Wednesday, 16 September 2020

দৈনিক শব্দের মেঠোপথ

  ¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥
                   জন্মদিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য

                      বিনয় মজুমদার
==========//////////////===============
           Doinik sabder methopath
        Vol - 131. Dt - 17.09.20
            ৩১ ভাদ্র, ১৪২৭.বৃহস্পতিবার
÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷
কবির চোখে কবি 

নিঃসঙ্গ সন্ন্যাসী কবি বিনয় মজুমদার

                                  মনোতোষ আচার্য
                              কবি, সম্পাদক ও সংগঠক


"মদিরার মতো তুমি অজস্র যুদ্ধের ক্ষত ধুয়ে
স্নিগ্ধ করে দিয়েছিলে। প্রত্যাশার শেষে ছিপ রেখে
জাল ফেলে দেখার মতন এ-ই উদ্যম এসেছে।"
        নতুন উদ্যমে পুরোনো কবিতাগুলি পড়তে পড়তে কেটে যায় গোটা রোববার। স্তব্ধতার ধ্যান ভেঙে গেলে খুঁটে নিলাম বিনয়-তণ্ডুল। শিমুলপুরের রহস্যময় কবি বিনয় মজুমদার। 'কবিতীর্থে'র পাতায় প্রথম আলাপের বিনয় মজুমদার। নিঃশব্দ অনন্তের সোঁদা হাওয়ায় ভেসে চলেছে শিমুল তুলোর পানসি। ঘুম ভাঙা ভোরে মনে পড়ে যাওয়া, ঝাঁ- ঝাঁ দুপুরে মনে পড়ে যাওয়া পঙক্তিগুলি। পাতা ঘেরা নিঝুম দুপুরের বারান্দায় পঙক্তিগুলি 
আমার হাত ধরে হাঁটতে চাইছে। সন্ন্যাসী কবি মহাঅক্ষরের স্বননে ভেসে চলেছেন জ্যামিতিক ট্রাপিজিয়মে।     

              ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬ চলে গেলেন বাউল কবি বিনয় মজুমদার। মনমরা হয়ে বসেছিলাম ঝুল বারান্দার দোলনায়। সচরাচর নিজের লেখা কবিতা স্মৃতিতে থাকে না। হঠাৎ স্মৃতি উসকে ভেসে উঠলো ২৬ ডিসেম্বর ২০০৫ এ লেখা 'বিনয়পুর' কবিতাটি... 
" বিনয়পুরের শিমুলতলায় কাঁকর নুড়ির সাথে
কুড়িয়ে নিলাম কয়েক মুঠি তুলো
মেঘের জটায় বিনোদিনীর আঁচল লাল পেড়ে
পায়ের নখে উড়ে যাচ্ছে কবিতা এবং ধুলো,
লম্ফজ্বলা সন্ধে এসে অঙ্ক খাতার ভাঁজে
লুকোচুরি খেলতে থাকে কবিতা আর গণিত
মগজ থেকে খসতে থাকে ঢেউ
ছন্দ কিংবা আত্মহারা শোণিত। 
বুঝে ফেলবার আগে কেবল বুঝতে পারে পাঠক
নষ্ট ফাগুন তোমার কথাই কেবল বিনয়পুরের বাতাস তোমার নাকে গন্ধ সোঁদা
অলস মনের পঙক্তিগুলো সচল।"

প্রশ্নহীন নির্জনতার অযত্নশোভিত সযত্নলালিত যাপনের দ্বীপভূমিতে নোঙর ফেলেছিলেন কবি বিনয়। যেখানে অর্থ, কীর্তি, স্বচ্ছলতার অনুজীব প্রবেশ করেনি। নগর জীবনের আপাতসফল আগ্রাসী জীবন থেকে স্বেচ্ছানির্বাসিত কবি নির্লোভ সন্ন্যাসীর মতো জাগতিক মোহ ত্যাগ করেছিলেন। 

       সারা সপ্তাহের ক্লান্তি মুছতে আবার বসে পড়লাম 'ভারতীয় গনিত' কবিতার সামনে। এমনিতেই অঙ্কে কাঁচা কৈশোরের স্মৃতি উসকে 'ক্যালকুলাসের এক সত্য আমি লিপিবদ্ধ করি।' শূন্যের ভেতর তাত্ত্বিক বিনয় আমাকে নিয়ে চলে গেলেন বিপুল বিশ্বের ঐশ্বর্য রাজ্যে। একা একা বলার ক্ষণে নিজেকে খুঁজে পাই বিনয়ের পঙক্তি 
শৈলীর অভিনব বিন্যাসে। জীবনের সরলতম অনস্বীকার্য অভিব্যক্তিকে মুখোমুখি এনে দেওয়ার বিনয় পঙক্তি আমার স্মৃতিতে। গ্রামখেকো হিংস্র শহরের হাজার হাজার মেগাওয়াট আলোর থেকে দূরে ছায়া সুনিবিড় শিমুলপুরের মাটিতে গাণিতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে জরিপ করেছেন নক্ষত্র আলোকে উদ্ভাসিত গ্রামীণ সমাজ। বৃষ্টিধোয়া  জমির আলে শামুকের রতিক্রিয়ায় খুঁজে পেয়েছেন জ্যামিতিক উপপাদ্য। 
" প্রায়ই খুঁজি আমার ভিতরে 
গাছপালা আছে কিনা জলাভূমি আছে কিনা... "    

      অলীক ডানায় ভর করে তাঁর কাছেই চলে যাই। যাপিত জীবন সংলগ্ন বাস্তবতা যা কিনা কবি জীবনের বিবর্তনের ধারা। সেই স্বচ্ছন্দ ধারায় বিনয় মজুমদার আমাদের শিখিয়ে পড়িয়ে নেন। কবিতার অন্তর্লীন শূন্যতার  ভেতর সৌন্দর্যের উচ্চতম সাধনায় সৎ কবির জন্মান্তর উপলব্ধির মর্মবস্তু। Cultural Industry থেকে দূরে,
সাহিত্যবাজার থেকে দূরে, শ্লীল- অশ্লীলতার কেন্দ্র-প্রান্ত শ্রেণিবিন্যাস ভুলে, শ্রেণিমন্য চলতি ফরমানের বিরুদ্ধে বিনয় আকাশে তাকিয়ে দেখেন --
 " সহাস্য বাতাস বয় খিলখিল শব্দ শুনি অনেকের মতে 
 এ-ই শব্দ হয় শুধু 
গাছের পাতায় বায়ু লেগে।"     

         মহৎ কবিতার কারিগর বিনয় মজুমদার তাঁর পাঠককে পাঠিয়ে দেন মহৎ মানসিক বিশ্রামের তীর্থে। সেখানে একা একা কথা বলে একটা আস্ত জীবন কাটিয়ে দেওয়া যেতে পারে। বৃষ্টিভেজা গাছের পাতায় রোদ  পড়লে যে মন্দ্র অনুভূতি হয় তা যেন বিনয়ের কাব্যপঙক্তির মতো। প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে, সামজিক খ্যাতির বিরুদ্ধে, মিডিয়া প্রসাদের বিরুদ্ধে, Cultural Industry এর বিরুদ্ধে বিনয়ের একক লড়াই একটা দিকচিহ্ন তৈরি  
করেছিল। এ-ই দিকচিহ্ন শুধু কবিতাকে সম্বল করে নির্জন একাকীত্বে বিনয়কে পাঠিয়েছিল। শহুরে ভণ্ড ও অবিবেকী ভব্যতা থেকে, কলুষিত নাগরিক কোলাহল থেকে, আত্মভ্রষ্ট সাংস্কৃতিক উল্লাস থেকে দূরে, শিমুলপুরে, বিনোদিনী কুঠিতে কবিতা-গণিত-জ্যামিতির মহাশূন্য কোটরে।         

              " ভালোবাসা দিতে পারি, তোমরা কি  
      গ্রহণে সক্ষম? 
লীলাময়ী করপুটে তোমাদের সবই ঝরে যায় ---
হাসি, জ্যোস্না, ব্যথা, স্মৃতি, অবশিষ্ট কিছুই থাকেনা।
এ আমার অভিজ্ঞতা।"
         এ ভালোবাসা নিয়ে মিথ্যাচার প্রায় অসম্ভব। এ ভালোবাসা নগর-লালিত, মিডিয়া দীক্ষিত ভালোবাসা নয়। একজন সৎ কবির ভালোবাসার প্রকৃতিকে আমরা গ্রহন করিনি। অর্ধ-শিক্ষিতের মতো আমরা নানা বিশেষণে, কটূক্তিতে ভূষিত করে রেখেছিলাম তাঁকে। আসলে একাকী, নির্লিপ্ত, নির্জন, আপোসহীন নিঃসঙ্গতায় স্বরাট কবিদের প্রতি এহেন নাগরিক উদাসীনতার ইতিহাস বেশ লম্বা। বিনয় মজুমদার শুধু কবি নন। বিনয় মজুমদার মহৎ মানুষ। বিনয় মজুমদার সন্ন্যাসী। 

" করুণ চিলের মতো সারাদিন , সারাদিন ঘুরি।
ব্যথিত সময় যায় শরীরে আর্তনাদে, যায়
জ্যোৎস্নার অনুনয় ; হায়, এ-ই আহার্য সন্ধান। " 

জীবনের বহুমাত্রিক বোধে এ-ই কবিতা পঙক্তিগুলির অপার মুক্তি। জীবনের সবচেয়ে কঠিন যে সত্য, যা 
আমাদের ছুঁয়ে থাকে আমরা যার টেরটিও পাই না। " যদিও এখানে মন সকল সময় 
এবিষয়ে সচেতন থাকে না, তবুও এ-ই কান্না চিরদিন
এইভাবে রয়ে যায়, তরু মর্মরের মধ্যে অথবা আড়ালে।"   
 অন্তরালবাসী কবি বিনয় তাঁর পাঠককে বোধে ও মননে পৌঁছে দেন সৌন্দর্যের অচিন লোকে ----
"সৌন্দর্যের অভ্যন্তরে নেচে নেচে, নাচাবার পরে ফের
শিথিল নিস্তেজ হয়ে পড়ি।"        

জীবনের সঙ্গে কবিতাকে একাত্ম করার বিরল প্রজাতির কারিগর বিনয় মজুমদার গণিত ও কবিতার মিলকে নিখুঁত করেছেন। কবি গড়ে তুলেছেন জ্ঞান - বোধ- অভিজ্ঞতার আদর্শ বিমূর্ত পরিসর। তাই তো তিনি পঞ্চাশের দশকের কিংবদন্তী । মৌলিক বাকপ্রতিমা নির্মান, বিশিষ্ট অন্বয়, ভাবের তীব্রতা ও নিবিড়তায় কবিতাকে স্বতন্ত্র আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাঁর কাছে গণিত ও কবিতা একই জিনিস তাই আমৃত্যু গণিত ও কবিতার দ্বারা তাড়িত হয়েছেন। গাণিতিক সৌন্দর্যের কবিতা ইউরোপ আমেরিকায় প্রসিদ্ধ হলেও এদেশে তথা বাংলা ভাষায় বিনয় মজুমদারই আগামীর দিকচিহ্ন। প্রকৃতির এ-ই নান্দনিক গাণিতিক খেলায় সমর্পিতপ্রাণ কবি বিনয় মজুমদার আনন্দ প্রভায় জ্যোতির্ময়                                                     
" কবিতা বুঝিনি আমি; অন্ধকারে একটি জোনাকি
যৎসামান্য আলো দেয়, নিরুত্তাপ, কোমল আলোক। এ-ই অন্ধকারে এ-ই দৃষ্টিগম্য আকাশের পারে অধিক নীলাভ সেই প্রকৃত আকাশ প'ড়ে আছে ----
এ-ই বোধ সুগভীরে কখন আকৃষ্ট ক'রে নিয়ে
যুগ যুগ আমাদের অগ্রসর হয়ে যেতে বলে, 
তারকা, জোনাকি --- সব ; লম্বিত গভীর হয়ে গেলে
না দেখা গহ্বর যেন অন্ধকার হৃদয় অবধি
পথ ক'রে দিতে পারে ; প্রচেষ্টায় প্রচেষ্টায় ; যেন
অমল আয়ত্তাধীন অবশেষে ক'রে দিতে পারে 
অধরা জ্যোৎস্নাকে ; তাকে উদগ্রীব মুষ্টিতে ধ'রে নিয়েবিছানায় শুয়ে শুয়ে আকাশের, অন্তরের সার পেতে পারি। এ-ই অজ্ঞানতা এ-ই কবিতায়, রক্তে মিশে আছে মৃদু লবনের মতো, প্রশান্তির আহ্বানের মতো।"          
     ---------------০০০০------------------   

  
ব্যক্তি জীবন -                                                         


কবি বিনয় মজুমদার মায়ানমারের মিকটিলা জেলার টোডো নামক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম বিপিনবিহারী মজুমদার, মায়ের নাম বিনোদিনী। তারা ছিলেন ছয় ভাই-বোন এবং তিনি ছিলেন সবার ছোট। তার ডাক নাম মংটু। "ফিরে এসো চাকা" ছিল তার অতি জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থ।

শিক্ষা জীবন 
১৯৪২ সালে তাকে বাংলাদেশের একটি স্কুলে ভর্তি করা হয়। ১৯৪৪ সালে তিনি প্রথম বিভাগে ছাত্রবৃত্তি পরীক্ষায় পাশ করেন। ১৯৪৬ সালে তাকে বৌলতলী উচ্চবিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি করা হয়। ১৯৪৮ সালে দেশভাগের সময় তারা সপরিবারে ভারতের কলকাতায় চলে আসেন। এখানে, ১৯৪৯ সালের জানুয়ারি মাসে তাকে ক্রিক রো-রতে অবস্থিত মেট্রপলিটন ইনস্টিটিউট (বউবাজার ব্রাঞ্চ)-এ নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়। প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হবার পরে, ১৯৫১ সালে আইএসসি (গণিত) পড়ার জন্য প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫৭ সালে তিনি ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়ে পাশ করেন। শোনা যায়, তার পাওয়া নম্বর আজও কেউ নাকি ভাঙতে পারেন নি। ১৯৫৭ সালে শিবপুর বি.ই.কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। ১৯৫৮ সালের জানুয়ারি মাসে, অর্থাৎ ছাত্রজীবন সমাপ্ত হবার কয়েকমাস পরেই এনবিএ থেকে প্রকাশিত হয় "অতীতের পৃথিবী" নামক একটি অনুবাদ গ্রন্থ। এই বছরেই গ্রন্থজগৎ থেকে বের হয় তার প্রথম কাব্য গ্রন্থ 'নক্ষত্রের আলোয়'। ১৯৫৩-৫৭ সাল পর্যন্ত রুশ ভাষা শিক্ষা গ্রহণ করে কিছু রুশ সাহিত্য বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেন।

কর্মজীবন 

ইঞ্জিনিয়ারিং পাশের পর চাকরি করেছেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ, ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট, ত্রিপুরা গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। 

কবি জীবন 

বৌলতলি হাই-ইংলিশ স্কুলের ম্যাগাজিনে প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়। ত্রিপুরা গভর্নমেন্ট কলেজে অল্পকিছুদিন শিক্ষকতা করার পর স্থির করেন শুধুই কবিতা লিখবেন। লেখা শুরু করেন 'ফিরে এসো চাকা'। এই সময় তিনি দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টেও কিছুদিন কাজ করেন। তখন থেকেই মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ দেখা যায়। ১৯৬৬ সালে লিখতে শুরু করেন 'আঘ্রানের অনুভূতিমালা' ও 'ঈশ্বরীর স্বরচিত নিবন্ধ'। বিশটি কাছাকাছি কাব্যগ্রন্থ লিখেছিলেন। যার মধ্যে "ফিরে এসো চাকা" তাকে সবচেয়ে বেশি খ্যাতি দিয়েছে। এছাড়াও নক্ষত্রের আলোয়, গায়ত্রীকে, অধিকন্তু,ঈশ্বরীর,বাল্মীকির কবিতা, আমাদের বাগানে, আমি এই সভায়, এক পংক্তির কবিতা, আমাকেও মনে রেখো-ইত্যাদি রচনা করেছিলেন। রহস্যময়তা, প্রতীকের সন্ধান, জড় ও প্রাণের সম্পর্কে ব্যাখ্যা ছিল তাঁর কবিতার মর্মবস্তু। এরসাথে মৌলিক প্রতিমা নির্মাণ,বিশিষ্ট অন্বয় এবং ভাবের ও আবেগের তীব্রতা নিবিড়তা স্বাতন্ত্র্য দিয়েছে.১৯৬২-৬৩ সালে বিনয় মজুমদার হাংরি আন্দোলন-এ যোগ দেন এবং তার কয়েকটি কবিতা হাংরি বুলেটিনে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীকালে, অর্থাৎ ১৯৬৩ সালের শেষ দিকে তিনি শক্তি চট্টোপাধ্যায় এবং সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়-এর কার্যকলাপে বিরক্ত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি হাংরি বুলেটিন প্রকাশ করে কলকাতা কফিহাউসে বিলি করার পর হাংরি আন্দোলন ত্যাগ করেন।

কাব্যগ্রন্থ সমূহ


নক্ষত্রের আলো (১৯৫৮)
ফিরে এসো চাকা (১৯৬২)
অঘ্রাণের অনুভূতিমালা (১৯৭৪)
বাল্মীকি কবিতা
হাসপাতালে লেখা কবিতা (সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার প্রাপ্ত গ্রন্থ-২০০৫)

মৃত্যু 

কবিতার জগতে তাঁর স্বকীয়তা এবং বিজ্ঞানে, বিশেষত গণিতে প্রগাঢ় আগ্রহ নিয়ে প্রথম থেকেই প্রথা ভেঙ্গে এগোচ্ছিলেন তিনি। ফলে সমকালীন কাব্যজগত হতে পৃথক জায়গায় ছিলেন। এর সাথে তাঁর নিজের কিছুটা অসুস্থতা ,কিছুটা সচেতন বিচ্ছিন্নতা তাঁকে কষ্ট দিয়েছে। ফলে দীর্ঘ সময় ঠাকুরনগরে নিজের বাড়িতে একা থাকতেন। ১৯৮৭ সাল নাগাদ বিনয় মানসিক ব্যাধির কারণে দীর্ঘ দিন কলকাতা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আর্থিক অনটনে ভুগেছেন। প্রতিবেশীরাই তাঁর দেখাশোনা করতেন। শেষে তিনি দীর্ঘ রোগভোগের পর ২০০৬ সালের ১১ই ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

পুরস্কার 

তাঁর মৃত্যুর কয়েক বছর আগে তাকে দুটি বড় পুরস্কার দেওয়া হয়, রবীন্দ্র পুরস্কার এবং সাহিত্য অকাদেমী পুরস্কার। 

∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆
                                          

No comments:

শুভ জন্মদিন শ্রদ্ধাঞ্জলি। পশুপতি ভট্টাচার্য । খ্যাতনামা চিকিৎসক ও সাহিত্যিক। Dt -15.11.2024. Vol -1053. Friday. The blogger post in literary e magazine

পশুপতি ভট্টাচার্য  ১৫ নভেম্বর ১৮৯১ -  ২৭ জানুয়ারি ১৯৭৮   একজন খ্যাতনামা চিকিৎসক ও সাহিত্যিক। জন্ম  বিহার রাজ্যে পিতার কর্মস্থল আরায়। তাদ...