Wednesday, 14 April 2021


বি. আর আম্বেদকর জন্মেছিলেন ১৮৯১ সালে ১৪ এপ্রিল।‌বর্তমান ভারতের মধ্যপ্রদেশের মোহ অঞ্চলে। রামজি মালোজি শাকপাল ও ভীমাবাই এর চতুর্দশ সন্তান ছিলেন তিনি। তার পূর্বপুরুষদের অধিকাংশই ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। তাঁর পিতা রামজি শাকপাল একজন সুবেদার হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। মূলত পিতার ইচ্ছাতেই তাঁর স্কুলের পাঠ শুরু হয়। সেখানে দলিত হওয়ার কারণে তিনি শৈশবেই যে তীব্র বিদ্ধেষের মুখোমুখি হয়েছেন তা উপরের ঘটনাগুলো থেকে কিছুটা টের পাওয়া যায়।

তবে এ বিদ্ধেষ যে শুধু স্কুলেই সীমাবদ্ধ ছিল তা নয়। স্কুলের বাইরেও এ হেনস্থা তার পিছু ছাড়েনি। একবারের একটি ঘটনা তার মনে ভীষণ দাগ কেটে যায়। তার বয়স তখন নয়-দশ বছরের মতো। তারা ভাই-বোনরা মিলে সতর থেকে তার পিতার কর্মস্থল কোরগাঁও বেড়াতে যাচ্ছিলেন। সেদিন রেলস্টেশন থেকে তাকে তার বাবার এসে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তিনি তাদের যাওয়ার খবর পাননি।


রেলস্টেশন এসে ভীমরাওরা বেশ বিপাকে পড়লেন। তারা বাচ্চা কয়েকটি ছেলেমেয়ে, বড়সড় সব ব্যাগ সাথে, তার ওপর এখানে কিছুই চেনেন না তারা। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরও কেউ এলো না। স্টেশন মাস্টার এগিয়ে আসলেন কী হয়েছে জানতে। তারা সব বৃত্তান্ত বললেন তাকে। তিনি সব দেখেশুনে বেশ আগ্রহের সাথে তাদের সাহায্য করতে চাইলেন। তাদের নতুন জামাকাপড় দেখে তিনি তাদের ব্রাহ্মণসন্তানই ভেবেছিলেন। একসময় তিনি কথায় কথায় তাদের পরিচয় জানতে চাইলেন। তারা দ্বিতীয়বার না ভেবেই বলে দিলেন যে তারা মহর গোত্রের।

তারা দলিত শুনে স্টেশন মাস্টার যেন বড়সড় ধাক্কা খেলেন। তিনি পিছু হটে নিজের কামরায় চলে গেলেন। অবশ্য আধাঘন্টা পর ফের এলেন। চেষ্টা করলেন তাদের একটি গাড়িতে উঠিয়ে দিতে। কিন্তু কোনো গাড়ির চালক তাদের গাড়িতে উঠতে দিতে চায়নি। কারণ দলিতদের সাথে একই গাড়িতে চালক বসবেন কীভাবে? তাছাড়া গাড়িও অপবিত্র হয়ে যাবে। অবশেষে ভীমরাও নিজে সেদিন গাড়ি চালিয়েছিলেন, পাশে চালক হেঁটে গিয়েছেন। আর তাকে ভাঁড়াও দিতে হয়েছে দ্বিগু

সে রাতে তাদের সাথে যথেষ্ট খাবার থাকা সত্ত্বেও তাদের অভুক্ত থাকতে হয়েছিল। কারণ তারা পানি জোটাতে পারেন নি। অস্পৃশ্যকে পানি দেবে কে? এসব তো কেবল খন্ডচিত্র। তারা যে পাড়ায় থাকতেন যেখানে অধিকাংশই উচ্চবর্ণের হিন্দু ছিল। সেখানে কোনো নাপিত তাদের চুল কেটে দিতো না, কোনো ধোপা তাদের কাপড় কেঁচে দিতো না। তার বড় বোনকেই তার ও তার ভাইদের চুল কেটে দিতে হতো।

আর এ বৈষম্য যে শুধু উচ্চবর্ণের হিন্দুরাই করতো তা নয়। তার একটি স্মৃতিকথা থেকে এর একটি প্রমাণ দেখা যায়। তার যুবক বয়সের কথা। একবার তারা কয়েকজন দলিত আওরঙ্গবাদ হয়ে যাচ্ছিলেন। তাদের যাত্রাপথেই পড়ছিল বিখ্যাত দৌলতাবাদ শহর। এখান দিয়ে যাওয়ার সময় কোনো পর্যটক ঐতিহাসিক দৌলতাবাদ দুর্গে না ঘুরে যান না। আম্বেদকর ও তার সঙ্গীরাও দৌলতাবাদ দুর্গ ঘুরে যাবেন বলে ঠিক করলেন।

সে এলাকাটি ছিল মুসলিমপ্রধান এলাকা। আর তখন মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাস। দৌলতদিয়া দুর্গের সামনে পানিতে পরিপূর্ণ একটি কূপ ছিল। যেখানে মুসলমানরা অজু করতেন। আম্বেদকররা যখন সেখানে গেলেন তখন ধুলাবালিতে তাদের সারা শরীর আচ্ছন্ন হয়ে আছে। তারা কূপের পানি দিয়ে হাত মূখ ধুয়ে নিলেন। তারপর এগিয়ে গেলেন দুর্গের দিকে। হঠাত পেছন থেকে একজন বৃদ্ধ মুসলমান বলে উঠলেন, “এই অচ্ছুতেরা কূপের পানিকে অপবিত্র করে দিয়েছে।”


তার কথা শেষ হওয়ার পর আরো কয়েকজন চেঁচিয়ে উঠলেন, “অচ্ছুতের দল বড় বাড় বেড়েছে”, “এদের একটা শিক্ষা দেয়া উচিৎ” মুহূর্তের মধ্যে যেন পুরো লড়াই বাঁধার উপক্রম। অবস্থা গুরুতর দেখে আম্বেদকররা সহ বোঝাতে লাগলেন যে, তারা বাইরে থেকে এসেছেন। এখানের স্থানীয় রীতিনীতি সম্পর্কে তাদের জানা নেই। কিন্তু মুসলিমরা থামছিলেন না। তারা ওখানের স্থানীয় দলিতদের ওপর চড়াও হলেন, তারা কেন এদের জানায় নি। আম্বেদকর দেখলেন যে, এভাবে চলতে থাকলে দাঙ্গা বাঁধাও অসম্ভব নয়।

তিনি মুসলমানদের বোঝাতে লাগলেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা। পেছন থেকে এক তরুণ মুসলিম বলে উঠলেন, “সবার নিজেদের ধর্ম মেনে চলা উচিৎ। নিজেদের সীমার মধ্যে থাকা উচিৎ।” এ কথা শুনে আম্বেদকর আর রাগ ধরে রাখতে পারলেন না। ক্ষিপ্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমার ধর্ম কী তোমাকে এই শিক্ষা দেয়? যদি এই অস্পৃশ্যরা মুসলমান হয়ে যায়, তবেও কী তুমি তাদের এই কূপের জল স্পর্শ করা থেকে বাঁধা দেবে?” তার প্রশ্নগুলো শুনে উপস্থিত মুসলমানরা যেন কিছুটা থমকে গেল।


সেদিন তিনি বুঝেছিলেন, কেবল উচ্চবর্ণের হিন্দুদের কাছেই তারা অস্পৃশ্য বা ঘৃণিত নন। ভারতের একটা বড় মুসলমান জনগোষ্ঠীর কাছেও তারা ঘৃণিত। তিনি তার জীবনের প্রতিটি পদে পদে দেখেছেন কীভাবে এক অদ্ভুত প্রথার কারণে তীব্র ঘৃণার বান ছুঁড়ে দেয়া হচ্ছে এক বিশাল জনগোষ্ঠীর দিকে। কীভাবে টেনে হিঁচড়ে সমাজের নিচু স্তরে দমিয়ে রাখা হচ্ছে তাদের। এসব ঘটনা তীব্রভাবে আহত করে তাকে। সমাজের কাঠামো নিয়ে প্রচন্ড হতাশ হয়ে পড়েন তিনি।

শিক্ষা:

এম.এ.(M. A.);

পি.এইচ.ডি.(PhD.);

ডি.এস.সি.(D.Sc.);

এল.এল.ডি.(L.L.D.);

ডি.লিট.(D.Lit.),

ব্যরিস্টার(আইন) (Barrister(Law)


তীব্র হতাশা থেকেই জন্ম হয় সমাজ সংস্কারকদের, বিপ্লবীদের। কেননা এ হতাশাই এনে দেয় সমাজ বদলানোর জিদ। যা বি আর আম্বেদকরের মনেও তীব্রভাবে জেগেছিল। তিনি তার জীবনের মিশন হিসেবে নিয়েছিলেন বর্ণবৈষম্য দূরীকরণকে। দলিতদের মুখপাত্র হয়ে উঠেছিলেন গোটা ভারতে। তাদের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এক সুন্দর ভবিষ্যতের। আর এসব কারণেই তিনি দলিতদের কাছে হয়ে উঠেছিলেন ভালোবাসার ‘বাবা সাহেব’।


আম্বেদকরের অনুপ্রেরণায় এখনো দলিতরা তাদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার। তার গোটা জীবনই যেন এক প্রেরণার বাতিঘর। সেই ক্লাসে পাটের বস্তা বিছিয়ে বসা ছেলেটির বিশ্বব্যাপী সমাদৃত জ্ঞানী হয়ে ওঠা, দলিতদের নিয়ে তার আন্দোলন গড়ে তোলা, এরপর তার সংবিধানের স্থপতি ও ভারতের প্রথম আইনমন্ত্রী হওয়া- পুরো জীবন যেন অনন্য এক সংগ্রামী সফর। 

ভারতের সংবিধান খসড়ায় অবদান

১৫ই অগাস্ট ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার দিন, নব্য গঠিত কংগ্রেস শাসিত সরকার আম্বেদকরকে জাতির প্রথম আইন মন্ত্রী পদ পদার্পণ করেন, যা তিনি সানন্দে গ্রহণ করেছিলেন। ২৯ই অগাস্ট, আম্বেদকরকে সংবিধান খসড়া সমিতির সভাপতি করা হয়, যা ভারতের নতুন মুক্ত সংবিধান রচনায় বিধানসভা কর্তৃক আরোপিত হয়। আম্বেদকর তাঁর সহপাঠীদের ও সমকালীন পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। এই কাজে আম্বেদকর প্রাচীন বৌদ্ধ ধর্মে সঙ্ঘের-চর্চা নিয়ে বৌদ্ধ ধর্মীয় গ্রন্থে অধিক পড়াশোনাই অনেক সহায়ক হিসেবে কাজ করেছিলো। ব্যালটের দ্বারা ভোট প্রদান, তর্ক-বিতর্কের ও অগ্রবর্তী নীতিমালা, করণীয় বিষয়সূচী, সভা-সমিতি ও ব্যবসায় সংক্রান্ত প্রস্তাবনা সমূহের ব্যবহার ইত্যাদি সংঘ চর্চা দ্বারা সমন্বয় সাধিত হয়। সংঘ চর্চা প্রাচীন ভারতের কিছু রাষ্ট্রীয় প্রজাতান্ত্রিক উপজাতিগোষ্ঠী যেমন শাক্যবংশ ও লিচ্ছবিররা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত। অতঃপর আম্বেদকর যদিও তাঁর সাংবিধানিক অবয়ব তৈরিতে পশ্চিমা প্রণালীর ব্যবহার করেন, বস্তুত এর অনুপ্রেরণা ছিলো ভারতীয়, বাস্তবিকপক্ষে উপজাতীয়।


গ্রানভিলে অস্টিন আম্বেদকর কর্তৃক প্রণীত ভারতীয় সংবিধান খসড়াকে বর্ণনা দেন এভাবে “একনিষ্ঠ ও সর্বোত্তম সামাজিক নথি পত্র।”... 'অধিকাংশ ভারতের সাংবিধানিক শর্ত সরাসরি সামাজিক বিপ্লবের সমর্থনে উপনীত হয়েছে অথবা প্রয়োজনীয় শর্ত আরোপের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিপ্লবকে পরিপুষ্ট করার চেষ্টা। ' আম্বেদকর কর্তৃক লিখিত ভারতের সাংবিধানিক নিশ্চয়তা ও সুরক্ষা সর্বাধিক সাধারণ জনসাধারণের প্রতি প্রদান করা হয়েছে যেমন ধর্মীয় স্বাধীনতা, অস্পৃশ্যতা বিলোপ এবং সব ধরনের বৈষম্য বিধিবহির্ভূত করেন। আম্বেদকর নারীদের অধিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকারের জন্য যুক্তি প্রদর্শন করেন। তিনি এতে বিধানসভার সমর্থন অর্জন করে সিডিউল কাস্টেসভুক্ত নারী সদস্যদের বা সিডিউল উপজাতীয়দের জন্য বেসরকারি খাতে বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় কর্মক্ষেত্রে চাকরির বিধান প্রদান করে নির্দিষ্ট আসনের ব্যবস্থা করেন, যা একটি সম্মতিসূচক পদক্ষেপ। ভারতের আইন প্রণেতারা আশা করেন এর মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক বিভাজন দূর হবে ও ভারতীয় অস্পৃশ্যরা সুযোগ-সুবিধা পাবে, যা ছিলো বস্তুত দৃষ্টিগোচরহীন যেমনটি যখন দরকার ঠিক তখনের মতো।


১৯৪৯ সালের ২৬ই নভেম্বর গণ-পরিষদ কর্তৃক সংবিধানটি গৃহীত হয়। আম্বেদকর ১৯৫১ সালে হিন্দু কোড বিল খসড়াটি সংসদের আস্তাবলে রাখার কারণে মন্ত্রী পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন, যা পৈতৃক সম্পত্তি, বিবাহ ও অর্থনীতি আইনের আওতায় লিঙ্গ সমতাকে ব্যাখ্যা করেছিল। প্রধানমন্ত্রী নেহেরু, মন্ত্রীসভা ও অনেক কংগ্রেস নেতারা ইহাকে সমর্থন জানালেও বেশিরভাগ সাংসদ এর সমালোচনা করেন। আম্বেদকর স্বাধীনভাবে ১৯৫২'র নির্বাচনে লোকসভার হয়ে সাংসদে নিন্মপদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, কিন্তু হেরে যান। তাঁকে পরে রাজ্যসভার উচ্চ পদস্থ সাংসদ পদে সমাসীন করা হয় ১৯৫২ সালের মার্চ মাসে এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সদস্যপদে বহাল ছিলেন।

    ৭ ই ডিসেম্বর তাঁর জন্য বৌদ্ধ ধর্মীয় আদলে দাদার চৌপাট্টি সমুদ্র সৈকতে একটি শাবদাহ নির্মাণ করেন। হাজারো শত অনুসারী, কর্মীবৃন্দ ও শুভানুধ্যায়ী ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত হন। ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৫৬ সালে একটি ধর্মান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যারা শাবদাহ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা একই স্থানে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।


আম্বেদকর তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী সভিতা আম্বেদকর (বিবাহ পূর্ব নামঃ সার্দা কবির), তাঁর স্বামীর সাথে তিনিও বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন এবং ২০০২ সালে বৌদ্ধালম্বী হিসেবেই মারা যান। উনার পুত্র ইশান্ত (অন্য নাম ভাইয়াসাহেব আম্বেদকর) ও তাঁর পুত্রবধূ মীরা তাই আম্বেদকর। আম্বেদকরের নাতি প্রকাশ যিনি ইন্ডিয়ান বুড্ডিস্ট অ্যাসোসিয়েশান এর জাতীয় সভাপতি। পূর্ব নাম বালাসাহেব ঈশান্ত আম্বেদকর, ভারতীয় "বাহুযান মহাসঙ্ঘ"এর নেতৃত্ব দেন এবং উভয় ভারতীয় লোকসভায় নিয়োজিত।


আম্বেদকরের ব্যক্তিগত মন্তব্য খাতায় ও কাগজে বহু অসমাপ্ত মুদ্রলিখন (টাইপস্ক্রিপ্টস) ও হাতে লেখা খসড়া পাওয়া যায়, পরবর্তীতে ধীরে ধীরে তা প্রকাশিত হয়েছিলো। যার মধ্যে ছিলো “ওয়েটিং ফর অ্যা ভিসা”, যার সম্ভাব্য লিখিত সময় ১৯৩৫ থেকে ১৯৩৬ এর মাঝামাঝি এবং একটি আত্মজীবনচরিত ও “অস্পৃশ্য বা ভারতের গেটো শিশুরা” যেটি ১৯৫১'র আদমশুমার হিসেবে বিবেচিত।


আম্বেদকরের জন্য তাঁর দিল্লীসভা ২৬ আলীপুর রাস্তায় একটি স্মারক স্থাপিত হয়। তাঁর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করে আম্বেদকর জয়ন্তী বা ভীম জয়ন্তী হিসেবে পালিত হয়। তাঁকে মরণোত্তর ১৯৯০ সালে ভারতের সর্বোচ্চ উপাধি “ভারত রত্ন” দেয়া হয়েছিল। তাঁর সম্মানে বহু সরকারি প্রতিষ্টানের নামকরণ করা হয় যেমন হায়দ্রাবাদের ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর ওপেন ইউনিভার্সিটি, আন্দ্র প্রদেশের শ্রীকাকুলাম ডঃ বিআর আম্বেদকর ইউনিভার্সিটি, মুজাফ্‌ফরপুরের বি আর আম্বেদকর বিহার ইউনিভার্সিটি এবং জালান্দরের বি আর আম্বেদকর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, ও নাগপুরের ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, শোনগাঁও বিমানবন্দর। ভারতের সংসদ ভবনে আম্বেদকরের একটি বিশাল প্রতিকৃতি প্রদর্শিত আছেন।

রচনা কর্ম :

ভলি. ১. ভারত জাতিঃ তাদের পদ্ধতি, উৎপত্তি এবং উন্নয়ন এবং ১১টি অন্যান্য প্রবন্ধ

ভলি. ২. ডঃ আম্বেদকর বোম্বে বিধানসভায়, সীমন কমিশনের সাথে এবং গোল টেবিল বৈঠকে, ১৯২৭-১৯৩৯

ভলি. ৩. হিন্দু দর্শনশাস্ত্র; ভারত এবং সাম্যবাদের পূর্বসর্তাবলী; রাষ্ট্রবিপ্লব ও বিপ্লব বিরোধী; বুদ্ধ বা কার্ল মার্ক্স

ভলি. ৪. হিন্দুদের প্রহেলিকা[১৭]

ভলি. ৫. অস্পৃশ্য ও অস্পৃশ্যতার উপর প্রবন্ধ

ভলি. ৬. ব্রিটিশ ভারতে আঞ্চলিক অর্থনীতির বিবর্তন

ভলি. ৭. কারা শুভ্র ছিলো? ; অস্পৃশ্য সম্প্রদায়

ভলি. ৮. পাকিস্তান বা ভারতের সীমানা

ভলি. ৯. কংগ্রেস ও গান্ধী অস্পৃশ্যদের প্রতি যা করেছিলো; জনাব গান্ধী এবং অস্পৃশ্যদের দাসত্ব মোচন

ভলি. ১০. ডঃ আম্বেদকর রাষ্ট্র প্রধান কার্যনির্বাহক সমিতির সদস্য হিসেবে, ১৯৪২-১৯৪৬

ভলি. ১১. বুদ্ধ ও তাঁর ধর্ম

ভলি. ১২. অপ্রকাশিত লেখা; প্রাচীন ভারতীয় ব্যবসা-বাণিজ্য; আইনের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাসমূহ; ওয়েটিং ফর অ্যা ভিসা ; অন্যান্য টীকাসমূহ, ইত্যাদি।

ভলি. ১৩. ভারতের মুখ্য সংবিধান স্থপতি হিসেবে

ভলি. ১৪. (২ খণ্ডে) ডঃ আম্বেদকর এবং হিন্দু কোড বিল

ভলি. ১৫. ডঃ আম্বেদকর স্বাধীন ভারতের প্রথম আইনমন্ত্রী হিসেবে এবং সংসদের বিরোধী সদস্য হিসেবে (১৯৪৭-১৯৫৬)

ভলি. ১৬. ডঃ আম্বেদকরের পালি ব্যাকরণ

ভলি. ১৭ (১ম অংশ) ডঃ বি. আর. আম্বেদকর এবং তার Egalitarian রাষ্ট্র বিপ্লব – মানবাধিকার যুদ্ধ। Events starting from March 1927 to 17 November 1956 in the chronological order

(২য় অংশ) ডঃ বি. আর. আম্বেদকর এবং তার Egalitarian রাষ্ট্র বিপ্লব – সামাজিক-রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় কর্মকাণ্ড। Events starting from November 1929 to 8 May 1956 in the chronological order

(Part III) ডঃ বি. আর. আম্বেদকর এবং তার Egalitarian রাষ্ট্র বিপ্লব – বক্তব্যসমূহ. Events starting from 1 January to 20 November 1956 in the chronological order

ভলি. ১৮ (৩ খণ্ডে) ডঃ বি. আর. আম্বেদকরের রচনাবলী এবং বক্তব্যসমূহ (মারাঠী)

ভলি. ১৯ ডঃ বি. আর. আম্বেদকরের রচনাবলী এবং বক্তব্যসমূহ (মারাঠী)

ভলি. ২০ ডঃ বি. আর. আম্বেদকরের রচনাবলী এবং বক্তব্যসমূহ (মারাঠী)

ভলি. ২১ ডঃ বি. আর. আম্বেদকরের ছবিগুচ্ছ এবং চিঠি পত্র


প্রধান সংগঠন:

সমথ সৈনিক দল,

তফসীল সম্প্রদায়,

স্বনির্ভর শ্রমিক দল (ইন্ডিপেন্ডেন্ট লেবার পার্টি(ভারত)),

পূর্বেকার অস্পৃশ্য জাতি সিডিউল কাস্টেস ফেডারেশন,

Republican Party of India,

বুডিস্ট সোসাইটি অব ইন্ডিয়া (ভারতীয় বৌদ্ধ সংঘ)।




১৯৪৮ সাল থেকে আম্বেদকর ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। শারীরিক অবনতির জন্য ১৯৫৪ সালে জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত তিনি শয্যাগত ছিলেন ও তাঁর দৃষ্টিশক্তি হারান। রাজনৈতিক কারণে তিনি ক্রমবর্ধমানভাবে অনেক তিক্তবিরক্ত হয়ে উঠেন, যা তাঁর স্বাস্থ্যের কাল হয়ে দাঁড়ায়। ১৯৫৫ সালের পুরোটা জুড়ে তিনি প্রচন্ডভাবে কাজ করার ফলে তাঁর শারীরিক অবস্থার অধিকতর অবনতি হয়। টানা তিন দিন “বুদ্ধ ও তাঁর ধর্ম” বইটির সর্বশেষ পান্ডুলিপি তৈরির পর বলা হয় যে, তিনি ৬ই ডিসেম্বর ১৯৫৬ সালে তাঁর নিজ বাড়ি দিল্লীতে ঘুমন্ত অবস্থায় চির নিদ্রায় শায়িত হন।



∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆

দৈনিক শব্দের মেঠোপথ

Doinik Sabder Methopath

Vol - 341. Dt -14.04.2021

৩১ চৈত্র,১৪২৭. বুধবার

=================================









No comments:

শুভ জন্মদিন শ্রদ্ধাঞ্জলি। পশুপতি ভট্টাচার্য । খ্যাতনামা চিকিৎসক ও সাহিত্যিক। Dt -15.11.2024. Vol -1053. Friday. The blogger post in literary e magazine

পশুপতি ভট্টাচার্য  ১৫ নভেম্বর ১৮৯১ -  ২৭ জানুয়ারি ১৯৭৮   একজন খ্যাতনামা চিকিৎসক ও সাহিত্যিক। জন্ম  বিহার রাজ্যে পিতার কর্মস্থল আরায়। তাদ...