Thursday, 20 January 2022

জন্মদিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য। কুমারেশ ঘোষ। ২১.০১.২২. Vol -623. The blogger in literature e-magazine

কুমারেশ ঘোষ

যশোরের মথুরাপুরে ১৯১৩ সালের ২১-এ জানুয়ারি কুমারেশ ঘোষের জন্ম। ১৯৩৬ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট হন। তাঁর একক সম্পাদনায় দীর্ঘ তেতাল্লিশ বছর প্রায়-নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছিল রসসাহিত্য পত্রিকা ‘যষ্টিমধু’। এছাড়াও তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে ‘ত্রিপর্ণা’, ‘উত্তর-ভারতী’ ও ‘সম্মার্জনী’ পত্রিকাত্রয়।

 রচনা কর্ম :

 ‘নীল ঢেউ সাদা ফেনা’, 
‘বিনোদিনী বোর্ডিং হাউস’,
 ‘অবনী সরকারের বউ এবং’, 
‘পণ্যা’, 
‘স্বামী পালন পদ্ধতি’,
 ‘এক বর অনেক কনে’, ‘
সরস রুশ গল্প’, 
‘যদি গদি পাই’, 
‘হরেকরকম্বা’, 
‘রঙ্গপ্রিয় শ্রীচৈতন্য’, ‘
সবুজ রাশিয়ায়’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

নাটক
 ‘চারণকবি মুকুন্দ দাস’ 

আত্মজীবনী
 ‘সেই আমি’
অনুবাদ
  সংস্কৃত থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন মনুসংহিতা।
 সম্পাদনা
একাধিক গ্রন্থ।

 ব্যক্তিজীবনে ভ্রমণপ্রিয় কুমারেশ রাশিয়া, জাপান এবং মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের নানা দেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন।

পত্রিকা সম্পাদনা
 ‘ত্রিপর্ণা’, ‘উত্তর ভারতী’, ‘সম্মার্জনী’। 
 ছদ্মনামে
 কুশ, এডি, কুমারস্বামী, শ্রীচোখাচোখ, অষ্ট-চক্র।

পুরস্কার
 ‘সরস রুশ গল্প’ বইটির জন্য ১৯৮৫ সালে তিনি সোভিয়েত ল্যান্ড নেহরু পুরস্কার পান ও 
১৯৯০ সালে শিশু সাহিত্যে ভারতীয় জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন ‘হরেকরকম্বা’ বইটির জন্য। 

মৃত্যু
 সুকুমার গদ্য আর নির্মল হাস্যরসের এই কৃতী স্রষ্টা ১৯৯৫ সালের ৩০-এ এপ্রিল প্রয়াত হন।

ষষ্টিমধু সাহিত্য পত্রিকা :

যষ্টি-মধু’র মলাটে বাঁদিকে এক সার লাঠি, ডানদিকের নিচে এক সার তরল বিন্দু— যার নামে ‘যষ্টি’ এবং ‘মধু’। ‘যষ্টি-মধু’ শিরোনাম ডানদিকের মাথায়। মলাট করেছিলেন রঘুনাথ গোস্বামী। তিনি কার্টুন আঁকতেন। শুরু এপ্রিল ১৯৫১। সম্পাদক কুমারেশ ঘোষ। প্রকাশকও তিনি।

প্রথম সংখ্যার সম্পাদকীয়র কিছুটা অংশ—

‘জানিতাম, ঔষধ হিসেবে ‘যষ্টি-মধু’ উপকারী। আরো জানিতাম, বার্ধক্যের সহায় যষ্টি এবং যৌবনের অপরিহার্য মধু। কিন্তু যষ্টি ও মধু একত্রে যে মহোপকারী তাহা তো জানিতাম না। আজ জানিয়াছি।

তাই বলিতেছিলাম, শুধু যষ্টি বা শুধু মধুর দিন নাই। এ যুগ যষ্টি-মধুর যুগ। নরম গরমের যুগ। অতি বড় হইতে যাইও না, ঝড়ে ভাঙিয়া যাইবে; আবার অতি ছোটো হওয়াও ভালো নহে, ছাগলে মুড়িয়া খাইবে।

তাই এক হাতে যষ্টি আর এক হাতে মধু লইয়া আমাদের এই অভিযান।

নববর্ষে আমাদের যাত্রা হলো শুরু।

বৈশাখ ১৩৫৯

পত্রিকার ঠিকানা ৪৫এ, গড়পার রোড, কলকাতা ৯।

আবির্ভাব প্রতি মাসে। দাম ১০ পয়সা। পৃষ্ঠাসংখ্যা ২৪, ডবল ডিমাই। বার্ষিক চাঁদা ১ টাকা ৭৫ পয়সা। ‘যষ্টি-মধু’তে কার্টুন আঁকতেন ওমিও ঘোষ, শতদল, চণ্ডী লাহিড়ী, সুফি, কাজি, সুদর্শন চক্রবর্তী, সানিয়েৎ, হীরেন চৌধুরী, অমিয়ভূষণ গুপ্ত, অসীমানন্দ মুখোপাধ্যায়।
কার্টুন বিষয়ে ‘যষ্টি-মধু’র পাঁচটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল : কার্টুন সংখ্যা, সেকালের কার্টুন সংখ্যা, একালের কার্টুন সংখ্যা, ব্যঙ্গপত্রিকা পরিচিতি সংখ্যা, কাফী খাঁ স্মৃতিতর্পণ সংখ্যা।

প্রথমে মাসিক, পরে ত্রৈমাসিক এই পত্রিকাটি ১৯৫১ থেকে ১৯৯৫, অর্থাৎ ৪৪ বছর ধরে নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছে। সম্পাদকের মৃত্যুতে পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায়।

সূত্র : কমলকুমার দত্ত, ‘যষ্টি-মধু : একটি বিরল বৈশিষ্ট্যের ব্যঙ্গ পত্রিকা’, কোরক, বিলুপ্ত সাহিত্যপত্র সংখ্যা, মে-অগাস্ট ২০০৬।
=================================

No comments:

শুভ জন্মদিন শ্রদ্ধাঞ্জলি। অশোকবিজয় রাহা । একজন ভারতীয় বাঙালি কবি, প্রাবন্ধিক এবং সমালোচক। তিনি রবীন্দ্র অধ্যাপক হিসেবে দীর্ঘদিন বিশ্বভারতীতে দায়িত্ব পালন করেন। Dt -14.11.2024. Vol -1052. Thrusday. The blogger post in literary e magazine.

অশোকবিজয় রাহা  (১৪ নভেম্বর ১৯১০ – ১৯ অক্টোবর ১৯৯০)  সময়টা ছিল আঠারোশো উননব্বইয়ের অক্টোবর। গঁগ্যার সাথে বন্ধুত্বে তখন কেবল চাপ চাপ শূন্যতা আ...