∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆
"যদি আমি ঝরে যাই একদিন কার্তিকের নীল কুয়াশায়’ হেমন্ত আসে চুপি চুপি। ‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে’ বলে কোনও কবি খবর জানান নি হেমন্তের। কাতির্ক আর অগ্রহায়ণ দু’টি মাস পেলেও হেমন্ত বড়ই নিশ্চুপ আর সংক্ষিপ্ত ঋতু। শুরুটা মিশে থাকে শরতের উষ্ণ-উজ্জ্বলতায়; শেষটা চলে যায় শীতের শরীরে। ষড়ঋতুর বাংলাদেশে তাই হেমন্তকে টের পাওয়া যায় না খুব একটা। মানুষ ও প্রকৃতিকে আলগোছে ছুঁয়ে দিয়ে হেমন্ত আসে, আবার চলেও যায়। গরম ও বর্ষাই মূলত ছেয়ে থাকে জীবনের সবটুকু। বছরের শেষে দিয়ে যায় খানিকটা শীতের পরশ। বাকী ঋতুগুলো প্রকৃতিতে নয়, অনাদরে মুখ গুজে পড়ে থাকে ক্যালেন্ডারের ধূসর পাতায়। গ্রীষ্ম, বর্ষা এবং কিছুটা শীত ছাড়া শরৎ, হেমন্ত আর বসন্তকে চরমভাবে পাওয়া যায় না পরিবর্তমান বাংলাদেশের প্রকৃতি ও পরিবেশে। প্রকৃতির মতো সাহিত্যেও অনাদৃত হেমন্ত। যদিও বাংলা ভাষার কবি ও সাহিত্যিকরা ঋতু আর প্রকৃতি বন্দনায় সিদ্ধহস্ত, তথাপি হেমন্ত নিয়ে নেই তেমন কোনও কাব্যিক বহিঃপ্রকাশ। ব্যতিক্রম জীবনানন্দ দাশ। তিনি হেমন্তকে নানাভাবে দেখেছেন। ব্যবহার করেছেন তাঁর এমন কবিতায় অনেক শব্দ, যা হেমন্তের সমার্থক। জীবনানন্দকে বলাও হয় ‘ধূসর ঋতু হেমন্তের কবি’। তাঁর আরেকটি পরিচিতি হলো ‘নির্জনতম কবি’। বলেছেন, ‘যখন ঝরিয়া যাবো হেমন্তের ঝড়ে পথের পাতার মতো তুমিও তখন আমার বুকের ‘পরে শুয়ে রবে। ’ জীবনানন্দ তাঁর কবিতায় ‘নবান্ন’, ইদুঁর’, ‘শালিক’, ‘লক্ষ্মীপেঁচা’, ‘নির্জন স্বাক্ষর’, কার্তিকের নীল কুয়াশায়’ ইত্যাদি শব্দ ও উপমা এমন যুৎসইভাবে প্রয়োগ করেছেন যে, তাঁর কবিতা পাঠে হেমন্তের সমগ্র আবহ মানসপটে চলে আসে। কবি নিজেও ভারাক্রান্ত আবেগে উচ্চারণ করেছেন, ‘যদি আমি ঝরে যাই একদিন কার্তিকের নীল কুয়াশায় যখন ঝরিছে ধান বাংলার ক্ষেতে-ক্ষেতে ম্লান চোখ বুজে যখন চড়াই পাখি কাঁঠালীচাপাঁর নীড়ে ঠোটঁ আছে গুজে যখন হলুদ পাতা মিশিতেছে খয়েরী পাতায় যখন পুকুরে হাঁস সোঁদা জলে শিশিরের গন্ধ শুধু পায় শামুক গুগলিগুলো পড়ে আছে শ্যাওলার মলিন সবুজে- । ’ হেমন্ত মানেই নবান্নের আমেজ। ছবি: সংগৃহীত হেমন্তের সঙ্গে আরো অনেক উপমার সারিতে বিশেষ ও অঙ্গাঙ্গী জড়িয়ে আছে নতুন ধানের উৎসব ‘নবান্ন’। মাঠ ভর্তি ধানের পাশাপাশি গাছ ভর্তি হয়ে থাকে চালতা আর কামরাঙা। নারকেলও প্রচুর পাওয়া যায়। নতুন ধানের চাল দিয়ে নারকেল সহযোগে নানা পিঠা, পুলি হেমন্তের অনুসঙ্গ, যা শীতেও বহাল থাকে। শিউলি, কামিনী, গন্ধরাজ, মল্লিকা, দেবকাঞ্চন, হিমঝুরি, ধারমার, রাজঅশোক ফুল পূর্ণতায় ভরিয়ে দেয় প্রকৃতি ও পরিবেশ। নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ায় পাখির কল-কাকলি আর ফুলের সৌরভে মাতোয়ারা হৈমন্তি দিনগুলো চিরায়ত বাংলার রূপ, রস ও সৌরভ সঞ্চিত সম্পদ। গ্রাম-বাংলায় হেমন্ত নিয়ে এসেছে জীবনের উল্লাস। মাঠে মাঠে ফসলের সমারোহ। ধান কাটার আয়োজন। কুয়াশা মোড়া হেমন্ত। ছবি: সংগৃহীতনতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধে জীবন জেগে উঠে কার্তিকে, এবং তারপর অগ্রহায়ণে, হেমন্তে। শুরু হয় আত্মীয় বাড়ি বেড়ানোর পালা। মেয়ে, বৌদের ‘নাইয়ব’ যাওয়ার ধুম লাগে এ সময়ে। মেলা, পার্বণ, উৎসবে ছেয়ে যায় চিরায়ত গ্রাম-বাংলা। শাশ্বত গ্রামীণ ঐতিহ্যও তখন নবপ্রাণ পায়। পিঠা, পুলির সঙ্গে নানা ধরনের গ্রামীণ খাদ্য ও সামগ্রী, কুটির শিল্পজাত দ্রব্যাদিতে ভরপুর হয়ে যায় গ্রাম্য মেলা আর হাট-বাজারগুলো। মাছ ধরার আয়োজনও চলে তখন। গ্রীষ্মের খরতাপ আর শীতের তীব্রতাহীন জীবন-যাপন মোহনীয় আলো-ছায়ার মায়ায়-মায়ায় বয়ে চলে যায় অমরাবতীর অমৃতলোকে। শরতের শিশির বিন্দুগুলো হেমন্তে এসে যৌবন লাভ করেছে। কুয়াশার হাল্কা বুনন ভারী হয়েছে এই ঋতুতে। আজ কার্তিকের নতুন হৈমন্তি সকালে মনে হচ্ছে, ভোরগুলো ভেসে এসেছে অনেক অনেক দূর থেকে, শিশির মেখে, কুয়াশা চাদর জড়িয়ে। তাপহীন মায়াবী আলোর ভোর স্বাগত জানাচ্ছে প্রতিটি নতুন দিনকে। হেমন্তে ধান কাটার উৎসব। সন্ধ্যাগুলো খুব তাড়াতাড়ি চলে যেতে চাইছে রাতের কোলে। দিন ও রাত্রির প্রহরে প্রহরে হেমন্ত এঁকে দিচ্ছে প্রকৃতির নিজস্ব বৈভব ও স্বাতন্ত্র্য। মখমল মসৃণ হাওয়ার স্বিগ্ধতায় জুড়িয়ে দিচ্ছে সকলের মন-প্রাণ। প্রকৃতি বড় বেশি মায়াবী রূপ লাভ করেছে হেমন্তে। গ্রীষ্মের রূঢ়তা নেই, নেই শীতের আড়ষ্ঠতা, মাঝামাঝি এক অনির্বচনী পুলক স্পর্শ দিয়ে যাচ্ছে মানুষের দেহে ও চৈতন্যে। জাগাচ্ছে স্বর্গীয় অনুভূতি। যান্ত্রিক নগর-জীবনের অন্তঃহীন দুর্ভোগের নৈমিত্তিক অভিজ্ঞতা শেষে ক্ষুদ্র-বদ্ধ প্রকোষ্ঠের বন্দি প্রাত্যহিকতায় হেমন্তের সুধারস কি করে পান করা যাবে? অথচ চারপাশে বয়ে যাচ্ছে জীবনের আনন্দধ্বনি ও মঙ্গলালোক। প্রতিটি দিন, প্রতিটি মাস, প্রতিটি ঋতু নব-নব পত্র-পুষ্প-পত্রালী সাজিয়ে প্রকৃতির বরণ-ডালায় ডাকছে আমাদের। সুন্দর বেঁচে থাকার জন্য সেখানে যে আমাদের যেতেই হবে। কবি হৃদয়ের গোপন ভালোবাসার আর্তি এই হেমন্ত ঋতু। তাই কেবল জীবনানন্দের কাব্যেই হেমন্ত পেয়েছে শীর্ষস্থান। তাঁর প্রতিটি কবিতায় রূপায়িত হয়েছে হেমন্তের অপরূপ বৈশিষ্ট্য_ শিশিরের শব্দ, শিশিরের জল, শিশিরের ঘ্রাণ, ধূসর কুয়াশা, মেটে জোছনা, মাঠ পাড়ের গল্প, বিষণ্নতার ঋতু। তাই তো কবির ভাষায় বলতে হয়_ "অঘ্রাণ এসেছে আজ পৃথিবীর বনে সে সবের ঢের আগে আমাদের দুজনের মনে হেমন্ত এসেছে তবু।' হেমন্ত বিষণ্নতার ঋতু, তারপরও হেমন্ত ধরিত্রীর অন্তরঙ্গ সহচরী। হেমন্ত ভরে তোলে গৃহভা-ার। কবির চোখে হেমন্ত শস্যের ঋতু, তৃপ্তির ঋতু। কবির ভাষায়_ হেমন্তের ধান ওঠে ফলে দুই পা ছড়ায়ে বোসো এইখানে পৃথিবীর কোলে।' এমনকি জীবনানন্দ ছাড়া আর কে উচ্চারণ করতে পারেন এমন কথা? যখন তিনি বলেন_ যখন ঝরিয়া-যাবো হেমন্তের ঝড়ে পথের পাতার মতো তুমিও তখন আমার বুকের 'পরে শুয়ে রবে?' এমন কথা যেন জীবনানন্দকেই মানায়। ব্যক্তিজীবনে মোহহীন এক মানুষ বিষণ্নতা, রিক্ততা ছাড়া আর কী-ই বা পেয়েছেন। বাংলা কবিতার বিপুল ভা-ার থেকে তুলে আনা পঙ্ক্তিমালা পর্যালোচনা করলেই দেখা যাবে, হেমন্তকে কবিতার ঋতু করে তুলেছেন একান্তভাবে জীবনানন্দ। তাঁর কবিতায় 'ধান কাটা', 'নবান্ন', 'ইঁদুর', 'শালিক', 'লক্ষ্মীপেঁচা', 'নির্জন স্বাক্ষর', 'কার্তিকের নীল কুয়াশায়' প্রভৃতি শব্দ ও শব্দবন্ধ হেমন্তের চিত্র এমনভাবে তুলে ধরে যে, জীবনানন্দ পাঠ করলে যেন পুরো হেমন্তের চিত্রই ফুটে ওঠে। সেখানে দেখতে পাই_ হেমন্তে বাংলার ঘরে ঘরে আশ্বিনের ভাত কার্তিকে খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। আশ্বিনের শেষদিন রান্না করা ভাত রাতে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখা হয় কার্তিকের প্রথম দিন খাওয়ার জন্য। এটা গ্রামবাংলার এক ধরনের সংস্কৃতি। একটি প্রবাদ আছে, 'আশ্বিনের ভাত কার্তিকে খায়, যেই বর মাঙ্গে সেই বর পায়।' এই চিরাচরিত নিয়মের মধ্য দিয়ে স্বাগত জানানো হয় হেমন্তকে। কবি স্বাগত জানান তার কাব্যসম্ভার সহযোগে। শরতের মন্দমধুর হাওয়া, কাশের গুচ্ছ, সাদা জোছনার পালে ভাসতে ভাসতে আসে হেমন্ত। তবে অনেকেই হেমন্তকে রিক্ততার ঋতু বলে থাকেন। কার্তিক-অগ্রহায়ণ দুই মাস ঋতুকন্যার দুঃখঝরা দিন। কারণ হেমন্তের শুরু কার্তিক মাস ফসল তোলার পূর্ব মাস। যার কারণে কৃষকের ঘরে খানিকটা অভাব থাকে বৈকি। আর তাই এই কার্তিককে 'মঙ্গার মাস' বলেও অনেকে আখ্যায়িত করেন। কিন্তু কার্তিকের শেষক্ষণে হরিৎ শস্যক্ষেত্র ধীরে ধীরে হরিদ্রাবর্ণ ধারণ করে। চাষির চোখের স্বপ্ন একেকটি ধানের গোছা পাকা ধানের ভারে যেন নুয়ে পড়ে। তখন প্রকৃতির শোভা অপরূপ সুন্দর দেখায়। কবি বলেন_ 'হেমন্ত ফুরায়ে গেছে পৃথিবীর ভাঁড়ারের থেকে: কোথাও বা সৃষ্টির অন্ধকার রহস্যের সঙ্গে বিজড়িত করেছেন তাকে : আজকে মানুষ আমি তবুও তো-সৃষ্টির হৃদয়ে হৈমন্তিক স্পন্দনের পথের ফসল।' অগ্রহায়ণের প্রথম দিন থেকে ধান কাটার মৌসুম শুরু হয়। গ্রামের ঘরে ঘরে ফসল তোলার আনন্দ। নতুন ধানের গন্ধে অন্যরকম আবহাওয়া বইতে থাকে। ধান ভানার গান ভেসে বেড়ায় বাতাসে, ঢেঁকির তালে মুখর হয় বাড়ির আঙিনা। নবান্ন আর পিঠেপুলির আনন্দে মাতোয়ারা হয় সবাই। ঋতুকন্যা হেমন্তে গ্রীষ্ম ও শরতের প্রকৃতি ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। কঠিন সূর্য বনভূমি ও জলাধারে তাপ বিকিরণ প্রত্যাহার করে নেয়। মধুর বাতাস ও সবুজ বনানী ক্রমেই ভিন্ন রূপ ধারণ করে। যৌবনের জলতরঙ্গ নৃত্যময় হয়ে উঠে হেমন্ত সমীরণে। হেমন্ত আসে, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। প্রকৃতি ঝরাপাতার গান শোনাতে থাকে। ফসলের মৃত্যু ঘোষিত হলেও প্রকৃতির গালিচায় বাদামি, লাল, সোনালি পাতার রাশি। ঝরাপাতার শব্দ ও হেমন্তের রং প্রাণিত করে কবিদের। শুষ্ক কঠিন প্রকৃতির পরিপূর্ণ রিক্ততা ও দিগন্তব্যাপী সুদূর বিষাদের প্রতিমূর্তি নিয়ে নিঃশব্দ চরণে হেমন্তের যেমন আগমন ঘটে তেমনি বাঙালির ঘরে ঘরে সোনার ফসল দান করে রিক্ততার মধ্য দিয়ে শিশিরের মত নিঃশব্দ চরণে বিদায়ও গ্রহণ করে এই ঋতু। জীবনানন্দের ভাষায়_ আমি সেই সুন্দরীরে দেখে লই-নুয়ে আছে নদীর এ পাড়ে বিয়োবার দেরী নাই- রূপ ঝরে পড়ে তার শীত এসে নষ্ট করে দিয়ে যাবে তারে।' হেমন্তের পরিণতি শীতের আগমনী গান। কুয়াশার চাদরে ঢাকা বাংলার আরেক ঋতু শীতের দরজা খুলে দিয়ে আসে হেমন্তের বিদায়ের পালা। আর হেমন্তের দুঃখঝরা দিনে কেবলি মনে পড়ে জীবনানন্দকে। জীবনানন্দ হয়তো গভীরভাবে অবলোকন করেছেন হেমন্তকে। কবিমন যেহেতু সংবেদনশীল; সেহেতু অপরাপর কবিদেরও আগ্রহের কারণ হয়েছে হেমন্ত। হেমন্তের রাতে শীতের ঘুমের থেকে এখন বিদায় নিয়ে বাহিরের অন্ধকার রাতে হেমন্তলক্ষ্মীর সব শেষ অনিকেত অবছায়া তারাদের সমাবেশ থেকে চোখ নামায়ে একটি পাখির ঘুম কাছে পাখিনীর বুকে ডুবে আছে,- চেয়ে দেখি;- তাদের উপরে এই অবিরল কালো পৃথিবীর আলো আর ছায়া খেলে-মৃত্যু আর প্রেম আর নীড়। এ ছাড়া অধিক কোনো নিশ্চয়তা নির্জন্তা জীবনের পথে আমাদের মানবীয় ইতিহাস চেতনায়ও নেই;- (তবু আছে।) এমনই অঘ্রাণ রাতে মনে পড়ে-কত সব ধূসর বাড়ির আমলকীপল্লবের ফাঁক দিয়ে নক্ষত্রের ভিড় পৃথিবীর তীরে-তীরে ধূসরিম মহিলার নিকটে সন্নত দাঁড়ায়ে রয়েছে কত মানবের বাষ্পাকুল প্রতীকের মতো- দেখা যেত; এক আধ মহূর্ত শুধু;- সে অভিনিবেশ ভেঙ্গে ফেলে সময়ের সমুদ্রের রক্ত ঘ্রাণ পাওয়া গেল;- ভীতিশব্দ রীতিশব্দ মুক্তিশব্দ এসে আরো ঢের পটভূমিকার দিকে দিগন্তের ক্রমে মানবকে ডেকে নিয়ে চ’লে গেল প্রেমিকের মতো সসম্ভ্রমে; তবুও সে প্রেম নয়, সুধা নয়,- মানুষের ক্লান্ত অন্তহীন ইতিহাস-আকুতির প্রবীণতা ক্রমায়াত ক’রে সে বিলীন? আজ এই শতাব্দীতে সকলেরি জীবনের হৈমন্ত সৈকতে বালির উপরে ভেসে আমাদের চিন্তা কাজ সংকল্পের তরঙ্গকঙ্কাল দ্বীপসমুদ্রের মতো অস্পষ্ট বিলাপ ক’রে তোমাকে আমাকে অন্তহীন দ্বীপহীনতার দিকে অন্ধকারে ডাকে। কেবলি কল্লোল আলো-জ্ঞান প্রম পূর্ণত্র মানবহৃদয় সনাতন মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে- তবু- ঊনিশ শো অনন্তের জয় হয় যেতে পারে, নারি, আমাদের শতাব্দীর দীর্ঘতর চেতনার কাছে আমরা সজ্ঞান হয়ে বেঁচে থেকে বড়ো সময়ের সাগরের কূলে ফিরে আমাদের পৃথিবীকে যদি প্রিয়তর মনে করি প্রিয়তম মৃত্যু অবধি;- সকল আলোর কাজ বিষণ্ন জেনেও তবু কাজ ক’রে- গানে গেয়ে লোকসাধারণ ক’রে দিতে পারি যদি আলোকের মানে। ∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆ |
No comments:
Post a Comment