যীশু খ্রীষ্টের বংশ তালিকা৷
ইনি ছিলেন রাজা দায়ূদের বংশধর, দায়ূদ ছিলেন অব্রাহামের বংশধর৷
2 অব্রাহামের ছেলে ইসহাক৷ ইসহাকের ছেলে যাকোব৷ যাকোবের ছেলে যিহূদা ও তার ভাইরা৷
3 যিহূদার ছেলে পেরস ও সেরহ৷ এদের মায়ের নাম তামর৷ পেরসের ছেলে হিষ্রোণ৷ হিষ্রোণের ছেলে রাম৷
4 রামের ছেলে অম্মীনাদব৷ অম্মীনাদবের ছেলে নহশোন৷ নহশোনের ছেলে সল্মোন৷
5 সল্মোনের ছেলে বোয়স৷ এর মায়ের নাম রাহব৷ বোয়সের ছেলে ওবেদ৷ এর মায়ের নাম রূত্৷ ওবেদের ছেলে যিশয়৷
6 যিশয়ের ছেলে রাজা দায়ূদ৷ দায়ূদের ছেলে রাজা শলোমন৷ এর মা ছিলেন ঊরিয়ের বিধবা স্ত্রী৷
7 শলোমনের ছেলে রহবিয়াম৷ রহবিয়ামের ছেলে অবিয়৷ অবিয়ের ছেলে আসা৷
8 আসার ছেলে যিহোশাফট৷ যিহোশাফটের ছেলে য়োরাম৷ য়োরামের ছেলে ঊষিয়৷
9 উষিয়ের ছেলে য়োথম৷ য়োথমের ছেলে আহস৷ আহসের ছেলে হিষ্কিয়৷
10 হিষ্কিয়ের ছেলে মনঃশি৷ মনঃশির ছেলে আমোন৷ আমোনের ছেলে য়োশিয়৷
11 য়োশিয়ের ছেলে যিকনিয় ও তার ভাইরা৷ বাবিলে ইহুদীদের নির্বাসনের সময় এঁরা জন্মেছিলেন৷
12 যিকনিয়ের ছেলে শল্টীয়েল৷ ইনি বাবিলে নির্বাসনের পর জন্মেছিলেন৷ শল্টীয়েলের ছেলে সরুব্বাবিল৷
13 সরুব্বাবিলের ছেলে অবীহূদ৷ অবীহূদের ছেলে ইলীয়াকীম৷ ইলীয়াকীমের ছেলে আসোর৷
14 আসোরের ছেলে সাদোক৷ সাদোকের ছেলে আখীম৷ আখীমের ছেলে ইলীহূদ৷
15 ইলীহূদের ছেলে ইলিয়াসর৷ ইলিয়াসরের ছেলে মত্তন৷ মত্তনের ছেলে যাকোব৷
2 অব্রাহামের ছেলে ইসহাক৷ ইসহাকের ছেলে যাকোব৷ যাকোবের ছেলে যিহূদা ও তার ভাইরা৷
3 যিহূদার ছেলে পেরস ও সেরহ৷ এদের মায়ের নাম তামর৷ পেরসের ছেলে হিষ্রোণ৷ হিষ্রোণের ছেলে রাম৷
4 রামের ছেলে অম্মীনাদব৷ অম্মীনাদবের ছেলে নহশোন৷ নহশোনের ছেলে সল্মোন৷
5 সল্মোনের ছেলে বোয়স৷ এর মায়ের নাম রাহব৷ বোয়সের ছেলে ওবেদ৷ এর মায়ের নাম রূত্৷ ওবেদের ছেলে যিশয়৷
6 যিশয়ের ছেলে রাজা দায়ূদ৷ দায়ূদের ছেলে রাজা শলোমন৷ এর মা ছিলেন ঊরিয়ের বিধবা স্ত্রী৷
7 শলোমনের ছেলে রহবিয়াম৷ রহবিয়ামের ছেলে অবিয়৷ অবিয়ের ছেলে আসা৷
8 আসার ছেলে যিহোশাফট৷ যিহোশাফটের ছেলে য়োরাম৷ য়োরামের ছেলে ঊষিয়৷
9 উষিয়ের ছেলে য়োথম৷ য়োথমের ছেলে আহস৷ আহসের ছেলে হিষ্কিয়৷
10 হিষ্কিয়ের ছেলে মনঃশি৷ মনঃশির ছেলে আমোন৷ আমোনের ছেলে য়োশিয়৷
11 য়োশিয়ের ছেলে যিকনিয় ও তার ভাইরা৷ বাবিলে ইহুদীদের নির্বাসনের সময় এঁরা জন্মেছিলেন৷
12 যিকনিয়ের ছেলে শল্টীয়েল৷ ইনি বাবিলে নির্বাসনের পর জন্মেছিলেন৷ শল্টীয়েলের ছেলে সরুব্বাবিল৷
13 সরুব্বাবিলের ছেলে অবীহূদ৷ অবীহূদের ছেলে ইলীয়াকীম৷ ইলীয়াকীমের ছেলে আসোর৷
14 আসোরের ছেলে সাদোক৷ সাদোকের ছেলে আখীম৷ আখীমের ছেলে ইলীহূদ৷
15 ইলীহূদের ছেলে ইলিয়াসর৷ ইলিয়াসরের ছেলে মত্তন৷ মত্তনের ছেলে যাকোব৷
16. যাকোবের ছেলে য়োষেফ৷ এই য়োষেফই ছিলেন মরিয়মের স্বামী এবং মরিয়মের গর্ভে যীশুর জন্ম হয়, যাঁকে মশীহ বা খ্রীষ্ট বলে৷
17 এইভাবে অব্রাহাম থেকে দায়ূদ পর্যন্ত মোট চৌদ্দ পুরুষ৷ দায়ূদের পর থেকে বাবিলে নির্বাসন পর্যন্ত মোট চৌদ্দ পুরুষ এবং বাবিলে নির্বাসনের পর থেকে খ্রীষ্টের আগমন পর্যন্ত মোট চৌদ্দ পুরুষ৷
18 এই হল যীশু খ্রীষ্টের জন্ম সংক্রান্ত বিবরণ: য়োষেফের সঙ্গে তাঁর মা মরিয়মের বাগদান হয়েছিল; কিন্তু তাঁদের বিয়ের আগেই জানতে পারা গেল য়ে পবিত্র আত্মার শক্তিতে মরিয়ম গর্ভবতী হয়েছেন৷
19 তাঁর ভাবী স্বামী য়োষেফ ন্যায়পরায়ণ লোক ছিলেন৷ তিনি মরিয়মকে লোক চক্ষে লজ্জায় ফেলতে চাইলেন না, তাই তিনি মরিয়মের সাথে বিবাহের এই বাগদান বাতিল করে গোপনে তাকে ত্যাগ করতে চাইলেন৷
20 তিনি যখন এসব কথা চিন্তা করছেন, তখন প্রভুর এক দূত স্বপ্নে তাঁকে দেখা দিয়ে বললেন, "য়োষেফ, দায়ূদের সন্তান, মরিয়মকে তোমার স্ত্রীরূপে গ্রহণ করতে ভয় করো না, কারণ তার গর্ভে য়ে সন্তান এসেছে, তা পবিত্র আত্মার শক্তিতেই হয়েছে৷
21 দেখ, সে এক পুত্র সন্তান প্রসব করবে, তুমি তাঁর নাম রেখো যীশু, কারণ তিনি তাঁর লোকদের তাদের পাপ থেকে উদ্ধার করবেন৷"
22 এই সব ঘটেছিল যাতে ভাববাদীর মাধ্যমে প্রভু যা বলেছিলেন তা পূর্ণ হয়৷
23 শোন! "এক কুমারী গর্ভবতী হবে, আর সে এক পুত্র সন্তান প্রসব করবে, তারা তাঁকে ইম্মানূয়েল যার অর্থ ‘আমাদের সঙ্গে ঈশ্বর’ বলে ডাকবে৷
24 য়োষেফ ঘুম থেকে উঠে প্রভুর দূতের আদেশ অনুসারে কাজ করলেন৷ তিনি মরিয়মকে বিয়ে করে বাড়ি নিয়ে গেলেন৷
25 কিন্তু মরিয়মের সেই সন্তানের জন্ম না হওয়া পর্যন্ত য়োষেফ মরিয়মের সঙ্গে সহবাস করলেন না৷ য়োষেফ সেই সন্তানের নাম রাখলেন যীশু৷
প্রাচীন ইতিহাসের সকল আধুনিক গবেষকই কার্যত স্বীকার করেছেন যে, যীশু এক ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব। যদিও ঐতিহাসিক যিশুর অনুসন্ধান করে সুসমাচারগুলোর ঐতিহাসিক বিশ্বাসযোগ্যতা এবং বাইবেলে চিত্রিত যিশুর সঙ্গে ঐতিহাসিক যিশুর কতটা মিল, সেই বিষয়ে খুব কম ক্ষেত্রেই মতৈক্যে উপনীত হওয়া গিয়েছে।যীশু ছিলেন একজন গালীলীয় ইহুদি।বাপ্তিস্মদাতা যোহন কর্তৃক দীক্ষিত হবার পর তিনি পরিচর্যা ও প্রচারণা শুরু করেন। তিনি মৌখিকভাবে প্রচারকার্য করতেন। প্রেরিতগণ প্রায়শই তাঁকে “রব্বি” বলে সম্মোধন করতেন। ঈশ্বরকে অনুসরণ করার ক্ষেত্রে কোন উপায়টি শ্রেষ্ঠ তা নিয়ে তিনি সঙ্গী ইহুদিদের সঙ্গে বিতর্কে অবতীর্ণ হন, রোগগ্রস্থদের আরোগ্যদান করেন, রূপক কাহিনীর মাধ্যমে শিক্ষাদান করেন এবং অনুগামীদের একত্র করেন। তাঁকে গ্রেফতার করা হয় এবং ইহুদি কর্তৃপক্ষ তাঁর বিচার করে। তারপর তাঁকে রোমান সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং রোমান গভর্নর পন্তীয় পীলাতের আদেশে তাঁকে ক্রুশারোপণ করা হয়। তাঁর অনুগামীরা বিশ্বাস করতেন, মৃত্যুর পর তিনি মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত হয়েছিলেন এবং তাঁরা যে সমাজ গড়ে তুলেছিলেন সেটাই কালক্রমে আদি মণ্ডলীর রূপ নেয়।
খ্রীষ্টীয় মতবাদের অন্তর্ভুক্ত বক্তব্যগুলি হল পবিত্র আত্মার প্রভাবে গর্ভধারণ করে মরিয়ম নাম্নী কুমারীর গর্ভে যীশুর জন্ম হয়, তিনি বিভিন্ন অলৌকিক কার্য সাধন করেন, খ্রীষ্টীয় মণ্ডলী প্রতিষ্ঠা করেন, মানবের পাপস্খালনের জন্য ক্রুশারোপিত হয়ে রোপণ আত্মবলিদান দিয়ে মৃত্যুবরণ করেন, মৃতদের মধ্যে থেকে পুনরুত্থিত হন, স্বর্গারোহণ করেন এবং সেখান থেকে তিনি পুনরাগমন করবেন।অধিকাংশ খ্রীষ্টান বিশ্বাস করে যে, যীশু ঈশ্বরের সঙ্গে তাঁদের পুনর্মিলন ঘটাবেন। নাইসিন ক্রিড অনুযায়ী, শারীরিক পুনরুত্থানের পূর্বে বা পরে যীশু জীবিত ও মৃতদের বিচার করবেন।খ্রীষ্টীয় পরলোকতত্ত্বে এই ঘটনাটি যীশুর দ্বিতীয় আগমনের সঙ্গে যুক্ত। খ্রীষ্টানদের একটি বড় অংশ যিশুকে ত্রিত্বের তিন ব্যক্তিত্বের দ্বিতীয় পুত্র ঈশ্বর বলে বিশ্বাস করে। তবে অল্পসংখ্যক খ্রীষ্টান শাখাসম্প্রদায় সম্পূর্ণত বা অংশত অশাস্ত্রীয় বিধায় ত্রিত্ববাদকে অস্বীকার করে। প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর তারিখে (প্রাচ্যদেশীয় কয়েকটি খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীতে জানুয়ারি মাসের ভিন্ন ভিন্ন তারিখে) বড়দিন উৎসবের মধ্য দিয়ে যীশুর জন্ম উদ্যাপিত হয়। তাঁর ক্রুশারোহণের সম্মানে গুড ফ্রাইডে ও পুনরুত্থানের সম্মানে ইস্টার পালিত হয়। বহুল ব্যবহৃত পঞ্জিকা বর্ষ "খ্রিস্টাব্দ" যীশুর যথাযথপ্রায় জন্মসনের ভিত্তিতে প্রচলিত হয়েছে। ইংরেজিতে এই বর্ষের সংক্ষিপ্ত নামরূপ "এডি" কথাটি এসেছে লাতিন আন্নো দোমিনি (anno Domini, "প্রভুর সন") কথাটি থেকে। ইংরেজিতে অধুনা এই বর্ষের ভিত্তিতে "সাধারণ বর্ষ" ("সিই") ধরা হয়।
জন্ম
ইয়েশুয়াʿ,ܝܶܫܽܘܥ,আনু. ৪ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ
বৈৎলেহম, যিহূদিয়া, রোমান সাম্রাজ্য
মৃত্যু
আনু. ৩০ বা ৩৩ খ্রীষ্টাব্দ (বয়স ৩৩–৩৬)
যিরূশালেম, যিহূদিয়া, রোমান সাম্রাজ্য
অন্যান্য নাম
খ্রীষ্ট,মশীহ,যীশু খ্রীষ্ট,নাসরতীয় যীশু,ঈসা মসীহ
ঈসা ইবনে মরিয়ম
আদি নিবাস - নাসরৎ, যিহূদিয়া, রোমান সাম্রাজ্য
পিতা-মাতা - মরিয়ম
যীশু খ্রিস্ট আবার আসবে, পবিত্র বাইবেলে তাই লেখা আছে| খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করেন যে যীশু তাদের ত্রাণকর্তা| প্রসঙ্গত, যিশু শব্দের অর্থ পরিত্রাতা|
এটা বলা হয়ে থাকে যে, যীশু পাপীদের রক্ষা করেন এবং যখন চূড়ান্ত রায়ের দিনে পৃথিবীতে এসে তিনি সেই পাপীদের তাঁর প্রতিশ্রুত ভূমিতে নিয়ে যান|
পবিত্র বাইবেলে যীশুর নাম নশোবার প্রদর্শিত আছে| তবে, খ্রীষ্ট নামটি, নাম হিসেবে নয় বরং একটি শিরোনাম হিসেবে আছে, যার অর্থ 'অভিষিক্ত'| যীশু খ্রীষ্ট পবিত্র আত্মার শক্তিতে সমৃদ্ধ ছিলেন এবং প্রতিশ্রুত ত্রাণকর্তা ছিলেন| খ্রীষ্ট শব্দটি পবিত্র গ্রন্থে 500 গুণ বেশী চিহ্নিত করা আছে|
যীশু খ্রীষ্ট অন্যান্য ধর্মের মধ্যেও পরিচিত| বস্তুত পবিত্র কোরানে, তাঁর শক্তিশালী নাম একের বেশি বার উল্লেখ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে পৃথিবীতে তাঁর উপস্থিতি আবার অনুভব করা যাবে| পবিত্র কোরানে এটি উল্লেখ করা হয়েছে যে যীশু জন্মগ্রহণের দুদিন পরেই কথা বলতে শুরু করেন এবং এটি একটি অলৌকিক ঘটনা| আজ, বোল্ডস্কাই যিশু খ্রিস্ট সম্পর্কে আকর্ষণীয় কিছু বিষয় একত্র করেছে যার সঙ্গে হয়েতা আপনি অবগত নন|
যীশুর জন্ম এবং তার জীবন সম্পর্কিত কিছু ঘটনা|
যীশুর খাদ্যাভ্যাস
ওল্ড টেস্টামেন্টে বলা আছে যীশু মাখন এবং মধু খেতেন। ঝলসানো মাছ এবং মউচাক খেতেও তিনি ভােলাবাসতেন। তিনি রুটিও খেয়েছিলেন যা সেই সময় মানুষের প্রধানতম খাদ্য ছিল|
তাঁর পেশা
সাধারণ মানুষ যীশুকে ছুতোর বলতো (মার্ক 6: 3), এবং তিনি সূত্রধরের ছেলে (ম্যাথিউ 13:55) নামে পরিচিত ছিলেন| পবিত্র গ্রন্থের এই উল্লেখ আমাদের বিশ্বাস করায় যে যীশু পরিশ্রমী মানুষ ছিলেন|
যীশুর পরিবার
যীশুর অনেক সৎ ভাই এবং বোন ছিল| তাঁর ভাইদের নাম, যেমন জেমস, জোসেস, সাইমন ও জুদাস বাইবেলে উল্লেখ করা থাকলেও কোন বোনের নাম উল্লেখ করা নেই|
যীশুকে যখন বিদ্ধ করা হয়েছিলেন
আপনি যীশু খ্রীষ্টের বিষয়ে এই আকর্ষণীয় তথ্যটি কি জানেন? যখন তাঁকে ক্ররুশে ঝোলানো হয়, তখন তিনি একটা গান গেয়েছিলেন। যার উদ্ধৃতি, "এলোই, এলোই, লামা শবক্তানী!"যার মানে, 'আমার ঈশ্বর, আমার ঈশ্বর, কেন তুমি আমাকে ত্যাগ করেছ?'
১২ জন শিষ্য
১২ জন শিষ্য যাদের যীশু ভালোবাসতেন এবং যত্ন নিতেন তারা সবাই তাদের কিশোর বয়সের শেষের দিকে ছিলেন| তারা সারা বিশ্বে যীশুর কথা বলতেন ও ঈশ্বরের বার্তা প্রচার করেছিলেন|
যীশুর জ্ঞাতি
যোহন দা ব্যাপটিস্ট, যীশুর দ্বিতীয় জ্ঞাতিভাই ছিলেন| আর মরিয়ম (যীশুর মা) এবং এলিজাবেথ (যোহনের মা) ছিলেন সম্পর্কে একঅপরের বোন|
বছরের পর বছর ধরে তার জন্মদিন
২৫ ডিসেম্বর, যা ক্রিসমাস হিসেবে উদযাপন করা হয়| যদিও যীশুর জন্মদিন সম্পর্কে বিশেষ তথ্য জানা যায় না| পণ্ডিতদের দাবি তিনি বসন্ত বা শীতের প্রারম্ভে জন্মগ্রহণ করেন|
বাইবেলে কখনও নির্দিষ্টভাবে লেখা হয় নাই যে, যীশু বলেছেন- ‘আমিই ঈশ্বর’। তার মানে এ-ই নয় যে, তিনি নিজেকে ঈশ্বর বলে দাবী করেন নাই। যোহন ১০:৩০ পদে লেখা যীশুর কথা উদাহরণ হিসাবে নেওয়া যায়, “আমি আর পিতা এক।” তাঁর বলা এই কথা- অর্থাৎ নিজেকে ঈশ্বর বলে দাবী করার মধ্য দিয়ে যিহূদীদের যে প্রতিক্রিয়া হয়েছিল, তা আমাদের জানা দরকার। এই কারণে তারা তাঁকে পাথর মারতে উদ্যত হয়েছিল। “... মানুষ হয়েও তুমি নিজেকে ঈশ্বর বলে দাবী করছ” (যোহন ১০:৩৩খ)। যিহূদীরা যীশুর ঈশ্বরত্বের দাবী ঠিকই বুঝতে পেরেছিল। এখানে লক্ষণীয় যে, যীশু তাঁর ঈশ্বরত্বের দাবীকে অস্বীকার করেন নাই। তিনি যখন বলেছেন, “আমি আর পিতা এক” (যোহন ১০:৩০), তখন তিনি বলতে চেয়েছেন যে, তিনি ও পিতা স্বভাবে এবং মানে অভিন্ন। যোহন ৮:৫৮ পদ আরও একটি উদাহরণ। যীশু ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, “আমি আপনাদের সত্যি বলছি, অব্রাহাম জন্মগ্রহণ করবার আগে থেকেই আমি আছি।” যে যিহূদীরা তাঁর এই কথা শুনেছিল, তারা ঈশ্বর নিন্দা বলে তাঁকে মারবার জন্য পাথর তুলে নিয়েছিল, কারণ মোশির আইন-কানুনে সেইরকমই বলা হয়েছে (লেবীয় ২৪:১৫)।
যীশুর ঈশ্বরত্ব সম্পর্কে যোহন বার বার বলেছেন, “বাক্য নিজেই ঈশ্বর ছিলেন” এবং “সেই বাক্যই মানুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করলেন” (যোহন ১:১ ও ১৪)। এই পদগুলো স্পষ্টভাবে বলে যে, যীশু মানুষ হয়ে আসা ঈশ্বর। প্রেরিত ২০:২৮খ পদ আমাদের বলেছে, “... পালক হিসাবে ঈশ্বরের মন্ডলীকে দেখাশোনা করুন। ঈশ্বর সেই মন্ডলীকে নিজের রক্ত দিয়ে কিনেছেন।” কে ঈশ্বরের মন্ডলীকে তাঁর নিজের রক্ত দিয়ে কিনেছেন? তিনি কে? তিনি যীশু খ্রীষ্ট। প্রেরিত ২০:২৮ পদ স্পষ্টই বলেছে যে, ঈশ্বর তাঁর নিজ রক্ত দিয়ে তাঁর মন্ডলী কিনেছেন। সেজন্য, যীশুই ঈশ্বর!
শিষ্য থোমা যীশুর বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন, “প্রভু আমার, ঈশ্বর আমার” (যোহন ২০:২৮)। যীশু তাকে সংশোধন করে দেন নাই। তীত ২:১৩ পদ আমাদের উদ্দীপিত করেছে যেন আমরা আমাদের ঈশ্বর ও উদ্ধারকর্তা যীশুর অপেক্ষায় থাকি (২ পিতর ১:১ পদ দ্রষ্টব্য)। ইব্রীয় ১:৮ পদে পিতা ঈশ্বর যীশুর বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছেন, ‘কিন্তু পুত্রের বিষয়ে ঈশ্বর বলেছেন, “হে ঈশ্বর, তোমার সিংহাসন চিরস্থায়ী; তোমার শাসন ন্যায়ের শাসন।”’ এখানে পিতা যীশুকে বলেছেন, “হে ঈশ্বর”, যা স্পষ্টই প্রকাশ করে যে যীশুই ঈশ্বর।
প্রকাশিত বাক্যে একজন স্বর্গদূত প্রেরিত যোহনকে শুধুমাত্র ঈশ্বরকে উপাসনা করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন (প্রকাশিত বাক্য ১৯:১০)। শাস্ত্রে বার বার যীশুকে উপাসনা করা হয়েছে (মথি ২:১১, ১৪:৩৩, ২৮:৯, ১৭; লূক ২৪:৫২; যোহন ৯:৩৮)। তিনি কখনোই তাঁকে উপাসনা করার জন্য লোকদের ধমক দেন নাই। যদি যীশু ঈশ্বর না হতেন, তাহলে প্রকাশিত বাক্যের স্বর্গদূতের মত তিনি তো লোকদের বলতেন যেন তারা তাঁকে উপাসনা করে। শাস্ত্রে এমন অনেক পদ ও অংশ আছে যা কিনা যীশুর ঈশ্বরত্বের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরছে।
√√√√√√√√√√√√√√√√√√√√√√√√√√√√√√√√√
No comments:
Post a Comment