Friday, 23 April 2021


বই দিবস
_-------+--- 

.”বইয়ের মত এত বিশ্বস্ত বন্ধু আর নেই।“— আর্নেস্ট হেমিংওয়ের

২.”ভাল বন্ধু, ভাল বই এবং একটি শান্ত বিবেক: এটি আদর্শ জীবন।“— মার্ক টোয়েন


৩.”যদি এমন কোনও বই থাকে যা আপনি পড়তে চান তবে এটি এখনও লেখা হয়নি তবে আপনাকে অবশ্যই এটি লিখতে হবে।” — টনি মরিসন

৪.”ভালো বই পড়া মানে গত শতাব্দীর
মহৎ লোকের সাথে আলাপ করা।“- দেকার্ত

৫.”বই ছাড়া একটি কক্ষ আত্মা ছাড়া দেহের মত।” -মার্কাস টুলিয়াস সিসারো



৬.”একজন মানুষ ভবিষ্যতে কী হবেন সেটি অন্য কিছু দিয়ে বোঝা না গেলেও তার পড়া বইয়ের ধরন দেখে তা অনেকাংশেই বোঝা যায়।“-অস্কার ওয়াইল্ড

৭.”অন্তত ষাট হাজার বই সঙ্গে না থাকলে জীবন অচল।” – নেপোলিয়ান

৮.”বই কিনে কেউ কোনদিন দেউলিয়া হয় না।“-সৈয়দ মুজতবা আলী

৯.”বই পোড়ানোর চেয়েও গুরুতর অপরাধ অনেক আছে। সেগুলোর মধ্যে একটি হল বই না পড়া।“-জোসেফ ব্রডস্কি

১০.”একটি ভালো বইয়ের কখনোই শেষ বলতে কিছু থাকে না।“- আর ডি কামিং

১১.”বই বিশ্বাসের অঙ্গ, বই মানব সমাজকে টিকাইয়া রাখিবার জন্য জ্ঞান দান করে। অতএব, বই হইতেছে সভ্যতার রক্ষাকবচ।“-ভিক্টর হুগো

১২.”বই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ আত্মীয়, যার সঙ্গে কোনদিন ঝগড়া হয় না,কোনদিন মনোমালিন্য হয় না।“- প্রতিভা বসু

১৩.”বই খুলে যা দেখে নেয়া যায় তা কখনো মুখস্থ করতে যেয়ো না।“-আলবার্ট আইনস্টাইন



১৪.”বই কিনলেই যে পড়তে হবে, এটি হচ্ছে পাঠকের ভুল। বই লেখা জিনিসটা একটা শখমাত্র হওয়া উচিত নয়, কিন্তু বই কেনাটা শখ ছাড়া আর কিছু হওয়া উচিত নয়।” – প্রমথ চৌধুরী


১৫.”বই হচ্ছে অতীত আর বর্তমানের মধ্যে বেঁধে দেয়া সাঁকো।” -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৬.”বই হচ্ছে মস্তিষ্কের সন্তান।” – জনাথন সুইফট

১৭.”বই হলো এমন এক মৌমাছি যা অন্যদের সুন্দর মন থেকে মধু সংগ্রহ করে পাঠকের জন্য নিয়ে আসে।” – জেমস রাসেল

১৮.”জীবনে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন- বই, বই এবং বই।” – ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

১৯.”ঘরের কোনো আসবাবপত্র বইয়ের মতো সুন্দর নয়।” -সিডনি স্মিথ



২০.”বই লেখাটা নিষ্পাপ বৃত্তি এবং এতে করে দুষ্কর্ম থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়।“- বার্ট্রান্ড রাসেল

২১.”খুব কম বয়সেই বই পড়ার প্রতি আমার ঝোঁক তৈরি হয়। শিশু হিসেবে আমার বাবা–মাও বই কিনতে আমাকে ইচ্ছামতোই টাকা দিতেন। তাই আমি প্রচুর পড়তাম।”- বিল গেটস

২২.”রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে
প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে যাবে
বই, সেতো অনন্ত যৌবনা।“-ওমর খৈয়াম

২৩.”কথাটা এই নয় যে বই এর থেকে কি এমন পাবে যা তোমাকে সমৃদ্ধ করবে-কথাটা হল বই তোমার থেকে এমন কিছু পাবে যা তোমার জীবনকে বদলে দেবে।“- রবীন শর্মা

আরও পড়ুন : জীবন বদলে দেওয়ার মতো ৫-টি বই

২৪.”কোনো বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে অবহিত হতে চাইলে তা নিয়ে বই লেখা শুরু করাই ভালো।“-বেঞ্জামিন ডিজরেইলি

২৫.”একটি বই পড়ার দুটি উদ্দেশ্য থাকা উচিত একটি হল- বইটিকে উপভোগ করা অন্যটি হল- বইটি নিয়ে গর্ব করতে পারা।“- বার্ট্রান্ড রাসেল

২৬.”সেদেশ কখনো নিজেকে সভ্য বলে প্রতীয়মান করতে পারবে না যতক্ষণ না তার বেশিরভাগ অর্থ চুইংগামের পরিবর্তে বই কেনার জন্য ব্যয় হবে।” -ভলতেয়ার

২৭.”বই পড়াকে যথার্থ হিসেবে যে সঙ্গী করে নিতে পারে,তার জীবনের দুঃখ কষ্টের বোঝা অনেক কমে যায়।“-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২৮.”আমরা যখন বই সংগ্রহ করি, তখন আমরা আনন্দকেই সংগ্রহ করি।“- ভিনসেন্ট স্টারেট

২৯.”আমাদের আত্মার মাঝে যে জমাট বাধা সমুদ্র সেই সমুদ্রের বরফ ভাঙার কুঠার হলো বই।“- ফ্রান্ৎস কাফকা

৩০.”ভালো খাদ্য বস্তু পেট ভরে কিন্ত ভাল বই মানুষের আত্মাকে পরিতৃপ্ত করে।“-স্পিনোজা

৩১.”একটি ভালো বই হলো বর্তমান ও চিরকালের জন্য সবচেয়ে উৎকৃষ্ট বন্ধু।” -টুপার

৩২.”যদি আপনি এমন একটি বই পড়েন যা অন্যরা সবাই পড়ছে, তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন অন্য সবাই কি ভাবছে ।” — হারুকি মুরাকামি

৩৩.”কতকগুলো বই সৃষ্টি হয় আমাদের শিক্ষা দেবার জন্য নয়, বরং তাদের উদ্দেশ্য হলো আমাদের এই কথা জানানো যে, বইগুiলোর স্রষ্টারা কিছু জানতেন।“- গ্যেঁটে

৩৪.”যে বই পড়েনা,তার মধ্যে মর্যাদাবোধ জন্মেনা।“-পিয়ারসন স্মিথ

৩৫.”আইনের মৃত্যু আছে কিন্ত বইয়ের মৃত্যু নেই।” -এনড্রিউ ল্যাঙ

৩৬”বই হল বিশেষ দর্পন যাতে আমরা নিজেকে যেমন খুঁজে পাই, তেমনি আমাদের চারপাশে থাকা মানুষ ও পরিবেশকেও দেখতে পাই।“- কিশোর মজুমদার

৩৭.”বই হল মানুষের অনুভূতির ঘরে প্রবেশ করার অন্যতম চাবি।“- ফেরদৌসি মঞ্জিরা



৩৮.”বই উপহার দেওয়ার মাধ্যমে আমরা আসলে প্রিয়জনকে মানসিক উন্নয়নের রাস্তা দেখিয়ে দেই।“- ফেরদৌসি মঞ্জিরা

৩৯.”মন হল হাজার দুয়ারি ঘর। যারা বই পড়ে না তাদের কাছে সেই বেশীরভাগ ঘরগুলো অপ্রবিষ্টই থেকে যায়।“- কিশোর মজুমদার

৪০.” বিচক্ষণ পুরুষ মানুষের জীবন নিয়ন্ত্রণ করে দুটি বিষয় একটি হল বই অপরটি হল বউ।“-কিশোর মজুমদার



৪১.”যারা বইয়ের পাতা ভালো করে পড়তে পারে তারা মানুষের চোখের পাতাও পড়তে পারে।“-কিশোর মজুমদার।


 বই নিয়ে মজার কিছু তথ্য #*

১...হার্ভার্ড 
   বিশ্ববিদ্যালয়ের 
   লাইব্রেরীতে ৪ খানা 
   বই আছে যা মানুষের 
   চামড়া দিয়ে বাঁধাই 
   করা।

২.মাথা পিছু বই পাঠের 
   দিকে শীর্ষে হলো 
   আইসল্যান্ড।

৩.বই পড়া মানুষের 
   অ্যালজাইমার রোগে 
   আক্রান্ত হবার 
   সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত 
   কম।

৪.ব্রাজিলের কারাগারে 
   প্রতি একটি বই 
   পাঠের জন্য ৪ দিন 
   সাজা মওকুফ হয়।

৫.ভার্জিনিয়া উলফ 
   তাঁর সব বই দাঁড়িয়ে 
   লিখেছিলেন।

৬.সবচেয়ে চুরি হয় যে 
   বইটি সেটা হলো 
   বাইবেল।

৭.রুজভেল্ট প্রতিদিন 
   গড়ে ১ টি বই 
   পড়তেন।

৮.শুধুমাত্র দাবা খেলার 
   উপরই ২০০০০+ বই 
   আছে।

৯.ভিক্টর গুগোর লা 
   মিজারেবল বইয়ে 
   একটি বাক্য আছে 
   যেখানে ৮২৩টি শব্দ।

১০.হারি (Hurry), 
     এডিকশন 
     (Addiction) এসব 
     শব্দ শেক্সপিয়ারের      
     আবিস্কার।

১১.নিউইয়র্ক পাবলিক 
      লাইব্রেরীর সব বই 
      একসাথে লাইন 
      করে রাখলে ৮ 
      মাইল লম্বা হবে।

১২.লেভ তলস্টয়ের 
      বিশাল উপন্যাস 
      ওয়ার এন্ড পিসের 
      পান্ডুলিপি তাঁর স্ত্রী 
      হাতে লিখে ৭ বার 
      কপি করেছিলেন।

১৩.নোয়াহ ওয়েবস্টার 
      তাঁর প্রথম 
      ডিকশনারী লিখতে 
      সময় নিয়েছিলেন 
      মাত্র ৩৬ বছর।

১৪.আর 'বঙ্গীয় 
      শব্দকোষ' নামক 
      অভিধানটি তৈরি 
      করতে হরিচরণ 
      বন্দ্যোপাধ্যায়ের 
      কতদিন লেগেছিল? 
      প্রায় গোটা জীবন। 
      সেইসঙ্গে ছিল 
      প্রতিকূলতার 
      বিরুদ্ধে লড়াই।

*১৫. পৃথিবীতে* 
        *একটি মাত্রা বই* 
        *আছে যেটা* 
       *কোনো ভাষাতে* 
       *অনুবাদ করা* 
       *যায়নি বহু চেষ্টা* 
       *করেও, বইটির* 
       *নাম - সুকুমার* 
       *রায় এর "* 
       *আবোল*
       *তাবোল"*

১৬ . মহাভারত পৃথিবীর 
        মধ্যে এক মাত্রা বই 
        বা মহাকাব্য যার 
       মধ্যে ১২০০ শোর 
       বেশি চরিত্র আছে.

বই পড়া মানসিক প্রক্রিয়াকে সক্রিয় রাখে। বই পড়লে মস্তিষ্ক চিন্তা করার খোরাক পায়, সৃজনশীলতা বাড়ে এবং তথ্য ধরে রাখার ক্ষমতা সৃষ্টি হয়। বই পড়লে মানুষ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক মনস্ক হয়ে ওঠে। মানব জীবনে বইয়ের গুরুত্বের কথা স্মরণ করে টলস্টয় বলেছেন, ‘জীবনে মাত্র তিনটি জিনিসের প্রয়োজন বই, বই এবং বই। ’

জ্ঞানার্জনের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে বই। জীবনকে সফলতার আলোয় আলোকিত করার প্রধান উপায় হচ্ছে বই। বই পড়েই জ্ঞানার্জন করতে হবে। পৃথিবীতে যারা বড় হয়েছেন, জগদ্বিখ্যাত সফল মানুষ হয়েছেন, তারাই বেশি বেশি জ্ঞান অন্বেষণে সময় দিয়েছেন। পৃথিবীর যে কোনো বরেণ্য মনীষীদের জীবন ইতিহাস ঘাঁটলে এ কথার সত্যতা ধরা পড়ে। বই হচ্ছে শেখবার, জানবার ও জ্ঞানার্জনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। দেশ ও জাতি গঠনে বইয়ের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতির অগ্রগতি সম্ভব নয়। আর সহজ উপায়ে মানুষের মধ্যে শিক্ষা ও জ্ঞানের আলো ছড়াতে সমাজের জন্য বই অপরিহার্য। বইয়ের বিকল্প আর কিছুই হতে পারে না।

একজন মানুষ যে পেশায়ই দক্ষ হোক না কেন তার পেশাদারিত্বে উৎকর্ষতা অর্জনের জন্য বারবার বইয়ের কাছে ফিরে আসতে হয়। কারণ জ্ঞানের সূচনা সেখান থেকে এবং সে জ্ঞানকে সামগ্রিকভাবে কাজে লাগানোর দক্ষতা মানুষ বই পড়ে পেয়ে থাকে। মানুষের মননশীল, চিন্তাশীল, সৃষ্টিশীল চিন্তার যাবতীয় সূচনার বিস্ফোরণ একমাত্র বইয়ের মাধ্যমে হতে পারে। আর সেই বইয়ের বিপুল যোগান দিতে বইমেলার কোনো বিকল্প নেই।  মনকাড়া প্রচ্ছদ, রুচিশীল উপস্থাপনা আর বিষয় বৈচিত্র্যে অনন্য হয় প্রতিটি বইমেলা।দেশব্যাপী জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ অব্যাহত থাকে ।  বই হোক মানুষের নিত্যসাথী।

    অত‌এব আমাদের বই পড়তেই হবে, কেননা বই পড়া ছাড়া সাহিত্যচর্চার উপায়ান্তর নৈই। ধর্মের চর্চা চাইলে মন্দিরের বাইরেও করা চলে, দর্শনের চর্চা গুহায়, নীতির চর্চা ঘরে, এবং বিজ্ঞানের চর্চা জাদুঘরে; কিন্তু সাহিত্যের চর্চার জন্য চাই লাইব্রেরি। ও চর্চা মানুষে কারখানাতেও করতে পারে না, চিড়িয়াখানাতেও নয়।।
       এসব কথা যদি সত্য হয়, তাহলে আমাদের মানতেই হবে যে, লাইব্রেরির মধ্যেই আমাদের জাত মানুষ হওয়া যায়। সেইজন্য আমরা যত বেশি লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠা করব, দেশের তত বেশি উপকার হবে। এ দেশে লাইব্রেরির সার্থকতা হাসপাতালের চাইতে কিছু কম নয়।
আমরা মনে করি লাইব্রেরি মনের হাসপাতাল। মানুষ দুরারোগ্য ব্যাধি রোগ থেকে আরোগ্য লাভের জন্য যেমন হাসপাতলে যায়, তেমনি যথার্থ মনের খোরাক যোগাতে লাইব্রেরি একমাত্র অবলম্বন । মনের বিকাশ অসুস্থতা অসহায়তা নানান দিক থেকে অত্যন্ত সাহসী করে তুলতে পারে একটি ভালো বই। তাই পৃথিবীতে ভালো বইয়ের কদর সব সময়ে ।আগ্রহী পাঠক আজকের দিনে ধীরে ধীরে কমলেও বেশকিছু পাঠক আছেন যারা বইকে বন্ধুর মত মনে করেন। বই আর বন্ধু এক। তবে কিছু মানুষের কথায় বই এর চেয়ে বন্ধু বড় নয় বরং বন্ধুর চেয়ে বই অনেক বড়। বইয়ের মধ্যে কোন প্রত্যাশা প্রাপ্তি ইচ্ছে কামনা-বাসনা জৈবিক চাহিদা থাকে না কিন্তু বন্ধুর মধ্যে এসব গুণ গুলো অবশ্যই থাকে। যদি যথার্থ বন্ধু হয় প্রকৃত বন্ধু হয় ভালো বন্ধু হয় সে বন্ধু বইয়ের সমান বলে মনে হয়। তাই বই ও বন্ধু দুটোকে একসঙ্গে নিয়ে চলা বড়ই কঠিন। কিন্তু আমরা মনে করি আমাদের নিত্যসঙ্গী বই। যে বই আমাদের প্রতিদিনের জীবন চর্চার অঙ্গ।
∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆\\\\∆∆∆∆
দৈনিক শব্দের মেঠোপথ
Doinik sabder methopath
Vol -351. Dt -23.4.2021
৯ বৈশাখ,১৪২৮. শুক্রবার
================================

No comments: