এক কথায় তাঁকে একজন টোটাল ফিল্মমেকার নির্দ্বিধায় বলা যায়।’
কোনওদিন রাজা হতে চাননি, রয়ে গিয়েছিলেন চিরকাল রাজকুমারই, শিল্পবোধের টানেই তাঁর চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ।তাঁর প্রিয় হাতি জঙ্গবাহাদুরের পিঠে বসে শিকারে চলেছেন, অসমের গৌরীপুরের জঙ্গলে। পিছনে আরও হাতি। অনেক লোক। হরেক রকমের বন্দুক, তাঁবু, খাবারদাবার কত কী! তিনি অসমের গৌরীপুরের বড় রাজকুমার প্রমথেশচন্দ্র বড়ুয়া।
প্রমথেশ কিন্তু কোনও দিনই শিকার পছন্দ করতেন না। তাঁর এই মনোভাবের জন্য দায়ী তাঁর মা সরোজবালা। মা ছিলেন প্রমথেশের চোখের মণি। মাও ‘মণি’ (প্রমথেশের ডাকনাম) বলতে অজ্ঞান! প্রমথেশের বাবা গৌরীপুরের রাজা প্রভাতচন্দ্র বড়ুয়া শাক্ত হলেও, তাঁর স্ত্রী সরোজবালা ছিলেন বৈষ্ণব। তিনি খুব সুন্দর গান গাইতেন। ক্ষমা, স্নেহ, ভালবাসা মা’র কাছ থেকেই পেয়েছিলেন প্রমথেশ। মা প্রাণিহত্যা পছন্দ করতেন না। কিন্তু একেই বোধ হয় বলে আয়রনি! মায়ের শ্রাদ্ধের দিন শ্রাদ্ধের কাজ শেষ না করেই, হাতে বন্দুক নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন প্রমথেশ। বাঘ মারতে। রাজবাড়ির বাইরে তখন প্রজাদের ভয়ার্ত চিৎকার। লোকালয়ে বাঘ বেরিয়েছে। সেই বাঘ হত্যা করে রাজবাড়ি ফিরে এসে শ্রাদ্ধের কাজ শেষ করেছিলেন সরোজবালার আদরের মণি।
প্রমথেশের ভাই প্রকৃতীশচন্দ্র বড়ুয়ার (লালজি) ডায়েরি থেকে জানা যায়, ১৯১৫ সালে ১৩ বছর বয়সে প্রথম বাঘ শিকার করেন প্রমথেশ। সারা জীবনে তিনি প্রায় ৫০টির বেশি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, ২৩টি চিতা এবং একটি গন্ডার শিকার করেছিলেন! এখন এই তালিকা দেখে বন্যপ্রাণ প্রেমিকরা মাথায় হাত দেবেন নিশ্চয়। কিন্তু এই রাজ পরিবারে সব চেয়ে কম সংখ্যক পশু শিকার করেছিলেন প্রমথেশই। ‘‘আমাদের গৌরীপুর রাজবাড়ির কাছে শিকার বিরাট ব্যাপার ছিল,’’ বললেন প্রমথেশ বড়ুয়ার নাতনি রাই বড়ুয়া। তিনি প্রমথেশের বড় ছেলে অলকেশ বড়ুয়ার মেয়ে। রাজবাড়ির ছেলেদের হাতে বালক বয়সেই বন্দুক তুলে দেওয়া হত। প্রমথেশ ও তাঁর দুই ভাই প্রকৃতীশ এবং প্রণবেশের ক্ষেত্রেও অন্যথা হয়নি।
তপন সিংহ বলেছেন, ‘‘বড়ুয়াকে বিচার করতে হবে তাঁর সময়কালের পরিপ্রেক্ষিতে। তখন টেকনিকের দিক থেকে বাংলা সিনেমা আদিম অবস্থায় ছিল। কোনো আধুনিক যন্ত্রপাতি ছিল না। ওই সীমার মাঝে তাঁকে কাজ করতে হয়েছে, উদ্ভাবন করেছেন মৌলিক প্রতিভাকে সম্বল করে। সেখানেও তিনি যথেষ্ট পরিমাণে আধুনিক ছিলেন।... বড়ুয়া খুব ভালো সংলাপ লিখতেন।’’
অপরাধী চলচ্চিত্রে তিনি সর্বপ্রথম কৃত্রিম আলোর ব্যবহার করেন এবং এটাই ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পে প্রথম কৃত্রিম আলোর ব্যবহার। তার অপরাধী চলচ্চিত্রে ব্যবহার করা “কৃত্রিম আলো” ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে প্রথম কৃত্রিম ব্যবস্থা ছিল। ভারতীয়দের মধ্যে সর্বপ্রথম তিনি দেবদাস চলচ্চিত্রে ফ্লাস ব্যাক মন্তাজ, টেলিপ্যাথি শট এবং সাবজেকটিভ ক্যামেরার ব্যবহার করেন।
প্রমথেশ বড়ুয়ার জন্ম অসমের গোয়ালপাড়া জেলার গৌরীপুরে হয়েছিল। পিতার নাম প্রভাত চন্দ্র বরুয়া ও মাতার নাম সরোজবালা বরুয়া। তিনি ছেলেবেলায় গৌরীপুরে ইউনাইটেড ক্লাব নামক একটি সাংস্কৃতিক সংঘের স্থাপনা করে নাটক করিতেন। প্রমথেশ বরুয়া গৌরীপুর বিদ্যালয়ে শিক্ষা সম্পূর্ণ করার পর কলকাতার হেয়ার বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলন। ১৯২১ সনে তিনি কলকাতার বীরেন্দ্রনাথ মিত্রের কন্যা মাধুরীলতাকে বিবাহ করেছিলেন। ১৯২৮ প্রমথেশ বরুয়া কলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেছিলেন। তিনি ইউরোপ ভ্রমণ করার সময় চলচ্চিত্র জগতের প্রতি তার আগ্রহ জন্মেছিল। ১৯২৬ সনে মাতৃবিয়োগের পর তিনি অসমে ফিরে আসেন ও পিতার সহিত জমিদারী কার্যে মনোনিবেশ করেন। কিছুদিন পর তিনি কলকাতার জন্য রওনা হন এবং ঘরের সদস্যদের আপত্তি থাকা সত্বেও তিনি চলচ্চিত্র জগতে জড়িত হন। তিনি অমলা বালা বরুয়া ও যমুনা বরুয়াকে বিবাহ করেছিলেন। প্রথমেশ বরুয়া মোট ৬টি সন্তানের পিতা ছিলেন।
জীবনী এবং চলচ্চিত্রে অবদান সম্পাদনা
১৯২০ সালে কলকাতা হেয়ার স্কুল থেকে প্রবেশিকা পাশ। ১৯২৪-এ প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। ১৯২৮-এ মনোনীত সদস্য হিসেবে আসাম আইনসভায় যোগদান। ১৯৩০-এ উক্ত আইনসভার সদস্য নির্বাচিত।তিনি মোট ১৪টি বাংলা ও সাতটি হিন্দি ছবি পরিচালনা করেন। প্রমথেশ চন্দ্র বরুয়া কলকাতার ধীরেন্দ্রনাথ গাঙ্গুলীর 'দ্য ব্রিটিশ ডমিনিয়ান ফিল্ম লিমিটেড'এ মনোনিবেশ করেছিলেন ও তিনি এই প্রতিষ্ঠানে অভিনয় করেছিলেন।তিনি দ্বিতীয়বার ইউরোপ ভ্রমনের জন্য গিয়েছিলেন ও লন্ডন থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য প্রশিক্ষন নিয়েছিলেন ও প্যারিসে লাইট বয় হিসেবে কাজ করে চলচ্চিত্র নির্মাণের কার্য আয়ত্ত করেছিলেন। প্যারিস থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণের সামগ্রী ক্রয় করে তিনি ভারতে বড়ুয়া পিক্চার্স নামক ষ্টুডিও স্থাপন করেছিলেন। ১৯৩১ সনে এই ষ্টুডিওর প্রথম চলচ্চিত্র 'অপরাধী' মুক্তি পেয়েছিল। কালীপ্রসাদ ঘোষ পরিচালিত ভাগ্যলক্ষ্মী চলচ্চিত্রে তিনি খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ধীরেন্দ্রনাথ গাঙ্গুলী, প্রমথেশ বড়ুয়া ও দেবকী বসু একত্রিত হয়ে নিউ থিয়েটর্স নামক চলচ্চিত্র প্রয়োজনা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন। এই থিয়েটারের অন্তঃভুক্ত থাকার সময় তিনি দেবদাস চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত উপন্যাসে আধারিত এই চলচ্চিত্র প্রথমে বাংলা ভাষায় নির্মাণ করা হয়েছিল এবং ১৯৩৫ সনে তিনি হিন্দী ভাষায় দেবদাস চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। তিনি হিন্দী চলচ্চিত্র মন্জিল, মুক্তি, অধিকার ও রজত জয়ন্তীতে পরিচলনা করেছিলেন।
পরিচালনা
বেঙ্গল ১৯৮৩ (১৯৩২)
রূপ লেখা (১৯৩৪)
দেবদাস (১৯৩৫)
মায়া (১৯৩৬)
মঞ্জিল (১৯৩৬)
গৃহদাহ (১৯৩৬)
দেবদাস (১৯৩৬) হিন্দী
মুক্তি (১৯৩৭)
রজত জয়ন্তী (১৯৩৯)
অধিকার (১৯৩৯)
জিন্দেগী (১৯৪০)
শাপ মুক্তি (১৯৪০)
মায়ের প্রাণ (১৯৪১)
উত্তরায়ণ (১৯৪১)
জবাব (১৯৪২)
রাণী (১৯৪৩)
চুবহ শাম (১৯৪৪)
আমীরী (১৯৪৫)
পেহচান (১৯৪৬)
ইরাণ কী এক রাত (১৯৪৯)
মায়া কানন (১৯৫৩)
অভিনয়
সুবহ শাম (১৯৪৪)
রানী (১৯৪৩)
জবাব (১৯৪২) .... মনোজ
উত্তরায়ণ (১৯৪১) .... সলিল
মায়ের প্রাণ (১৯৪১) .... সতীশ
শাপ মুক্তি (১৯৪০) .... রমেশ
অধিকার (১৯৩৯) .... নিখিলেশ
রজত জয়ন্তী (১৯৩৯) .... রজত
মুক্তি (১৯৩৭) .... প্রশান্ত
গৃহদাহ (১৯৩৬) .... মহিম
মঞ্জিল(১৯৩৬) .... মহিম
দেবদাস (১৯৩৫) .... দেবদাস
রূপ লেখা (১৯৩৪) .... অরূপ
বেঙ্গল ১৯৮৩ (১৯৩২)
অপরাধী (১৯৩১)
চরিত্রহীন (১৯৩১)
টাকায় কি না হয় (১৯৩১)
চিত্রনাট্যকার
অধিকার (১৯৩৯)
রজত জয়ন্তী (১৯৩৯)
মুক্তি (১৯৩৭)
দেবদাস (১৯৩৬) হিন্দী
মায়া (১৯৩৬)
দেবদাস (১৯৩৫)
একাডা (১৯৩২)
অত্যধিক সুরাপানের ফলে প্রথমেশ বড়ুয়ার স্বাস্থ্য ধীরে ধীরে নষ্ট হতে থাকে; ফলে ১৯৫১ সনের ৩১শে নভেম্বর তারিখে প্রমথেশ বড়ুয়ার মৃত্যু হয়। কলকাতার ক্যাওড়াতলা মহাশ্মশানে প্রথমেশ বড়ুয়ার অন্তিম কার্য সমাপ্ত করা হয়।
তিরিশের দশকের শুরুর সময়। কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হাজির হলেন এক যুবক। আসামের গৌরীপুর রাজবাড়ির বড়ো রাজকুমার হয়েও, সব ছেড়েছুঁড়ে কলকাতায় এসেছে সিনেমার টানে। সেই সুবাদেই হাতে এসে পড়ল শরৎচন্দ্রের ‘দেবদাস’। যদি এটাকে সিনেমায় আনা যায়? সোজা চলে গেলেন লেখকের বাড়িতে। শরৎচন্দ্র তো অবাক! এর আগে ‘দেবদাস’কে সিনেমার বিষয় হিসেবে কেউ ভাবেননি। শরৎচন্দ্র নিজেও খুব একটা আশাবাদী ছিলেন না। কী আছে দেবদাসে, যে বড়োপর্দায় আসবে? কিন্তু প্রমথেশ বড়ুয়া আশাবাদী। যে করেই হোক, লেখকের কাছ থেকে স্বত্ব নিয়ে ‘দেবদাস’ করবেনই তিনি…
শরীরে ছিল রাজরক্ত। গৌরীপুরের বিশাল এস্টেটের দায়িত্বে ছিলেন বড়ুয়া পরিবার। আর সেই পরিবারেই জন্ম নিলেন প্রমথেশ চন্দ্র বড়ুয়া। তিনি বাংলা সিনেমার সুপারস্টার, চিরাচরিত রাস্তার মোড় ঘোরানো একজন কিংবদন্তি। কিন্তু এসব তো এসেছে অনেক পরে। প্রমথেশ বড়ুয়ার জীবনের দিকে তাকালেও মনে হবে এক জলজ্যান্ত চিত্রনাট্য। অদ্ভুতভাবে, দেবদাসের মতোই অদ্ভুত সমাপতন তাঁর। অজান্তে নিজের জীবন আর পর্দা— দুই জায়গাতেই ‘দেবদাস’ হয়ে গিয়েছিলেন প্রমথেশ বড়ুয়া
বাংলা তো বটেই, ভারতীয় সিনেমার জগতে একের পর এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিলেন প্রমথেশ বড়ুয়া। সেবার তিনি গেছেন ইউরোপে, চিকিৎসার জন্য। গিয়ে দেখেন, বাংলা ও ভারতের প্রাণের পুরুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও উপস্থিত। আলাপ হল কবিগুরুর সঙ্গে। তখনই চলে গেলেন ফ্রান্সে। সিনেমা নিয়ে আরও পড়াশোনা করবেন তিনি, শিখবেন নতুন নতুন কৌশল— এটাই লক্ষ্য। সেখানেই দেখলেন কী করে কৃত্রিম আলোর ব্যবহার করতে হয় সিনেমায়। বাংলায় ফিরে তৈরি করলেন নিজের ফিল্ম কোম্পানি, নাম ‘বড়ুয়া ফিল্ম ইউনিট’। এই কোম্পানির প্রথম সিনেমা ‘অপরাধী’। শুধু বাংলা নয়, ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এই সিনেমা এক মাইলস্টোন। বিদেশে যা যা শিখেছেন, সব এবার সিনেমায় প্রয়োগ করতে আরম্ভ করলেন প্রমথেশ বড়ুয়া। ‘অপরাধী’ সিনেমা ও প্রমথেশ বড়ুয়ার হাত ধরে প্রথমবার ভারতীয় চলচ্চিত্র দেখল কৃত্রিম আলোর ব্যবহার।
ক্যামেরা এবং শুটিংয়ের কায়দা নিয়েও বহু পরীক্ষা নিরীক্ষা করলেন তিনি। কিন্তু জীবন বড়ো অদ্ভুত। গল্পের শেষ পর্যায় আরও একবার ফিরে দেখা যাক ‘দেবদাস’-কে। শরৎচন্দ্রের উপন্যাসটিকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে গেলেন প্রমথেশ বড়ুয়া। কাহিনিই শুধু নয়; তাঁর অভিনয়, চলচ্চিত্র নির্মাণ, ক্যামেরার কাজ— সমস্ত জায়গায় একটা দৃষ্টান্ত হয়ে রইল এই সিনেমাটি। আর প্রমথেশ? তিনি হয়ে গেলেন সবার ‘দেবদা’। প্রমথেশ বড়ুয়ার হাত ধরেই প্রথমবার রবীন্দ্রসঙ্গীত ব্যবহৃত হয়েছিল বাংলা সিনেমায়। একের পর এক বাঁক বদল, আর তাঁর কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেন একজন মানুষ— প্রমথেশ বড়ুয়া।
শোনা যায়, পরবর্তীকালে যখন উত্তমকুমারকে ‘দেবদাস’-এর চরিত্রে অভিনয় করার কথা বলা হয়েছিল; তিনি সবিনয়ে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। প্রমথেশ বড়ুয়ার জুতোতে তিনি পা রাখবেন না। মহানায়কের কাছে, দেবদাস আর প্রমথেশ বড়ুয়া যেন সমার্থক। ওরকম অভিনয় তিনি পারবেন না। সত্যিই, জীবনের একটা পর্যায়ে এসে মনে হয় অভিনেতা আর অভিনীত চরিত্র যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। প্রমথেশ বড়ুয়াও তো বড়ো পরিবারের সন্তান ছিলেন। জীবনে একের পর এক প্রেম এসেছে; আর তিনিও পাগলের মতো খুঁজে গেছেন ভালোবাসাকে। আর ছিল সিনেমা। পরিবারের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল একটা সময়। অতিরিক্ত মদ্যপান শরীরের কাঠামোকেও একটু একটু করে ভেঙে ফেলছিল। তখন ঠিক যেন ‘দেবদাস’-এর ট্র্যাজিক নায়ক তিনি। তবুও তিনি অনন্য, তিনি কিংবদন্তি। আর রাজা তো ছিলেন জন্মের পর থেকেই। শরীর ভাঙতে ভাঙতে একসময় চলে এল খাদের ধারে। পারলেন না আর পর্দার ‘দেবদাস’। গৌরীপুর, কলকাতা, বম্বে এবং এই পৃথিবী থেকে বিবাগী হলেন বরাবরের মতো…
===========∆∆∆∆∆∆∆∆∆=========
No comments:
Post a Comment