Friday, 24 December 2021

জন্মদিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য। Matthew Arnold । ২৪.১২.২০২১. Vol -596. The blogger in literature e-magazine

Matthew Arnold 

Matthew Arnold was an English poet and cultural critic who worked as an inspector of schools. He was the son of Thomas Arnold, the celebrated headmaster of Rugby School, and brother to both Tom Arnold, literary professor, and William Delafield Arnold, novelist and colonial administrator.
Born -24 December 1822.Laleham, Staines-upon-Thames, যুক্তরাজ্য
মারা গেছেন: ১৫ এপ্রিল, ১৮৮৮, লিভারপুল, যুক্তরাজ্য.
সন্তান: রিচার্ড পেনরোজ আর্নল্ড, টমাস আর্নল্ড, বেসিল আর্নল্ড, Eleanore Mary Caroline Arnold
শিক্ষা: Rugby School, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, Balliol College
বাবা ও মা:  টমাস আর্নল্ড, ম্যারি পেনরোজ
তাঁর পিতা থমাস আর্নল্ড ছিলেন রাগবী স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক। ভাই টম আর্নল্ড ছিলেন সাহিত্যের একজন প্রভাষক। অপর ভাই উইলিয়াম আর্নল্ড ছিলেন একজন ঔপন্যাসিক ও প্রশাসক। সামাজিক বিভিন্ন অসঙ্গতিতে তিনি সমালোচনা ও এই ব্যপারে নির্দেশনা দিতেন। ভিক্টোরিয়ান যুগের সামাজিক সংকট যাঁরা উপলব্ধি করেন ম্যাথিউ আর্নল্ড তাঁদের মধ্যে সর্বপ্রধান। এ যুগের ক্রমবর্ধমান যান্ত্রিকতা ও বাণিজ্যিক মনোভঙ্গির বিরুদ্ধে তিনি কলম ধরেন। বিজ্ঞান-প্রযুক্তির বলগাহীন সমৃদ্ধির পাশাপাশি বিশ্বাস ও মূল্যবোধের সর্বগ্রাসী অবক্ষয় আর্নল্ডের কবিতায় নিঃসীম বেদনার ছায়াপাত ঘটিয়েছে। এ যুগের মানুষের মন-মানসিকতা তৈরি হয়েছিল সম্পদ ও ভোগ-বিলাসকে কেন্দ্র করে। নৈতিকতাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেয়া হলো। আর্নল্ড এই স্পিরিচুয়াল ক্রাইসিসকে মেনে নিতে পারেননি। তাঁর বাবা ইংল্যান্ডের শিক্ষার ইতিহাসে বেশ পরিচিত নাম। আট ভাই-বোনের মধ্যে আর্নল্ড সবার বড়। ছোট বেলায় আর্নল্ড লেখাপড়া করেন উইনচেস্টার স্কুলে। তারপর তার বাবার স্কুল রাগবীতে ভর্তি হন। এরপর ব্যালিয়ল কলেজে এবং শেষে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর্নল্ড যখন অক্সফোর্ডের ছাত্র সে সময় তাঁর বাবা মারা যান। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে আর্নল্ড প্রথমে তার বাবার স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। কিন্তু শিক্ষকতার কাজ তার কাছে ভাল না লাগায় তা ছেড়ে দিয়ে তিনি ইংল্যান্ডের শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্তাব্যক্তি লর্ড ল্যান্সডাউনের পি.এস. নিযুক্ত হলেন।
লর্ড ল্যান্সডাউনের পি.এস. থাকাকালীন সময়ে ফ্যানী লুসীকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন। লুসীর বাবা হাইকোর্টের জজ। এই জজ সাহেব বিয়ে দিতে নারাজ নন। তবে শর্ত আছে; আর্নল্ডকে আরও ভাল চাকুরি পেতে হবে। আর্নল্ড ভাল চাকুরির সন্ধান করলেন কিন্তু কাজ হলো না। অবশেষে ধরলেন লর্ড ল্যান্সডাউনকে। ডাউন তাঁকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইনসপেক্টরের চাকুরির ব্যবস্থা করে দিলেন। বেতন যাই হোক চাকুরিটা সুনামের। আর এ সুনামটুকুর জন্যে ইংল্যান্ডের এত বড় প্রতিভাকে সারাদিন ঘুরে বেড়াতে হতো স্কুলে স্কুলে। এমনকি ইংল্যান্ডের শিক্ষামন্ত্রী যখন আর্নল্ডের কাছে শিক্ষা বিষয়ে পরামর্শ চাইতেন তখনও আর্নল্ড একজন সামান্য বেতনভুক্ত স্কুল ইনস্পেক্টর। এ বিরাট ত্যাগ তিনি সানন্দে স্বীকার করে নিয়েছেন শুধু ভালোবাসার জন্যে। লুসীকে আপন করে পাওয়ার জন্যে আর্নল্ডকে ইনস্পেক্টর হতে হলো। মস্ত বড় মূল্য দিতে হলো তাকে। তবে এ মূল্যের প্রতিদানও তিনি পেয়েছিলেন। বিবাহিত জীবনে আর্নল্ড-লুসী জুটি অত্যন্ত সুখী দম্পতি। দু’জনার প্রেমে-পুণ্যে সংসার ছিল যেন একটা জান্নাত। আর্নল্ড তাকে অত্যন্ত দরদ দিয়ে ফু বলে ডাকতেন। আর্নল্ড-লুসীর বিবাহিত জীবনের প্রতিটি দিনই ছিল মধুচন্দ্রিমার-অনুরাগে সিক্ত। জগৎ সংসারে খুব বড় মাপের মানুষদের অধিকাংশেরই কোন যোগ্য উত্তরাধিকারী নেই। আর্নল্ডের বেলায়ও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। আর্নল্ড-লুসীর সংসারে চারটি ছেলে ও দুটি মেয়ে জন্ম নিল। এই চারটি ছেলের মধ্যে অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে তিনটি ছেলেই মা বাবার আদর স্নেহের মায়া ছিন্ন করে স্বর্গপানে পাড়ি জমাল। তাতে আর্নল্ড ভেঙ্গে পড়লেন না। স্রষ্টার প্রতি তাঁর ছিল সুগভীর ভক্তি বিশ্বাস। অটল আস্থায় এই ঘোর বিপদের কালেও তিনি নিজের মাঝে শক্তি ধারণ করলেন।



Harold Bloom writes that 
       "Whatever his achievement as a critic of literature, society or religion, his work as a poet may not merit the reputation it has continued to hold in the twentieth century. Arnold is, at his best, a very good, but highly derivative poet, unlike Tennyson, Browning, Hopkins, Swinburne and Rossetti, all of whom individualized their voices."

পরিবার :
The Arnolds had six children: Thomas (1852–1868); Trevenen William (1853–1872); Richard Penrose (1855–1908), an inspector of factories;[note 1] Lucy Charlotte (1858–1934) who married Frederick W. Whitridge of New York, whom she had met during Arnold's American lecture tour; Eleanore Mary Caroline (1861–1936) married (1) Hon. Armine Wodehouse (MP) in 1889, (2) William Mansfield, 1st Viscount Sandhurst, in 1909; Basil Francis (1866–1868).

রচনা কর্ম :

Poetry 
Stanzas in Memory of the Author of "Obermann" (1849)
The Strayed Reveller, and Other Poems (1849)
Empedocles on Etna, and Other Poems (1852)
Sohrab and Rustum (1853)
The Scholar-Gipsy (1853)
Stanzas from the Grande Chartreuse (1855)
Memorial Verses to Wordsworth
Rugby Chapel (1867)
Thyrsis (1865)
                       Arnold is sometimes called the third great Victorian poet, along with Alfred, Lord Tennyson, and Robert Browning.[16] Arnold was keenly aware of his place in poetry. In an 1869 letter to his mother, he wrote:

"My poems represent, on the whole, the main movement of mind of the last quarter of a century, and thus they will probably have their day as people become conscious to themselves of what that movement of mind is, and interested in the literary productions which reflect it. It might be fairly urged that I have less poetical sentiment than Tennyson and less intellectual vigour and abundance than Browning; yet because I have perhaps more of a fusion of the two than either of them, and have more regularly applied that fusion to the main line of modern development, I am likely enough to have my turn as they have had theirs."
Or
Of his poetry, Bloom says,

Whatever his achievement as a critic of literature, society, or religion, his work as a poet may not merit the reputation it has continued to hold in the twentieth century. Arnold is, at his best, a very good but highly derivative poet. ... As with Tennyson, Hopkins, and Rossetti, Arnold's dominant precursor was Keats, but this is an unhappy puzzle, since Arnold (unlike the others) professed not to admire Keats greatly, while writing his own elegiac poems in a diction, meter, imagistic procedure, that are embarrassingly close to Keats.



Prose 
Essays in Criticism (1865, 1888)
Culture and Anarchy (1869)
Friendship's Garland (1871)
Literature and Dogma (1873)
God and the Bible (1875)


আলোচনা :

Matthew Arnold", wrote G. W. E. Russell in Portraits of the Seventies, is "a man of the world entirely free from worldliness and a man of letters without the faintest trace of pedantry".Arnold was a familiar figure at the Athenaeum Club, a frequent diner-out and guest at great country houses, charming, fond of fishing (but not of shooting),and a lively conversationalist, with a self-consciously cultivated air combining foppishness and Olympian grandeur.



Chambers judged Arnold's poetic vision by

" its simplicity, lucidity, and straightforwardness; its literalness ... ; the sparing use of aureate words, or of far-fetched words, which are all the more effective when they come; the avoidance of inversions, and the general directness of syntax, which gives full value to the delicacies of a varied rhythm, and makes it, of all verse that I know, the easiest to read aloud."

কবি ম্যাথু আর্নল্ডের মৃত্য বড় আকস্মিক, বড় করুণ। তার বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছিল আমেরিকায়। মেয়ে আর নাতনী বাড়ি আসছে। লিভারপুলে জাহাজ ভিড়বে। আর্নল্ড যাবেন লিভারপুলে। তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্যে একটা বেড়া ডিঙিয়ে লাফ দিলেন। বুড়ো মানুষটি দেহের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারেননি। মুখ থুবড়ে পড়ে গেলেন সেখানেই। এই পড়াই শেষ পড়া। আর উঠতে পারেননি। পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল আর একটি বিরাট প্রতিভা।
মৃত্যু - 15 April 1888.
মৃত্যু সম্পর্কে আর্নল্ডের বেশ কয়েকটি কবিতা রয়েছে। যুগের জরা-মৃত্যু-ব্যাধি-নেতিবাচকতা, মূল্যবোধের অবক্ষয় তাঁকে বেদনার্ত করেছে বার বার। তাই মৃত্যু নিয়ে তিনি বেশ কয়েকটি কবিতা লিখলেন ৩ বার বাবার মৃত্যুতে লিখলেন, রাগবি চ্যাপেল, ছোট ভাই-এর মৃত্যুতে লিখলেন কানাক এবং সাদান, নাইট। হাইনের মৃত্যুতে লিখলেন হাইনেজ গ্রেইভ, শার্লট ব্রন্টির মৃত্যুতে লিখলেন হাওয়ার্থস চার্চ- ইয়ার্ড, ক্লাফ সম্বন্ধে লিখলেন থার্সিস, গ্যোটে, ওয়ার্ডসওয়ার্থ এবং বায়রনের মৃত্যুকে নিয়ে লিখলেন মেমোরিয়াল ভার্সের্স আর যুগের মৃত্যু নিয়ে লিখলেন ওবাররম্যান, স্কলার জিপসি সাটারিউস এবং ডোভার বীচ।
সমালোচক হিসেবে আর্নল্ডের অবস্থান বেশ উচ্চে। গন্ধে-ছন্দে, প্রাণাবেগের পাবল্যে মহীয়ান হয়ে উঠেছে তার সমালোচনা সাহিত্য। আজও বৃটিশবাসী প্রবল আবেগে, দরদে পাঠ করে আর্নল্ডের সমালোচনা সাহিত্য। আর্নল্ড প্রকাশ করলেন তার গের শ্রেষ্ঠ সাহিত্য সমালোচনা বই- Essays in Criticism। এ বইতে তিনি (সমালোচনার মূল ধারণাকেই বদলে দিয়েছেন। তিনি সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করলেন যে, শিল্পকর্মের দোষগুণ বিচার করা সমালোচকের কাজ নয় বা এটা সমালোচনার বিষয় নয়। বরং সমালোচনার অর্থ হচ্ছে জগৎ সংসারের সুন্দর ভাবধারাকে সম্যকরূপে জানা এবং সে ভাবধারাকে প্রচার করা। আর সমালোচককে হতে হবে সম্পূর্ণরূপে নিরাসক্ত ব্যক্তি। আর্নল্ডের মতে ইংল্যান্ডের ভাব-সমুদ্র শুকিয়ে গেছে। সুতরাং ইংল্যান্ডকে জাগাতে হলে, পুনরুজ্জীবিত করতে হলে ফ্রান্স, জার্মানী ইত্যাদি দেশ থেকে নতুন ভাবতরঙ্গ নিয়ে আসতে হবে। আর এভাবেই ইংল্যান্ড ভাবসমৃদ্ধ হবে। তবে এ মতবাদের বিরুদ্ধে ক্ষেপে গেল কয়েকটি তথাকথিত জাতীয়তাবাদী পত্রিকা। তারা মনে করলো যে, আর্নল্ড ফ্রান্সকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছেন আর ইংল্যান্ডকে নীচে নামিয়ে দিয়েছেন। আসলে বিষয়টি তা নয়; মাতভূমির প্রতি আর্নল্ডের গভীর মমত্ববোধ ছিল বলেই তিনি এটা বলেছিলেন।
আছে অন্ধকারের রাজত্ব আর মানুষ এ মানব সমুদ্র তীরে অন্ধকারে উদ্দেশ্যহীন হান-কাড়া-মারাতে লিপ্তঃ
And we are here as on a darkling plain
Swept with confused alarms of struggle and fight.
Where ignorant armies clash by night.
ডোভার সমুদ্র তীরে দাঁড়িয়ে কবি আক্ষেপ করে বলেছেন একদা The Sea of Faith ছিল পরিপূর্ণ।
But now only hear
Its melancholy, long, withdrawing roar.
আর্নল্ডের একটি বিখ্যাত কবিতা হচ্ছে The Scholar Gipsy. অক্সফোর্ডের জনৈক ছাত্রকে উদ্দেশ্য করে এ কবিতাটি লেখা হয়। এ ছাত্র কলেজ থেকে পালিয়ে যায়। তারপর যোগ দেয় যাযাবরদের দলে। উদ্দেশ্য যাযাবরদের অলৌকিক শক্তি সম্পর্কে জানা। আর্নল্ডের যুগ ছিল একান্তভাবে নৈরাশ্যে আক্রান্ত। হতাশা মানুষের কর্মোদ্যমকে থামিয়ে দিল। এ কবিতায় আর্নল্ড দেখালেন Scholar Gipsy হতাশ নন। জীবন-সত্য উদঘাটনের জন্যে তিনি নিরলসভাবে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। স্রষ্টায় ভক্তি তাঁর অপরিসীম। তাই এ পণ্ডিত কভু লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়নি।
Thou hadst one aim, one business, one desire."
ইংল্যান্ডের অন্য কোন কবির কবিতায় এতটা বিষাদের সুর শোনা যায় না, যতটা শোনা যায় আর্নল্ডের কবিতায়। তিনি কিছু শোকগাথা রচনা করেছেন। এ শোকগাথাগুলো তার কোন নিকটজন, আত্মীয় বা বন্ধু বান্ধবের মৃত্যুতে রচিত হয়েছে। তবে তিনি শুধু মানুষের মৃত্যুতে শোকগাথা রচনা করেছেন এমনটি নয়। মূল্যবোধের মৃত্যু, উদার দৃষ্টিভঙ্গির মৃত্যু, চিন্তা চেতনার মৃত্যু, নীতি-নৈতিকতার মৃত্যু এবং সর্বোপরি বিশ্বাসের মৃত্যু নিয়েও তিনি লিখেছেন। অনেক লিখেছেন। রাগবি চ্যাপেল -ডোভার বিচ—এসব কবিতার পরতে পরতে বিধৃত হয়েছে, বিবৃত হয়েছে মূল্যবোধের অবক্ষয়, ধর্ম ও বিশ্বাসের ভিত্তি দূর্বল হওয়ার বেদনা।
===={{{{{{{{{{{∆∆∆∆∆∆∆∆}}}}}}}}}}}}}}====

No comments: