∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆
জন্মদিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য
==============!!!!!!!!!!!=============
Doinik sabder methopath
Vol -160. Dt -14.10.20
২৭ আশ্বিন,১৪২৭. বুধবার
÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷√√√√√√÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷
*হৈমন্তী এখন নগ্ন। পুরো নগ্ন নয়, তার গায়ে লেগে রয়েছে জলের গুঁড়ো। তাতে নরম আলো চিক্চিক্ করছে। তাকে দেখাচ্ছে রহস্যময়ী।"আমার যা আছে’, ‘চাঁদ পড়ে আছে’, ‘এক যে আছে সাগর’। সাগর’কে নিয়ে নামকরা বেশ কয়েকটি উপন্যাসই লিখেছেন সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত। বোহেমিয়ান, রোমান্টিক, অলস কিন্তু পরোপকারী সাগর। নীললোহিত বা হিমুর উত্তরসূরি কি সে? সাগরকে নিয়ে গল্প সংকলন ‘সাগর হইতে সাবধান’ প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি।
প্রচেত গুপ্ত
১৪ অক্টোবর ১৯৬২। একজন বাঙালি সাহিত্যিক এবং সাংবাদিক। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে পরিচালক তরুণ মজুমদার তার 'চাঁদের বাড়ি' উপন্যাসটি অবলম্বনে একটি বাঙলা চলচ্চিত্র তৈরি করেন।২০১১ খ্রিষ্টাব্দে তার 'চোরের বউ' গল্পটি অবলম্বনে পরিচালক শেখর দাস 'নেকলেস' নামের একটি চলচ্চিত্র তৈরি করেন। তিনি সমকালীন বাংলা সাহিত্যের একটি পরিচিত নাম। তার কিছু গল্প হিন্দি, ওড়িয়া এবং মারাঠি ভাষাতে অনূদিত হয়েছে। তিনি বাংলা পত্রিকা যেমন 'উনিশ কুড়ি', 'সানন্দা' এবং 'দেশ'-এর নিয়মিত লেখক।
দাম্পত্য সঙ্গী ,মিত্রা গুপ্ত। সন্তান -সমুদ্র গুপ্ত.
পিতা-মাতা - ক্ষেত্র গুপ্ত (পিতা), লেখক জ্যোৎস্না গুপ্ত (মাতা)
প্রথম জীবন :
প্রচেত গুপ্তর জন্ম কোলকাতার বাঙ্গুর অ্যাভিনিউতে একটি বৈদ্য পরিবারে। তিনি বাঙ্গুর বয়েজ স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি আরম্ভ করেন। মাত্র বারো বছর বয়েসে তার প্রথম গল্প আনন্দমেলা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক হন।
সাহিত্য কর্ম :
প্রচেত গুপ্তর প্রথম উপন্যাস 'আমার যা আছে' ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে আনন্দলোক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তার প্রথম শিশুদের জন্য লেখা উপন্যাস 'লাল রঙের চুড়ি' একই বছরে আনন্দমেলায় প্রকাশিত হয়েছিল।
গ্রন্থতালিকা
আমার যা আছে
আশ্চর্য পুকুর
তিন নম্বর চিঠি
পঞ্চাশটি গল্প
শূন্য খাম
রূপোর খাঁচা
নীল আলোর ফুল
কাঞ্চনগড়ের কোকিলস্যার
চোরের বউ
চাঁদ পড়ে আছে
রাজকন্যা
প্রচেত গুপ্তর গল্প
ঝিলডাঙার কন্যা
যাদব বাবু মিথ্যে বলেন না
অপারেশন সিংহদুয়ার
শহিদ ভূপতি সেন কলোনি
চিরুনি
সুদক্ষিণা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন
প্রিয় বান্ধবীকে
কল্যাণপুরের কাণ্ড
স্বপ্নের চড়াই
রানিপুরের কাপুরুষ
আমার পরাণ যাহা চায়
দেরি হয়ে গেছে
যাবজ্জীবন
এক যে ছিল সাগর
ভাগ্যিস এমন হয় না
প্লিজ, দরজাটা খুলুন
পাখির ডাক
কোথাও নয়
জলে অঙ্ক
একটু পরে রোদ উঠবে
ছাদে কে হাঁটে
" চেষ্টা করি, মাথা না নোয়াতে। আমার সৌভাগ্য, খুব বেশি ব্যক্তিমতের অমিল হয়ে কাজ করতে হয় না। যেখানে চাকরি করি, সেখানকার নিয়ম মেনেই তো কাজ করতে হয়— সেটা প্রতিষ্ঠানের পলিসির মধ্যে। সেখানে মাথা নোয়ানো বা আপসের কোনও ব্যাপার নেই। আমি সেটা জেনেই করছি। বাই চান্স, টাকা-ক্ষমতা আমাকে টানে না। ফলে মাথা নুইয়ে লিখতেও হয় না। এই যে জগৎটা, সেটা তো একটা কেরিয়ারের জগৎ। চুটিয়ে লাফাচ্ছি, একে ল্যাং মারছি, তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিচ্ছি, অমুক-তমুক— এই পুরোটার বাইরে বেরিয়ে একটা জগতের কথা লেখার চেষ্টা করেছি। মনে হতে পারে, রূপকথার মতো! কিন্তু একটু সেনসিবিলিটি থাকলে ওই রূপকথার ভিতরটা কিন্তু পড়তে পারা যায়।
আপনার সাগর এত অসহিষ্ণুদের কীভাবে সামলাবে বলতে পারেন -
" গোটা দেশের অসহিষ্ণুতা নিয়ে সাগর পেরে উঠবে বলে আমি ঠিক জানি না! তবে সাগরের সামনে এই অসহিষ্ণুতা কিন্তু বার বার নানা ফর্মে এসেছে। সাগর তো আর মিটিং-মিছিল করতে পারবে না! সময় এলে হয়তো সেটাও করতে পারে সে! নিজে প্রচুর রাজনৈতিক উপন্যাস লিখেছি। কিন্তু কেউ রাজনৈতিক কোনও কিছুতে সই করতে বললে বা বিবৃতি দিতে বললে বলে দিই, যে এটা আমার কাজ নয়। তবে আমার মনে হয়, যারা এই অসহিষ্ণুতার চক্রী, তারা যদি নিজেদের বাড়িতে এই অসহিষ্ণুতা দেখতে পেত, তাহলে বোধহয় বুঝত জিনিসটা কত কঠিন!
আমার নিজের মনে হয়, আমি যখন লিখি, তখন কেন লিখছি, এই প্রশ্নটা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। লিখতে বসলাম কেন, বা এরকম একটা গল্প আমি ভাবলাম কেন, অমুক লাইনটা লিখলাম কেন, এটা নিয়ে আমি ভাবি। হয়তো লিখে মনে হল, কমবয়সি পাঠকপাঠিকাদের হয়তো গল্পটা বেশি ভাল লাগবে... কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখলাম একজন আশি বছর বয়সি মানুষ এই গল্পটারই খুব প্রশংসা করলেন। এতে আমি যে খুব খুশি হলাম তাও নয়। আমার মনে হতে লাগল, উনি পড়বেন জানলে আমি তো বিষয়ের আরও একটু গভীরে ঢোকার চেষ্টা করতাম। আবার উলটো ঘটনাও ঘটেছে। ফলে জনপ্রিয় হয়ে যাওয়ার পর সাবধান হয়ে যাওয়া, এরকম ঘটনা একেবারেই ঘটেনি। আমি স্মরণজিতের সঙ্গে একেবারে একমত যে, সাবধান হওয়ার তো কোনও জায়গাই নেই। কারণ, কিছুই আমাদের হাতে নেই..."
No comments:
Post a Comment