(৩১ জুলাই, ১৮৯১ - ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৫)
একজন ভারতীয় বাঙালি চিত্রশিল্পী। শিল্পাচার্য অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রিয় শিষ্যদের অন্যতম ছিলেন। তাঁর শিল্পীস্বত্বায় ছিল খাঁটি ভারতীয়ত্বের বৈষ্ণবীয় প্রভাব.
জন্ম ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দের ৩১ শে জুলাই (১২৯৮ সালের ১৫ শ্রাবণ বঙ্গাব্দে) পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার জগতাই গ্রামে। অতি অল্প বয়সে তিনি মাতৃহারা হন। পিতা কেদারনাথ মজুমদার ছিলেন গ্রামের সহজ সরল মনের মানুষ, পেশায় সাব-রেজিস্ট্রার। কিন্তু বাড়িতে ছিল বৈষ্ণবীয় পরিবেশ। কীর্তনের আসরও বসত নিয়মিত । নিজে আগ্রহী ছিলেন সঙ্গীত ও নাটকে। পড়াশোনার সাথে নিজের তৈরি যাত্রাদলে ছোটবেলা থেকেই অংশগ্রহণ করতে দিতেন ক্ষিতিন্দ্রনাথকে। নিমতিতা মাইনর স্কুল থেকে পাশ করে তিনি দু’বছর পড়াশোনা করেন পাকুড় স্কুলে। তার শৈল্পিক গুণে মুগ্ধ হন স্থানীয় নিমতিতা গ্রামের জমিদার ‘নাট্যশিল্প ও সংস্কৃতি জগতের গুণগ্রাহী’ মহেন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী। তার আগ্রহে ও আনুকূল্যে ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার আর্ট স্কুলে (বর্তমানে গভর্মেন্ট আর্ট কলেজ) ভর্তি হন। এবং ২০ টাকার মাসিক বৃত্তি লাভ করেন। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে শিল্পাচার্য অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংস্পর্শে আসেন। নবগঠিত ইন্ডিয়ান সোসাইটি অব ওরিয়েন্টাল আর্টের সাথে যুক্ত হন।
১৯১২ খ্রিস্টাব্দে নন্দলাল বসুর সাথে শিক্ষকতার দায়িত্ব গ্রহণ করেন ইন্ডিয়ান স্কুল অব ওরিয়েন্টাল আর্টে। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা অধ্যাপনার কাজে যোগ দেন এবং ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে অবসর গ্রহণ করেন। কিন্তু তার শিল্পকর্ম থেমে থাকেনি। তার অঙ্কিত রাধাকৃষ্ণের দেহ শীর্ণ এবং আভঙ্গ, ত্রিভঙ্গ ও বহু ভঙ্গ ঢঙের। তিনি বাল্যকাল পিতার যাত্রাদলের পৌরাণিক কাহিনীর বিষয়বস্তু গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিল মনে, যার প্রতিফলন লক্ষ্য করা গেছে শিল্পকর্মে। বিশেষকরে বৈষ্ণবীয় বিষয়বস্তু তার অঙ্কন প্রেরণার প্রধানতম উৎস। সেই সাথে সূক্ষ্ম রূপরেখা, বিশিষ্ট অলংকরণ এবং উচ্চতর বিন্যাসযুক্ত অঙ্গভঙ্গি ও অভিব্যক্তি ছিল যেমন তার শিল্পকর্মের নিজস্বতা, তেমনি নান্দনিক আনন্দদানে ছিল সর্বজনীন আবেদন । শ্রীচৈতন্যের বৈষ্ণবধর্মের পাশাপাশি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুনজাগরণবাদী আন্দোলনে বহুলাংশে প্রভাবিত হয়েছিলেন। তার এক শিষ্য বলেছেন-
বৈষ্ণবকাব্যে যেমন বিদ্যাপতি ও চণ্ডীদাস, বৈষ্ণবীয় চিত্রমালায় তেমনি ক্ষিতীন্দ্রনাথ। ..... তার ছবি গুলিতে সম্মিলিত হয়েছে বিশ্বাস ও প্রয়োগের বিরল গুণ।"
শিল্পাচার্য তার প্রিয় দুই শিষ্য সম্পর্কে বলেছেন -
"আমার দুটি হাতের একটি নন্দলাল, অপরটি ক্ষিতীন্দ্রনাথ। নন্দলাল শিবসিদ্ধ, আমি মোগল বিষয়ে সিদ্ধ, আর ক্ষিতীন চৈতন্যসিদ্ধ। সূক্ষ্ম রেখারচনা ও সুমধুর বর্ণ বিন্যাসে ক্ষিতীন আমাকে পরাস্ত করেছে।"
১৯২৪ খ্রিস্টাব্দ হতে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন স্থানে তার অঙ্কিত চিত্রের প্রদর্শনী শুরু হয় এবং সুনাম অর্জন করেন। তার কাজে মুগ্ধ হয়েছেন বিলেতের রয়াল আর্ট কলেজের অধ্যক্ষ উইলিয়াম রোথেনস্টাইন, মুসোলিনি কন্যা জাপানের প্রখ্যাত চিত্রসমালোচক ওকাকুরা, আর আমাদের প্রিয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও। কাশীতে, কলকাতায় তার চিত্র প্রদর্শনী রসিক সমাজে সমাদৃত হয়েছে। দেশের দিল্লিতে ন্যাশনাল থিয়েটার অব আর্ট গ্যালারি সহ বিভিন্ন স্থানে বিদেশের বহু জায়গায় তার অঙ্কিত চিত্র সংরক্ষিত আছে। উল্লেখযোগ্য ছবির কয়েকটি হল - 'নৃত্যরত চৈতন্য','রামলীলা', 'রাধিকা', 'দি মুন', 'কচ ও দেবযানী' ইত্যাদি।
ক্ষিতীন্দ্রনাথ মজুমদারের সংবেদনশীলতা সর্বত্রই ছিল যাজকীয়, নগরবাসী হয়ে ওঠেনি যদিও তিনি তাঁর জীবনের বেশিরভাগ সময় শহরে বাস করেছিলেন। তিনি 18 বছর কলকাতার সোসাইটি অফ ওরিয়েন্টাল আর্ট-এ স্কুলের শিল্প শিক্ষক এবং অধ্যক্ষ ছিলেন এবং তারপর 1942 সালে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে যান (শিল্প বিভাগের অধ্যক্ষ হিসাবে), যেখানে তিনি 1964 সালে অবসর নেওয়া পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন। 9 ফেব্রুয়ারী, 1975 খ্রিস্টাব্দে, তাঁর দুই পুত্র রথীন্দ্রনাথ মজুমদার ( রথীন্দ্রনাথ মজুমদার ), মাধবেন্দু মজুমদার ( মাধবেন্দু মজুমদার ) এবং এক কন্যাকে রেখে পরলোগমন করেন।
ক্ষিতীন্দ্রনাথ ছিলেন শান্ত, ধর্মপ্রাণ মেজাজের এবং বৈষ্ণব বিদ্যা, কবিতা ও গানে মগ্ন ছিলেন। রাধা-কৃষ্ণ থিমের রেন্ডারিংয়ে মজুমদার কামোত্তেজকতাকে এড়িয়ে গিয়ে চৈতন্য, বৈষ্ণবী সাধকের জীবনের পর্বগুলিতে আরও মনোনিবেশ করেছিলেন। তাঁর রচনায় একটি আদর্শ সরলতা ছিল। মূর্তিগুলি দীর্ঘ প্রবাহিত পোশাকে আঁকা হয় যা তাদের ভাঁজে একটি ধীর ছন্দ বিকাশ করে এবং সীমানায় একটি বৃহত্তর কিন্তু এখনও বিচক্ষণতার সাথে আলংকারিক ছন্দময় ত্বরণের সাথে পড়ে। চিত্রগুলি সরু এবং দীর্ঘায়িত এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং অঙ্গভঙ্গিগুলি পুনরুজ্জীবনবাদী চিত্রগুলির তুলনায় কম অনুপস্থিত।
Exhibitions
A solo exhibition of Majumdar’s work was organized by J. Cousins in 1928 at the Athene Gallery in Geneva, Switzerland. His works have also been featured in several group exhibitions, including three retrospectives held in Varanasi in 1964 and 1949, and in Kolkata in 1963; a traveling exhibition in the United States, organized by the American Federation of Art, in 1924; and the 22nd Exhibition of the Societe des Peintres Orientalistes Francais, Paris, which then travelled to England, Belgium and the Netherlands.
1908 AD Inaugural Exhibition Indian Society of Oriental Art, Calcutta (Also in 1910, 12).
1909 AD Indian Society of Oriental Art Exhibition Simla
1911 AD Indian Society of Oriental Art, United Provincess Exhibition Allahabad
1914 AD 22nd Exhibition of Societe des Peintres Orientalistes Fran?oise, Grand Palais, Paris.
Exhibited at Festival of Empire, Crystal Palace, Organised by Indian Society of Oriental Art, for King George V Coronation, England.
Travelling Exhibition to Belgium, Holland.
Travelling Exhibition in USA, Organised by American Federation of Art.
1915-16 AD Indian Society of Oriental Art Exhibition Calcutta & Young Men's Indian Association, Madras.
1928 AD Exhibition organised by J.Cousins, Athene Gallery, Geneva, Switzerland.
1949 AD Retrospective, Varanasi (Also in 1964).
1963 AD Retrospective, Calcutta.
2003 AD Manifestations, organised by Delhi Art Gallery, World Trade Center, Mumbai and Delhi Art Gallery, New Delhi.
2004 AD Manifestations II, organised by Delhi Art Gallery, Jeha।
Collections
Indian Museum, Kolkata.
Allahabad Museum, Allahabad.
Benaras Hindu University, Varanasi.
National Gallery of Modern Art, New Delhi.
Lalit Kala Akademi, New Delhi.
Lalit Kala Akademi, Luchnow.
Allahabad Museum, Allahabad.
Victoria and Albert Museum, London.
Ronaldshay, London.
Jane and Kito de Boer, Dubai.
Delhi Art Gallery, New Delhi.
Awards
1905 AD Awarded a monthly scholarship of Rs.20 in the first year of college, Govt. School of Art, Calcutta.
1963 AD Felicitated with Merit Award, Bengal Congress Committee, Calcutta. Awarded honorary D. Litt, Rabindra Bharati University, Calcutta.
=========∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆====∆∆===