ঈশ্বরের আরাধনায় ভক্তিমূলক ও দেশের প্রতি গভীর মমত্ববোধ বা স্বদেশ প্রেমই তাঁর গানের প্রধান বৈশিষ্ট্য ও উপজীব্য বিষয়.
"তোমারি দেওয়া প্রাণে তোমারি দেওয়া দুখ,
তোমারি দেওয়া বুকে, তোমারি অনুভব৷
তোমারি দুনয়নে তোমারি শোক-বারি,
তোমারি ব্যাকুলতা তোমারি হা হা রব৷"
বা
"মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নেরে ভাই;
দীন দুখিনি মা যে তোদের তার বেশি আর সাধ্য নাই৷'
বাংলা ভাষায় যে পাঁচজন কবি কবিতার পাশাপাশি সঙ্গীত রচনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন, তাদের বলা হয় ‘পঞ্চকবি’। রজনীকান্ত সেন সেই ‘পঞ্চকবি’দেরই একজন। অন্যরা হলেন- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, অতুল প্রসাদ সেন। সাহিত্য সাধনায়, আরাধনামূলক অসাধারণ সঙ্গীত সৃষ্টি এবং দেশাত্মবোধক আন্দোলন সংগ্রামে মুখর এই কবির আলোচনা, প্রচারণা নিতান্তই অপ্রতুল।
জন্ম ২৬ জুলাই ১৮৬৫সেন ভাঙ্গাবাড়ী, সিরাজগঞ্জ মহকুমা, পাবনা জেলা, বাংলাদেশ।পিতা গুরুপ্রসাদ সেন ও মাতা মনোমোহিনী দেবীর ৩য় সন্তান ছিলেন রজনীকান্ত। গুরুপ্রসাদ চারশো বৈষ্ণব ব্রজবুলী কবিতাসঙ্কলনকে একত্রিত করে 'পদচিন্তামণিমালা' নামক কীর্তন গ্রন্থ প্রকাশ করেন। এছাড়াও 'অভয়াবিহার' গীতি-কাব্যের রচয়িতা ছিলেন তিনি। মনোমোহিনী দেবী সু-গৃহিণী ছিলেন। রজনীকান্তের জন্মের সময় তিনি কটোয়ায় কর্মরত ছিলেন।দাম্পত্যসঙ্গী হিরণ্ময়ী দেবী। রাজশাহী থেকে প্রচারিত উৎসাহ মাসিক পত্রিকায় রজনীকান্তের রচনা প্রকাশিত হতো। তার কবিতা ও গানের বিষয়বস্তু মূখ্যতঃ দেশপ্রীতি ও ভক্তিমূলক। হাস্যরস-প্রধান গানের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। জীবিত থাকাকালে তিনটি গ্রন্থ রচনা করেছেন তিনি। সেগুলো হলো -
- বাণী (১৯০২)
- কল্যাণী (১৯০৫)
- অমৃত (১৯১০)
এছাড়াও ৫টি বই তার মৃত্যু-পরবর্তীকালে প্রকাশিত হয়েছিল।সেগুলো হচ্ছে -
- অভয়া (১৯১০)
- আনন্দময়ী (১৯১০)
- বিশ্রাম (১৯১০)
- সদ্ভাবকুসুম (১৯১৩)
- শেষদান (১৯১৬)
তন্মধ্যে - বাণী এবং কল্যাণী গ্রন্থটি ছিল তার গানের সঙ্কলন বিশেষ। তিনি কান্ত কবি নামেও পরিচিত। অমৃত কাব্যসহ দু'টি গ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে শিশুদের পাঠ্য উপযোগী নীতিবোধ সম্পর্কীয় ক্ষুদ্র কবিতা বা ছড়া। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কণিকা কাব্যগ্রন্থটিই তাকে অমৃত কাব্যগ্রন্থ রচনা করতে ব্যাপক প্রভাবান্বিত করেছে।
উল্লেখযোগ্য সাহিত্য-কর্ম এবং অবিস্মরণীয় আধ্যাত্মিক গানগুলো রচনার মাধ্যমে রজনীকান্ত সেন অমরত্ব লাভ করে চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। প্রধানতঃ তার গানগুলো হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ঘরণার। এতে তিনি কীর্তন, বাউল এবং টপ্পার যথাযথ সংমিশ্রণ ঘটাতে সক্ষমতা দেখিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশের অগণিত শ্রোতা-লেখকের মন জয় করেছেন।
মৃত্যু ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯১০ (বয়স ৪৫) কলকাতা।
রবীন্দ্রনাথ আপ্লুত হয়ে চিঠির প্রতি-উত্তর দিয়ে দীর্ঘ পত্র লেখেন রবীন্দ্রনাথ ....
“প্রীতিপূর্বক নমস্কারপূর্বক নিবেদন, সেদিন আপনার রোগশয্যার পাশে বসিয়া মানবাত্মার একটি জ্যোতির্ময় প্রকাশ দেখিয়া আসিয়াছি। শরীর হার মানিয়াছে, কিন্তু চিত্তকে পরাভূত করিতে পারে নাইণ্ড পৃথিবীর সমস্ত আরাম ও আশা ধূলিসাৎ হইয়াছে, কিন্তু ভূমার প্রতি ভক্তি ও বিশ্বাসকে ম্লান করিতে পারে নাই। আপনি যে গানটি পাঠাইয়াছেন, তাহা শিরোধার্য করিয়া লইলাম।” ডি. এল. রায়ের হাসির কবিতাগুলোও তাকে হাস্য রসাত্মক কবিতা ও গান রচনায় আগ্রহী করে তোলে। তাঁর ‘পুরাতত্ত্ববিৎ’ রচনায় লেখা একটি দেখতে পাই,
"রাজা অশোকের কটা ছিল হাতি
টোডরমলের কটা ছিল নাতি,
কালাপাহাড়ের কটা ছিল ছাতি,
এসব করিয়া বাহির, বড় বিদ্যে করেছি জাহির
আকবর শাহ কাছা দিত কিনা,
নূরজাহানের কটা ছিল বীণা,
মন্থরা ছিলেন ক্ষীণা কিম্বা পীনা,
এসব করিয়া বাহির, বড় বিদ্যে করেছি জাহির।"
নীতিকবিতা রচনাতেও তাঁর জুড়ি নেই। জীবনের শেষ দিকে এসে অভিজ্ঞতার সমৃদ্ধ সঞ্চয়ে তিনি লিখে রেখে গেছেন নীত-আদর্শ সম্বলিত এই মহান নীতি কবিতাগুলো। বহুল পরিচিত দুয়েকটা উদ্ধৃত করছি,
“শৈশবে সদুপদেশ যাহার না রোচে,
জীবনে তাহার কভু মূর্খতা না ঘোচে।”
কিংবা,
“নদী কভু নাহি করে নিজ জলপান
তরুগণ নাহি খায় নিজ নিজ ফল,
গাভী কভু নাহি করে নিজ দুগ্ধ পান,
কাষ্ঠ, দগ্ধ হয়ে, করে পরে অন্নদান"
রজনীকান্ত সঙ্গীতের জগতে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন তাঁর ঈশ্বর-ভক্তিমূলক গানগুলোর জন্যই। ঈশ্বরের প্রতি তাঁর অগাধ প্রেম, বিশ্বাস ও আস্থা তাঁর গানগুলোতে প্রতিভাত হয়ে বাংলা গানকে গভীর দর্শন চিন্তায় স্বাতন্ত্র্য দান করেছে। জীবনের সমস্ত আনন্দগুলোতে তিনি ঈশ্বরকে স্মরণ করেছেন। গভীর সংকটে যখন তিনি নিপতিত হয়েছেন, একে ঈশ্বরদত্ত আশীষ হিসেবেই মেনে নিয়েছেন। ঈশ্বরের কাছে নিজেকে সমর্পণ করবার উদ্দেশ্যে বিনয়ের সর্বোচ্চ পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করে বারবারই নিজেকে দীন-হীন ভাবে উপস্থাপন করেছেন রজনীকান্ত। তাই, তাঁর রচিত ভক্তিমূলক নানা গান প্রার্থনারূপে উপাসনালয়গুলোতে আজও গীত হয়।
মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেছেন রজনীকান্ত। ছোটবেলাতেই তাঁর বড় ভাই ও বড় বোনের অকাল প্রয়াণ ঘটে। ছোট ভাই জননীকান্তও জলাতংক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এই সকল মৃত্যু তাঁকে গভীর জীবনবোধে উজ্জীবিত করতে ভূমিকা রাখে।
ব্যক্তিগত জীবনে রজনীকান্ত সেনের সাথে হিরন্ময়ী দেবীর বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে চার পুত্র ও দুই কন্যা। কিন্তু ভূপেন্দ্র খুব অল্প বয়সেই মারা যায়। এই মৃত্যুতে রজনীকান্ত গভীর ব্যথায় আহত হন, কিন্তু হতাশ হন না। বরং ঈশ্বরের উপর অগাধ বিশ্বাসে রচনা করেন—
“তোমারি দেওয়া প্রাণে তোমারি দেওয়া দুখ,
তোমারি দেওয়া বুকে, তোমারি অনুভব৷
তোমারি দুনয়নে তোমারি শোক-বারি,
তোমারি ব্যাকুলতা তোমারি হা হা রব৷”
কন্যা শতদলবাসিনীর মৃত্যুতেও তাঁর আক্ষেপ জাগে না, জাগে না এতটুকু অভিমান। ঈশ্বরের প্রতি প্রশস্তি জ্ঞাপন করে লিখেন বিখ্যাত সেই গান-
“আমি অকৃতি অধম বলেও তো কিছু
কম করে মোরে দাওনি;
যা দিয়েছ, তারি অযোগ্য ভাবিয়া
কেড়েও তা কিছু নাওনি।।”
পরম বিনয়ের গুণে নিজের সমস্ত আরাধনা-উপাসনাকে তিনি সর্বদাই অপ্রতুল মনে করতেন রজনীকান্ত। তাই তাঁর পরম প্রার্থনা-
“তুমি নির্মল কর মঙ্গল করে, মলিন মর্ম মুছায়ে;
তব পূণ্য-কিরণ দিয়ে যাক, মোর মোহ কালিমা ঘুচায়ে।।”
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে প্রথম পরিচয়েই রবীন্দ্রনাথ তাঁর প্রতিভা উপলব্ধি করতে পারেন। পরে রবীন্দ্রনাথের আমন্ত্রণে তাঁর বাড়িতে বেরিয়েও আসেন একদিন রজনীকান্ত। উল্লেখ্য, রজনীকান্তের জীবদ্দশায় রবীন্দ্রনাথ কবি মহলে যথেষ্ট নিন্দিত ও তিরস্কৃত ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ নোবেল পুরস্কারও পেয়েছিলেন রজনীকান্তের মৃত্যুর কয়েক বছর পর। গৌরবহীন সেই রবীন্দ্রনাথের প্রকৃত কদর রজনীকান্ত যথার্থতার সাথেই করতেন। রবীন্দ্রনাথও রজনীকান্তের প্রতিভায় ছিলেন অভিভূত।
স্বদেশী আন্দোলনের প্রেক্ষিতে দেশাত্নবোধক গান রচনা এবং অসাধারণ সব প্রার্থনাসঙ্গীত রচনা করে আর জলসায় জলসায় গান গেয়ে যখন রজনীকান্ত পরিচতি পেতে লাগলেন, কিছুটা নাম-যশ পেয়ে উঠলেন, তখনই ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তাঁর কণ্ঠনালীতে প্রদাহ দেখা দেয়। পরে চিকিৎসকেরা তাঁর কণ্ঠনালীতে ল্যারিঙ্কস্ ক্যানসার সনাক্ত করেন।
এত বড় অভিঘাতেও সামান্য বিচলিত হলেন না। পরম প্রিয় ঈশ্বরের কাছে জানালেন সুস্থতার আবেদন। কিন্তু সে আবেদন গ্রাহ্য না হলেও এতটুকু খেদ নেই বিধাতার প্রতি। তাঁর বরং মনে হলো, এই সব দুঃখ বেদনার মধ্যে দিয়ে ঈশ্বর তাঁকে পরিশুদ্ধ করছেন।
ক্যান্সার গুরুতর আকার ধারণ করায় চিকিৎসাতে কোন কাজ হচ্ছিল না। চিকিৎসকেরা জানান, বিলেত থেকে রেডিয়াম এনে থেরাপি প্রয়োগ করলে তবেই সুফল পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও দীর্ঘ সময় সাপেক্ষ হওয়ায় সেই পদ্ধতি অবলম্বন করা সম্ভব হয়নি। আরোগ্যের আশায় দুটি বইয়ের সত্ব বিক্রি করে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে তাঁর কণ্ঠনালীতে অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু তাতেও কোনো ফল হয় না, বরং অবস্থা জটিল হয়ে চিরতরে বাকশক্তি হারান এই কবি। জীবনের শেষ দিনগুলোতে নিদারুণ কষ্ট ও শোকের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করেছেন রজনী। তবে কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে গেলেও তিনি নির্বাক অবস্থায় ক্রমাগত লিখে চলছিলেন নানান নীতি কাব্যগাথা আর ভক্তিমূলক সংগীত।
তিনি এ সময় রবীন্দ্রনাথকে একবার দেখতে চান। হাসপাতালের বাজে পরিবেশে রবীন্দ্রনাথের ছিলো চরম অস্বস্তি। তা সত্ত্বেও, রজনীকান্তের অনুরোধ জানতে পেরে তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান রবীন্দ্রনাথ। সেখানে রবীন্দ্রনাথ নিজে হারমোনিয়াম বাজান আর গান ধরেন রজনীকান্তের সন্তান ক্ষিতীন্দ্র ও শান্তিবালা। রবীন্দ্রনাথের বিদায়ের পর এই অনুভূতির প্রেক্ষিতেই তিনি রচনা করেন,
“আমায় সকল রকমে কাঙ্গাল করেছে, গর্ব করিতে চুর,
তাই যশ ও অর্থ, মান ও স্বাস্থ্য, সকলি করেছে দূর।
ঐগুলো সব মায়াময় রূপে, ফেলেছিল মোরে অহমিকা-কূপে,
তাই সব বাধা সরায়ে দয়াল করেছে দীন আতুর।”
রজনীকান্তের এই কবিতাটি রবীন্দ্রনাথের বোলপুরের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।
বাংলা সাহিত্যের প্রবাদপুরুষ, পঞ্চকবিদের প্রধান শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর; রজনীকান্ত সেনের সাথে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত গভীর সখ্য ছিলো; Source: peopletimes24.com
রবীন্দ্রনাথ আপ্লুত হন গানটির বাণী পড়ে। চিঠির প্রতি-উত্তর দিয়ে দীর্ঘ পত্র লেখেন রবীন্দ্রনাথ,
“প্রীতিপূর্বক নমস্কারপূর্বক নিবেদন, সেদিন আপনার রোগশয্যার পাশে বসিয়া মানবাত্মার একটি জ্যোতির্ময় প্রকাশ দেখিয়া আসিয়াছি। শরীর হার মানিয়াছে, কিন্তু চিত্তকে পরাভূত করিতে পারে নাইণ্ড পৃথিবীর সমস্ত আরাম ও আশা ধূলিসাৎ হইয়াছে, কিন্তু ভূমার প্রতি ভক্তি ও বিশ্বাসকে ম্লান করিতে পারে নাই। আপনি যে গানটি পাঠাইয়াছেন, তাহা শিরোধার্য করিয়া লইলাম।”
১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯১০ সালে (১৩১৭ বঙ্গাব্দের ২৮শে ভাদ্র) মাত্র ৪৫ বছর বয়সে কলকাতা মেডিকেল কলেজের কটেজ ওয়ার্ডেই এই মহান কবি পরলোক গমন করেন। তাঁর মহাপ্রয়াণের পরও তাঁর বংশধরেরা পূর্ববঙ্গেই দীর্ঘদিন বসবাস করেন। কবির নাতনি রমা সেন ভারতে চলে যান এবং ‘সুচিত্রা সেন’ নাম নিয়ে ভারতীয় চলচ্চিত্রে এক শক্তিমতী অভিনেত্রী হিসেবে আবির্ভূত হন।
মহানায়িকা সুচিত্রা সেন, রজনীকান্ত সেনের নাতনী রমা সেন; Source: google.com
রজনীকান্তের জীবদ্দশায় তাঁর তিনটি বই প্রকাশিত হয়- 'বাণি', 'কল্যাণী', 'অমৃত'। আর মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয় পাঁচটি গ্রন্থ- 'অভয়া', 'আনন্দময়ী', 'বিশ্রাম', সদ্ভাবকুসুম ও শেষদান। এসব গ্রন্থে প্রকাশিত তাঁর গানগুলোকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়- দেশাত্মবোধক, ভক্তিমূলক, প্রীতিমূলক ও হাস্যরসাত্মক গান।
কন্যা শান্তিবালা দেবীর দেওয়া তথ্যানুসারে, তাঁর মোট গানের সংখ্যা ২৯০টি। তবে তাঁর অসংখ্য গান হারিয়ে গেছে বলেই জানা যায়। রজনীকান্ত সেন গান লিখে উদাসীনভাবে সেগুলো ফেলে রাখতেন। কিন্তু যখন গাইবার দরকার পড়তো, তখন সেগুলো খুঁজে পেতেন না। এজন্য সহধর্মিনী হিরন্ময়ী দেবী এগুলো যখনই এখানে সেখানে পেতেন, সেগুলো যথাসম্ভব গুছিয়ে রাখতেন। কিন্তু সব তো আর পাওয়া যায়নি। তাই, তাঁর রচিত গানের প্রকৃত সংখ্যা আসলে কত, তা ঠিক আঁচ করা যায় না।
∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆
No comments:
Post a Comment