"স্মৃতির পটে জীবনের ছবি কে আঁকিয়া যায় জানি না। কিন্তু যেই আঁকুক সে ছবিই আঁকে। অর্থাৎ যাহাকিছু ঘটিতেছে, তাহার অবিকল নকল রাখিবার জন্য সে তুলি হাতে বসিয়া নাই। সে আপনার অভিরুচি-অনুসারে কত কী বাদ দেয়, কত কী রাখে। কত বড়োকে ছোটো করে, ছোটোকে বড়ো করিয়া তোলে। সে আগের জিনিসকে পাছে ও পাছের জিনিসকে আগে সাজাইতে কিছুমাত্র দ্বিধা করে না। বস্তুত তাহার কাজই ছবি আঁকা, ইতিহাস লেখা নয়।
এইরূপে জীবনের বাইরের দিকে ঘটনার ধারা চলিয়াছে, আর ভিতরের দিকে সঙ্গে সঙ্গে ছবি আঁকা চলিতেছে। দুয়ের মধ্যে যোগ আছে অথচ দু’ই ঠিক এক নহে।"
জীবনস্মৃতি – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রশ্নোত্তর আলোচনা
● ‘জীবনস্মৃতি’ প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় – জুলাই, ১৯১২।
● ‘জীবনস্মৃতি’ প্রথম প্রকাশিত হয় – ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় ভাদ্র, ১৩১৮ বঙ্গাব্দ থেকে শ্রাবণ, ১৩১৯ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত।
● গ্রন্থের প্রথম সংস্করণের ছবি ছিল – ২৪টি।
● গ্রন্থের ছবিগুলি অঙ্কন করেছেন – গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
● তৎকালীন ‘প্রবাসী’ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক ছিলেন – চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁকে এক চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ জানাচ্ছেন –
“তোমার হাতেই জীবন সমর্পন করা গেল। রামানন্দবাবুকে লিখেছি। কিন্তু অজিতের (অজিতকুমার চক্রবর্ত্তী) প্রবন্ধ শেষ হয়ে গেলে এটা আরম্ভ হলে ভালো হয়। লেখকের তখন জীবন সম্বন্ধে ঔৎসুক্য একটু বাড়তে পারে।”
(১৩ই জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৮)
● ‘জীবনস্মৃতি’ গ্রন্থে মোট পর্ব সংখ্যা – ৪৫টি।
● গ্রন্থের প্রথম পর্ব – সূচনা, শেষ পর্ব – কড়ি ও কোমল।
◆ ‘জীবনস্মৃতি’ গ্রন্থে উল্লেখিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের –
বড়দা – দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর
মেজদা – সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর
সেজদা – হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর
ছোড়দি – বর্ণকুমারী দেবী
◆ ‘জীবনস্মৃতি’ গ্রন্থে উল্লেখিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষক ও শিক্ষার বিষয়ের তালিকা –
রবীন্দ্রনাথের পড়ানোর
শিক্ষক বিষয়
মধুসূদন নর্ম্যাল স্কুলে বাংলা
বাচস্পতি বাৎসরিক পরীক্ষার পরীক্ষক
নীলকমল চারুপাঠ, বস্তুবিচার,
ঘোষাল প্রাণীবৃত্তান্ত, মেঘনাদবধকাব্য
সীতানাথ প্রাকৃতিক বিজ্ঞান
দত্ত
অঘোরবাবু ইংরাজি
বিষ্ণু গান
হেরম্ব তত্ত্বরত্ন মুগ্ধবোধ
সাতকড়ি দত্ত কবিতা সম্পূর্ণ করতে
বলেছিলেন
গোবিন্দবাবু নর্ম্যাল স্কুলের সুপারিন্টেডেন্ট
অক্ষয় দত্ত পদার্থবিদ্যা
জ্ঞানচন্দ্র কুমারসম্ভব ও
ভট্টাচার্য্য ম্যাকবেথের বাংলা তর্জমা
রামসর্বস্ব পন্ডিত সংস্কৃত
◆ ‘জীবনস্মৃতি’ গ্রন্থে উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলির পরিচয় –
কিশোরী চাটুজ্জ্যে কবির পিতার অনুচর
ঈশ্বর কবির দেখাশোনা করত
জ্যোতিঃপ্রকাশ কবির ভাগ্নে, কবিকে
কবিতা লেখার উৎসাহ দিয়েছে
শ্রীকন্ঠবাবু কবির পিতার ভক্তবন্ধু
কিশোরী মোহন দ্বারকানাথের
মিত্র ইংরাজি জীবনীকার
লেনু কবির পিতার
পাঞ্জাবি চাকর
কিনু হরকরা দারোয়ান
বেচারাম বাবু উপনয়নের জন্য
মন্ত্র আবৃত্তি করাত
অক্ষয় চৌধুরি জ্যোতিদাদার বন্ধু
অক্ষয় সরকার ‘নবজীবন’ মাসিক
পত্রিকার সম্পাদক
নবগোপাল মিত্র হিন্দু মেলার কর্মকর্তা
অক্ষয় সরকার সাধারণী কাগজের সম্পাদক
ভূদেব মুখোপাধ্যায় এডুকেশন গেজেট
রাজনারায়ণ বসু স্বাদেশিক সভার
সভাপতি
তারক পালিত ইংল্যন্ডে বাঙালি পন্ডিত
লোকেন পালিত ইংরাজি ক্লাসে কবির বন্ধু
রাজেন্দ্রলাল মিত্র জ্যোতিদাদার
সাহিত্য পরিষদের সভাপতি
আশুতোষ চৌধুরি কড়ি ও কোমল
কাব্যগ্রন্থের প্রকাশক
◆ ‘জীবনস্মৃতি’ গ্রন্থের বিভিন্ন প্রবন্ধে কিছু কবিতা ও গানের কিছু লাইন উল্লেখ আছে। তার একটা তালিকা দেওয়া হল –
● ‘ঘর ও বাহির’ –
১) “নিশিদিশি দাঁড়ায়ে আছ মাথায় লয়ে জট”
২) “খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাঁচাটিতে”
● ‘কাব্যরচনাচর্চা’ –
১) “রবিকরে জ্বালাতন আছিল সবাই”
২) “আমসত্ত্ব দুধে ফেলি / তাহাতে কদলি দলি”
● হিমালয় যাত্রা –
“তুমি বিনা কে প্রভু সংকট নিবারে” (গান)
● প্রত্যাবর্তন –
“ওরে আমার মাছি!/আহা কী নম্রতা ধর”
● বাড়ির আবহাওয়া –
১) “গাও হে তাঁহার নাম” (গান)
২) “ও কথা আর বোলো না” (গান)
৩) “এক সূত্রে বাঁধিয়াছি সহস্রটি মন” (গান)
● ভগ্নহৃদয় –
১) “আমার হৃদয় আমারি হৃদয়”
● সন্ধ্যাসংগীত –
১) “হৃদয় নামেতে এক বিশাল অরণ্য আছে”
( পুনর্মিলন – প্রভাত সংগীত)
২) “একদিন দেব তরুণ তপন হেরিলেন
সুরনদীর জলে”
(বঙ্গসুন্দরী – বিহারীলাল চক্রবর্তী )
● গান সম্বন্ধে প্রবন্ধ –
১) “খাঁচার ভিতর অচিন পাখি” (গান)
(গোরা উপন্যাস – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
২) “ভুবন ভ্রমিয়া শেষে” (গান)
● গঙ্গাতীর –
১) “অনন্ত এ আকাশের কোলে”
● প্রভাত সংগীত –
১) “হৃদয় আজি মোর কেমনে গেল খুলি”
২) “ওগো প্রতিধ্বনি”
● কারোয়ার –
“যাই যাই ডুবে যাই”
● প্রকৃতির প্রতিশোধ –
১) “বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি, সে আমার নয়”
(নৈবেদ্য – ৩০)
২) “হ্যাদে গো নন্দরাণী”
● বর্ষা ও শরৎ –
১) “আজি শরৎ তপনে প্রভাত স্বপনে”
২) “হেলাফেলা সারাবেলা”
৩) “মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে”
( প্রাণ – কড়ি ও কোমল )
● কড়ি ও কোমল –
“আনন্দময়ীর আগমনে আনন্দে গিয়েছে দেশ ছেয়ে” ( কাঙালিনী – কড়ি ও কোমল)
জীবনস্মৃতি – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রশ্নোত্তর আলোচনা
● ‘জীবনস্মৃতি’ প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় – জুলাই, ১৯১২।
● ‘জীবনস্মৃতি’ প্রথম প্রকাশিত হয় – ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় ভাদ্র, ১৩১৮ বঙ্গাব্দ থেকে শ্রাবণ, ১৩১৯ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত।
● গ্রন্থের প্রথম সংস্করণের ছবি ছিল – ২৪টি।
● গ্রন্থের ছবিগুলি অঙ্কন করেছেন – গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
● তৎকালীন ‘প্রবাসী’ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক ছিলেন – চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁকে এক চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ জানাচ্ছেন –
“তোমার হাতেই জীবন সমর্পন করা গেল। রামানন্দবাবুকে লিখেছি। কিন্তু অজিতের (অজিতকুমার চক্রবর্ত্তী) প্রবন্ধ শেষ হয়ে গেলে এটা আরম্ভ হলে ভালো হয়। লেখকের তখন জীবন সম্বন্ধে ঔৎসুক্য একটু বাড়তে পারে।”
(১৩ই জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৮)
● ‘জীবনস্মৃতি’ গ্রন্থে মোট পর্ব সংখ্যা – ৪৫টি।
● গ্রন্থের প্রথম পর্ব – সূচনা, শেষ পর্ব – কড়ি ও কোমল।
◆ ‘জীবনস্মৃতি’ গ্রন্থে উল্লেখিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের –
বড়দা – দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর
মেজদা – সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর
সেজদা – হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর
ছোড়দি – বর্ণকুমারী দেবী
◆ ‘জীবনস্মৃতি’ গ্রন্থে উল্লেখিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষক ও শিক্ষার বিষয়ের তালিকা –
রবীন্দ্রনাথের পড়ানোর
শিক্ষক বিষয়
মধুসূদন নর্ম্যাল স্কুলে বাংলা
বাচস্পতি বাৎসরিক পরীক্ষার পরীক্ষক
নীলকমল চারুপাঠ, বস্তুবিচার,
ঘোষাল প্রাণীবৃত্তান্ত, মেঘনাদবধকাব্য
সীতানাথ প্রাকৃতিক বিজ্ঞান
দত্ত
অঘোরবাবু ইংরাজি
বিষ্ণু গান
হেরম্ব তত্ত্বরত্ন মুগ্ধবোধ
সাতকড়ি দত্ত কবিতা সম্পূর্ণ করতে
বলেছিলেন
গোবিন্দবাবু নর্ম্যাল স্কুলের সুপারিন্টেডেন্ট
অক্ষয় দত্ত পদার্থবিদ্যা
জ্ঞানচন্দ্র কুমারসম্ভব ও
ভট্টাচার্য্য ম্যাকবেথের বাংলা তর্জমা
রামসর্বস্ব পন্ডিত সংস্কৃত
◆ ‘জীবনস্মৃতি’ গ্রন্থে উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলির পরিচয় –
কিশোরী চাটুজ্জ্যে কবির পিতার অনুচর
ঈশ্বর কবির দেখাশোনা করত
জ্যোতিঃপ্রকাশ কবির ভাগ্নে, কবিকে
কবিতা লেখার উৎসাহ দিয়েছে
শ্রীকন্ঠবাবু কবির পিতার ভক্তবন্ধু
কিশোরী মোহন দ্বারকানাথের
মিত্র ইংরাজি জীবনীকার
লেনু কবির পিতার
পাঞ্জাবি চাকর
কিনু হরকরা দারোয়ান
বেচারাম বাবু উপনয়নের জন্য
মন্ত্র আবৃত্তি করাত
অক্ষয় চৌধুরি জ্যোতিদাদার বন্ধু
অক্ষয় সরকার ‘নবজীবন’ মাসিক
পত্রিকার সম্পাদক
নবগোপাল মিত্র হিন্দু মেলার কর্মকর্তা
অক্ষয় সরকার সাধারণী কাগজের সম্পাদক
ভূদেব মুখোপাধ্যায় এডুকেশন গেজেট
রাজনারায়ণ বসু স্বাদেশিক সভার
সভাপতি
তারক পালিত ইংল্যন্ডে বাঙালি পন্ডিত
লোকেন পালিত ইংরাজি ক্লাসে কবির বন্ধু
রাজেন্দ্রলাল মিত্র জ্যোতিদাদার
সাহিত্য পরিষদের সভাপতি
আশুতোষ চৌধুরি কড়ি ও কোমল
কাব্যগ্রন্থের প্রকাশক
◆ ‘জীবনস্মৃতি’ গ্রন্থের বিভিন্ন প্রবন্ধে কিছু কবিতা ও গানের কিছু লাইন উল্লেখ আছে। তার একটা তালিকা দেওয়া হল –
● ‘ঘর ও বাহির’ –
১) “নিশিদিশি দাঁড়ায়ে আছ মাথায় লয়ে জট”
২) “খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাঁচাটিতে”
● ‘কাব্যরচনাচর্চা’ –
১) “রবিকরে জ্বালাতন আছিল সবাই”
২) “আমসত্ত্ব দুধে ফেলি / তাহাতে কদলি দলি”
● হিমালয় যাত্রা –
“তুমি বিনা কে প্রভু সংকট নিবারে” (গান)
● প্রত্যাবর্তন –
“ওরে আমার মাছি!/আহা কী নম্রতা ধর”
● বাড়ির আবহাওয়া –
১) “গাও হে তাঁহার নাম” (গান)
২) “ও কথা আর বোলো না” (গান)
৩) “এক সূত্রে বাঁধিয়াছি সহস্রটি মন” (গান)
● ভগ্নহৃদয় –
১) “আমার হৃদয় আমারি হৃদয়”
● সন্ধ্যাসংগীত –
১) “হৃদয় নামেতে এক বিশাল অরণ্য আছে”
( পুনর্মিলন – প্রভাত সংগীত)
২) “একদিন দেব তরুণ তপন হেরিলেন
সুরনদীর জলে”
(বঙ্গসুন্দরী – বিহারীলাল চক্রবর্তী )
● গান সম্বন্ধে প্রবন্ধ –
১) “খাঁচার ভিতর অচিন পাখি” (গান)
(গোরা উপন্যাস – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
২) “ভুবন ভ্রমিয়া শেষে” (গান)
● গঙ্গাতীর –
১) “অনন্ত এ আকাশের কোলে”
● প্রভাত সংগীত –
১) “হৃদয় আজি মোর কেমনে গেল খুলি”
২) “ওগো প্রতিধ্বনি”
● কারোয়ার –
“যাই যাই ডুবে যাই”
● প্রকৃতির প্রতিশোধ –
১) “বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি, সে আমার নয়”
(নৈবেদ্য – ৩০)
২) “হ্যাদে গো নন্দরাণী”
● বর্ষা ও শরৎ –
১) “আজি শরৎ তপনে প্রভাত স্বপনে”
২) “হেলাফেলা সারাবেলা”
৩) “মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে”
( প্রাণ – কড়ি ও কোমল )
● কড়ি ও কোমল –
“আনন্দময়ীর আগমনে আনন্দে গিয়েছে দেশ ছেয়ে” ( কাঙালিনী – কড়ি ও কোমল)
=============∆∆∆∆∆=============
দৈনিক শব্দের মেঠোপথ
Doinik sabder methopath
Vol -333.Dt -05.04.2021
২২ চৈত্র, ১৪২৭. সোমবার
÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷
No comments:
Post a Comment