Wednesday, 6 November 2024

শুভ জন্মদিন শ্রদ্ধাঞ্জলি। আলব্যার কামু্। একজন ফরাসি দার্শনিক, লেখক, নাট্যকার, সাংবাদিক, বিশ্বযুক্তরাষ্ট্রবাদী ও রাজনৈতিক সক্রিয়তাবাদী।১৯৫৭ সালে ৪৪ বছর বয়সে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। Dt -07.11.2024. Vol - 1045. Thrusday. The blogger post in literary e magazine .




আলব্যার কাম্যু
Albert Camus
৭ই নভেম্বর ১৯১৩ – ৪ঠা জানুয়ারি ১৯৬০



  একজন ফরাসি দার্শনিক, লেখক, নাট্যকার, সাংবাদিক, বিশ্বযুক্তরাষ্ট্রবাদী ও রাজনৈতিক সক্রিয়তাবাদী। 

১৯১৩ সালের ৭ই নভেম্বর ফরাসি আলজেরিয়ার মঁদভিতে (বর্তমান দ্রেওঁ) এক শ্রমিকশ্রেণির প্রতিবেশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর মা কাত্রিন এল্যান সিন্ত্যাস জাতিতে ছিলেন একজন বালেয়ারীয় হিস্পানি বংশোদ্ভূত ফরাসি। তাঁর বাবা, লুসিয়্যাঁ কাম্যু, ছিলেন একজন দরিদ্র কৃষিজীবী; ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি একটি জোয়াভ রেজিমেন্টের সদস্য হিসেবে যুদ্ধরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। কাম্যু তাঁর বাবাকে কোনোদিন দেখেননি। ছোটবেলায় কাম্যু, তাঁর মা এবং অন্যান্য আত্মীয়স্বজন অনেক ন্যুনতম উপকরণ ছাড়াই আলজিয়ার্সের বেলকুর অঞ্চলে জীবন অতিবাহিত করেছিলেন। তিনি আলজেরিয়ার দ্বিতীয় প্রজন্মের ফরাসি ছিলেন; আলজেরিয়া ১৮৩০ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত ফরাসিদের দখলে ছিল। তাঁর ঠাকুরদা এবং তাঁর প্রজন্মের অনেকেই ১৯শ শতকের প্রথম দশকের সময় ভালোভাবে জীবন কাটাবার জন্য আলজেরিয়াতে চলে আসেন। তাই তাঁকে বলা হত পিয়ে-নোয়ার, ‘কালো পায়ের পাতা’—এটা একটা অপশব্দ যা দ্বারা সেইসকল ফরাসিদের বোঝানো হত যারা আলজেরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিল—আর তাঁর পরিচয় এবং দারিদ্র্য তাঁর পরবর্তী জীবনে গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল। তৎসত্ত্বেও কাম্যু ছিলেন একজন ফরাসি নাগরিক, আলজেরিয়ার আরব বা বর্বর অধিবাসীদের—যাদের আইনগত অবস্থানটাই নীচু ছিল—তুলনায় ছিলেন সম্পূর্ণ আলাদা। ছোটবেলায় কাম্যুর ফুটবল এবং সাঁতারের প্রতি অনুরাগ তৈরি হয়।

তার শিক্ষক লুই জের্ম্যাঁর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কাম্যু ১৯২৪ সালে বৃত্তি লাভ করেন এবং আলজিয়ার্সের কাছে একটি প্রথিতযশা লাইসিয়ামে (উচ্চশিক্ষার স্কুল) পড়াশুনো শুরু করেন। ১৯৩০ সালে তার যক্ষ্মারোগ ধরা পড়ে। রোগটি সংক্রামক হওয়ার কারণে তিনি বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন এবং তার কাকা গ্যুস্তাভ আকোর কাছে তিনি বাস করেন। কাকা পেশায় ছিলেন একজন কসাই; তরুণ আলব্যার কাম্যুকে তিনি প্রভাবিত করেছিলেন। এই সময় কাম্যু তাঁর দর্শনের শিক্ষক জ্যঁ গ্র‍্যনিয়ের সংস্রবে এসে দর্শনের দিকে আকৃষ্ট হন। তিনি প্রাচীন গ্রীক দার্শনিক এবং ফ্রিডরিখ নিচের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। এই সময় তিনি পড়াশুনোর জন্য কেবলমাত্র কিছু সময় ব্যয় করতে পারতেন। অর্থ রোজগারের জন্য তিনি নানা ধরনের পেশা অবলম্বন করেন; ব্যক্তিগত শিক্ষক, গাড়ির সরঞ্জামের করণিক এবং আবহাওয়া সংস্থার সহকারী হিসেবেও তিনি কাজ করেছিলেন।

১৯৩৩ সালে কাম্যু আলজিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং ১৯৩৬ সালে তাঁর লিসঁস দ্য ফিলজফি (বিএ) ডিগ্রি লাভ করেন; তিনি প্লোতিনোসের ওপর অভিসন্দর্ভ রচনা করেন। খ্রীষ্টান দার্শনিকদের প্রতি কাম্যুর একটা আগ্রহ তৈরি হয়েছিল, কিন্তু নিচে এবং আর্থার শোপেনহাওয়ারের প্রভাবে তিনি নৈরাশ্যবাদ এবং নাস্তিকতার প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েন। তিনি স্তঁদাল, হেরম্যান মেলভিল, ফিওদোর দস্তয়েভ্‌স্কি, ফ্রান্‌ৎস কাফকা প্রভৃতি ঔপন্যাসিক-দার্শনিকের লেখা পাঠ করেন। ১৯৩৩ সালে সিমন ইয়ের সঙ্গে পরিচিত হন যিনি কাম্যুর এক বন্ধুর সঙ্গী ছিলেন; পরে সিমন কাম্যুর প্রথম স্ত্রী হন।

১৯২৮ থেকে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত কাম্যু রাসিং উ্যনিভের্সিত্যার দালজের গোলরক্ষক ছিলেন। খেলার দলীয় স্পৃহা, ভ্রাতৃত্ববোধ এবং উদ্দেশ্যগত ঐক্যবোধ কাম্যুকে অত্যন্ত নাড়া দিয়েছিল। খেলার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গভীর আবেগ এবং সাহসিকতার সাথে খেলার জন্য তিনি প্রায়ই প্রশংসিত হতেন। ১৭ বছর বয়সে যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে তার ফুটবলের প্রতি সমস্ত আশাই অন্তর্হিত হয়।কাম্যু ফুটবল, মানব-অস্তিত্ব, নৈতিকতা এবং ব্যক্তিগত পরিচয়ের মধ্যে সমান্তরাল সম্পর্ক এঁকেছেন। তাঁর কাছে ফুটবলের সরল নৈতিকতা এবং গির্জা ও রাষ্ট্রের মতো কর্তৃপক্ষের দ্বারা আরোপিত জটিল নৈতিকতার মধ্যে একটা বিরোধ বর্তমান।


১৯৩৪ সালে ২০ বছর বয়সে কাম্যু সিমন ইয়ের সাথে সম্পর্কে আবদ্ধ হন। সিমন মরফিনে আসক্ত ছিলেন; ঋতুকালীন বেদনা প্রশমনের জন্য সিমন এই ড্রাগ ব্যবহার করতেন। কাকা গ্যুস্তাভ এই সম্পর্ক মেনে না নিলেও আসক্তি থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করার জন্য কাম্যু ইয়েকে বিয়ে করেন। এরপরেই তিনি আবিষ্কার করেন সিমন ইতোমধ্যেই তার ডাক্তারের সাথে সম্পর্কে আবদ্ধ এবং এর ফলে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। কাম্যু সারাজীবন ধরে একজন নারীলোলুপ ছিলেন।

১৯৩৫ সালের প্রথম দিকেই কাম্যু ফরাসি কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন। যদিও তিনি মার্ক্সবাদী ছিলেন না, তবুও তিনি একে “আলজেরিয়ার ‘অধিবাসী’দের সাথে ইউরোপীয়দের বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের” একটা পথ হিসেবে দেখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “আমরা সাম্যবাদকে একটা স্প্রিংবোর্ড এবং নান্দনিকবাদ হিসেবে দেখতে পারি যা গভীরতর আধ্যাত্মিক ক্রিয়াকলাপের ভিত্তি প্রস্তুত করতে পারে।” পরের বছর কাম্যু উক্ত পার্টি ত্যাগ করেন।১৯৩৬ সালে স্বাধীনতাকামী আলজেরীয় কমিউনিস্ট পার্টি (পিসিএ) প্রতিষ্ঠা হয়, এবং কাম্যু তার পরামর্শদাতা গ্র‍্যনিয়ের কথায় সেই পার্টিতে যোগদান করেন। পিসিএতে কাম্যুর মুখ্য ভূমিকা ছিল তেয়াত্র দ্যু ত্রাভাই (শ্রমিকদের থিয়েটার) পরিচালনা করা। কাম্যু পার্তি দ্যু পোপ্ল আলজেরিয়্যাঁ আলজেরিয়ান পিপল্‌স পার্টি, [পিপিএ]) পার্টির সাথেও ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত হন; এই পার্টি ছিল একটা মধ্যপন্থী উপনিবেশবাদবিরোধী জাতীয়তাবাদী দল। যুদ্ধমধ্যবর্তীকালীন উদ্বেগ যতই বাড়তে লাগল, স্তালিনবাদী পিসিএ এবং পিপিএ তাদের যোগসূত্র ছিন্ন করে। পার্টির কথামতো না চলার জন্য কাম্যুকে পিসিএ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এইসকল ঘটনাগুলোর ফলে মানুষের মর্যাদাবোধ সম্বন্ধে কাম্যুর ধারণাগুলো আরো পরিশীলিত হয়। আমলাতন্ত্রের ওপর কাম্যুর অবিশ্বাস বেড়েই চলে; কারণ আমলাতন্ত্রের মূল লক্ষ্য ছিল বিচার নয়, দক্ষতা। তবে তিনি তার থিয়েটারে কাজ বজায় রেখে যান এবং তার দলের নতুন নামকরণ করেন তেয়াত্র দ্য লেকিপ (“দলের থিয়েটার”)। তার পরবর্তীকালের লেখা উপন্যাসের অবলম্বনেই তিনি তার কিছু নাটক রচনা করেন।

১৯৩৮ সালে কাম্যু বামপন্থী সংবাদপত্র আলজে রেপ্যুব্লিক্যাঁ (পাস্কাল পিয়া কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত) হয়ে কাজ করেন; কারণ তার প্রভূত পরিমাণে ফ্যাসিবাদবিরোধী মনোভাব ছিল এবং ফ্যাসিবাদী সরকারের উত্থান তাঁকে চিন্তিত করেছিল। এইসময়, কাম্যু কর্তৃত্বপূর্ণ উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠেন, কারণ তিনি ফরাসি শাসকদের দ্বারা আরব এবং বর্বরদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণের সাক্ষী ছিলেন। আলজে রেপ্যুব্লিক্যাঁকে ১৯৪০ সালে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় এবং কাম্যু প্যারিসে পালিয়ে গিয়ে পারি-সোয়ারের প্রধান সম্পাদকের কাজে নিযুক্ত হন। প্যারিসে এসে তিনি অলীক এবং অর্থশূন্যতা নিয়ে তার কাজের ‘প্রথম চক্র’ প্রায় শেষ করেন — উপন্যাস লেত্রঁজে (দি আউটসাইডার [যুক্তরাজ্য], অথবা দি স্ট্রেঞ্জার [যুক্তরাষ্ট্র]), ল্য মিৎ দ্য সিজিফ (সিসিফাসপুরাণ) নামক দার্শনিক প্রবন্ধ এবং নাটক কালিগ্যুলা। প্রতিটি চক্রেই একটি উপন্যাস, একটি প্রবন্ধ ও একটি নাটক রয়েছে।
কাম্যুর ১৯৩৬ সালে তিনজন বন্ধুর সাথে প্রথম একটি নাটক প্রকাশ করেন যার নাম ছিল রিভোল্ট ডান্স লে আস্তুরিয়ে (রিভোল্ট ইন দ্য আস্তুরিয়াস)। এর বিষয়বস্তু ছিল ১৯৩৪ সালে স্পেনীয় খনিশ্রমিকদের বিদ্রোহ যা তৎকালীন স্পেন সরকার অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে দমন করে যার ফলে ১৫০০ থেকে ২০০০ জন শ্রমিক মারা যান। ১৯৩৭ সালের মে মাসে তিনি তার প্রথম বইটি লেখেন ল’এনভারস এট ল’এন্ড্রয়েট (বিটয়েক্সট অ্যান্ড বিটুইন, দি রং সাইড অ্যান্ড দি রাইট সাইড নামেও অনুদিত হয়েছিল)। দুটি বইই এডমণ্ড শার্লট নামে একটি ছোট প্রকাশনী সংস্থা প্রকাশ করেছিল।

কাম্যু তার রচনাগুলোকে তিনটে চক্রে ভাগ করেন। প্রতিটি চক্রে একটি উপন্যাস, একটি প্রবন্ধ এবং একটি নাটক রয়েছে। প্রথমটি হল অলীক চক্র যার মধ্যে ছিল ল’এট্রেঞ্জার, লে মিথে ডি সিসিফি এবং ক্যালিগুলা। দ্বিতীয়টি রচিত হয়েছিল বিদ্রোহ নিয়ে যার মধ্যে ছিল লে পেস্তে (দি প্লেগ), ল’হোম্মে রিভোল্টে (দি রেবেল), এবং লেস জাস্টেস (দি জাস্ট অ্যাসাসিনস্‌)। তৃতীয়টি ছিল প্রেমসংক্রান্ত; এর মধ্যে ছিল নেমেসিস। প্রতিটা চক্রই ছিল এক-একটি বিষয় নিয়ে পরীক্ষা যার মধ্যে পৌত্তলিক বিশ্বাস এবং বাইবেলের প্রসঙ্গ ব্যবহার করা হয়েছিল।

প্রথম চক্রের বইগুলো ১৯৪২ থেকে ১৯৪৪ সালের মধ্যে রচিত হয়েছিল, কিন্তু এর বিষয়গুলো নির্ধারণ করা হয়েছিল তার আগেই, অন্তত ১৯৩৬ সালের মধ্যে। এই চক্রের দ্বারা কাম্যু মানব পরিস্থিতির ওপর একটা প্রশ্ন রেখে যেতে চেয়েছেন, বিশ্বকে একটা অলীক স্থান বলে তিনি আলোচনা করেছেন, এবং সর্বগ্রাসীতার ফলাফলের সম্বন্ধে মানবজাতিকে তিনি সতর্ক করে যেতে চেয়েছেন।

১৯৪২ সালের শেষ মাসগুলোতে তিনি যখন আলজেরিয়ায় ছিলেন তখন তার সাহিত্যকর্মের দ্বিতীয় চক্র শুরু হয়; সেসময় জার্মানরা উত্তর আফ্রিকায় পৌঁছেছিল।  দ্বিতীয় চক্রে কাম্যু একজন বৈপ্লবিক মানবতাবাদী হিসেবে প্রমিথিউসকে দেখিয়েছিলেন এবং এইভাবে তিনি বিপ্লব আর বিদ্রোহের মধ্যে তফাৎ বুঝিয়েছিলেন। তিনি বিভিন্ন ধরনের বিদ্রোহের পটভূমি নিয়ে আলোচনা করেছেন, এর অধ্যাত্মবিদ্যা, রাজনীতির সঙ্গে এর সম্পর্ক, এবং আধুনিকতা, ঐতিহাসিকতা এবং নিরীশ্বরবাদীতার নিরীখে একে যাচাই করেছেন। নোবেল পুরস্কার লাভের পর, তার মধ্যপন্থী মতাদর্শগুলোকে একত্রিত করে, সেগুলোকে ব্যাখ্যা করে প্রকাশ করলেন অ্যাকট্যুলেস III : ক্রোনিক আলজেরিয়েনে ১৯৩৯ – ১৯৫৮ (আলজেরিয়ান ক্রনিকল্‌স)। তারপর তার মানসিক ভার অত্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় তিনি আলজেরিয় যুদ্ধ থেকে নিজেকে সরিয়ে আনলেন। তিনি এরপর থিয়েটার এবং তৃতীয় চক্রের দিকে মনোনিবেশ করলেন; এই তৃতীয় চক্র ছিল প্রেমসংক্রান্ত এবং দেবী নেমেসিসকে নিয়ে রচিত।

কাম্যুর দুটি সাহিত্যকর্ম মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়। প্রথমটির নাম লা মার্ট হেউরেউস (আ হ্যাপি ডেথ) (১৯৭০) যার প্রধান চরিত্র ছিল প্যাট্রিস মেরসল্ট, যার সাথে দ্য স্ট্রেঞ্জারের মেউরসল্টের তুলনা করা যেতে পারে। দুটি বইয়ের মধ্যেকার সম্পর্ক নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। দ্বিতীয়টির নাম লা প্রিমিয়ের হোম্মে (দি ফার্স্ট পার্সন) (১৯৯৫) – একটি অসমাপ্ত উপন্যাস যা কাম্যু লেখার কালেই মারা যান। এটা ছিল তার আলজেরিয়ার ছোটবেলাকার দিনগুলো নিয়ে রচিত একটি আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস এবং ১৯৯৪ সালে এর প্রকাশের সাথে সাথে ঔপনিবেশিকতার প্রতি কাম্যুর ঔদাসীন্যের দাবী নিয়ে একটি ব্যাপক পুনর্বিবেচনা শুরু হয়।

জ্যঁর এবং চক্র অনুসারে কাম্যুর সাহিত্যকর্ম, ম্যাথিউ শার্পের মতানুযায়ী
বছর পৌত্তলিক বিশ্বাস বাইবেল প্রসঙ্গ উপন্যাস নাটক
১৯৩৭-৪২ সিসিফাস বিচ্ছিন্নতা, নির্বাসন অপরিচিত (The Stranger) ক্যালিগুলা,
দি মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং (লে মালেনটেন্ডু)

১৯৪৩-৫২ প্রমেথিউস বিদ্রোহ দি প্লেগ (লা পেস্টে) দি স্টেজ অফ সিজ (ল'এটাট ডি সিজ)
দ্য জাস্ট (লেস জাস্টেস)

১৯৫২-৫৮ অপরাধ, পতন; নির্বাসন এবং রাজত্ব;
জন দি ব্যাপটিস্ট, খ্রিস্ট

দি ফল (লা চ্যুট) পজেজড (দস্তয়েভস্কি) পুনর্নিমাণ;
ফকনারের রিক্যুয়েম ফর আ নান

১৯৫৮– নেমেসিস রাজত্ব দি ফার্স্ট ম্যান (লে প্রিমিয়ের হোম্মে) 




কাম্যু ১৯৬০ সালের ৪ঠা জানুয়ারি ৪৬ বছর বয়সে সঁসের পাশে ভিলব্ল্যভ্যাঁ নামক ছোট শহরের ল্য গ্রঁ ফসারে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান। তিনি ১৯৬০ সালে পরিবারের সাথে তার লুরমার‍্যাঁ, ভোক্ল্যুজের বাড়িতে ইংরেজি নববর্ষের ছুটি কাটিয়েছিলেন; সেখানে তাঁর বন্ধু এদিসিওঁ গালিমারের প্রকাশক মিশেল গালিমার, গালিমারের স্ত্রী জানিন এবং তাদের কন্যাও ছিল। কাম্যুর স্ত্রী এবং মেয়েরা ২রা জানুয়ারি ট্রেনে করে প্যারিসে ফিরে যায়, কিন্তু কাম্যু গালিমারের বিলাসবহুল ফাসেল ভেগা এইচকে ৫০০-তে ফিরবেন বলে ঠিক করেন। রুৎ নাসিওনাল ৫ (বর্তমান আরএন ৬)-এর দীর্ঘ সোজা রাস্তায় চলার পথে গাড়িটি একটি গাছে ধাক্কা মারে। কাম্যু তৎক্ষণাত মারা যান; তিনি আরোহীর আসনে বসে ছিলেন এবং সিট বেল্ট পরেননি। গালিমার কয়েকদিন বাদে মারা যান, যদিও তার স্ত্রী এবং কন্যা অক্ষত ছিলেন। অনেকে মনে করেন যে, কেজিবির গুপ্তচর বাহিনীই কাম্যুকে হত্যা করে, কারণ তিনি সোভিয়েত অত্যাচারের প্রবল সমালোচক ছিলেন।












============∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆=========
















No comments:

শুভ জন্মদিন শ্রদ্ধাঞ্জলি। অশোকবিজয় রাহা । একজন ভারতীয় বাঙালি কবি, প্রাবন্ধিক এবং সমালোচক। তিনি রবীন্দ্র অধ্যাপক হিসেবে দীর্ঘদিন বিশ্বভারতীতে দায়িত্ব পালন করেন। Dt -14.11.2024. Vol -1052. Thrusday. The blogger post in literary e magazine.

অশোকবিজয় রাহা  (১৪ নভেম্বর ১৯১০ – ১৯ অক্টোবর ১৯৯০)  সময়টা ছিল আঠারোশো উননব্বইয়ের অক্টোবর। গঁগ্যার সাথে বন্ধুত্বে তখন কেবল চাপ চাপ শূন্যতা আ...