপ
নক্ষত্র, জোনাকি, গল্প কিংবা কবিতা
সবমিলিয়ে জীবন মানেই সম্পর্ক
গোপন-খোলা চিঠি।
সম্পর্ক মানেই পাপেট শো
আক্ষেপ অনুরাগ অভিমান
দিনরাত্রি।
================////=============
৫.
হারাণজেঠু
অমিত কাশ্যপ
শহর কখন গড়িয়ে গড়িয়ে গ্রামের পথে
এখন গ্রামে আর মাটির পথ নেই
মোরামের পর মসৃণ পিচরাস্তা
মাটির বাড়ি অবলুপ্তির পথ, অট্টালিকার শোভা নজর কাড়ে
গ্রাম-শহরের মেলবন্ধন, এরই নাম সম্পর্ক
গ্রামের প্রবীণ মানুষ হারাণজেঠু, স্বাধীনতা দেখেছেন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতি তাও ম্লান নয়
নবীন প্রজন্মের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে বলেন
এরই নাম সম্পর্ক, বিজ্ঞানের জয়যাত্রায় আলোময় আজ গ্রাম
গ্রাম ভরে যাচ্ছে শহুরে গন্ধে আর শোভনতায়
============/////===========
৬.
আগামীর কাছে
বিমল মণ্ডল
বিকেলের শেষে কুয়াশা মাখা সন্ধ্যা
ধূসর নীরব আবছা আলোয়
একটু পরে উদাসীন জোছনা;স্বপ্নের ভেতর
আকাশের গায়ে জল ঢেউ খেলে
টুপটাপ শব্দ মৃদু আলো ঘিরে
সমান বৃত্তাকারে স্মিতহাস্য আলিঙ্গন
যেন অন্ধকার আরও অন্ধকারে
অপেক্ষায় আগামী
হঠাৎ কুয়াশা চিরে আলোর উচ্ছ্বাস
রাত্রির সন্ধান অনন্য অক্ষরেখা
এক, দুই... চার, পাঁচ তারাদের আলাপন
মন্থর রাত্রি শেষে
সমস্ত জোছনার অনুভবে
উজ্জ্বল তখনও সেই তারার হাসি
জেগে ওঠে আগামীর কাছে।
=============////========
৭.
সমস্ত দিনের সম্পর্ক
সুবীর ঘোষ
সমস্ত দিন বসে থাকব
গাছের কাছে পাতার নীচে
আমায় তারা পাহারা দেয়
বিপদ আসতে দেয় না কাছে ।
হাত সেঁকব পা সেঁকব
প্রায় নিভন্ত চুলোর আঁচে
এখান থেকে পালিয়ে যাবার
প্রশ্ন জোলো বেবাক মিছে ।
সমস্ত দিন বসে থাকব
গাছের কাছে রোদের ভেতর
সন্ধে হলে চাঁদের সঙ্গে
অল্প আলো অন্ধকারে
মনের গামছা নিংড়ে চিপে
করব কত জলের কদর
গাছ বলবে—“আবার এসো” ।
গাছ ঝুঁকে যায় চাঁদের ভারে ।
=============///=========
৮.
রেখাচিত্র
খুকু ভূঞ্যা
অনেক ভালোবাসার কোনো নাম হয়না
রঙ গন্ধ নির্যাস
চোখ বুক শরীর কিছুই থাকে না
অথচ প্রশ্বাস নেয়
কথা বলে নৈঃশব্দের সঙ্গে একা একা
অশ্রুপাত করে না কিন্তু এক পাহাড় যন্ত্রনা রক্তের ভেতর লালন পালন করতে করতে
বুঝে নেয় ভালোবাসা এক অপূর্ব মৃত্যু
কেবল নীরবতা স্বীকার করে
ভাবি চোখের ওপর একটা ঘর হোক তোমার
দেখব তোমার ফুল ফোটানো
অবাক তাকিয়ে থাকা আকাশের দিকে
অথবা গভীর নীরবতার মাঝে রাত জেগে-
কী কথা হয় চাঁদ নক্ষত্রের সঙ্গে
ছায়ার কোনো বসন্ত নেই
হাড় ভাঙা ঝড় বুকে নিয়ে
চেয়ে থাকি অদৃশ্য ভালোবাসার দিকে
যদি একটা পরিচয় পাই---
অতসী শালুক আকন্দ অথবা---
=========/////=≠==========
৯.
সম্পর্ক
লোপামুদ্রা ভট্টাচার্য
আমার তখন সতেরোয় পা, তুইও ছিলি তাই..
একই বেঞ্চে পাশাপাশি বসে প্রথম শব্দ হাই !
খোলা জানলায় অবাক দৃষ্টি! কী এত খুঁজতিস?
বোর্ডে তখন ক্যালকুলাস,সে হদিস কি পেতিস ?
কেমিস্ট্রি ল্যাবে প্রথম যেই দুজনের হাতে হাত
শুরুটা সেই, তারপর তো হেঁটেছি কতটা পথ !
লাইব্রেরি রুমে প্রথম চুমু আড়াল খুঁজে খুঁজে
জাপটে ধরে আরাম নিলি চোখ ছিল তোর বুজে।
বছর ঘুরে বসন্ত এলো, এলো শীত ও শ্রাবণ
ক্লাসের পড়ায় ফাঁকিবাজি কবিতাই কাড়ে মন ।
স্কুল পেরিয়ে কলেজও শেষ কাজের খোঁজে আমি
পরের ঘরে পা বাড়ালি মানুষ পেয়ে নামীদামি।
কেমন করে হাত রাখলি নতুন বরের হাতে
যে হাত ছিল আমার বুকে ফাগুন- চাঁদনি রাতে।
পথ চিনিয়ে নিয়ে যেতিস কোন সে অলীক দেশে
সে পথ আজ ভুলেই গেলি নবীন বধূর বেশে ।
আমি আজ সখী ভোলামন এক নিঃস্ব পথহারা
খুঁজে ফিরি আজ সে সংযোগ বিহ্বল দিশাহারা।
তুই সুখে থাক চিরটাকাল এই আমার আশা
চোখের জলে হৃদয় মাঝে গাঁথা থাক ভালোবাসা।।
===============/////============
১০.
সেলাইজন্ম।
শুভ্রাশ্রী মাইতি।
ছোটবেলা থেকেই সেলাই বড় ভালোবাসতো মা।
পেখমতোলা ময়ূর, শিং তোলা হরিণ, পাপড়ি মেলা গোলাপ
ফ্রেমবন্দী হয়ে নতুন করে সেলাইজন্ম পেত মার হাতে।
শ্বশুর বাড়ীর বারো ঘর এক উঠোনের মাঝে জমে ওঠা
রাশি রাশি কথা-অকথার সুতোগুলো অকারণ জট পাকালে
তাদের ছাড়িয়ে নিজের মতো করে নকশা বুনত মা সংসারের গোল ফ্রেমে।
ভাঙা সম্পর্কের নকশাগুলো চিকন,বোতাম,বখেয়া স্টিচের আলোয়
ভরাট হয়ে হেসে উঠত খিলখিলিয়ে যখন তখন।
গ্রীষ্মের দুপুরে বা বর্ষার বিকেলে মার সেলাই মেশিন থেকে বেরিয়ে আসত
বড় জেঠিমার লেস বসানো ব্লাউজ, মেজো জ্যাঠার ফুলতোলা রুমাল
বা ন-কাকিমার পাতা আঁকা শাড়ী।
সেলাই মেশিনের ঘরঘর শব্দে মার চোখ চুঁইয়ে নামত সম্পর্ক সুতোর অমল আলো
আদরের সূঁচ নকশা তুলতো রাতদিন ভালোবাসার।
অব্যবহৃত সেলাই মেশিনটার গায়ে এখন সময়ের বিবর্ণ জং।
মার মতো সেলাই আমরা কেউই শিখতে পারিনি বলে
সম্পর্কগুলোর মাঝে এখন সময়ের ছেঁড়া-ফাটা খাদের ক্ষত।
কাঁচা হাতের রিফুতে সৌন্দর্য আর ভালোবাসা ভরাট হয় না বলে
খাদ বাড়ে, বাড়তেই থাকে জীবনে...
==============//=≠==========
১১.
শুভ সকাল
কোয়েলী বসু
প্রতিটি সকাল
টেবিলে চায়ের কাপ,
খবরের কাগজ,
খোলা জানলা,নরম রোদ্দুর
আর একটি চেয়ার।
উল্টোদিকের জানলায় তারা
বোধহয় ওদের নাম......
হতে পারে কিছু,
কিন্তু প্রেমিকা টি
কী নামে যেন ডাকল তাকে।
ওরা প্রতিদিন আসে
শরীর দুলিয়ে পরস্পরকে
জানায় সুপ্রভাত ।
একের মুখে থাকে খড়কুটো ,
অন্যের চোখে থাকে
রঙিন স্বপ্ন ।
চায়ের কাপ খালি হয়,
খবরের কাগজের অক্ষরেরা,
মাঝে মাঝেই ওদের
বকম বকম সুরে
নেচে ওঠে।
মনে হয় কোনো সুসংবাদ।
দুধ সাদা কপোতীও
কেমন উঠল নেচে।
বাসা বাঁধা হয়ে যায় কপোতের,
প্রগাঢ় চুম্বন,
ওরা টের পায় কার আগমন।
কপোত- কপোতীর ,
ভালোবাসার ঘ্রাণ আবেশ ছড়ায় ।
আমি বুঝি ,
শুভ সকাল ।
==============/////=============
১২.
সম্পর্ক
গোবিন্দ মোদক
কতোদিন পর দেখা হলে
সম্পর্কটাকে অগোছালোভাবে
ঝালিয়ে নেওয়া যায়,
তার কোনও সর্বজনগ্রাহ্য হিসাব হয় না।
তবুও অনন্ত দ্রাঘিমারেখা জুড়ে
যখন ভেসে যায় মনের পালক,
আর ফুলেল ভোর নিয়ে আসে সকালের চিঠি,
তখন পারিজাত সম্পর্ক খুঁজে পায় সহজাত সুর,
বাঁধা তানে হৃদয়-তন্ত্রী ছুঁয়ে নূপুর বাজে ....
আর নরম একটা রোদের অপেক্ষায়
বুক জুড়ে বেজে ওঠে নবান্নের গান ;
গাঢ় স্বরে বলি -- "ভালো আছো তো ?"
কথা শুনে আকাশ তার বুকে
ভাসিয়ে দেয় মেঘের ভেলা
ঝরে পড়বার সুতীব্র আবেগে
==============////===========
১৩.
ফসলিয়া প্রেম
অনিমেষ মন্ডল
ধানের শিষ বেয়ে ভেসে আসে ফসলিয়া প্রেম
শূণ্য খামার;
মরমি হাওয়ায় শোক ওড়ে, শুদ্ধ হয়।
রাইকিশোরী, তোমার নূপুরে সুর তোলে
মথুরা সংলাপ;
বিকেলের রোদ ছুঁয়ে ছুটে যাব আলপথ ধরে।
মুঠো ধান হাতে নিয়ে আঁচল ভারাবো
গরবিনী প্রেমে;
তোমার চোখের কাজলে ছায়া পড়ে, উপোসি উঠোন।
রাইকিশোরী, তোমার প্রেমে মাটির ঋণ সোঁপে দেবো
আমাদের আগামী;
পুরনো মানতের মতো লক্ষ্মীর আসনে তুলে রেখো।
দূরের বোষ্টমী সাধ করে গেয়ে যায় সহজিয়া গান
সুজন আলাপ;
কুঁচো ভরে চাল দিও,জল দিও।
রাইকিশোরী, তোমার হৃদয়ে বারোমাস্যা গাথা
উদরের ছায়া ভুলে;
ঝিরঝিরে রোদে ফসলিয়া গেও।
==≠===≠=========///============
১৪.
সম্পর্ক
দেবাশিস চক্রবর্ত্তী
জীবন বাবুর তিনটি ছেলে
একটি মাত্র মেয়ে,
জীবন বাবুর জীবন চলে
নাম - কীর্তন গেয়ে ।
পঁচিশ বছর কাটলো , করে
রোজের ঝগড়া - তর্ক,
রাতে কিন্তু রাখতো জীবন
মধূময় সম্পর্ক ।
জীবন বাবুর গিন্নি সেদিন
হঠাৎ ভোরের দিকে,
কোথায় যেন পালিয়ে গেলো
একটা চিঠি লিখে !
হন্যে হয়ে খুঁজতে গিয়ে
ক্লান্ত জীবন ঘোষ,
ঠ্যাং ছড়িয়ে বুক চাপড়ে
করছিল আফশোস ।
মায়াময় এই দুনিয়ায়
কখন কে - যে কার !
এক লহমায় কাটতে পারে
সম্পর্কের তার ।
==============///=========≠========
১৫.
সম্পর্ক
নবকুমার মাইতি
চলমান সময়ের অস্থির স্রোতে সম্পর্ক গুলো ভেঙে খাণখাণ হয়ে যাচ্ছে
চারিদিকে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম,সীমান্তে রণভেরী
মিলিটারী ট্রাকের আনাগোনা,লাশকাটা ঘর
ভয়ঙ্কর মারণ ভাইরাস,পৃথিবীর কাল যেন শেষ হয় !
দেশপ্রেমের নামাবলী গায়ে এক শ্রেণীর মানুষ
বিকিয়ে দিচ্ছে দেশের সাম্য,স্বাধীনতা,সৌভ্রাতৃত্ব
বিনিময়ে মুনাফার পাহাড়ে বসে বাজায় ঔদাসিন্যের বাঁশি
সাম্প্রদায়িক বিভেদগামী শক্তির আস্ফালন,আর্থিক মন্দা
নরপিশাচের লালসার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত নারীর সম্ভ্রম
স্থিতধী মানুষ আজ অচল আয়তন,ক্রমাগত কোণ-ঠাসা
তাদের অমূল্য অভিমত । সম্পর্কের সুতোয় টান
একান্নবর্তী পরিবার ভেঙে খানখান
সম্প্রীতি,মানবতা,ভালবাসা,প্রেম,সুকোমল প্রবৃত্তি
শতাব্দীর সঞ্চিত নিরন্ধ্র অন্ধকারে আমাদের চোখে বেদনাশ্রু
অধীর অপেক্ষায় বিনিদ্র দিনের যাপন চিত্র
খুঁজে ফিরি অভেদসুন্দরের ধ্যানে নিমগ্ন পৃথিবী
যেখানে উচ্চ নীচ, নারী পুরুষ, রাম রহিম
ভূবন বাউল, ইয়াসিন মিঞ্যা আমরা সকলে ভাই ভাই
সম্পর্ক একটাই—বিশ্বপিতার সন্তান ।
==============///================
No comments:
Post a Comment