Friday, 13 September 2024

শুভ জন্মদিন শ্রদ্ধাঞ্জলি। সুবোধ ঘোষ । একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক ও বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক। ত্রিশ দশকের শেষে আনন্দবাজার পত্রিকার রবিবাসরীয় বিভাগে সহকারী। ক্রমে সিনিয়ার এসিস্ট্যান্ট এডিটর, অন্যতম সম্পাদকীয় লেখক. Dt - 14.09.2024. Vol - 998. Saturday. The blogger post in literary e magazine.




সুবোধ ঘোষ
 
(১৪ সেপ্টেম্বর ১৯০৯ - ১০ মার্চ ১৯৮০)

একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক ও বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক. 

দিনটা ছিল ৮ মার্চ, ১৯৮০। এক মাস ধরে ব্রঙ্কাইটিস ও হাঁপানির সাঁড়াশি আক্রমণে কাবু হয়ে ঘরবন্দিই ছিলেন তিনি। তবে তার মধ্যেই টুকটাক লেখাপড়া চলছিল। ওই দিনটিতে গুছিয়ে বসে দু’টি সম্পাদকীয় নিবন্ধ লিখে পাঠিয়ে দেন আনন্দবাজার পত্রিকার দফতরে। অনেক দিন পরে বাড়ির লোকদের সঙ্গে গল্পগাছাও করেন। কিন্তু রাতে দেখা দেয় আর এক বিপত্তি। পাতিপুকুরে তাঁর বাড়ির কাছেই তারস্বরে মাইক বাজিয়ে চলছিল ফাংশন। সারা রাত ঘুমোতে পারেননি তিনি। বাড়ির লোককেও কিছু বলেননি।


রাত তখন প্রায় তিনটে। হঠাৎ তাঁর ঘর থেকে আওয়াজ শুনে ছুটে আসেন স্ত্রী মুকুলরানি দেবী। এসে দেখেন, হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে স্বামীর। বাড়িসুদ্ধু লোক উঠে পড়ে। খবর পেয়ে ছুটে এলেন ডাক্তার। কিন্তু অনেক চেষ্টাতেও আর বাঁচানো যায়নি সুবোধ ঘোষকে।

সুবোধ ঘোষের মেজ ছেলে সত্যম ঘোষ এখনও ভুলতে পারেননি সেই রাতের কথা। বলছিলেন, ‘‘আমাদের পাড়ার একটা ক্লাবেই অনুষ্ঠান হচ্ছিল। বাবা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। গভীর রাতে হঠাৎ বাজনা শুরু হয়। বাবা এমনিতেই জোরে শব্দ সহ্য করতে পারতেন না। তার পরেই ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়।’’ এত বছর কেটে গিয়েছে। ‘‘এই নিয়ে আজও অভিমান রয়েছে আমাদের,’’ বলেন সত্যম।



সুবোধ ঘোষের মৃত্যুর পরে স্মৃতিচারণায় আশাপূর্ণা দেবী লিখেছিলেন, ‘তিনি এলেন, দিলেন, জয় করলেন।’ বাস্তবিকই প্রথম গল্প এবং উপন্যাসে চমকে দিয়েছিলেন সুবোধবাবু। অথচ সাহিত্যে তিনি হাত দিয়েছিলেন কিছুটা দায়ে পড়ে, আড্ডার সঙ্গীদের চাপে। 

আড্ডাটি ছিল ‘অনামী সঙ্ঘ’র। সেখানে যে লেখকেরা যেতেন, তাঁদের অনেকেই তখন সুবোধের বন্ধু। সেই সূত্রে তিনিও ছিলেন মজলিশি আড্ডাটির নিয়মিত সদস্য। তবে নিজে কিছু পড়ে শোনাতেন না। অন্যদের লেখা শুনতেন, তার পরে পেটপুজো করে চলে আসতেন। এই চুপটি করে বসে থাকায় বাদ সাধেন আড্ডার সদস্য স্বর্ণকমল ভট্টাচার্য। পরে আত্মজীবনীতে সুবোধ লিখেছেন, ‘...স্বর্ণকমলবাবু প্রথমে একটি কড়া অনুরোধের চাপ দিলেন: সাহিত্যের মতো লিখতে পারুন বা না-পারুন, যা ইচ্ছা হয় এবং যা পারেন, যেমন-তেমন কোন একটা নিজের লেখা অনামী সঙ্ঘের বৈঠকে আপনাকে পড়তেই হবে। নইলে ভাল দেখায় না। বুঝতে দেরি হয়নি আমার, নিজের কোন লেখা পাঠ না করে শুধু খাওয়া-দাওয়া করা ভাল দেখায় না। বুঝেছিলাম, যেটা অনুরোধের চাপ সেটা বস্তুত একটা অভিযোগের চাপ। সুতরাং অনামী সঙ্ঘের পরবর্তী দুই বৈঠকে নিজের লেখা দু’টি গল্প পড়লাম। 

১৯০৯ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। আদি নিবাস বাংলাদেশের ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের বহর গ্রামে। হাজারিবাগের সেন্ট কলম্বাস কলেজের ছাত্র ছিলেন। বিশিষ্ট দার্শনিক ও গবেষক মহেশ ঘোষের লাইব্রেরীতে পড়াশোনা করতেন। প্রত্নতত্ত্ব, পুরাতত্ত্ব, এমনকি সামরিক বিদ্যায়ও তার যথেষ্ট দক্ষতা ছিল। গত শতকের চল্লিশ দশকের প্রায় প্রারম্ভিক কাল ঘেঁষা বাংলা সাহিত্যের কাল পর্বের জীবন শিল্পী সুবোধ ঘোষ। আদি নিবাস বাংলাদেশের ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের বহর গ্রামে। তার লেখালেখির কালপর্ব ১৯৪০ থেকে ১৯৮০। বাংলা সাহিত্যের অঙ্গনে একটু বেশি বয়সে যোগদান করেও নিজস্ব মেধা মনন চিন্তা চেতনা আর লব্ধ অভিজ্ঞতার আলোকে সুবোধ ঘোষ তার অসাধারণ রচনা সম্ভাবের মাধ্যমে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ হন।।
      বাঙালী পাঠকসমাজে সুবোধ ঘোষ এখনও প্রাসঙ্গিক। বিশেষ করে তার 'অযান্ত্রিক' এবং 'ফসিল'-এর মত বাংলা সাহিত্যের যুগান্তকারী গল্প। ভাষার ওপর অনায়াস দক্ষতার প্রমাণ মেলে ওঁর বিভিন্ন স্বাদের গল্পে। মহাভারতের গল্পগুলি বলার জন্যে তিনি যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তার সঙ্গে অযান্ত্রিক বা ফসিলের গল্পে ব্যবহৃত ভাষার কোনও মিল নেই। বিহারের হাজারিবাগের সেন্ট কলম্বাস কলেজের ছাত্র ছিলেন তিনি। বিশিষ্ট দার্শনিক ও গবেষক মহেশ ঘোষের লাইব্রেরীতে পড়াশোনা করতেন। প্রত্নতত্ত্ব, পুরাতত্ত্ব, এমনকি সামরিক বিদ্যায়ও তার যথেষ্ট দক্ষতা ছিল। ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় পাশ করে হাজারিবাগ সেন্ট কলম্বাস কলেজে ভর্তি হয়েও অভাব অনটনের জন্য পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে জীবন জীবিকার তাগিদে কর্মক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয় তাকে।


বিচিত্র জীবিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলো তার জীবন। কর্মজীবন শুরু করেন বাসের কন্ডাক্টর হিসেবে। এছাড়াও, ট্যুইশন, ট্রাক ড্রাইভার, সার্কাস পার্টিতে ক্লাউনের ভূমিকায় ছিলেন। বহু পথ ঘুরে ত্রিশ দশকের শেষে আনন্দবাজার পত্রিকার রবিবাসরীয় বিভাগে সহকারী। ক্রমে সিনিয়ার এসিস্ট্যান্ট এডিটর, অন্যতম সম্পাদকীয় লেখক। তার একটি প্রখ্যাত ছোটগল্প 'জতুগৃহ'। ছোটগল্পটি অবলম্বনে একাধিক চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে তপন সিংহ ঐ নামে এবং বোম্বেতে হিন্দীতে একটি ছবি নির্মিত হয় 'ইজাজাত' নামে যার পরিচালনায় ছিলেন গুলজার। এ ছাড়াও তার লেখা 'পরশুরামের কুঠার' ও জনপ্রিয়।

অনামী সঙ্ঘ (বা চক্র) নামে তরুণ সাহিত্যিকদের বৈঠকে বন্ধুদের অনুরোধে সুবোধ ঘোষ পর পর দুটি গল্প 'অযান্ত্রিক' এবং 'ফসিল' লেখেন যা বাংলা সাহিত্যে অসাধারণ আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়। গল্প লেখার ইতিবৃত্ত সম্বন্ধে স্বয়ং সুবোধ ঘোষ কী বলেন তা এখানে উদ্ধৃত করা যেতে পারে।

- সন্ধ্যা বেলাতে বৈঠক, আমি দুপুর বেলাতে অর্থাৎ বিকেল হবার আগেই মরিয়া হয়ে সাততাড়াতাড়ি গল্প দুটি লিখে ফেলেছিলাম। আশা ছিল, এইবার অনামীদের কেউ আর আমার সম্পর্কে রীতি ভঙ্গের অভিযোগ আনতে পারবেন না। কিন্তু একটুও আশা করিনি যে বন্ধু অনামীরা আমার লেখা ওই দুই গল্প শুনে প্রীত হতে পারেন। অনামী বন্ধুদের আন্তরিক আনন্দের প্রকাশ ও উৎসাহবাণী আমার সাহিত্যিক কৃতার্থতার প্রথম মাঙ্গলিক ধান দূর্বা।

শিল্পী সুবোধ ঘোষ ১৯৪৪ এ গড়া কংগ্রেস সাহিত্য সংঘ এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। ১৯৪৬ এর ১৬ আগস্ট উত্তর দাঙ্গা বিধ্বস্ত নোয়াখালী থেকে তিনি গান্ধীজির সহচর থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছিলেন দাঙ্গা এবং দাঙ্গাউত্তর কালপর্বে সাম্প্রদায়িকতার হিংস্রতাকে।

সাহিত্য কর্ম
প্রথম গল্প 'অযান্ত্রিক', এরপর 'ফসিল'। তার আর একটি বিখ্যাত গল্প 'থির বিজুরি'। এছাড়াও, জতুগৃহ, ভারত প্রেমকথা (মহাভারতের গল্প অবলম্বনে রচিত),। সুবোধ ঘোষের প্রথম উপন্যাস হল তিলাঞ্জলি (১৯৪৪)। গঙ্গোত্রী (১৯৪৭), ত্রিযামা (১৯৫০), ভালোবাসার গল্প, শতকিয়া (১৯৫৮) প্রমুখ। 


বিচিত্র জীবিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলো তার জীবন। হেন কাজ নেই তাকে করতে হয়নি সংসারের ঘানি টানার প্রয়োজনে। পড়াশোনা ছেড়ে কলেরা মহামারী আকার নিলে বস্তিতে টিকা দেবার কাজ নেন। কর্মজীবন শুরু করেন বিহারের আদিবাসী অঞ্চলে বাসের কন্ডাক্টর হিসেবে। এরপর সার্কাসের ক্লাউন, বোম্বাই পৌরসভার চতুর্থ শ্রেণীর কাজ, চায়ের ব্যবসা, বেকারির ব্যবসা, মালগুদামের স্টোর কিপার ইত্যাদি কাজে তিনি তার প্রথম জীবনের যতটা অংশ ব্যয় করেন। বহু পথ ঘুরে ত্রিশ দশকের শেষে আনন্দবাজার পত্রিকার রবিবাসরীয় বিভাগে সহকারী। ১৯৪৬ এর ১৬ আগস্ট উত্তর দাঙ্গা বিধ্বস্ত নোয়াখালী থেকে তিনি গান্ধীজির সহচর থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছিলেন দাঙ্গা এবং দাঙ্গাউত্তর কালপর্বে সাম্প্রদায়িকতার হিংস্রতাকে। অনামী সঙ্ঘ (বা চক্র) নামে তরুণ সাহিত্যিকদের বৈঠকে বন্ধুদের অনুরোধে সুবোধ ঘোষ পর পর দুটি গল্প অযান্ত্রিক, এবং ফসিল লেখেন যা বাংলা সাহিত্যে অসাধারণ আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়। সুবোধ ঘোষের প্রথম গল্প অযান্ত্রিক, এরপর ফসিল। তার আর একটি বিখ্যাত গল্প 'থির বিজুরি'। শুধুমাত্র গল্পকার হিসাবেই সুবোধ ঘোষ অণ্বেষু শিল্পী ছিলেন না। সুবোধ ঘোষ উপন্যাস রচনাও ঋদ্ধ তার যথার্থ প্রমাণ তিলাঞ্জলি (১৯৪৪) সুবোধ ঘোষের ঔপন্যাসিক হিসাবে প্রথম প্রভিভার স্বাক্ষর ’তিলাঞ্জলি’। এ উপন্যাসে তিনি রাজনৈতিক মতাদর্শকে উপস্থাপনে প্রয়াসী হয়েছেন। কংগ্রেস সাহিত্য সংঘের মতাদর্শ প্রতিফলিত হয়েছে এই উপন্যাসে। মন্বন্তরের পটভূমিকায় রচিত এ উপন্যাসে তৎকালীন কংগ্রেসের প্রতিপক্ষ ’জাগৃতি সংঘ’র জাতীয়তা বিরোধী চরিত্রের মতবিরোধের রূপরেখা অঙ্কনে সচেষ্ট হয়েছেন তিনি এই উপন্যাসে।১০ মার্চ, ১৯৮০ সালে তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হন।

চলচ্চিত্রায়ণ
অযান্ত্রিক (ঋত্বিক ঘটক পরিচালিত, ১৯৫৮)
জতুগৃহ (১৯৬৪)
সম্মাননা
আনন্দ পুরস্কার
ফিল্মফেয়ার পুরস্কার (১৯৫৯):- শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার হিসেবে সুজাতা চলচ্চিত্রের জন‍্য
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগত্তারিণী পদক।


রমাপদ চৌধুরী, বিমল মিত্র, সাগরময় ঘোষ, মন্মথনাথ সান্যাল, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সুশীল রায় এবং বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুবোধ ঘোষ (ডান দিকে দাঁড়িয়ে)



সপরিবারে 

আনন্দবাজারে যোগ দেওয়া এবং তার পরে সাহিত্যিক হিসেবে বাংলা সাহিত্যে জায়গা করে নেওয়ার পরে জীবনের যাত্রায় একটু একটু করে থিতু হয়েছিলেন সুবোধ ঘোষ। তাঁর তিন ছেলে, এক মেয়ে। এত কাজের মধ্যেও বাবা হিসেবে সব সময় সন্তানদের পাশে থেকেছেন। মেজ ছেলে সত্যম বলছিলেন, ‘‘কর্তব্যে কোনও দিন অবহেলা করতে দেখিনি। বিশেষ করে আমার ক্ষেত্রে যেন তাঁর বাড়তি নজর ছিল। প্রেসিডেন্সিতে পড়তাম আমি। বাবার তখন একটা অস্টিন গাড়ি ছিল। সেই গাড়িই আমাকে কলেজে পৌঁছে দিত। তার পরে বাড়ি ফিরে বাবাকে নিয়ে যেত অফিসে।’’ কলেজে পড়ার সময়ে তাঁর শখ হয়েছিল গিটার শেখার। ‘‘বাবাকে বলতে তিনি গিটারের শিক্ষক রেখে দিলেন,’’ বললেন সত্যম।

স্ত্রী মুকুলরানি দেবী ছিলেন একাধারে সুবোধের বন্ধু, সচিব ও সঙ্গী। সেই কৃচ্ছ্রসাধনের দিন থেকেই। সত্যমের কথায়, ‘‘বাবার লেখার প্রথম পাঠিকা মা। যখন ম্যানুস্ক্রিপ্ট ফর্মে লিখছেন একটা গল্প বা উপন্যাস, তার পরেই কিন্তু মাকে শোনাতেন। মা তখনকার দিনের ম্যাট্রিকুলেট। আমিও ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত মায়ের কাছে পড়েছি।’’ মুকুলরানি নিছক পাঠ করেই ক্ষান্ত হতেন না। যে জায়গা ভাল লাগত না, তা তিনি জোরের সঙ্গে বলতেনও। সত্যম বলেন, ‘‘মা অনেক সময়ে বাবাকে লেখার কিছু কিছু জায়গা বদলাতে বলতেন। বলতেন, ওই জায়গাটা কিন্তু তুমি বাড়াবাড়ি করে ফেলেছ। ওটা এই রকম ভাবে বদলাও। বাবা বলতেন, ঠিক বলেছ। বলে বাবা বদলে দিতেন।’’ সুবোধের মৃত্যুর পরে তাঁকে নিয়ে একটি স্মৃতিচারণাও লেখেন মুকুলরানি দেবী।

আনন্দবাজারে চাকরি পাওয়ার পরে কৃচ্ছ্রসাধন শেষ হয় ধীরে ধীরে। সুবোধের কলম তাঁকে দিয়ে এর মধ্যেই সোনা ফলাতে শুরু করেছে। সে সব গল্প-উপন্যাস যে শুধু বাংলা সাহিত্যের মণিমাণিক্য, তা-ই নয়, রুপোলি পর্দায় বেশ কয়েকটি উপস্থাপিতও হয়েছে। ১৯৫৬ সালে উত্তম-সুচিত্রার ‘ত্রিযামা’। দু’বছর পরে ঋত্বিক ঘটক তৈরি করেন ‘অযান্ত্রিক’। এর পরে একে একে ‘শুন বরনারী’, ‘শিউলিবাড়ি’, ‘জতুগৃহ’, ‘ঠগিনী’। হিন্দিতে ১৯৫৯ সালে বিমল রায় তৈরি করেন ‘সুজাতা’। অনেক বছর পরে ‘জতুগৃহ’ অনুসরণে ‘ইজ়াজ়ত’ তৈরি করেন গুলজ়ার। এর মধ্যে ‘সেদিন চৈত্রমাস’ অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ‘চিতচোর’। সাহিত্য, সিনেমায় সুবোধ তখন মধ্যগগনে।।












==================================




















No comments:

শুভ জন্মদিন শ্রদ্ধাঞ্জলি। পশুপতি ভট্টাচার্য । খ্যাতনামা চিকিৎসক ও সাহিত্যিক। Dt -15.11.2024. Vol -1053. Friday. The blogger post in literary e magazine

পশুপতি ভট্টাচার্য  ১৫ নভেম্বর ১৮৯১ -  ২৭ জানুয়ারি ১৯৭৮   একজন খ্যাতনামা চিকিৎসক ও সাহিত্যিক। জন্ম  বিহার রাজ্যে পিতার কর্মস্থল আরায়। তাদ...