Thursday, 6 May 2021

"ফ্রয়েড ছিলেন খুব সহজ এবং বিনয়ী একজন মানুষ। কিন্তু যখন তার কাজের প্রসঙ্গ আসতো, তখন কিন্তু আর তিনি বিনয়ী থাকতেন না। তার সঙ্গে সাধারণ কথাবার্তার কোন সুযোগ ছিল না। কেউ সাহস করতো না।"



 আট সন্তানের মধ্যে প্রথম, অস্ট্রিয়ান সাম্রাজ্যের (বর্তমানে পাবার, চেক প্রজাতন্ত্রের) মোরোভিয়ান শহরে ফ্রেইবার্গে ইহুদি পিতামাতার কাছে জন্মগ্রহণ করেছিল। 
তাঁর বাবা-মা দু'জনই আধুনিক যুগের পশ্চিম ইউক্রেন এবং দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ডের বিস্তৃত ঐতিহাসিক প্রদেশ গ্যালিসিয়া থেকে এসেছিলেন। তার পিতা জ্যাকব ফ্রয়েড (1815-18186), একটি উলের ব্যবসায়ী, তাঁর প্রথম বিবাহের মাধ্যমে দুটি পুত্র, ইমানুয়েল (1833-1914) এবং ফিলিপ (1836–1911) ছিলেন। 
জ্যাকবের পরিবার হ্যাসিডিক ইহুদী এবং যদিও যাকোব নিজেও এই fromতিহ্য থেকে দূরে সরে এসেছিলেন, তবুও তিনি তাঁর তওরাত অধ্যয়নের জন্য পরিচিতি লাভ করেছিলেন। তিনি এবং ফ্রয়েডের মা, অমলিয়া নাথানসোহন, যিনি 20 বছর কনিষ্ঠ ছিলেন এবং তাঁর তৃতীয় স্ত্রী, রাব্বি আইজাক নূহ ম্যানহিমারের সাথে বিবাহিত হয়েছিল 29 জুলাই 1855-এ। 
যখন তারা ছেলে সিগমুন্ডের জন্ম হয়েছিল তখন তারা আর্থিকভাবে লড়াই করে ভাড়াটে ঘরে শ্লোসসারগাসে ১১-র একটি তালা বাড়িতে বাস করছিলেন। তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন একটি কৌতুক নিয়ে, যা তার মা ছেলের ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক শুভকামনা হিসাবে দেখেছিলেন .।

1859 সালে, ফ্রয়েড পরিবার ফ্রেইবার্গ ত্যাগ করে। ফ্রয়েডের অর্ধ-ভাইরা ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে চলে এসেছিলেন এবং তাঁকে তার শৈশবের ইমানুয়ের পুত্র জনের "অবিচ্ছেদ্য" নাটকের কাছ থেকে অংশ নিয়েছিলেন। 
জ্যাকব ফ্রয়েড তার স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে যান (ফ্রয়েডের বোন আন্না ১৮৫৮ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন; এক ভাই জুলিউস জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৮ 1857 সালে তিনি প্রথম দিকে লাইপজিগে এবং পরে ১৮৬০ সালে ভিয়েনায় গিয়েছিলেন যেখানে চার বোন এবং এক ভাই জন্মগ্রহণ করেছিলেন: 
রোজা (খ। 1860), মেরি (বি। 1861), অ্যাডলফাইন (খ। 1862), পলা (খ। 1864), আলেকজান্ডার (খ। 1866)। 
1865 সালে, নয় বছর বয়সী ফ্রয়েড একটি বিশিষ্ট উচ্চ বিদ্যালয় লিওপল্ডস্টাটার কমমুনাল-রিয়েলজিমনসিয়ামে প্রবেশ করেছিলেন। 
তিনি এক অসামান্য শিষ্য হিসাবে প্রমাণিত হন এবং 1873 সালে মাতুরা থেকে অনার্স সহ স্নাতক হন। তিনি সাহিত্য পছন্দ করতেন এবং জার্মান, ফরাসী, ইতালিয়ান, স্পেনীয়, ইংরেজি, হিব্রু, লাতিন এবং গ্রীক ভাষায় দক্ষ ছিলেন। 

                      ফ্রয়েড ১৭ বছর বয়সে ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি আইন বিষয়ে পড়াশোনা করার পরিকল্পনা করেছিলেন, তবে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অনুষদে যোগদান করেছিলেন, যেখানে তাঁর গবেষণায় ফ্রাঞ্জ ব্রেন্টানোর অধীনে দর্শন, আর্নস্ট ব্রােকের অধীনে ফিজিওলজি এবং ডারউইনবাদী অধ্যাপক কার্ল ক্লজের অধীনে প্রাণিবিদ্যা অন্তর্ভুক্ত ছিল। 
১৮৭৬ সালে ফ্রয়েড ট্রিস্টে ক্লজের প্রাণিবিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রটিতে চার সপ্তাহ কাটিয়েছিল এবং তাদের পুরুষ প্রজনন অঙ্গগুলির অনিবার্য অনুসন্ধানে কয়েকশ 'হল বিচ্ছিন্ন করে।
১৮৭৭ সালে ফ্রয়েড আর্নস্ট ব্রােকের ফিজিওলজি পরীক্ষাগারে চলে আসেন যেখানে তিনি মানব এবং অন্যান্য মেরুদণ্ডের মস্তিষ্কের সাথে ক্রেফিশ এবং ল্যাম্প্রেয়ের মতো ব্যাঙ এবং invertebrates এর সাথে তুলনা করে ছয় বছর অতিবাহিত করেছিলেন। 
স্নায়বিক টিস্যুর জীববিজ্ঞানের উপর তাঁর গবেষণা কাজটি ১৮৯০ এর দশকে পরবর্তীকালে নিউরনের আবিষ্কারের জন্য আক্ষরিক প্রমাণিত হয়েছিল। 
ফ্রয়েডের গবেষণা কাজটি এক বছরের বাধ্যতামূলক সামরিক পরিষেবা গ্রহণের বাধ্যবাধকতায় 1879 সালে বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। 
দীর্ঘ সময়সীমা তাকে জন স্টুয়ার্ট মিলের সংগৃহীত রচনা থেকে চারটি প্রবন্ধ অনুবাদ করার জন্য একটি কমিশন সম্পূর্ণ করতে সক্ষম করে [[২৩] 
1881 মার্চ মাসে তিনি এমডি দিয়ে স্নাতক হন।
        ৬ জুন লন্ডনের ভিক্টোরিয়া স্টেশনে ভিড় জমিয়েছিল লন্ডনবাসী, প্রিয় সিগমুন্ড ফ্রয়েডকে দেখার জন্য। বস্তুত জীবনের শেষ একটি বছর লন্ডনে স্বস্তিতে আর আরামেই কেটেছিল ফ্রয়েডের। আর্নেস্ট জোন্স ফ্রয়েড ও তাঁর পরিবারের জন্য খুঁজে বার করেছিলেন ১৯২০ সালে তৈরি পুরনো দিনের স্থাপত্যরীতিতে গড়া বিশাল এক ম্যানসন। সেই বাড়ি কিনে অনেক অদলবদল করেছিলেন পেশায় স্থাপত্যবিদ আর্নেস্ট, বাবার প্রয়োজনকে মাথায় রেখে। এমনকি সিঁড়ি ভাঙতে ফ্রয়েডের কষ্ট হয় বলে বাড়িতে বসেছিল সুন্দর ছোট্ট লিফ্‌টও। ২০ নম্বর ম্যারস্ফিল্ড গার্ডেনস-এর আলো-হাওয়া মাখা সেই বিশাল বাড়িকে বড় সুন্দর মনে হয়েছিল ফ্রয়েডের। মনে হয়েছিল, এ তাঁদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত। লন্ডনের সাধারণ মানুষদের থেকে অকুণ্ঠ ভালবাসা পেয়ে তৃপ্ত বোধ করেছিলেন তিনি। ‘এই ব্রহ্মাণ্ডে আমার শেষ ঠিকানা’ বলে অভিহিত করেছিলেন বাড়িটিকে।
সন্তান -  আনা ফ্রয়েড, মার্টিন ফ্রয়েড, আর্নেস্ট এল. ফ্রয়েড, সোফি ফ্রয়েড, অলিভার ফ্রয়েড, 

লন্ডনের উত্তর-পশ্চিমের হ্যাম্পস্টেড এলাকায় হ্যাম্পস্টেড মেট্রো স্টেশনকে নিচে রেখে ডানে মোড় নিলেই ফিট্‌সজন্স অ্যাভিনিউয়ের গড়ানে রাস্তা। খানিক এগোলেই ম্যারস্ফিল্ড গার্ডেন্স রাস্তার ২০ নম্বর বাড়িতে জীবনের শেষ এক বছরের একটু বেশি সময় কাটিয়েছিলেন সিগমুন্ড , তাঁর কর্মস্থল ও প্রিয় শহর ভিয়েনা থেকে অনেক দূরে। ইংল্যান্ড চলে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন আধুনিক সময়ের সবচেয়ে দাপুটে মনস্তত্ত্ববিদ। 


ফ্রয়েড ২৪ বছর বয়স থেকে তামাকজাত ধূমপান সেবন শুরু করেন; শুরুতে তিনি সিগারেট খেতেন, এরপর তিনি সিগার (চুরুট বা বিড়ি) সেবনকারী হয়ে ওঠেন। তিনি বিশ্বা‌স করতেন যে, ধূমপান তার কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতো এবং পরিমিত ধূমপানের মাধ্যমে তিনি আত্ম-নিয়ন্ত্রণের চর্চা‌ চালিয়ে যেতে সক্ষম হন। সহকর্মী উইলহেম ফ্লিয়েস-এর কাছ থেকে স্বাস্থ্যগত সতর্ক‌বার্তা‌ পাওয়ার পরেও তিনি ধূমপান অব্যহত রাখেন, এবং অবশেষে মুখগহ্বরের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন. ] ফ্রয়েড ১৮৯৭ সালে ফ্লিয়েসকে পরামর্শ দেন যে, তামাকসহ অন্যান্য আসক্তিমূলক কর্ম‌কান্ডগুলো হল স্ব‌মেহন নামক "অনন্য চমৎকার অভ্যাস"-এর বিকল্প.

১৯২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ফ্রয়েড তার মুখগহ্ব‌রে অতিরিক্ত ধূমপানের ফলে সৃষ্ট লিউকোপ্লাকিয়া নামক একটি মৃদু জমাট মাংসপিন্ড দেখতে পান। ফ্রয়েড শুরুতে তা গোপন রাখেন, কিন্তু ১৯২৩ সালের এপ্রিলে তিনি আরনেস্ট জোনসকে জানান যে, জমাট মাংসপিন্ডটি কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে।


গোল্ডেন গ্রিন ক্রিমাটোরিয়ামনামক অন্ত্যষ্টিক্রিয়া সংগ্রহশালায় ফ্রয়েডের দেহভস্ম।
১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝির দিকে, ফ্রয়েড তার চোয়ালের ক্যান্সারের কারণে ব্যাপক যন্ত্রণা অনুভব করতে থাকেন এবং চিকিৎসক তার এই যন্ত্রণাকে অনিয়ন্ত্রণযোগ্য বলে ঘোষণা করেন। ফ্রয়েড তার সর্বশেষ পঠিত বই বালজাক-এর লা পিউ দ্য চ্যাগরিন-এ তার নিজস্ব ক্রমবর্ধ‌নশীল ভগ্নদশাকে আরও দ্রুতগতিতে বাড়িয়ে তোলে এবং এর পরপরই তিনি তার বন্ধু চিকিৎসক ও প্রাক্তন সহ-শরণার্থী‌ ম্যাক্স স্কার-এর সঙ্গে স্বেচ্ছামৃত্যুর ব্যাপারে যোগাযোগ করেন, যার সঙ্গে পূর্বে‌ তিনি তার শেষ পর্যা‌য়ের অসুস্থাবস্থা নিয়ে কথা বলেছিলেন। ম্যাক্স স্কার ও কন্যা আনা ফ্রয়েডের সঙ্গে যৌথ পরামর্শ‌ করে অবশেষে ১৯৩৯ সালের ২৩শে ডিসেম্বর অধিক মরফিন গ্রহণের মাধ্যমে স্বে‌চ্ছামৃত্যু হিসেবে আত্মহত্যা করে মৃত্যুবরণ করেন। তার চিকিৎসক জানিয়েছিলেন যে, আত্মহত্যার প্ররোচনায় ধূমপানজনিত কারণে মুখের ক্যান্সারই এর জন্যে দায়ী।

Books 
1891 On Aphasia
1895 Studies on Hysteria (co-authored with Josef Breuer)
1899 The Interpretation of Dreams
1901 On Dreams (abridged version of The Interpretation of Dreams)
1904 The Psychopathology of Everyday Life
1905 Jokes and Their Relation to the Unconscious
1905 Three Essays on the Theory of Sexuality
1907 Delusion and Dream in Jensen's Gradiva
1910 Five Lectures on Psycho-Analysis
1910 Leonardo da Vinci, A Memory of His Childhood
1913 Totem and Taboo: Resemblances between the Psychic Lives of Savages and Neurotics
1915–17 Introductory Lectures on Psycho-Analysis
1920 Beyond the Pleasure Principle
1921 Group Psychology and the Analysis of the Ego
1923 The Ego and the Id
1926 Inhibitions, Symptoms and Anxiety
1926 The Question of Lay Analysis
1927 The Future of an Illusion
1930 Civilization and Its Discontents
1933 New Introductory Lectures on Psycho-Analysis
1939 Moses and Monotheism
1940 An Outline of Psychoanalysis
1967 Thomas Woodrow Wilson: A Psychological Study, with William C. Bullit
Case histories Edit
1905 Fragment of an Analysis of a Case of Hysteria (the Dora case history)
1909 Analysis of a Phobia in a Five-Year-Old Boy (the Little Hans case history)
1909 Notes upon a Case of Obsessional Neurosis (the Rat Man case history)
1911 Psycho-Analytic Notes on an Autobiographical Account of a Case of Paranoia (the Schreber case)
1918 From the History of an Infantile Neurosis (the Wolfman case history)
1920 The Psychogenesis of a Case of Homosexuality in a Woman[275]
1923 A Seventeenth-Century Demonological Neurosis (the Haizmann case)
Papers on sexuality Edit
1906 My Views on the Part Played by Sexuality in the Aetiology of the Neuroses
1908 "Civilized" Sexual Morality and Modern Nervous Illness
1910 A Special Type of Choice of Object made by Men
1912 Types of Onset of Neurosis
1912 The Most Prevalent Form of Degradation in Erotic Life
1913 The Disposition to Obsessional Neurosis
1915 A Case of Paranoia Running Counter to the Psycho-Analytic Theory of the Disease
1919 A Child is Being Beaten: A Contribution to the Origin of Sexual Perversions
1922 Medusa's Head
1922 Some Neurotic Mechanisms in Jealousy, Paranoia and Homosexuality
1923 Infantile Genital Organisation
1924 The Dissolution of the Oedipus Complex
1925 Some Psychical Consequences of the Anatomical Distinction between the Sexes
1927 Fetishism
1931 Female Sexuality
1933 Femininity
1938 The Splitting of the Ego in the Process of Defence।




ইন্টারপ্রিটেনশন অব ড্রিমস -
বইতে ফ্রয়েড যে তত্ত্বের সূচনা করলেন, তার ওপরই ভিত্তি করেই গড়ে উঠলো আধুনিক সাইকো-এনালিসিস বা মনোসমীক্ষণ। তাঁর এই তত্ত্বকে ঘিরে বিরাট আগ্রহ তৈরি হলো বিংশ শতাব্দীতে। এটি মানুষের মনোজগত অধ্যায়নের জন্য এটি হয়ে উঠলো মূলধারার এক শাস্ত্র।
ফ্রয়েডের ধারণা, আমাদের স্বাভাবিক জীবনে যেসব আকাঙ্খা, তাড়না, অনুভূতি, চিন্তা আমরা প্রকাশ করতে পারি না, ঘুমন্ত অবস্থায় স্বপ্নের মাধ্যমে সেসব প্রকাশ পায়।"

"একজন মনোবিশ্লেষক হিসেবে এটাই ফ্রয়েডের লেখা প্রথম বই। সাইকোএনালিসিসের তত্ত্ব এবং এর ব্যবহারিক প্রয়োগের প্রাথমিক ধারণা তিনি এই বইতে তুলে ধরেছেন। তিনি এই বইতে বলছেন, স্বপ্ন হচ্ছে মানুষের অবচেতন মনের গভীরে যাওয়ার বড় রাস্তা। অবচেতন মনে কি ঘটছে, তার প্রতিফলন হচ্ছে স্বপ্ন।"

" আমি কাজ শুরু করি একজন নিউরোলজিষ্ট হিসেবে। যারা নানা রকম স্নায়ুরোগে ভুগছে, তাদের চিকিৎসা করতাম আমি। মানুষের অবচেতন মন এবং সহজাত প্রবৃত্তি সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমি জানতে পারি। আমার জানা এসব নতুন তথ্য থেকে বিজ্ঞানের এক নতুন শাখা তৈরি হলো। এর নাম দেয়া হলো সাইকোএনালিসিস। মনোবিজ্ঞানের এক নতুন শাখা।"

" আমার গায়ে ঠিকমত কাপড়চোপড় নেই। নীচতলার ফ্ল্যাট থেকে সিঁড়ি বেয়ে আমি উপরের ফ্ল্যাটে যাচ্ছিলাম। উপরে উঠার সময় আমি একেকবারে তিনটে করে সিঁড়ির ধাপ টপকাচ্ছিলাম। এত দ্রুত সিঁড়ি বেয়ে উঠতে পেরে আমি খুবই খুশি। হঠাৎ খেয়াল করলাম, একটা কাজের মেয়ে সিঁড়ি ভেঙ্গে নীচে নামছে, অর্থাৎ আমার দিকে। আমি খুব লজ্জা পেলাম, এবং তাড়াতাড়ি চলে যাওয়ার চেষ্টা করলাম। কিন্তু এরপরই আমার মনে হলো আমি যেন থমকে গেছি, আমি যে আঠার মতো আটকে আছি সিঁড়ির সঙ্গে, সেখান থেকে নড়ার শক্তি আমার নেই।"

"হঠাৎ করে ফ্রয়েডের সাইকো-এনালিসিস চলে এলো সব কিছুতে। সব বই, পত্রিকায়, সিনেমায়, সবকিছুতেই সাইকো-এনালিসিস। বিখ্যাত শিল্পীদের মতো ফ্রয়েড যেন হয়ে উঠলেন আধুনিক মানুষের গুরু।

ফ্রয়েড নিজেকে বিজ্ঞানীর চেয়ে বেশি এক জন ‘কন্‌কুইস্তাদর’ বলে ভাবেন— অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় এক মানুষ, যে অতিক্রম করতে চায় একের পর এক বাধা। প্রায় চল্লিশ বছর ধরে ভিয়েনাবাসী তাঁকে জেনেছেন এক জন সহানুভূতিশীল, সংস্কৃতিমনস্ক, বিত্তবান, তীক্ষ্ণ মেধার মানুষ বলে, নিজের সামাজিক প্রতিপত্তি বিষয়ে যিনি সজাগ।

মৃত্যু - সেপ্টেম্বর ২৩, ১৯৩৯।
∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆
দৈনিক শব্দের মেঠোপথ
Doinik Sabder Methopath
Vol -364. Dt -06.5.2021
২২ বৈশাখ,১৪২৮. বৃহস্পতিবার
++++++++++++++++++++++++++++++++++

No comments: