২০২০ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের অন্যতম সংবাদমাধ্যম এথনোলগের হিসেব অনুসারে পৃথিবীর পঞ্চম ভাষা, বহুমাত্রিক দেশের মাতৃভাষা হিসেবে - বাংলা ভাষা. ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত এই ভাষা। পৃথিবীতে প্রচলিত ভাষা গুলির মধ্যে বাংলা ভাষায় প্রায় ৩০ কোটি মানুষ কথা বলেন. বর্তমানে ভারতের দ্বিতীয় জনবহুল ভাষা বাংলা ভাষা। ২০১১ সালের গণনা অনুসারে প্রধান ভাষা হিন্দি তারপরেই বাংলা ভাষা। ইংরেজি ভাষা সংবিধানের অষ্টম তপশিলি অন্তর্ভুক্ত ভাষা না হলেও বহু মানুষ এই ভাষায় কথা বলেন বিশেষ করে মহারাষ্ট্র তামিলনাড়ু কর্ণাটক প্রভৃতি রাজ্যে। ইংরেজি ভাষার মতো সংবিধানের অষ্টম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত নয় এমন ভাষা রাজস্থানের ভিল্লি বা ভিলোভি। এমনই ভাষা সংমিশ্রণে ভারত বর্ষ। তবে বাংলা ভাষা তার নিজস্ব অস্তিত্ব নিয়ে এখনো প্রচলিত। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রধান ভাষা জাতীয় ভাষা সরকারি ভাষা। ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ অসম বিহার প্রধান সহকারী ভাষায় বাংলা ভাষা ভারতবর্ষের সংবিধানে বাইশটি প্রধান ভাষার মধ্যে বাংলা ভাষার একটি অন্যতম ভাষা। এছাড়া ঝাড়খণ্ডের দ্বিতীয় সরকারি ভাষা পাকিস্তানের দ্বিতীয় সরকারি ভাষা লন্ডনের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভাষা বাংলা ভাষা আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের প্রধান সরকারি ভাষা বাংলা ভাষা। বহির্বিশ্বে ৩০ টি দেশের ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা পড়ানোর ব্যবস্থা আছে. চীনা ভাষায় রবীন্দ্রনাথের রচনাবলী ৩৩টি খন্ডে অনূদিত হয়েছে. লালন ফকিরের গান ইংরেজিও জাপানি ভাষায় অনূদিত হয়েছে. ভারত বর্ষ বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বাংলা ভাষায় রচিত হয়েছে।শ্রীলংকার জাতীয় সংগীত বাংলা জাতীয় সংগীত থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা হয়েছে। এই বাংলা ভাষা স্বীকৃতি পেয়েছে স্বামী বিবেকানন্দ রবীন্দ্রনাথের কাব্য কীর্তির মধ্য দিয়ে। সেই বাংলাভাষাভাষী মানুষেরা বাঙালি বলেই পরিচিত আমরা গর্বের বাঙালি জাতি। আমাদের বাঙালি কথনে স্বভাবে চরিত্রে রচনায় ভাষা ফুটে ওঠে।
ভাষা তো আর কিছুই নয় মনোভাব প্রকাশ এর ধারক ও বাহক। একটি বৃহত্তর জনগোষ্ঠী তার মনোভাব প্রকাশের জন্য অর্থবোধক যে শব্দসমষ্টি বহু জনবোধ্য হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন, তাই ভাষা। বিশেষ জনগোষ্ঠীর দ্বারা ব্যবহৃত এই ভাষা মাতৃভাষা নামে পরিচিত। বাঙ্গালীদের মাতৃভাষা বাংলা ভাষা। যে ভাষা নবম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে ইন্দো ইউরোপীয় ভাষা গোষ্ঠীর বংশধর কে স্থান পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ভারতীয় আর্য মধ্য ভারতীয় আর্য নব্য ভারতীয় আর্য স্তরভেদে মাগধী অপভ্রংশের পূর্বি রূপ থেকে উড়িয়া অসমীয়া সঙ্গে জন্ম হয়েছে। এই ভাষার আদি গ্রন্থ বৌদ্ধ সহজিয়া ধর্মতত্ত্বের সংকলিত সাধন সংগীত চর্যাপদ। প্রাচীন বাংলা ভাষার নিদর্শন। ক্রমপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে
মধ্য বাংলা আধুনিক বাংলা এসেছে। এখন সেই আধুনিক বাংলার রূপ চলছে। এমনই যে বাংলা ভাষা সেই ভাষা কে মাতৃভাষার স্বীকৃতি দান প্রধান ভাষা বা সরকারি ভাষা রূপে স্বীকৃতি দানের জন্য যে লড়াই সংগঠিত হয়ে এসেছে, ভাষা আন্দোলনের লড়াই নামে পরিচিত। বাংলা ভাষার লড়াই আমরা প্রত্যক্ষ করি। ভাষা আন্দোলনের এইসব ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ নিয়ে যে আলোচনা ভাষাবিজ্ঞান এর অন্তর্গত।
Linguistics is the scientific study of language. It encompasses the analysis of every aspect of language, as well as the methods for studying and modeling them. The traditional areas of linguistic analysis include phonetics, phonology, morphology, syntax, semantics, and pragmatics.
ভাষাবিজ্ঞান বলতে একটি সংশ্রয় হিসেবে ভাষার প্রকৃতি, গঠন, ঔপাদানিক একক ও এর যেকোনো ধরনের পরিবর্তন নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে বোঝায়। যারা এ বিষয়ে গবেষণা করেন তাদেরকে ভাষাবিজ্ঞানী বলা হয়।।
ভাষা আন্দোলনের যত লড়াই হয়েছে তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য লড়াই ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রাজপথে। সে লড়াই এর সূচনা হয়েছিল ১৯৪৮ সালে। যখন পাকিস্তান ৫৬ % মানুষ বাংলাতে কথা বললেও উর্দুকে প্রধান ভাষা সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। অনেক ইতিহাসের মধ্য দিয়ে এই ভাষা আন্দোলন এগিয়ে চলে। ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ন'টায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জড়ো হয়। ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে তারা স্লোগান মিটিং মিছিল করতে থাকেন পুলিশ অস্ত্র হাতে সভাস্থলের চারিদিকে ঘিরে রাখে। অবশেষে বেলা দুটোর সময় নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয় আইন পরিষদের সদস্যরা আইন সভায় যোগ দিতে এলে ছাত্ররা তাদের বাধা দেয়। বেলা তিনটার দিকে পুলিশ দৌড়ে এসে ছাত্রদের গুলি বর্ষণ করেন। প্রকাশ্য ঢাকার রাজপথে আব্দুল জব্বার রফিক উদ্দিন নিহত হন এবং পাশাপাশি আরো অনেকে রক্তে রাঙ্গা ঢাকার রাজপথ।
"আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি।"
এই মর্মস্পর্শী গান পরে লেখা হয়েছে যখন ১৯৯৯ সালে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছেন।
ভাষা আন্দোলনের এমনই মর্মস্পর্শী ইতিহাসের আরেকটি অধ্যায় ১৯৬১ সালের ১৯ মে। আসামের বরাক উপত্যকায়। আসাম সরকার অসমীয়া ভাষাকে রাজ্যের একমাত্র সরকারি ভাষা করার প্রতিবাদে এই আন্দোলন গড়ে ওঠে। কারণ ওই অঞ্চলে প্রচলিত বাংলা ভাষা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। ঘটনার বিবরণ যেমন ছিল -
১৯৬০ সালের এপ্রিলে আসাম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিতে অসমীয়া ভাষাক প্রদেশের একমাত্র সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা করার একটি প্রস্তাব
সূচিত হয়। এর ফলে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে একটা উত্তেজনা বাড়তে থাকে। অসমীয়া উত্তেজিত জনতা বাঙালি অভিবাসীদের আক্রমণ করে। জুলাইয়ে সেপ্টেম্বরে এই উত্তেজনা আরো বাড়তে থাকে। প্রায় ৫০০০০ বাঙালি হিন্দু ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে আসেন। এছাড়া আরো বহু মানুষ বরাক উপত্যকা ও উত্তর-পূর্বের অন্যান্য অঞ্চলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। উত্তেজনা আরো বাড়তে থাকে কামরুপ জেলার গৌড়েশ্বর অঞ্চলের ১৫টি গ্রামের কুড়ে ঘর বাড়ি ধ্বংস করে আক্রমণ করা হয় এমনকি বাঙ্গালীদের হত্যা করা হয় শতাধিক মানুষ উত্তেজনায় আহত হন। ১০ অক্টোবর অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিমল প্রসাদ চলিহা অসমীয়া কে আসামের একমাত্র সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব উত্থাপন করেন।উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক রনেন্দ্র মোহনদাস এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু ২৪ অক্টোবর বিধানসভায় প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।
১৯৬১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বরাক উপত্যকা বাঙ্গালীদের উপর অসমীয়া ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী বাঙালিরা গর্জে ওঠেন কাছাড় গণসংগ্রাম পরিষদ নামে একটি সংগঠন তৈরি হয় যারা শিলচর করিমগঞ্জ হাইলাকান্দি বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের একত্রিত করেন। এবং একটি সংকল্প দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেন। ২৪ শে এপ্রিল সেই পক্ষে একটি দীর্ঘ পদযাত্রা শুরু হয়েছিল। ২ রা মে সেই দীর্ঘ পদযাত্রা শেষ অংশ সত্যাগ্রহী মনোভাব নিয়ে ২০০ মাইল হেঁটে গ্রামে গ্রামে ঘুরে প্রচার চালিয়ে ছিলেন. নেতৃত্ব দিয়েছিলেন পরিষদের মুখ্য আধিকারিক রথিন্দ্রনাথ সেন। তিনি ঘোষণা করেছিলেন , বাংলা ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণার না করলে ১৯ মে তারা ব্যাপক হরতাল করবেন ও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে এগোবেন। ১২ মে অসম রাইফেল মাদ্রাজ রেজিমেন্ট ও কেন্দ্রীয় সংরক্ষিত পুলিশ বাহিনী শিলচরে ফ্ল্যাগ মার্চ করেছিল। ১৮ মে অসম পুলিশ বাহিনী এই বৃহত্তর আন্দোলনের তিন প্রধান নেতা নলিনীকান্ত দাস রথীন্দ্রনাথ সেন ও বিধুভূষণ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেন। উত্তেজনা আরো বাড়তে থাকে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের আ তাদের মাতৃভাষাকে সরকারি স্বীকৃতি দানের আশা নিয়ে লড়াইতে সবাই নেমে পড়েন। অবশেষে এলো সেই দিন -১৯ মে ভাষা আন্দোলনের সত্যাগ্রহী দের ওপর লাঠিচার্জ করতে লাগল অসম পুলিশ বাহিনী। শিলচর করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দিতে বিপুল হরতাল ও পিকেটিং শুরু হল করিমগঞ্জ আন্দোলনকারীরা সরকারি কার্যালয় রেলওয়ে স্টেশন কোড ইত্যাদিতে পিকেটিং করতে লাগলেন। শিলচরে তারা রেলওয়ে স্টেশনের সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু করেন বিকেল চারটার সময় ট্রেনে করে তারা হরতাল শেষ করার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু ভোরের ট্রেন টিকিট বিক্রি না হওয়ায় সকালে হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে অতিবাহিত হয় বিকেলে স্টেশনে অসম রাইফেল শেষ উপস্থিত হয় নজম সত্যাগ্রহী থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এর একটি ট্রাক তারাপুর স্টেশনের কাছ থেকে পার হয়ে যাচ্ছিল পিকেটিংকালে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যেতে দেখে তীব্র প্রতিবাদ করেন ভয় পেয়ে ট্রাকচালকসহ পুলিশ রা বন্দীদের নিয়ে পালিয়ে যায় এরপর কোন অশনাক্ত লোক প্রার্থী জ্বালিয়ে দেয় যদিও দমকল বাহিনী এসে তৎপরতায় সাথে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে তারপর স্টেশনের সুরক্ষায় থাকা প্যারামিলিটারি বাহিনী আন্দোলনকারীদেরকে বন্ধুগো লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করে ৭মিনিটের ভেতর তারা ১৭রাউন্ড গুলি ছোড়েন ১১জন লোকের দেহে গুলি লেগেছিল তাদের মধ্যে ৯জন সেদিন নিহত হয়েছিল ২জন পড়ে মারা যায়. যারা শহীদ হয়েছিলেন -
কানাইলাল নিয়োগী
চণ্ডীচরণ সূত্রধর
হীতেশ বিশ্বাস
সত্যেন্দ্র কুমার দেব
কুমুদ রঞ্জন দাস
সুনীল সরকার
তরণী দেবনাথ
শচীন্দ্র চন্দ্র পাল
বীরেন্দ্র সূত্রধর
সুকোমল পুরকায়স্থ এবং
কমলা ভট্টাচার্য।
এমনি মর্মান্তিক ঘটনার পর অসম সরকার বরাক উপত্যকায় বাংলাকে সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা করতে বাধ্য হন। প্রতিবছর ১৯ মে বাংলা ভাষা শহীদ দিবস হিসেবে শুধু বরাক উপত্যকায় নয় ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে দিনটি পালন করা হয়। সরকার কর্তৃক শিলচর রেলওয়ে স্টেশন কে ভাষা শহীদ স্টেশন নামকরণ করা হয়। এবং ভাষা শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে। এইভাবে একটি ভাষা আন্দোলন মাতৃভাষাকে স্বীকৃতিদানের অভিপ্রায় রক্তে রাঙ্গা। সেই আন্দোলনের ৬০ তম বর্ষ চলছে তথা হীরক জয়ন্তী বর্ষ। বাংলা ভাষা আন্দোলনের এমনি দিনে বাঙালি হিসেবে শহীদদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই। আন্দোলনের সূত্র ধরে আরো যে কথা বলা যায় -
১৯৭২ সালে ১৭ আগস্ট ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় বাংলা ভাষার জন্য শহীদ হয়েছিলেন -
বিজন চক্রবর্তী
ও ডা. মনীষী দাস
এছাড়া ও ১৯ মে ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে লড়াই করে দীর্ঘ ২৪ বছর শারীরিক যন্ত্রণা সয়ে ১৯৮৫ সালে শহীদ হলেন
কৃষ্ণকান্ত বিশ্বাস.
১৯৮৬ সালের ২১ শে জুলাই ভাষা আন্দোলনের আরো দুই জন শহীদ হলেন -
জগন্ময় দেব ও
দিব্যেন্দু দাস।
সকলের প্রতি রইল বাংলা ভাষাভাষী মানুষের অকৃত্রিম শ্রদ্ধা।
একটু ফিরে দেখার পালা, ভাষা আন্দোলনের এই দীর্ঘ লড়াই বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মাতৃভাষাকে স্বীকৃতিদানের যে ইতিহাস রচনা করে সেখানে কি আমরা আজ তেমনই মাতৃভাষাকে যোগ্য সম্মান স্বীকৃতি দিতে পেরেছি। প্রশ্নটা একে অপরের মধ্যে সঞ্চারিত হলে লজ্জা লাগে। তথ্য নিলে জানা যাবে শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের মুখে মুখে আদি বাংলা ভাষা টিকে আছে অন্যথা বাঙ্গালীদের কথায় চলনে স্বভাব-চরিত্রে লেখায় বাংলা ভাষা আজ বিকৃত হচ্ছে বাংলা ভাষার বড়দের দিন আজ উপস্থিত হয়েছে আমাদের সামনে আমরা বাঙালিরা এ বিষয়ে সচেতন না হলে আগামী দিনে বাংলা ভাষার স্বীকৃতি সম্মান হারিয়ে ফেলবো বলে বিশ্বাস রাখি।
তাই আসুন, মাতৃ ভাষা আন্দোলনের হীরক জয়ন্তী বর্ষ আমরা শপথ নিই -
"বঙ্গ আমার জননী আমার
ধাত্রী আমার, আমার দেশ
কেন গো মা তোর শুষ্ক নয়ন?
কেন গো মা তোর রুক্ষ কেশ?
কেন গো মা তোর ধূলায় আসন?
কেন গো মা তোর মলিন বেশ?
.
শত কোটি সন্তান যার
ডাকে উপচে আমার দেশ।
কিসের দুঃখ, কিসের দৈন্য,
কিসের লজ্জা, কিসের ক্লেশ?
শত কোটি মিলিত কন্ঠে
ডাকে যখন আমার দেশ।।"
( দ্বিজেন্দ্রলাল রায়)
অথবা
"আ মরি বাংলা ভাষা
মোদের গরব মোদের আশা."
(রজনীকান্ত সেন)।
∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆
No comments:
Post a Comment