ভীষণ শ্যাওলা এসে আজ তার জানালা দেয়াল
ঢেকে গেছে, যেন ওর ভয়ানক বেড়ে গেছে দেনা,
তাই কোনাে পাখিও বসে না!
এর চেয়ে আমাদের কুঁড়েঘর ঢের ভালাে, ঢের
দলে-দলে নীল পাখি নিকোনাে নরম উঠোনের
ধান খায়, ধান খেয়ে যাবে-
বুধুয়া অবাক হয়ে ভাবে।
এবার রিখিয়া ছেড়ে বাবুডির মাঠে
বুধুয়া অবাক হয়ে হাঁটে,
দেহাতি পথের নাম ভুলে
হঠাৎ পাহাড়ে উঠে পাহাড়ের মতাে মুখ তুলে
ভাবে : ওটা কার বাড়ি, কার অত নীল,
আমার ঘরের চেয়ে আরাে ভালাে, আরাে
নিকোনাে উঠোন তার, পাখিবসা বিরাট পাঁচিল!
ওখানে আমিও যাব, কে আমায় নিয়ে যেতে পারাে?
এইভাবে প্রতিদিন বুধুয়ার ডাকে
কানায় কানায় আলাে পথের কলসে ভরা থাকে,
ঝাঁকে-ঝাঁকে পাখি আসে, কেউ তার দিদি, কেউ মাসি,
রুপােলি ডানায় যারা নিয়ে যায় বুধুয়ার হাসি।।
মুক্তি
১.
তুমি এসাে বার্লিনের দুদিক থেকে
অবিভক্ত সাদা-কালাে খঞ্জন আমার
ছৌ-কাবুকির ছদ্মবেশে
চূর্ণ করে দাও যত অলীক সীমান্ত
আমি যদি কৃত্তিম প্রাচীর গড়ি
মৃদু পক্ষাপাতে ভেঙে দিয়াে
ডানার অটুট রাখাে ভাঙে যদি আমাদের প্রেম ।
২.
উত্তর অতলান্তিকে বৃষ্টি হলে
তােমার-এখানে কেন রৌদ্র হবে
জানি তুমি ডােরাকাটা স্বাতন্ত্র কায়েম রাখবে বলে
থেকে-থেকে কীরকম অচেনাসমান হয়ে যাও
এমন কি কেঁপে ওঠো তােমার ডানায় যদি হাত রাখি ।।
অপূর্ণ
দ্বিতীয় ভুবন রচনার অধিকার
দিয়েছ আমার হাতে-
এই ভেবে আমি যত খেয়াপারাপার
করেছি গভীর রাতে,
প্রতিবার তরী কান্নায় শুরু হয়
কান্নায় ডোবে জলে,
হাসিমুখে তবু কেন হে বিশ্বময়
তােমার তরণী চলে ?
তারপর তীরে ফিরে আসি নিরালায়,
মূর্খনেশায় ভাবি,
দূর থেকে তুমি আসবে অধীর পায়ে
বলবে : ‘আমার দেশে
তাের সেই খেয়া উজানে গিয়েছে ভেসে,
ফিরিয়ে আনতে যাবি?’
উত্তর দেব : সেই তরী তুমি নাও,
ছিন্ন সে-পাল তুলে,
আজ তুমি শুধু একবার পাড়ি দাও
এ নদীর কালাে চুলে ;
দেখি কোন্ ফুলে প্রফুল্ল কর তার
শােকার্ত শর্বরী,
এই পারে আমি বাসী ফুল তুলি আর
বালির পসরা করি।
=================={={{====={======={=
No comments:
Post a Comment