শরৎচন্দ্র পণ্ডিত ( দাদা ঠাকুর)
"জেলা বীরভূম রামপুরহাট মহকুমার নলহাটি থানার এলাকায় ধর্মপুর নামে একটি পল্লীগ্রাম আছে৷ ধর্মপুর কাশিমবাজারের দানশীলা রাণী আন্নাকালী দেবীর মহালের অন্তর্গত৷ রাণীমা উক্ত ধর্মপুরের "পণ্ডিত" উপাধিধারী রাঢ়ীশ্রেণী ব্রাহ্মণ বংশের এক গৃহস্থকে গ্রামখানি পত্তনী বন্দোবস্ত দেন৷..
(সেরা মানুষ শরচ্চন্দ্র )
পারিবারিক বিবাদের ফলে শরচ্চন্দ্রের পিতামহ ঈশানচন্দ্র পণ্ডিত তাঁর সাতপুরুষের ভিটেমাটি ত্যাগ করে মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গীপুর মহকুমার দফরপুরে এসে বসবাস শুরু করেন৷ এই দফরপুরই শরচ্চন্দ্রের পৈতৃক বাসস্থান৷
শরচ্চন্দ্র মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গীপুর মহকুমার দফরপুর গ্রামে বাস করতেন। তাঁর জন্ম মাতুলালয়ে বীরভূম জেলার নলহাটি থানার অন্তর্গত সিমলাদ্দি গ্রামে ১৮৮১ সালে ২৭ এপ্রিল । পিতা দরিদ্র ব্রাহ্মণ হরিলাল পণ্ডিত। শৈশবেই তিনি পিতা-মাতাকে হারান। কিন্তু তাঁর পিতৃব্য রসিকলাল তাঁকে কোনদিনই তাঁদের অভাব বুঝতে দেন নি। তাঁর স্নেহ-ভালবাসা বেড়ে ওঠা দরিদ্র পরিবারের সন্তান শরচ্চন্দ্র জঙ্গিপুর হাইস্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাশ করে বর্ধমান রাজ কলেজে এফ.এ. ক্লাসে ভর্তি হন কিন্তু আর্থিক কারণে পড়া শেষ করতে পারেননি।
"আমার ছাপাখানার আমিই প্রোপাইটর, আমি কম্পোজিটর, আমি প্রুফ রিডার, আর আমিই ইঙ্ক-ম্যান। কেবল প্রেস-ম্যান আমি নই। সেটি ম্যান নয় - উওম্যান অর্থাৎ আমার অর্ধাঙ্গিনী। ছাপাখানার কাজে ব্রাহ্মণী আমাকে সাহায্য করেন, স্বামী-স্ত্রীতে আমরা ছাপাখানা চালাই।"
পণ্ডিত প্রেস' ছাপাখানা সম্পর্কে বলেছেন । মাত্র ২১ বৎসর বয়সে ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে 'হস্তচালিত ছাপাখানাটি রঘুনাথগঞ্জে স্থাপন করেন। তাঁর একক প্রচেষ্টায় 'জঙ্গীপুর সংবাদ' নামে একটি সাপ্তাহিক সংবাদপত্র প্রকাশ করতে থাকেন। এই পত্রিকা বাংলার বলিষ্ঠ মফস্বল সাংবাদিকতার প্রথম উদাহরণ। পণ্ডিত প্রেসে তিনিই ছিলেন কম্পোজিটর,প্রুফ রিডার, মেশিনম্যান। সমস্ত কিছুই একা হাতে করতেন।
আশ্চর্য প্রতিভার অধিকারী ছিলেন তিনি।
প্রাক স্বাধীনতার সময় কলকাতার রাস্তায় গান গেয়ে 'বোতল পুরান' পুস্তিকাটি ফেরি করতে গেলে ব্রিটিশ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে আসে, তাদের জন্য তৎক্ষণাৎ বানিয়ে ইংরেজিতে গান ধরলেন তিনি।
" আই অ্যাম কামিং ফ্রম মুর্শিদাবাদ
বাট নট ফ্রম বারহাম্ পোর,
হ্যাড আই কাম ফ্রম দ্যাট ভেরি প্লেস
অল মাইট হ্যাভ শাট্ আপ দ্য ডোর,
দে মাইট হ্যাড থট্ দ্যাট্ হ্যাভ কাম
ফ্রম দ্য ফেমাস অ্যাসাইলাম,
আই অ্যাবোড ইন সাচ এ প্লেস
হুইচ ইজ নাউ ইন ফুল ডিসট্রেস্। ....
দ্য ম্যজিস্ট্রেট হ্যাজ ইন্ডেন্টেড মি
টু এন্টারটেন্ ইওর এক্সেলেন্সি।_"
"বিদুষক'পত্রিকা তাঁর সম্পাদনায়়় প্রকাশিত হতো নিজের রচিত নানা হাসির গল্প ও হাস্য কৌতুক। কলকাতার রাস্তায় দাঁড়িয়ে নিজের হাতে পত্রিকাগুলো তিনি দিল্লি করতেন অথবা বিক্রি করতেন। পরিচিত মহলে তাঁর নাম "দাদা ঠাকুর".
হিন্দি ও ইংরেজিতেও কাব্য লিখেছেন তিনি। তার ব্যাঙ্গাত্বক কবিতাগুলি ছিল সমাজের অত্যাচারী কুপ্রথার বিরুদ্ধে জলন্ত প্রতিবাদ স্বরূপ। স্বয়ং নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু তাকে শ্রদ্ধা করতেন।
সম্মান ও স্বীকৃতি
তাঁর জীবন নিয়ে ৬০ এর দশকে একটি ছায়াছবি নির্মিত হয়েছে দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্র পণ্ডিতের জীবিতকালে। নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ছবি বিশ্বাস। এছাড়া অন্যান্য শিল্পীরা হলেন ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জী, সুলতা চৌধুরী ও তরুণ কুমার। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্যে ছবি বিশ্বাস জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন।তাঁর প্রথম পূর্ণাঙ্গ জীবনী রচনা করেছেন হাসির গানের লেখক এবং গায়ক নলিনীকান্ত সরকার। বইটির নাম ‘দাদাঠাকুর’। আরও অনেকের স্মৃতিতে ধরা আছে তাঁর ছবি। উল্লেখযোগ্য একটি বই লিখেছেন তরুণ চক্রবর্তী— ‘কথাসাগরেষু’। ধরা–বাঁধা জীবনী নয়। জীবনপঞ্জি ছড়িয়ে আছে ইতস্তত কিন্তু প্রধানত সঙ্কলিত হয়েছে দাদাঠাকুর সম্পর্কে অজস্র কাহিনি। সেই সঙ্গে তাঁর বিদগ্ধ শব্দ–খেলা এবং সরসোক্তি অর্থাৎ ইংরেজিতে যাকে বলে ‘পান’ (Pun) এবং ‘উইট’ (Wit)— এই দুইয়ের সমন্বয়ে তাঁর স্মরণীয় বাক্–কলা উঠে এসেছে বইটিতে। এখানেই বইটির প্রধান আকর্ষণ। সঙ্গে আছে দাদাঠাকুরের চরিত্রের তেজদীপ্ত প্রসন্নতার ঝলক। তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়বার একটি কারণ অবশ্য ছিল কলকাতা বেতার–কেন্দ্রের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘকালের সম্পর্ক। সেই সূত্রে নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়, রাইচাঁদ বড়াল, কাজী নজরুল ইসলাম, পঙ্কজকুমার মল্লিক, বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র ছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠজন। প্রমথনাথ বিশী তাঁকে বলেছিলেন এ যুগের শ্রেষ্ঠ হিউমারিস্ট। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সমকালের সাহিত্যিক এবং সঙ্গীতশিল্পীদের সঙ্গে তাঁর ছিল সমানে–সমানে বন্ধুত্ব। ভাষার ওপর ছিল অসাধারণ দখল। যে কোনও আড্ডায় ছিলেন মধ্যমণি। সে গল্প সবারই জানা— শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘দাদাঠাকুর’–কে দেখে বললেন— এই যে ‘বিদূষক শরৎচন্দ্র’। দাদাঠাকুর–এর উত্তর ছিল— এই তো দেখছি ‘চরিত্রহীন শরৎচন্দ্র’।
তিনি চটি বা জুতো পায়ে দিতেন না। হওড়া স্টেশন থেকে নগ্নপদে— নিজেকে বলতেন খলিফা (খালি পা)— হেঁটে আসতেন তখনকার বেতার–কেন্দ্র গর্স্টিন প্লেসে। প্রশ্নটি এখানেই, বিলাসবর্জন করবার সঙ্গে পায়ে চটি না পরার কি সত্যিই সম্পর্ক আছে? খালি পায়ে শহরে–বাজারে পথচলা স্বাস্থ্যসম্মত নয়.
মৃত্যু ২৭ এপ্রিল ১৯৬৮ (বয়স ৮৭)
জঙ্গীপুর, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ .
==============={=================
প্রবোধচন্দ্র সেন
জন্ম ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৭ শে এপ্রিল অবিভক্ত বাংলার বর্তমানে বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমার চুলতা গ্রামে। পিতার নাম হরদাস সেন ও মাতার নাম স্বর্ণময়ী সেন। তাঁর প্রাথমিক পড়াশোনা গ্রামের পাঠশালা ও স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তারপর তাঁর স্কুল ও কলেজ জীবন অতিবাহিত হয় কুমিল্লা শহরে। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে সিলেটের মুরারিচাঁদ কলেজ থেকে ইতিহাসে অনার্সে নিয়ে বি.এ পাশ করেন। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে এম.এ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে স্বর্ণপদক লাভ করেন। এম.এ পাশের পর তিনি রামকৃষ্ণ গোপাল ভাণ্ডারকর ও পরে হেমচন্দ্র রায়চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে প্রাচীন বাংলার ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করেন। তাঁর ইতিহাস প্রীতির মূলে ছিল স্বদেশপ্রেম। ছাত্রাবস্থায় তিনি অনুশীলন সমিতির সদস্য ছিলেন। রাজদ্রোহী সন্দেহে ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে বৃটিশ সরকার তাঁকে গ্রেফতার ও কারারুদ্ধ করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে অন্যান্য কারাবন্দীদের সাথে ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে মুক্তি পান। ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে প্রবোধচন্দ্র সেন কর্মজীবন শুরু করেন খুলনার হিন্দু একাডেমী (বর্তমানে দৌলতপুর কলেজে) ইতিহাস ও বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপনা দিয়ে। দীর্ঘ দশ বৎসর অধ্যাপনার শেষে ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে তিনি কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আহ্বানে বিশ্বভারতী বিদ্যাভবনে রবীন্দ্র-অধ্যাপক পদে যোগদান করেন। ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হলে তিনি বাংলা বিভাগের প্রধান হন। ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রজন্মশতবার্ষিক উৎসবকালে রবীন্দ্রভবনের প্রথম রবীন্দ্র-অধ্যাপক ও অধ্যক্ষ হন। ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে অবসরগ্রহণ করার পর বিশ্বভারতীর সম্মানসূচক এমেরিটাস অধ্যাপক হন।
তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য ছন্দ বিষয়ক গ্রন্থগুলি হল - বাংলা ছন্দের রবীন্দ্রনাথের দান, ছন্দ গুরু রবীন্দ্রনাথ। ছন্দ পরিক্রমা। ছন্দ জিজ্ঞাসা। বাংলা ছন্দ সমীক্ষা। বাংলা ছন্দ চিন্তার ক্রমবিকাশ। ছন্দ সোপান ।বাংলা ছন্দ সাহিত্য। বাংলা ছন্দের রূপকার রবীন্দ্রনাথ। নতুন ছন্দ পরিক্রমার। বাংলা ছন্দ শিল্প ও ছন্দচিন্তা অগ্রগতি।।
বাংলা ছন্দের বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা ও পরিভাষা রচনা করে রবীন্দ্রনাথ প্রদত্ত ছান্দসিক অভিধা প্রাপ্ত হন তিনি। এমনকি রবীন্দ্রনাথের ছন্দ গ্রন্থটি সম্পাদনা করে তিনি বিদগ্ধ মহলে সমাদৃত হয়েছেন । এছাড়া ইতিহাস শিক্ষা সমাজ বাংলা সাহিত্য রবীন্দ্র সাহিত্য বিষয়ে তাাঁর অবদান উল্লেখযোগ্য।
ভারতীয় ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য - বাঙলার হিন্দু রাজত্বের শেষ মুখ। রামায়ণ ও ভারত সংস্কৃতি, ভারতাত্মা মহাকবি কালিদাস ,বাংলার ইতিহাস সাধনা গ্রন্থগুলি। তিনি ভারতাত্মা মহাকবি কালিদাস গ্রন্থের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রদত্ত বঙ্কিমচন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। তাাঁর বাংলার ইতিহাস সাধনাা গ্রন্থটি
বাংলা ভাষায় হিস্টিরিয়োগ্রাফির আকর গ্রন্থ।
রবীন্দ্রনাথ বিষয়ক তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ -"ভারত পথিক রবীন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা চিন্তা ভারতবর্ষের জাতীয় সংগীত ইচ্ছামন্ত্রের দীক্ষাগুরু রবীন্দ্রনাথ প্রভৃতি.।
ইতিহাসের পটভূমিতে রবীন্দ্রসাহিত্যের আলোচনা নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করে এদিক থেকে তিনি যথার্থ রবীন্দ্র বিষয়ক গবেষক।
তথাগত বুদ্ধ দেব ও তার বৌদ্ধ ধর্ম ও সংস্কৃতির প্রতি অনুরাগ ও শ্রদ্ধায় তিনি যে গ্রন্থগুলো রচনা করেছিলেন তা স্বদেশ প্রেম মানবপ্রেম এর সমন্বয় অবিস্মরনীয় -ধর্মবিজয়ী অশোক ও ধম্মপদ পরিচয় গ্রন্থ দুটি।
আধুনিক বাংলা ছন্দ প্রবন্ধে গদ্য কবিতার ভাষা সম্বন্ধে তিনি সুস্পষ্ট বক্তব্য রেখেছেন -"গদ্য কবিতার ভাষাকে বলা যায় স্পন্দমান গদ্য । অসাধারণ গদ্য হচ্ছে নিস্পন্দ গদ্য অবশ্যই একেবারে স্পন্দনহীন নয় তবে স্পন্দন পরায়নতা সাধারন গদ্যর বৈশিষ্ট্য নয় বলেই তাকে নিস্পন্দ বলা যায় যেমন জগতের কোনো বস্তুই একেবারেই তাহসীন নয় তথাপি যেসব বস্তুর তাপ আমাদের অনুভূতিতে ধরা পড়েনা সেগুলিকে আমরা তাপহীন বলেই গণ্য করি।"
এমনই প্রবন্ধ রচনায় যার স্বাতন্ত্র্য বৈদগ্ধ্যে ও পরিবেশনার নৈপুণ্য জ্ঞানগর্ভ আলোচনা কে সমৃদ্ধ করে তিনি ছান্দসিক প্রবোধচন্দ্র সেন তাই তার ভাষা যুক্তিসঙ্গত উদাহরণ বিষয়ের প্রানবন্ততায় স্বচ্ছন্দ। লেখকের বাংলা সাহিত্যে আপন কৃতিত্বে আজও চিরভাস্বর হয়ে আছেন।
।
বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য প্রবোধচন্দ্র সেন বিভিন্ন সময়ে অনেক পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে আছে প্রফুল্ল-স্মৃতি পুরস্কার (১৯৬৯), পশ্চিমবঙ্গ সরকারের 'বঙ্কিম পুরস্কার' (১৯৭৫) 'ভারতাত্মা কবি কালিদাস' গ্রন্থের জন্য, কেশবচন্দ্র গুপ্ত স্মৃতি পুরস্কার (১৯৭৮), বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের 'দেশিকোত্তম উপাধি (১৯৮০), কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডিলিট (১৯৮৩), উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডিলিট (১৯৮৩)। এশিয়াটিক সোসাইটি ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে মরণোত্তর "রবীন্দ্রশতবার্ষিকী স্মারক পদক প্রদান করে।
প্রবোধচন্দ্র সেন ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দের ২০ শে সেপ্টেম্বর শান্তিনিকেতনে প্রয়াত হন।
∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆
দৈনিক শব্দের মেঠোপথ
Doinik sabder methopath
Vol -355. Dt -27.04.2021
১৩ বৈশাখ,১৪২৮. মঙ্গলবার
={{{======{{{======={{{======={{{=====
No comments:
Post a Comment