Our Casuarina Tree
LIKE a huge Python, winding round and round
The rugged trunk, indented deep with scars,
Up to its very summit near the stars,
A creeper climbs, in whose embraces bound
No other tree could live. But gallantly
The giant wears the scarf, and flowers are hung
In crimson clusters all the boughs among,
Whereon all day are gathered bird and bee;
And oft at nights the garden overflows
With one sweet song that seems to have no close,
Sung darkling from our tree, while men repose.
When first my casement is wide open thrown
At dawn, my eyes delighted on it rest;
Sometimes, and most in winter,—on its crest
A gray baboon sits statue-like alone
Watching the sunrise; while on lower boughs
His puny offspring leap about and play;
And far and near kokilas hail the day;
And to their pastures wend our sleepy cows;
And in the shadow, on the broad tank cast
By that hoar tree, so beautiful and vast,
The water-lilies spring, like snow enmassed.
But not because of its magnificence
Dear is the Casuarina to my soul:
Beneath it we have played; though years may roll,
O sweet companions, loved with love intense,
For your sakes, shall the tree be ever dear.
Blent with your images, it shall arise
In memory, till the hot tears blind mine eyes!
What is that dirge-like murmur that I hear
Like the sea breaking on a shingle-beach?
It is the tree’s lament, an eerie speech,
That haply to the unknown land may reach.
Unknown, yet well-known to the eye of faith!
Ah, I have heard that wail far, far away
In distant lands, by many a sheltered bay,
When slumbered in his cave the water-wraith
And the waves gently kissed the classic shore
Of France or Italy, beneath the moon,
When earth lay trancèd in a dreamless swoon:
And every time the music rose,—before
Mine inner vision rose a form sublime,
Thy form, O Tree, as in my happy prime
I saw thee, in my own loved native clime.
Therefore I fain would consecrate a lay
Unto thy honor, Tree, beloved of those
Who now in blessed sleep for aye repose,—
Dearer than life to me, alas, were they!
Mayst thou be numbered when my days are done
With deathless trees—like those in Borrowdale,
Under whose awful branches lingered pale
“Fear, trembling Hope, and Death, the skeleton,
And Time the shadow;” and though weak the verse
That would thy beauty fain, oh, fain rehearse,
May Love defend thee from Oblivion’s curse.
তরু দত্ত
প্রথম ফরাসি এবং ইংরেজি সাহিত্য রচনা করেছিলেন তিনি। বিস্তৃতির অতল থেকে ফিরে দেখা তরু দত্তকে।
সাহিত্যের ইতিহাসের পৃষ্ঠা সরিয়ে একটু অতীতের দিকে ঘুরে তাকানোর ইচ্ছে হয়েছে। আর সেই অতীতে আছেন সাহিত্যিক তরু দত্তের কথা । না, আধুনিক সাহিত্য জগৎ খুব বেশি নাম শোনেনি তাঁর ।
আজ থেকে প্রায় ১৬৬ বছর আগে তরু দত্ত তার ২১ বছরের ছোট্ট জীবনে ইংরেজি এবং ফরাসি সাহিত্যে যে চিহ্ন রেখে গেছেন তা অবিস্মরণীয় । এই বছর ছিল তরু দত্তের ১৬৬ তম জন্মবার্ষিকী। কিন্তু উনিশ শতকের সাহিত্যের জগতের দিকপালদের ভিড়ে তরু দত্ত এবং তার লেখনী যেন একপ্রকার হারিয়েই গেলো !
ওনার অসাধারণ লেখারগুলির সাহিত্যমূল্য যদি বিচার করতে বসি তাহলে যেটা মনে রাখতে হবে তা হলো তিনি শুধু একজন মহিলা সাহিত্যিকই ছিলেন না , ইংরেজি এবং ফরাসি এই দুই ভাষাতেই ছিল ওনার অগাধ পান্ডিত্য এবং অবাধ যাতায়াত, সেই সময়কার সাহিত্যিকদের মধ্যে যা ছিল দুর্লভ - তারপরে তিনি যদি হন মহিলা সাহিত্যিক। আমাদের মনে রাখতে হবে ইংরেজি এবং ফরাসি সাহিত্যের অঙ্গনে তখন প্রকাশিত হয়ে চলেছে অসংখ্য মাস্টারপিস।
কবি হয়ে ওঠার প্রেক্ষিতে এক প্রগতিশীল পরিবারের ভূমিকা
১৮৫৬ সাল, যা ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের সূচনাকাল, তাই ভারতীয় ঐতিহাসিকেরা তাকে লিপিবদ্ধ করেছে অতীব যত্নসহকারে। তবে এই সালটা আরো এক কারণেও খুব তাৎপর্যপূর্ণ, এই ১৮৫৬ সালে ৪ মার্চ জন্মগ্রহণ করেছিলেন তরু দত্ত, যদিও এই কাব্যিক প্রতিভার জন্মের উল্লেখ পাওয়া যায় প্রায় কোথাওই । এই সময়কাল এমনই যখন ভারতীয় মহিলারা পুরুষতন্ত্রের দাপট সহ্য করে যাচ্ছিলেন চুপচাপ; ছিলেন নিরব । কিন্তু তরুলতা দত্ত (পরে তরু দত্ত নামে পরিচিত) সত্যই ভাগ্যবান ছিলেন এই ক্ষেত্রে।
বাংলার এক প্রগতিশীল পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তরু দত্ত , যেখানে নারী ক্ষমতায়নের নজির পাওয়া যায়। মা ক্ষেত্রমনি মিত্র বাংলা ও ইংরেজিতে সমান দক্ষ ছিলেন এবং ‘দ্য ব্লাড অফ ক্রাইস্ট’- ''The Blood of Christ'' বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন। বাবা গোবিন্দ চন্দর দত্ত ছিলেন মূলত একজন উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মচারী। তবে এর বাইরেও তার একটি অন্য্ পরিচয়ও ছিল, তিনি ছিলেন কবি। বলাই বাহুল্য, এই পারিবারিক প্রেক্ষাপটই তার সাহিত্যে-বোধ প্রকাশের মূল ভিত্তি। আর তা হয়েছিল শৈশব থেকেই।
এর মধ্যেই ঘটে এক দুঃখজনক ঘটনা। ১৮৬২ সালে তরুর বড়দার অকাল মৃত্যু। এইপরেই দত্ত পরিবার খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করে। এই মৃত্যু তাদের প্রভাবিত করেছিল গভীরভাবে। এর ঠিক সাত বছর পরে, ১৮৬৯ সালে, স্ব - পরিবার ফ্রান্সে চলে গেলেন গোবিন্দ দত্ত। নতুন পরিবেশ, নতুন জীবন, নতুন করে সবকিছু শুরু হলো তাদের। কবিতার প্রতি আগ্রহ জন্মাতে শুরু করে তরুর- নতুুন পরিবেশ, নতুন মানুষজন, চারিদিকে সবুজ প্রকৃতি- ধীরে ধীরে কাব্যপ্রতিভার বিকাশ ঘটতে থাকে। তরু এবং বোন অরু দুজনেরই আগ্রহ ছিল হিন্দু পুরানে। পুরানের চরিত্র, পুরানের জটিলতা সবই ছিল তাঁদের আগ্রহের বিষয়। প্রধান উৎসাহদাত্রী ছিলেন তাঁদের মা। তরু দত্তের ঝোঁক ছিল পুরানভিত্তিক কাহিনীর প্রতি। তরুর কবিতায় এই প্রভাবটি স্পষ্টতই প্রকাশ পায়; পরবর্তীতে তার সংস্কৃত ও বাংলা কবিতা অনুসন্ধান করলেও এর স্পষ্ট প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
কেমব্রিজের জীবন - প্রথম কবিতা
তরু পরে উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে চলে আসেন, ভর্তি হন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে । শুধু ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্য নয়, তার সঙ্গে সঙ্গে ফরাসী ভাষা ও সাহিত্য নিয়েও পড়াশোনা শুরু করেন তরু। এই সময়ই তরুর কাব্যপ্রতিভার উন্মেষকাল। বিশেষতঃ ১৮৭১ থেকে ১৮৭৩ সাল - এই সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ তরুর জীবনে। তাঁর সাহিত্যিক জীবনে আসে এক সত্যিকারের সাহচর্য। মেরি মার্টিনের সাথে তাঁর বন্ধুত্ব। এই বন্ধুত্বই সাহিত্যিক হিসেবে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছিল তাঁকে। ১৮৭৩ সালে তরুর পরিবার ভারতে ফিরে আসে, কিন্তু তরু আর মেরির বন্ধুত্বে কোনো ছেদ পড়েনি তাতে। পরস্পরকে লেখা চিঠিপত্র তাদের এই বন্ধুত্বের সাক্ষী।
ইউরোপ থাকার পুরো সময়কালে, তরু বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কবিতা লিখতে শুরু করেন, বাড়ির পাশের প্রতিবেশী ছিল কাসুয়ারিনা গাছ, তরুর কবিতায় উঠে এসেছে সেও। তার কবিতায় ফিরে ফিরে এসেছে প্রেমের এক দুর্নিবার আকুলতা।
Love Came To Flora Asking For A Flower
Love came to Flora asking for a flower
That would of flowers be undisputed queen,
The lily and the rose, long, long had been
Rivals for that high honor. Bards of power
Had sung their claims. ‘The rose can never tower
Like the pale lily with her Juno mien’ –
‘But is the lily lovelier?’ Thus between
Flower-factions rang the strife in Psyche’s bower.
‘Give me a flower delicious as the rose
And stately as the lily in her pride’ –
But of what color?’ – ‘Rose-red,’ Love first chose,
Then prayed – ‘No, lily-white – or, both provide;’
And Flora gave the lotus, ‘rose-red’ dyed,
And ‘lily-white’ – the queenliest flower that blows.
তরু দত্তের সাহিত্যকর্ম
১৮ বছর বয়সে, তরুর লেখা ফরাসি কবি লেকন্টে ডি লিসেল এবং জোসেফিন সোলারির উপর নিবন্ধগুলি বেঙ্গল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়। সাহিত্যিক হিসেবে এটি ছিল একক প্রকাশিত লেখা যা তাঁর পরবর্তী সাহিত্যকর্মের পথ প্রশস্ত করেছিল। তরু প্রচুর ফরাসি কবিতা ইংরেজিতে অনুবাদ করতে শুরু করেছিলেন, বেশ কয়েকটি খণ্ড আকারে তা প্রকাশিত হয় এবং যথেষ্ট প্রশংসা লাভ করে । '' A Sheaf Gleaned in French Fields'' - '' এ সেফ গ্লিনেড ইন ফ্রেঞ্চ ফিল্ড '' তরুর অকাল মৃত্যুর ঠিক এক বছর আগে প্রকাশিত হয়েছিল। ১৮৭৭ সালে। এখানে বিশেষ উল্লেখ্য যে , এই এনথলজির ৮টি কবিতাই আসলে অরু দত্তের রচনার অনুবাদ। তরুর মতো এতটাও পরিচিতি পাননি অরু কোনদিনই। অরু ছিলেন অসম্ভব প্রতিভাশালিনী এক চিত্রশিল্পী। অর্জন করেছিলেন বহু গুণীজনের প্রশংসা। কিন্তু অরু মারা যান খুব অল্প বয়েসে, ১৮৭৪ সালে, মারাত্মক অসুস্থ ছিলেন তিনি।
তরু দত্ত তাঁর জীবনযুদ্ধ শেষ করেছিলেন ৩০ শে অগাস্ট, ১৮৭৭ সালে। কতই বা বয়েস হয়েছিল তাঁর। মাত্র ২১ বছর। মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি।তরু তার বই ছাপা অক্ষরে দেখে যেতে পারেন নি। দেখে যেতে পারেননি নিজের জন্য তুলে রাখা সাহিত্যের গৌরবময় দিনগুলিকে , নিজের লেখালেখির আলোড়ন - বিশ্লেষণকে। পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবার পর প্রকাশিত হয় তাঁর দুটি উপন্যাস- ''লে জার্নাল ডি ম্যাডেমাইসেল ডি'আরভারস (মায়াদেমাইসেল ডি'আরভার্সের ডায়েরি)'' '' Le Journal de Mademoiselle d’Arvers (The Diary of Mademoiselle d’Arvers)'' এবং এক স্প্যানিশ মেয়ের কাহিনী অবলম্বনে লেখা ''Bianca'' - ''বিয়াঙ্কা'' ফরাসি ভাষায় লেখা উপন্যাস। আক্ষরিক অর্থেই কোনও ভারতীয় মহিলার লেখা প্রথম ইংরেজি উপন্যাস। প্রাচীন ব্যালেডস, এবং হিন্দুস্তানের কিংবদন্তি কাহিনী , তরুর সংস্কৃত অনুবাদ গ্রন্থগুলিও কুড়িয়েছে অসংখ্য প্রশংসা।
ফ্রান্সের সেলিব্রেটি লেখিকা
তরু ফরাসি নারীবাদী লেখক ক্লারিস বদর ( Clarisse Bader) দ্বারা গভীরভাবে অনুপ্রাণিত ছিলেন। ক্লারিসের রচনাগুলি বাংলায় এবং ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন তরু। তবে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাঁর ভগ্ন স্বাস্থ্য। এসব সত্ত্বেও, তিনি বেশ কয়েকটি চিঠির মাধ্যমে বদরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেছিলেন। তরুর মৃত্যুর পরে, তার বাবা ''লে জার্নাল ডি ম্যাডেমাইসেল ডি'আরভারস (মায়াদেমাইসেল ডি'আরভার্সের ডায়েরি)'' '' Le Journal de Mademoiselle d’Arvers (The Diary of Mademoiselle d’Arvers)'' পাণ্ডুলিপি বদরকে পাঠিয়েছিলেন। লেখক হিসেবে ফ্রান্সে তরু দত্তের খ্যাতি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছিলেন এই ক্লারিস বদর।
জীবন শেষ হয়ে আসছে বুঝতেন তরু। বন্ধু মেরি মার্টিনের কাছে তাঁর শেষ চিঠিতে নিজের মনের কথা লিখেছেন তরু। নিজের মনের কষ্ট , শারীরিক অসুবিধার কথা লিখেছেন। নিজেরই সঙ্গে তীব্র বোঝাপড়া চালাতে হচ্ছে তাকে। চলে যেতে হবে তাকে। সবাইকে ছেড়ে। তার কবিতাকে ছেড়ে। সীতার মতো। একাই পারি জমাতে হয় সেই জীবনে। নির্জন, অজানা, নিঃসঙ্গ, আরন্যক, নিরুদ্দেশের সেই জীবনে কেউ নেই। ছোট জীবন আরও ছোট হয়ে আসতে থাকে। হতাশা ভীড় করে।
==={{{{{{{{{{{{{[[{{{[{{{{={{{{{{{}}{{}}}}{{}}}}}{}}}}
No comments:
Post a Comment