Wednesday, 11 August 2021

বিশেষ আলোচনা।থার্ড থিয়েটার ও বাংলা নাটক। ১১.০৮.২০২১. Vol -461. The blogger in literature e-magazine

থার্ড থিয়েটার ও বাদল সরকার। লন্ডনে 'থিয়েটার ইন দ্য রাউন্ড' দেখেই তাঁর মধ্যে বিকল্প ধারার থিয়েটারের প্রতি ঝোঁক জন্মায় ।তিনি বিদেশে থাকাকালীনই 'এবং ইন্দ্রজিৎ', বড় পিসিমা' প্রভৃতি নাটক লেখেন।

‘থার্ড থিয়েটার’ নিয়ে কিছু বলতে গেলেই পাশাপাশি চলে আসে একটা মানুষের নাম, তিনি বাদল সরকার। অনেকের কাছেই পরিচিত, আবার অনেকের কাছেই অপরিচিত।অনেকের কাছেই তিনি সম্মানীয়, শ্রদ্ধেয় ও অনুসরণযোগ্য, আবার অনেকেই তাঁকে ব্রাত্য করে রাখতে চান। কে এই বাদল সরকার? বাদল সরকারের আসল নাম সুধীন্দ্র সরকার। 1925 সালের 15 ই জুলাই কলকাতার মানিকতলায় তাঁর জন্ম।পড়াশোনা স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলে, তারপর স্কটিশ চার্চ কলেজে, তারপর শিবপুর বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং , যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পারেটিভ লিটারেচারে এম.এ। পেশায় ছিলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। ফ্রান্স, নাইজেরিয়া ও ইংল্যান্ডে তাঁর কর্মজীবনের অনেকটাই কাটিয়েছেন। বিদেশে থাকাকালীন বহু বিদেশী নাটক দেখেন। বিদেশী নাট্যকারদের থিয়েটারের কাজ দেখার সুযোগ পান। লন্ডনে ‘থিয়েটার ইন দ্য রাউন্ড’ দেখেই তাঁর মধ্যে বিকল্প ধারার থিয়েটারের প্রতি ঝোঁক জন্মায় ।তিনি বিদেশে থাকাকালীনই ‘এবং ইন্দ্রজিৎ’,  বড় পিসিমা’ প্রভৃতি নাটক লেখেন। এছাড়াও ‘থার্ড থিয়েটার’, ‘পুরনো কাসুন্দি'( আত্মজীবনী), ‘প্রবাসের হিজিবিজি’, ‘থিয়েটারের ভাষা’, ‘ভয়েজেস ইন দ্য থিয়েটার’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বইও লেখেন। তারপর কর্মজীবনে ছেদ ঘটিয়ে কলকাতায় ফিরে এসে নিজস্ব নাট্যদল প্রতিষ্ঠা করেন এবং ধারাবাহিকভাবে আমৃত্যু নাট্যচর্চা চালিয়ে যান।  তিনি প্রথমদিকে প্রসেনিয়াম থিয়েটার করলেও পরবর্তীকালে পাকাপাকিভাবে ‘থার্ড থিয়েটার’-এর অনুশীলন শুরু করেন এবং থিয়েটারের সর্বক্ষণের কর্মী হয়ে যান।

এরপর আসা যাক থার্ড থিয়েটারে। ‘থার্ড থিয়েটার’ আসলে কি? ‘থার্ড থিয়েটার’ শব্দ টা উচ্চারণ করলেই আমাদের মনে প্রথম প্রশ্ন জাগে যে ,   ফার্স্ট ও সেকেন্ড থিয়েটার তাহলে কোনটা? কেনই বা এটাকে থার্ড থিয়েটার বলা হচ্ছে? এর সঙ্গে ফার্স্ট ও সেকেন্ড থিয়েটারের সম্পর্ক কিংবা পার্থক্যটাই বা কী? ইত্যাদি।  বাদল সরকার এর উত্তর খুব সুন্দরভাবে দিয়েছেন তাঁর বিভিন্ন লেখালেখিতে। সে বিষয়ে পরে আসছি। প্রথমে বলে রাখি যে,বাদল সরকার তাঁর কর্মজীবনে ইতি টেনে পাকাপাকিভাবে কলকাতায় ফিরে এসে 1967 সালে ‘শতাব্দী’ নাট্যদল প্রতিষ্ঠা করেন এবং নিজের লেখা বিভিন্ন নাটক মঞ্চস্থ করতে থাকেন, এর পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে বেশ কিছু গল্প ও উপন্যাসের নাট্যরূপ দিয়ে সেগুলিও মঞ্চস্থ করতে থাকেন। কিন্তু এই প্রসেনিয়াম থিয়েটার করতে গিয়ে তিনি যখন সফলতার চূড়ায় অবস্থান করছেন তখন হঠাৎ করেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন তিনি আর প্রসেনিয়াম থিয়েটার করবেন না। তাঁর এই সিদ্ধান্ত অনেককেই অবাক করে। কিন্তু সেই মুহূর্তে তিনি বিকল্প থিয়েটারের খোঁজ চালাচ্ছিলেন।প্রসেনিয়াম থিয়েটার  করতে করতে বাদল সরকার লক্ষ্য করেন, মঞ্চ নাটকে অভিনেতারা থাকে আলোয় আর দর্শকরা থাকে অন্ধকারে। অভিনেতারা থাকে মঞ্চে উঁচুতে, আর দর্শকেরা থাকে নীচুতে দর্শকাসনে।অভিনেতাদের সঙ্গে দর্শকদের মত বিনিময়ের সুযোগ প্রায় থাকে না। তিনি উপলব্ধি করেন যে, থিয়েটারকে বৃহত্তর মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হলে মঞ্চ নাটকের এই সীমাবদ্ধতাগুলো ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হবে। তিনি দেখলেন, ভারতে দুই ধরনের থিয়েটারের প্রচলন রয়েছে— এক , ভারতের গ্রামীণ সমাজে পালাগান, যাত্রাপালা, ভাওয়াইয়া, নৌটঙ্কী প্রভৃতি লোকনাট্যের প্রচলন রয়েছে। এটাই আমাদের দেশীয় থিয়েটার । এটাকে তিনি ফার্স্ট থিয়েটার বললেন। দুই , ভারতের শহুরে সংস্কৃতিতে বিদেশী সংস্কৃতিকে অনুকরণ করে মঞ্চ নাটকের প্রচলন হয়েছে। এটা বাইরে থেকে আমদানি করা হয়েছে।এটাকে তিনি সেকেন্ড থিয়েটার বললেন। আর এই দুটো থিয়েটারের সিন্থেসিস ঘটিয়ে তিনি একটি বিকল্প থিয়েটারের জন্ম দিলেন, যাকে তিনি থার্ড থিয়েটার বলে পরিচয় দিলেন। তিনি ফার্স্ট থিয়েটার থেকে নিলেন আঙ্গিক অর্থাৎ তিনি বললেন থার্ড থিয়েটার হবে খোলা জায়গায়, মঞ্চ থেকে বেরিয়ে এসে অঙ্গন মঞ্চে এবং মুক্ত মঞ্চে। অঙ্গন মঞ্চ অর্থাৎ অল্প সংখ্যক দর্শক নিয়ে চার দেওয়ালের মধ্যে এবং মুক্ত মঞ্চ অর্থাৎ খোলা জ্যায়গায় বিপুল সংখ্যক দর্শকের মাঝে। আর সেকেন্ড থিয়েটার থেকে নিলেন বিষয় অর্থাৎ থার্ড থিয়েটারের  মধ্যে‌একটা সচেতনতার বার্তা থাকবে, এই থিয়েটার হবে সুসংবদ্ধ , নিছক বিনোদন  এই থিয়েটারের বিষয় হবে না। এছাড়াও তিনি আরও বললেন যে, এই থিয়েটার হবে মুক্ত, শুধু মঞ্চ নাটকের সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত নয়, আর্থিক দিক থেকেও মুক্ত। এই থিয়েটার তিনি যখন মুক্ত মঞ্চে করতেন তখন কোনও নির্দিষ্ট অঙ্কের প্রবেশমূল্য তিনি রাখতেন না। নাটকের শেষে চাদর বা গামছা জাতীয় কিছু পাততেন দর্শকদের সামনে, দর্শকরা যা দান করতো সেটাই নিতেন, দর্শকদের এই দানকে তিনি দর্শকদের অংশগ্রহণ বলতেন। নাটক শেষে দর্শকদের সঙ্গে মত বিনিময়েরও চেষ্টা করতেন অভিনেতারা। এইভাবে দুটো থিয়েটারের সিন্থেসিস ঘটিয়ে তিনি ‘থার্ড থিয়েটার’ নামে একটি বিকল্প ধারার থিয়েটারের জন্ম দেন। এই থিয়েটারের সঙ্গে তিনি পরবর্তীকালে জুড়ে দেন আরও দুটি বিষয়— 1. গ্রাম পরিক্রমা ও 2.ওয়ার্কশপ। ‘গ্রাম পরিক্রমা’ বলতে আসলে তিনি তাঁর নিজস্ব নাট্যদল ‘শতাব্দী’ এবং সমমনোভাবাপন্ন অন্যান্য কয়েকটি নাট্যদলের সদস্যদের সঙ্গী করে কোনও গ্রামে চলে যেতেন, সেখানে গিয়ে কবিতা, নাটকের গান, বিভিন্ন নাটক অভিনয় করতেন। এর পাশাপাশি গ্রামের মানুষের সঙ্গে একটা মেলবন্ধনের সুযোগও তৈরি হত। গণনাট্য আন্দোলন গ্রামে গ্রামে গিয়ে নাটক করার যে প্রস্তাব দিয়েছিল, কিংবা সত্তরের দশকের নকশাল‌ আন্দোলন গ্রাম দিয়ে শহর ঘেরার যে স্লোগান তুলেছিল তারই যেন খন্ড বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হয়েছিল বাদল সরকারের এই গ্রাম পরিক্রমার মধ্য দিয়ে।আর‌ এর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ওয়ার্কশপের মধ্য দিয়েও নাটক নির্মাণের চেষ্টা করেছেন। ওয়ার্কশপ বলতে আর কিছুই না, কিছু মজাদার খেলা এবং শারীরিক অনুশীলনের মধ্য দিয়ে নাট্য নির্মাণের চেষ্টা এবং অভিনেতার‌ প্রস্তুতি । তিনি ওয়ার্কশপে বিভিন্ন শারীরিক কসরতের মধ্য দিয়ে অভিনেতার শরীর নির্মাণের উপর জোর দিয়েছেন।থার্ড থিয়েটারের ক্ষেত্রে  অভিনেতার শারীরিক কসরত  ও অঙ্গ ভঙ্গিমা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বাদল সরকারের বলতেন, থার্ড থিয়েটার হবে নমনীয়(Flexible), বহনীয়(Portable) ও সুলভ (Inexpensive)। নমনীয় অর্থাৎ  যে কোনো জ্যায়গায় গিয়ে খুব সহজেই নাটকটা করে দেওয়া যাবে। বহনীয় অর্থাৎ যেহেতু খুব স্বল্প উপকরণের সাহায্যেই এই‌ থিয়েটার করে ফেলা যায়,তাই‌ পরিবহনের  ক্ষেত্রে খুব একটা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় না।  সুলভ অর্থাৎ খুব সামান্য খরচের মধ্য দিয়েই অসাধারন সব নাটক উপস্থাপন করা যায় এই‌‌ থিয়েটারে।এই থিয়েটারে চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি, কিন্তু বাহ্যিক প্রতিকূলতা, যেমন – হল ভাড়া , মেক আপ, টিকিট, বিজ্ঞাপন খরচা প্রভৃতির ঝামেলা প্রায় নেই বললেই চলে।এই থিয়েটার হল ফ্রি থিয়েটার বা মুক্ত থিয়েটার। কোনো নির্দিষ্ট অঙ্কের মূল্য এই থিয়েটারে প্রবেশের শর্ত নয়।এই থিয়েটার টাকার উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল নয়, ফলে আরও অনেক ক্ষেত্রে মুক্ত। দর্শকদের সঙ্গে এই থিয়েটারের ক্রেতা বিক্রেতার সম্পর্ক নেই।

যে দর্শনের উপর ভিত্তি করে থার্ড থিয়েটারের পথ চলা শুরু হয়েছিল সেই দর্শনকে মাথায় রেখেই থার্ড থিয়েটার আগামীর পথ চলাকে আরও প্রশস্ত করেছে। এই‌ থিয়েটার অনেক বেশি মানুষের কাছে অনেক সহজভাবে পৌঁছে যাওয়ার অঙ্গীকার নিয়েছিল, থিয়েটারকে পুঁজিবাদের কবল থেকে মুক্ত করার স্বপ্ন দেখেছিল।এই থিয়েটার তার উদ্দেশ্য সাধনে অনেকটাই সফলতা পেয়েছে। যত দিন যাচ্ছে থার্ড থিয়েটারের দলগুলির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমানেএই ধারা নিয়ে এই দর্শন নিয়ে যেসমস্ত নাট্যদল কাজ করছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল শতাব্দী, পথসেনা, আয়না, ব্রীহি, কোরাস, চেনা আধুলি, দৃশ্যান্তর, অন্বেষা সাংস্কৃতিক সংস্থা প্রভৃতি। এই  ধারা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা , ওয়ার্কশপ, গ্রাম পরিক্রমা সবই অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এই থিয়েটার শুধু এটুকুর মধ্যেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেনি। এই থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা কিভাবে এই থিয়েটারের মধ্যে দিয়েই নিজেদের অর্থনৈতিক দিক থেকে স্বাবলম্বী করতে পারে তার খোঁজও চলছে। তাই কোনও কোনও নাট্যদল প্রচুর শো করে সেখান থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে কর্মীদের স্বাবলম্বী করার চেষ্টায় রত, আবার কেউ কেউ শো করার পাশাপাশি তাদের নাট্যকর্মীদের নিজের হাতে তৈরি করা বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করে সেখান থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে কর্মীদের স্বাবলম্বী করার চেষ্টায় রত, আবার কেউ কেউ নাট্যগ্রাম নির্মাণের মধ্য দিয়ে দলের কর্মীদের আত্মনির্ভরশীল ও উপার্জনশীল করার চেষ্টায় রত। তবে কখনও কখনও দেখা যাচ্ছে যে, নাট্যগ্রামকেন্দ্রিক নাট্যচর্চা থার্ড থিয়েটারের যে দর্শন সেই দর্শন থেকে সরে আসছে।অনেক সময়ই সেটা নাট্যগ্রামের স্বল্প সংখ্যক দর্শকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে, বৃহত্তর দর্শকের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টায় ভাটা পড়ছে।

করোনা সংক্রমন পরবর্তী সময়ে আরও অসংখ্য নাট্যদল থার্ড থিয়েটারের দর্শনকে মাথায় রেখেই পথে নামবে বলে আমি আশাবাদী। কারণ করোনা পুঁজিবাদের ওপর একটা বিরাট আঘাত হেনেছে। এই ধাক্কা সামলে উঠতে থিয়েটারের অনেক দলকেই অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তখন হয়তো থার্ড থিয়েটারের যে দর্শন সেই দর্শনই মানুষকে নতুন নতুন পথের সন্ধান দেবে।কারণ পুঁজিবাদকে অস্বীকার করে কিছু করতে হলে এই মুহূর্তে থার্ড থিয়েটার ছাড়া কোনও গতি নেই। দর্শকদের নাটকের দিকে ফিরিয়ে আনতে হলে ফেরার পথটাকেও অনেক সহজ করতে হবে। কারন একটা বড় সংখ্যক দর্শক আর নির্দিষ্ট প্রবেশমূল্যে থিয়েটার দেখতে অপারগ হবে। থিয়েটারের মানুষদেরই অনেক বেশি বেশি করে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে হবে। বিলাসবহুল থিয়েটার নিয়ে এত সহজে মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া যাবে না। থিয়েটারকে হয়ে উঠতে হবে নমনীয়, বহনীয় ও সুলভ। অর্থাৎ থার্ড থিয়েটার দর্শনকেই আঁকড়ে ধরতে হবে।

করোনা পরবর্তী সময়ে থার্ড থিয়েটার সেই বিকল্প পথের , মুক্তির সন্ধান দেবে বলেই আমার আশা। মানুষ থিয়েটার নিয়ে আরও বেশি বেশি করে পথে-ঘাটে-মাঠে, মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাবে। থিয়েটার অনেক বেশি মুক্ত, অনেক বেশি স্বাধীন, অনেক বেশি আত্মনির্ভরশীল (যেহেতু থিয়েটারে সরকারি গ্রান্টের পরিমান কমে যাবে তাই থিয়েটারকে কিছুটা বাধ্য হয়েই আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে হবে), অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠবে এবং অর্থের লেনদেনের স্বাভাবিক নির্দিষ্ট ছক ভেঙে বেরিয়ে আসবে।

এই করোনা পরবর্তী সময়ে থিয়েটার নতুন নতুন দিশা পাবে। থার্ড থিয়েটারের দর্শনকে মাথায় রেখে নতুন নতুন বিকল্প পথের সন্ধান করবে। মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরে পেতে আরও বেশি বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে । ঘরোয়া থিয়েটার, ইন্টিমেট স্পেসে থিয়েটারের প্রবনতা বাড়বে, এর পাশাপাশি ডিজিটাল ‌ মাধ্যমে নাটক করার প্রবণতা বাড়বে  , কিন্তু নাটক যেহেতু লাইভ পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে, তাই ডিজিটাল প্রবণতা খুব বেশি সফলতা পাবে না। শেষমেষ মানুষের কাছাকাছি নেমে এসেই নাটক করতে হবে আরও বেশি বেশি করে।

==========∆∆∆∆∆∆∆===={={{{{{{{{==={





No comments:

শুভ জন্মদিন শ্রদ্ধাঞ্জলি। পশুপতি ভট্টাচার্য । খ্যাতনামা চিকিৎসক ও সাহিত্যিক। Dt -15.11.2024. Vol -1053. Friday. The blogger post in literary e magazine

পশুপতি ভট্টাচার্য  ১৫ নভেম্বর ১৮৯১ -  ২৭ জানুয়ারি ১৯৭৮   একজন খ্যাতনামা চিকিৎসক ও সাহিত্যিক। জন্ম  বিহার রাজ্যে পিতার কর্মস্থল আরায়। তাদ...