¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥
মহালয়া
বিশেষ সংখ্যা
∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆
Doinik sabder methopath
Vol -131/A. Dt - 17.09.2020
৩১ ভাদ্র,১৪২৭. বৃহস্পতিবার
============©©©©©©=============
দেবীপক্ষের আগের কৃষ্ণপক্ষকে পিতৃপক্ষ বলা হয়।এই ১৫ দিন ধরে প্রতিদিনই পূর্বপুরুষদের তর্পণ করা যেতে পারে। প্রত্যেকদিন পিতৃকর্মের পৃথক ফলাফলের উল্লেখ রয়েছে। তবে যারা এই প্রতিদিন পিতৃকর্ম করতে পারবেন না তারা পিতৃপক্ষের শেষদিন অর্থাৎ অমাবস্যায় পার্বণ শ্রাদ্ধ করতে পারবেন।
তর্পণ নাম, গোত্র এবং মন্ত্র -এই তিনের সমন্বয়ে জলাঞ্জলি অর্পণ করতে হয়। তিল এবং জল দিয়ে তর্পণ করার রীতি রয়েছে। শাস্ত্রমতে তর্পণ এর ফলে পূর্বপুরুষরা তৃপ্ত হন এবং উত্তর পুরুষদের আশীর্বাদ করেন। স্নান করে শুদ্ধ চিত্তে তর্পণ করতে হয়। যব মিশ্রিত জলে দেবদর্পণ এবং কালো তিলমিশ্রিত জলে পিতৃ তর্পণ করা হয়।পূর্বপুরুষদের তিলচন্দন মিশ্রিত জলে তর্পণ করলে তাঁরা সব থেকে বেশি তৃপ্ত হন এবং শুভফল অর্পণ করেন।শুধুমাত্র পিতৃহীন পুত্র তর্পনের অধিকারী। পিতা বেঁচে থাকলে তর্পণ করা যায় না।পুরুষের পাশাপাশি মহিলারাও তর্পণ করতে পারেন।
এ বছর বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৬ ই সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজো।পরের দিন ১৭ ই সেপ্টেম্বর মহালয়া। ভোর থেকে বিকেল ৪ টা ৩০ পর্যন্ত তর্পণ এর সময়।
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে ১৭ ই সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজো। ওইদিনই মহালয়া। ভোর ৫ টা ২৫ থেকে বিকেল ৪ টা ৩৫ পর্যন্ত পুণ্যতর সময়। সকাল ৭ টা ৪২ থেকে দুপুর ১ টা ১৮ পর্যন্ত পুণ্যতম সময়।
মহালয়া সম্পর্কিত -
মহালয়া” কথা টি এসেছে “মহালয়” থেকে। “মহান আলয়” যা তাই মহালয়। এর অর্থ হল- সর্বশ্রেষ্ঠ আবাস। এই সর্বশ্রেষ্ঠ আবাস হলেন স্বয়ং পরমাত্মা বা ঈশ্বর । মানুষের মনে ভালো মন্দ চিত্তবৃত্তি যখন ঈশ্বরের সচ্চিদানন্দ রূপে বিলীন হয়ে যায়, তখনই কেও মহান আলয় প্রাপ্ত হল বলা যায়। অন্য মতে -
'মহালয়া ' কথাটির অর্থ কি ? অথবা, পিতৃপক্ষের অবসান লগ্ন বা দেবীপক্ষের পূর্ববর্তী অমাবস্যাকে 'মহালয়া ' বলাহয় কেন ? এই ব্যাপারে নানা মুনির নানা মত । 'মহ ' শব্দটির দুই অর্থ পাই । 'মহ ' বলতে বোঝায় পূজা, আবার 'মহ ' বলতে বোঝায় উৎসব । আবার মহালয় বলতে বোঝায় মহান + আলয় = মহালয় । তার সঙ্গে স্ত্রীকারান্ত 'আ ।মহালয় হচ্ছে পূজা বা উৎসবের আলয় বা আশ্রয় । আলয় শব্দটির একটি অর্থ হচ্ছে আশ্রয় । আন্যদিকে 'মহালয় ' বলতে , 'পিতৃলোককে ' বোঝায় -যোখানে বিদেহী পিতৃপুরুষ অবস্থান করছেন । তা যদি হয় তাহলে পিতৃলোককে স্মরণের অনুষ্ঠানই মহালয়া । কিন্তু তাহলে স্ত্রীলিঙ্গ হল কেন ? তাহলে পিতৃপক্ষের অবসানে, অন্ধকার অমাবস্যার সীমানা ডিঙিয়ে আমরা যখন আলোকময় দেবীপক্ষের আগমনকে প্রত্যক্ষ করি - তখনই সেই মহা লগ্নটি আমাদের জীবনে 'মহালয়ার ' র্ব্তা বহন করে আনে । এক্ষেত্রে স্বয়ং দেবীই হচ্ছে সেই মহান আশ্রয়, তাই উত্তরণের লগ্নটির নাম মহালয়া ।একটি অর্থ অনুসারে মহান আলয়টি হচ্ছে পিতৃলোক । সংবদ্য ও বেদান্ত দর্শন অনুসারে সমস্ত লোকের মধ্যে পিতৃলোকও একটি । এই পিতৃলোকে পিতৃ, ঋষি ও প্রজাপতিরা বাস করেন । তাঁদের সঙ্গেই পিতৃতর্পণের মাধ্যমে আমরা মানসিক ও আত্মিক সংযোগ স্থাপন করি, তাঁদেরই প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও প্রণাম নিবেদন করি । আশ্বিন মাসের এই কৃষ্ণপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনায় যে অমাবস্যাকে আমরা মহালয়া হিসেবে চিহ্নিত করি, সেই দিনটি হচ্ছে পিতৃপূজা ও মাতৃপূজার সন্ধিলগ্ন । পিতৃপূজা ও মাতৃপূজার মাধ্যমে এই দিনটিতে আমরা আমাদের এই মানব জীবনকে মহান করে তুলতে প্রয়াসী হই বলেই এই পূণ্যলগ্নটি আমাদের জীবনে বারবার মহালয়ারূপেই দেখা দেয় ।
মহালয়া এলেই বাংলার মাটি-নদী-আকাশ প্রস্তুত হয় মাতৃপূজার মহালগ্নকে বরণ করার জন্য । কাশফুল ফুটলে শরৎ আসে, না,শরৎ এলে কাশফুল ফোটে, অথবা নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা ভাসলে শরৎ আসে, না, শরৎ এলে নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা ভাসে -এসব নিয়ে বিস্তর তর্ক চলতে পারে । কিন্তু মহালয়া এলেই যে দুর্গাপূজা এসে য়ায় - তা নিয়ে তর্কের কোনও অবকাশ নেই । মহালয়া এলেই সেই দেবী -বন্দনার সুরে ধ্বনিত হয় বাংলার হৃদয়ে । দূর থেকে ভেসে আসে ঢাকের আওয়াজ । বুকের মধ্যে জাগে আনন্দ-শিহরিত কাঁপন ; এবার মা আসবেন ।
অনন্তকাল ধরে এই ভারতভূমির কোটি কোটি মানুষ মহালয়ার পুণ্যপ্রভাতে - 'ময়া দত্তেন তোয়েন তৃপ্যান্ত ভুবনত্রয়ম ' - এই মন্ত্র উচ্চারণ করে তিন গন্ডুষ জল অঞ্জলি দিয়ে স্মরণ করে চলেছেন তাঁদের বিদেহী পিতৃপুরুষ এবং তাঁদের পূর্বপুরুষকে । এই মহালয়া উপলক্ষেই গয়ায় জমে ওঠে পিতৃপক্ষের মেলা । ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত ও ভারতের বাইরে থেকে হাজার হাজার পূণ্যার্থী এই সময় গয়ায় আসেন পিতৃতর্পণ ও পিন্ডদান করতে । পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে গয় নামের এক অসুরের দেহের উপর এই মহাতীর্থ স্থাপিত । তাই এই পূণ্যভূমির নাম গয়াধাম । বায়ুপুরাণে বলা হয়েছে, যাদের এখানে (গয়ায়) সপিন্ডক শ্রাদ্ধ হবে, তারা ব্রহ্মলোক গমন করুক । সকল দেবতা ও সকল তীর্থ এখানে অবস্থান করুক । কথিত আছে, ত্রেতাযুগে শ্রীরামচন্দ্র পিতা দশরথের উদ্দেশ্যে এখানে পিন্ডদান করেণ । দশরথের প্রেতাত্না সীতাদেবীর হাত থেকে চালের অভাবে বালুকার পিন্ড গ্রহণ করেছিলেন । ফল্গুনদী, তুলসী গাছ ও অক্ষয়বট এই ঘটনার সাক্ষী ছিল । শ্রীরামচন্দ্রেই ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে যখন ফল্গুনদী ও তুলসী গাছকে প্রশ্ন করেন, তখন তারা মিথ্যা কথা বলে । ফলে সীতাদেবী তাদের অভিশাপ দেন । কিন্তু অক্ষয়বট সত্য কথা বলায়, সীতাদেবী তাকে আশীর্বাদ করেন । শুধু রামায়ণে নয়, পিতৃতীর্থ গয়ার মহিমা মহাভারতেও উল্লিখিত । ভীম পিতা শান্তনুর উদ্দেশ্যে গয়াশিরে পিন্ডদান করলে পিতা তাঁকে ইচ্ছামৃত্যু বর দিয়েছিলেন । ধর্মরাজ যুধিষ্ঠিরও স্বীয় পিতা পান্ডুর উদ্দেশ্যে এখানে পিন্ড দান করলে পিতা তাঁকে আশীর্বাদ করে বলেন, বৎস, তুমি স্বশরীরে স্বর্গগমন করতে সমর্থ হবে ।স্মরণীয় ধর্মনিষ্ঠ হিন্দুরা অন্যকোনও তীর্থে যাবেন কি যাবেন না, সেটা তাঁদের মানসিকতার ব্যপার, কিন্তু পিতৃকার্য করার জন্য সকলকেই অন্তত একবার গয়াতে যেতেই হবে । এটা একটা অবশ্যপালনীয় কর্তব্য ।
পুরাণ :
পুরাণ বলছে, যে কোনও জীবিত ব্যক্তির তিন পুরুষ পিতৃলোকে বসবাস করেন। এই পিতৃলোক স্বর্গ ও মর্ত্যের মাঝামাঝি জায়গা। ফলে এই তিন প্রজন্মকে জল দান করার প্রয়োজন পড়ে, কারণ তাঁরা কোনও একটি লোকে বসবাস করতে পারেন না। আর সেই কারণে জীবিত ব্যক্তির শেষ তিন প্রজন্মেরই শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়। সেই থেকেই তর্পণের প্রচলন। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই আত্মা স্বর্গে প্রবেশাধিকার পায় বলে চর্চিত রয়েছে।
রামায়ণ
কথিত রয়েছে, শ্রী রামচন্দ্র লঙ্কার যুদ্ধ ঘিরে দেবীকে অকাল সময় তিথিতে ,পূজা করেছিলেন। সেই বোঝন অকাল বোধন নাম পরিচিত। শাস্ত্র মতে, অকালে কোনও পুজো অনুষ্ঠান করতে গেলে, পিতৃ মাতৃ , তথা ইষ্ট দেব , দেবী, গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তর্পণ করতে হয়। আর সেই মতোই অকাল বোধনের আগে তর্পণ করেন শ্রীরামচন্দ্র। আর মহালয়ার দিনেই তা করা হয়েছিল বলে কথিত রয়েছে। কথিত রয়েছে সেই থেকেই দুর্গাপুজোর আগে মহালয়ার প্রচলন।
মহাভারতে
এদিকে রামায়ণ বাদে মহাভারতেও রয়েছে তর্পণ ঘিরে আরও এক কাহিনি। মহাভারতে বর্ণিত রয়েছে, কর্ণের আত্মা যখন স্বর্গে বসবাস করতে শুরু করে, তখন তাঁকে খাবার হিসাবে শুধু সোনা আর রত্ন দেওয়া হয়। হতবাক কর্ণ, তখন জিজ্ঞাসা করেন, এমন দ্রব্য খাবারের জন্য তাঁকে কেন দেওয়া হল। এরপর , তাঁকে জানানো হয় যে, দাতা হিসাবে কর্ণ সারা জীবন ধরে শুধুই সোনা আর রত্ন দান করেছেন। পিতৃপুরুষকে তিনি খাবার বা জল দেননি। তাই খাবার হিসাবে তিনি রত্ন আর সোনাই পাচ্ছেন।
মহলয়া ও তর্পণ
রপর কর্ণ জানান, পিতৃপুরুষ সম্পর্কে তিনি জানা ছিলনা। কারণ, শুধু যুদ্ধের আগের রাতেই তিনি মা কুন্তীর থেকে পিতা সম্পর্কে তিনি আসল তথ্য জানতে পারেন। ফলে তার আগে পর্যন্ত যে , তিনি পিতৃপুরুষকে জলদান করেননি, তা তাঁর অনিচ্ছাকৃত ভুল। সেই ভুল সংশোধন করতেই তর্পণের পরামর্শ।
কর্ণের জলদান
কথা মতো ইন্দ্রকে ১৬ দিনের জন্য মর্ত্যে গিয়ে ভুল সংশোধন করে তর্পণ করার ছাড়পত্র দেন এরপর যমরাজ। এই ১৬ টি দিনই সেই থেকে পিতৃপক্ষ নামে পরিচিত। এই তিথিতেই পূর্ব পূর্বপুরুষকে জলদান করার রীতি রয়েছে শাস্ত্রে। আর তা যদি কেউ করতে না পারেন , তাই অমাবস্যায় পিতৃপক্ষের শেষ দিনেও তর্পণ করে পূর্বপুরুষকে জলদান করা যায়।
পিতৃপক্ষ ও কিছু নিয়ম
যেহেতু এই পিতৃপক্ষের ১৬ দিন প্রেতকর্ম ও শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়, তাই মনে করা হয়, এই পিতৃপক্ষে কোনও কাজই শুভ নয়। পক্ষ কেটে গেলে যে কোনও শুভ কাজ মহালয়া থেকে করা যেতে পারে।
মহালয়ার প্রাক্ কথন :
কায়েতের ছেলে হয়ে চণ্ডীপাঠ করবে! এ কেমন কথা? এতো কানে শোনাও পাপ। সমাজ কী বলবে? লোকে ছিঃ ছিঃ করবে যে', মহালয়ার (Mahalaya) ভোরে আকাশবাণী থেকে সরাসরি চণ্ডীপাঠ করবেন বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র (Birendra Krishna Bhadra), এমনটা ঠিক হতেই নাকি রেডিও অফিসের আনাচেকানাচে গুঞ্জন তুলেছিল এই ধরনের মন্তব্য। যাঁর কাঁধে এই দায়িত্ব তিনি পর্যন্ত এই বিশ্বাসে বিশ্বাসী। মুখ কাঁচুমাচু করে, হাত কচলে তিনি আবেদন নিবেদন জানিয়েছিলেন পঙ্কজ কুমার মল্লিকের কাছে। কিন্তু পঙ্কজবাবু নাছোড়। তাঁর একটিই কথা, মহালয়ার সূর্য উঠবে বীরেন্দ্র কৃষ্ণের স্ত্রোত্রপাঠ শুনতে শুনতে। সম্প্রচারিত হবে 'মহিষাসুরমর্দিনী'। বাণী কুমারের গ্রন্থণায়। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, উৎপলা সেন, ইলা বসু, পঙ্কজ মল্লিক, সুপ্রীতি ঘোষের গানে।
সাল ১৯৩১। পঙ্কজ মল্লিকের জোরের কাছে হার মেনে মহালয়ার আগের রাতে সমস্ত শিল্পী আকাশবাণীতে। ব্রহ্ম মুহূর্তে মা দুর্গাকে স্মরণ করে স্ত্রোত্র পাঠ শুরু করলেন বীরেন্দ্রবাবু। পাঠ করতে করতে তিনি আস্তে আস্তে ডুবে যেতে লাগলেন মন্ত্রের মধ্যে। তাঁর পাঠের সঙ্গে চলছে সমস্ত শিল্পীদের কালজয়ী গান--- 'তব অচিন্ত্য রূপ জড়িত মহিমা', 'জাগো তুমি জাগো', 'বিমানে বিমানে'...। পাঠ যত এগোচ্ছে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ যেন বাহ্যজ্ঞান রহিত। একেবারে শেষ পর্বে এসে মাকে ডাকতে ডাকতে তিনি আত্মভোলা। চোখ দিয়ে, গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে শরতের শিশিরের মতো পবিত্র অশ্রুকণা। বাকিরা বাকহারা হয়ে শুনছেন সেই পাঠ। সেই সম্প্রচারণ শুনে সেযুগে গায়ে কাঁটা দিয়েছিল সমস্ত শ্রোতার। দিকচক্রবালরেখায় ভেরের সূর্য লাল আবির ছড়াতে গিয়ে থমকে গিয়েছিল উদাত্ত মা ডাক শুনে। ওমন আত্মা নিংড়ানো আকুতিতে সময়ও স্তব্ধ! আকাশে-বাতাসে তখন গমগম করছে একটাই ডাক 'আশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠেছে মঙ্গল শঙ্খ'।
পরেরদিন সবার মুখে একটাই প্রশ্ন, অমন হৃদয় নিংড়ানো চণ্ডীপাঠ করলেন কে? কেউ ভুলেও জানতে চাননি, যিনি পাঠ করলেন তিনি ব্রাহ্মণ সন্তান না কায়েতের ছেলে! ৮৭ বছর আগে জিতে গিয়েছিল পঙ্কজ মল্লিকের জেদ। ভাগ্যিস! বিধাতা পুরুষ সবার অলক্ষ্যে সেদিন নিজের হাতে লিখেছিলেন এক নয়া ইতিহাস। তাঁর আশীর্বাদে কালজয়ী হয়েছিল বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র-বাণী কুমার-পঙ্কজ মল্লিকের 'মহিষাসুরমর্দিনী'। মহালয়ার ভোর হয়েছিল কায়েতের ছেলের চণ্ডীপাঠে।
(সংগৃহীত)
÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷
No comments:
Post a Comment