জন্ম বর্তমানের বাংলাদেশের বরিশালের ফুল্লশ্রী গ্রামে। পিতা মহেশচন্দ্র দাশগুপ্ত ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ও নাট্যকার। কুচবিহার কলেজ থেকে বি.এ. পাশের পর আইন পড়তে থাকেন, কিন্তু শেষ না করেই তৎকালীন জাতীয় দৈনিক 'নবশক্তি' পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগে যোগ দেন। তারপর একই সঙ্গে 'দেবালয়' প্রতিষ্ঠানের ও 'দেবালয়' মাসিক পত্রের সম্পাদকের কাজ করেন। কিছুকাল 'বিশ্বকোষ' এর লেখকগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত এবং Society for the Resuscitation of Oriental Literature (প্রাচ্য সাহিত্যের পুনরুত্থনের জন্য সমিতি)), হিন্দুস্থান বিমা কোম্পানি ও ইণ্ডিয়ান পাবলিশিং হাউসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। এক সময় 'বার্ষিক শিশুসাথী' সম্পাদনার ভার তার উপর ন্যস্ত ছিল। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসের সুপারিনটেন্ডন্ট হিসাবেও কাজ করেছেন। পরে ইউনিভার্সিটির অফিস সুপারিনটেন্ডন্ট ও কয়েকবার সাময়িক ভাবে সহকারী রেজিস্ট্রারের কাজ করে অবসর নেন। সাহিত্যক্ষেত্রে শিশু সাহিত্য রচনার জন্য প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। মিল্টনের কবিতা Lycidas অনুবাদ করেছেন তিনি।
প্রকাশিত গ্রন্থ সমূহ
শিশুসাহিত্য -
১) 'সাবিত্রী'
২) 'তাই তাই'
৩) 'ফুলঝুরি'
৪) 'চরকাবুড়ী'
৫) 'তেপান্তরের মাঠ'
৬) 'তে-রাত্তিরের তাইরে নাইরে না'
৭) 'এ বেলা ওবেলার গল্প'
৮) 'য়্যাং-ব্যাং'
৯) 'ঝলমল'
কাব্যগ্রন্থগুলি-
১) 'আমার দেশ'
২) 'পূজা'
পাঠ্যপুস্তক ‐
১) 'ইতিহাসের পড়া'
২) 'ভূ-পরিচয়'
অন্যান্য গ্রন্থ-
১) 'মালঞ্চের ফুল'
২) 'বিষের হাওয়া'
৩) 'হিমালয়ের হিমতীর্থে'।
কার্তিকচন্দ্র দাশগুপ্ত ৮১ বৎসর বয়সে ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দের ২৭ শে ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
==================================
No comments:
Post a Comment