শার্ল বোদলেয়ার
Who among us has not dreamt, in moments of ambition, of the miracle of a poetic prose, musical without rhythm and rhyme, supple and staccato enough to adapt to the lyrical stirrings of the soul, the undulations of dreams, and sudden leaps of consciousness. This obsessive idea is above all a child of giant cities, of the intersecting of their myriad relations.
— Dedication of Le Spleen de Paris
চারটি কবিতা
বিষাদ
(১)
ফেব্রুয়ারি, বিরক্তিকর প্যারিস, দাপুটে বৃষ্টি
অবিরত ঝরে বিষণ্ণ মুষলধারায় কাছের গোরস্তানে শুয়ে থাকা
ফ্যাকাসে ইজারাদারদের চাতালে আর এক বিনাশক গভীর শৈত্য
ছড়ায় কুয়াশাক্রান্ত শহরতলির ভাড়াটিয়াদের আবাসে।
আমার বিড়ালটা আয়েশ পায় না ওই টালির উপর শুয়ে
ওর কাদামাখা শরীরে ওম মেলেনা একটুও;
প্রেতাহত ক'জন বয়সী কবির আত্মা নর্দমায় ঘুরে ফেরে
গুমরায়, যেনো হিমেল হাওয়ার কাছে প্রেতের তীব্র ফরিয়াদ।
গির্জার ঘন্টার আর্তনাদ, পোড়া কাঠখড়ির ধোঁয়া ফায়ারপ্লেসে
ঘড়ির শ্লেষ্মাময় ভুতুড়ে গুনগুন
আর তারই সাথে বদগন্ধ তাসের আসর
এ এক শোথরোগী বৃদ্ধা চাকরানীর উত্তরাধিকার,
হরতনের ঠগী ফুলবাবু আর ইস্কাবনের বিবি
খুঁড়ে তোলে তাদের উদ্দাম কামাচার।
(২)
স্মরণিক?
আমার হাজার বছর বাঁচার চাইতেও বেশি!
দেরাজের ড্রয়ারে ঠেসে রাখা কোনো নথি নয়,
প্রেম-পত্র, বিয়ের-নিমন্ত্রণ, দলিল,
কিম্বা কাগজে মোড়ানো কোনো কেশগুচ্ছ নয়,
কিছুই নেই দেরাজে যা আছে লুকানো আমার এই মাথার ভেতর।
এই অন্ধকার সমাধিবিন্যাসে, এই পিরামিডে
শব আছে যত, ঐ আসল সমাধিস্থানে নেই তত:
আমি কবরস্থান এক, জ্যোৎস্নার ঘৃণা,
এখানে ক্লেদাক্ত দানব পোকারা সব বেঁচে থাকে
আমারই প্রিয় মরদেহগুলো নির্লজ্জ্য খুটে-খুটে খেয়ে।
তাকে তাকে সাজানো মেয়েলী পোশাকের আমি এক শীর্ণ মহিলা-গোঁসাঘর
মরা গোলাপের সুবাস মাখা, ধুলার আস্তরে ঢাকা;
এখানে শুধু বিবর্ণ প্যাস্টেল আর পাণ্ডুর নিষ্ঠুরতা
বেঁচে থাকা ফাঁপা সুদীর্ঘ শ্বাসাধারে নিঃশ্বাস নিয়ে।
দিনগুলো খুড়িয়ে চলে ধীরতর লয়ে
বছরের সেই ভারী আবহাওয়ার মৌসুমে
বিষাদ, নিঃসঙ্গ বৈরাগ্যের পরিণাম,
অনন্তকালের মাত্রায় নেয় রূপ . . .
অনন্তর, নশ্বর কাদামাটি, তুমি তো শুধু
নামহীন আতঙ্কে ঘেরা পাথরের টুকরো ছাড়া কিছু নও,
মানচিত্রে অবলুপ্ত এক পুরাকালের স্ফিংস
বিশ্বে বিস্মৃত, উগ্র মেজাজ তার
ডুবন্ত সূর্যরশ্মিকে শোনায় গান।
৩)
আমি যেন ঘোর বর্ষা-রাজ্যের বাদশা, ঐশ্বর্যবান
কিন্তু অসহায়, জরাজীর্ণ অথচ এখনও যুবক
যে তার সেবায়েত শিক্ষকদের করে অবজ্ঞা, সময় নষ্ট করে
সারমেয় আর জানোয়ার নিয়ে, কিন্তু আনন্দ পায়না কিছুতে;
কিছুতেই মন কাড়ে না তার, বাজপাখি কিম্বা শিকার
অথবা রাজ-তোরণে অপেক্ষমান অনাহারী।
তার প্রিয় ভাঁড়ের রগরগে অশ্লীলতা মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে
–রাজ-পঙ্গুত্বকে মুছে ফেলে পারে না আমোদে মাতাতে—
আর ওই সৌখিন রমণীরা রাজকীয় অনুমোদনে
পরে না তো খোলামেলা পোশাক আর
অস্থিসার যুবকের মিষ্টি হাসির আশায়।
রাজশয্যা হয়ে যায় রাজসমাধি।
সেই যে জাদুকর যে স্পর্শে গড়ে সোনা, সেও অক্ষম
তার অন্তর্গত গভীরের অশুদ্ধতাকে শুদ্ধ করতে,
রোমের রক্তস্নাত পুরুষানুক্রমিক বংশসূত্র
আর তাদের পাতশাহী পতন সময়কালের ইতিবৃত্তও
সক্ষম নয় আজ এই রক্তশূন্য জীবদেহ পুনরুজ্জীবনে
যে দেহ থেকে চুইয়ে পড়ে না রক্ত কোনো বৈতরণীর লোনা জল ছাড়া।
(৪)
যখন যন্ত্রণাকাতর মনের আকাশটা বিরক্তিতে
অবনমিত জগদ্দল আবরণে ঢেকে যায়,
বিষাদ মোড়া সূর্যের গনগনে আগুন ঝরে পড়ে
আমাদের উপর, সে এক দিবালোক, আঁধারের দ্বিগুণ মলিন;
যখন ধরিত্রী হয়ে যায় ক্ষরিত বন্দিশালা, যেখানে
অস্থির আশা বাদুড়ের মতো বাতাস কাটে,
দেয়ালে-দেয়ালে ঝাপটায় অলীক ডানা
মাথা খোঁড়ে ঘুনেধরা কড়িকাঠে;
যখন বৃষ্টি ঝরে অঝোরে ক্ষান্তিহীন মেঘ গলে,
চুইয়ে পড়ে চুপিসারে বিশাল কারাগারের গারদের শিক বেয়ে,
আর চলে নিঃশব্দ বীভৎস মাকড়-দলের
জালবোনা আমাদের মাথার অতল ভিতে;
তখনই অকস্মাৎ বেজে উঠে ঘণ্টাগুলো উচ্চনিনাদে,
সেই গা-ছমছম কর্কশ ঘণ্টাধ্বনি উছ্রিত হয় আকাশে,
যেন বাস্তুছাড়া হতচ্ছাড়া প্রেতেরা সব
জানাচ্ছে তাদের অসীম দুঃখবিলাপ।
–এবং এক দীর্ঘ শবযাত্রা, বিনাশোকগাথায়, বিনাশোকবাদ্যে,
আমার আত্মার ভেতরে দ্বিধান্বিত মিছিল করে, যেখানে আশা,
পরাভূত কান্নায় আপ্লুত, এবং সেই বিনাশী মৃত্যু
তার কালো নিশানা পুঁতে দেয় আমার অবনত মস্তকে.
(Les Fleurs du Mal থেকে Spleen et Ideal-এর কবিতা )
১৮২১ সালের এপ্রিল মাসের ৯ তারিখে প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন বোদলেয়ার। তাঁর পিতা ফ্রাঁসোয়া বোদলেয়ার একজন উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মচারী ছিলেন এবং আনাড়ি চিত্রশিল্পী ছিলেন, এই ব্যক্তির পত্নী ক্যারোলিন তার দ্বিতীয় বিয়ে ছিলো, শার্ল বোদলেয়ার এই ক্যারোলিনের পেটেই জন্ম নেন। শার্লের বয়স যখন ৬ (১৮২৭ সাল) তখন ফ্রাঁসোয়া মারা যান। ঐ বছর ক্যারোলিন জ্যাক অপিক নামের ফরাসী সেনাবাহিনীর এক কর্নেলকে বিয়ে করেন। এই ঘটনার পর ক্যারোলিন শার্লকে ভুলে যান, তাকে ভালোবাসা-আদর-যত্ন দেওয়া বাদ দিয়ে দেন, শার্লের জীবনে এটা ছিল একটা গুরুত্বপূর্ণ এবং করুণ অধ্যায়। কিন্তু তারপরেও শার্ল তার মা'কে অনেক পছন্দ করতেন।
বোদলেয়ারকে কর্নেল জ্যাক অপিক একটি বোর্ডিং স্কুলে ভর্তি করে দেন, সেখানেই টিন-এজ বয়সে বোদলেয়ার কবিতা লেখা শুরু করেন। বোদলেয়ার পরে আইন নিয়ে পড়া শুরু করেন, এবং ১৮৩৯ সালে তিনি পাশ করে বের হন। তিনি তার সৎ-ভাইকে বলেন, "আমি আমার সৎ বাবার উপদেশ অনুযায়ী আইন পড়েছি এবং পাশ করেছি, কিন্তু আমি আইনি পেশায় জড়াবোনা"। ক্যারোলিন তার এই কথার সমালোচনা করেছিলেন কারণ তিনি জ্যাক অপিককে খুবই পছন্দ করতেন।
বোদলেয়ার পতিতা সঙ্গমে লিপ্ত হতেন, এটি জ্যাক জেনে যান, এরপর তাকে বিদেশ পাঠাবেন বলে মনস্থির করেন, ১৮৪১ সালে শার্লকে জ্যাক ভারতের উদ্দেশ্যে সমুদ্র যাত্রায় পাঠিয়ে দেন। ভারতে যেয়ে শার্ল কবিতা লেখায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন এবং ভারতে অনেক ভালো অভিজ্ঞতা হয় তার যেমন হাতীর পিঠে চড়া।
বোদলেয়ার বলেছেন, একজন আধুনিক কবির সাথে গতানুগতিক কবির পার্থক্যটা হলো, আধুনিক কবি সুন্দরকে পতিত ও বীভৎস থেকে খুঁজে বের করতে সক্ষম কিন্তু পূর্ববর্তী কবি তাঁর গতানুগতিক নান্দনিক চিন্তাচেতনাকেই লালন করে। আধুনিক কবি আসলে একজন অপরসায়নবিদ (alchemist) যে পাঁককে সোনা বানাতে সক্ষম—অর্থাৎ কুৎসিতকে, অসুন্দরকে নান্দনিক ও সুন্দর করে তোলাটাই হলো আধুনিকতা বা, তাঁর নিজ সংজ্ঞায়, শহুরে যান্ত্রিক কুৎসিত জীবনের গভীরে এক অভূতপূর্ব নান্দনিকতাকে আবিষ্কার করা। মনে রাখা জরুরি যে গোটা ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিল্পবিপ্লবের উন্মেষ শার্ল বোদলেয়ার-এর জীবনকালে আর তারই সাথে নগরজীবনের সকল মন্দত্বের উৎসারণ। বোদলেয়ার এই কুৎসিত, মন্দ এবং যাকিছু নোংরা এবং পতিত তাকে স্বীকৃতি দিয়েই তার ভেতর থেকে সুন্দরকে উদ্ঘাটন করার কথা বলেছেন এবং সেই নন্দনচেতনাকে চিহ্নিত করেছেন আধুনিকতা বা মডার্নিটি রূপে।
Salon de 1845, 1845
Salon de 1846, 1846
La Fanfarlo, 1847
Les Fleurs du mal, 1857
Les paradis artificiels, 1860
Réflexions sur Quelques-uns de mes Contemporains, 1861
Le Peintre de la Vie Moderne, 1863
Curiosités Esthétiques, 1868
L'art romantique, 1868
Le Spleen de Paris, 1869. Paris Spleen (Contra Mundum Press: 2021)
Translations from Charles Baudelaire, 1869 (Early English translation of several of Baudelaire's poems, by Richard Herne Shepherd)
Oeuvres Posthumes et Correspondance Générale, 1887–1907
Fusées, 1897
Mon Coeur Mis à Nu, 1897. My Heart Laid Bare & Other Texts (Contra Mundum Press: 2017; 2020)
Oeuvres Complètes, 1922–53 (19 vols.)
Mirror of Art, 1955
The Essence of Laughter, 1956
Curiosités Esthétiques, 1962
The Painter of Modern Life and Other Essays, 1964
Baudelaire as a Literary Critic, 1964
Arts in Paris 1845–1862, 1965
Selected Writings on Art and Artists, 1972
Selected Letters of Charles Baudelaire, 1986
Twenty Prose Poems, 1988
Critique d'art; Critique musicale, 1992
Belgium Stripped Bare (Contra Mundum Press: 2019)।
Musical adaptations
Edit
French composer Claude Debussy set five of Baudelaire's poems to music in 1890: Cinq poèmes de Charles Baudelaire (Le Balcon, Harmonie du soir, Le Jet d'eau, Recueillement and La Mort des amants).
French composer Henri Duparc set two of Baudelaire's poems to music: "L'Invitation au voyage" in 1870, and "La vie antérieure" in 1884.
English composer Mark-Anthony Turnage composed settings of two of Baudelaire's poems, "Harmonie du soir" and "L'Invitation au voyage", for soprano and seven instruments.[60]
American electronic musician Ruth White (composer) recorded some of Baudelaire's poems in Les Fleurs du Mal as chants over electronic music in a 1969 recording, Flowers of Evil.
French singer-songwriter Léo Ferré devoted himself to set Baudelaire's poetry into music in three albums: Les Fleurs du mal in 1957 (12 poems), Léo Ferré chante Baudelaire in 1967 (24 poems, including one from Le Spleen de Paris), and the posthumous Les Fleurs du mal (suite et fin) (21 poems), recorded in 1977 but released in 2008.
Soviet/Russian composer David Tukhmanov has set Baudelaire's poem to music (cult album On a Wave of My Memory, 1975).[61]
American avant-garde composer, vocalist and performer Diamanda Galás made an interpretation in original French of Les Litanies de Satan from Les Fleurs du mal, in her debut album titled The Litanies of Satan, which consists of tape and electronics effects with layers of her voice.
French singer David TMX recorded the poems "Lesbos" and "Une Charogne" from The Flowers of Evil.
French metal/shoegaze groups Alcest and Amesoeurs used his poetry for the lyrics of the tracks "Élévation" (on Le Secret) and "Recueillement" (on Amesoeurs), respectively. Celtic Frost used his poem Tristesses de la lune as a lyrics for song on album Into the Pandemonium.
French Black Metal bands Mortifera and Peste Noire used Baudelaire's poems as lyrics for the songs "Le revenant" and "Ciel brouillé" (on Vastiia Tenebrd Mortifera by Mortifera) and "Le mort joyeux" and "Spleen" (on La Sanie des siècles – Panégyrique de la dégénérescence by Peste Noire)
Israeli singer Maor Cohen's 2005 album, the Hebrew name of which translates to French as "Les Fleurs du Mal", is a compilation of songs from Baudelaire's book of the same name. The texts were translated to Hebrew by Israeli poet Dori Manor, and the music was composed by Cohen.
Italian singer Franco Battiato set Invitation au voyage to music as Invito Al Viaggio on his 1999 album Fleurs (Esempi Affini Di Scritture E Simili).
American composer Gérard Pape set Tristesses de la lune/Sorrows of the Moon from Fleurs du Mal for voice and electronic tape.
French band Marc Seberg wrote an adaptation of Recueillement for their 1985 album Le Chant Des Terres.
Dutch composer Marjo Tal set several of Baudelaire’s poems to music.
Russian heavy metal band Black Obelisk used Russian translations of several Baudelaire poems as lyrics for their songs.
French singer Mylène Farmer performed "L'Horloge" to music by Laurent Boutonnat on the album Ainsi soit je and the opening number of her 1989 concert tour. On her latest album "Désobéissance" (2018) she recorded Baudelaire's preface to "Les Fleurs du Mal", "Au lecteur". The French journalist Hugues Royer mentioned several allusions and interpretations of Baudelaire's poems and quotations used by Farmer in various songs in his book "Mylène" [62] (published in 2008).
In 2009 the Italian rock band C.F.F. e il Nomade Venerabile released Un jour noir, a song inspired by Spleen, contained in the album Lucidinervi (Otium Records / Compagnia Nuove Indye). The video clip is available on YouTube.
German aggrotech band C-Drone-Defect used the translation of "Le Rebelle" by Roy Campbell as lyrics for the song "Rebellis" on their 2009 album Dystopia.
English rock band The Cure used the translation of "Les yeux des pauvres" as lyrics for the song "How Beautiful You Are".
French singer-songwriter and musician Serge Gainsbourg has set Baudelaire's poem "Dancing Snake" (Le serpent qui danse) to music in his 1964song "Baudelaire".
Greek black metal band Rotting Christ adapted Baudelaire's poem "Les Litanies De Satan" from Fleurs du Mal for a song of the same name in their 2016 album Rituals.
Belgian female-fronted band Exsangue released the debut video for the single "A une Malabaraise", and the lyrics are based on Baudelaire's same-named sonnet in 2016.[63]
Belgian electronic music band Modern Cubism has released two albums where poems of Baudelaire are used as lyrics, Les Plaintes d’un Icare in 2008, and live album Live Complaints in 2010.[64]
American rapper Tyler, the Creator released his album Call Me If You Get Lost in 2021. Throughout the album, Tyler, the Creator refers to himself as "Tyler Baudelaire".
Canadian singer-songwriter Pierre Lapointe set Baudelaire's poem "Le serpent qui danse" to music on his 2022 album L'heure mauve.।
বোদলেয়ার তাঁর প্রথম জীবনে শিল্প-সমালোচক এবং অনুবাদক হিসেবেই অধিক পরিচিত ছিলেন। তাঁর সবচাইতে উল্লেখযোগ্য অনুবাদকর্ম হলো মার্কিন সাহিত্যিক এডগার অ্যালান পো-র বেশ কিছু সাহিত্যকর্মের ফরাসি ভাষাতে ভাষান্তর। সমালোচকরা মনে করেন পো-র এই অনুবাদকর্ম বোদলেয়ারকে দারুণভাবে প্রাণিত করে এবং তাঁরই সাহিত্যতত্ত্ব দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পরবর্তীতে বোদলেয়ার কবিতা রচনাতে লিপ্ত হন। তাঁর বিখ্যাত বা সমসাময়িক এবং মতান্তরে কুখ্যাত কাব্যগ্রন্থ লা ফ্ল্যর দ্যু মাল প্রকাশিত হয় ১৮৫৭ সালে। এর আগে পর্যন্ত তিনি মূলত শিল্প সমালোচনা এবং অনুবাদ কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সঠিকভাবে বলতে গেলে ১৮৫৬ সাল পর্যন্ত বোদলেয়ারকে মুকুলিত-কবি রূপে নির্দিষ্ট করেছেন সাহিত্যবোদ্ধারা। ঐ লা ফ্ল্যর দ্যু মাল-এ সংকলিত ছটি কবিতা তাঁর সময়কালে (১৮৫৭ সালেই) নিষিদ্ধতার ছাপ পায় অশ্লীলতার গন্ধ পাবার অজুহাতে।
আমরা সবাই জানি শার্ল বোদলেয়ারকে বাঙালি পাঠকের কাছে বিস্তারিতভাবে পরিচিত করেছেন বুদ্ধদেব বসু ১৯৬০ সালে প্রকাশিত তাঁর শার্ল বোদলেয়ার তাঁর কবিতা গ্রন্থের মাধ্যমে যে গ্রন্থে তিনি প্রকাশ করেছিলেন তাঁর অনূদিত বোদলেয়ার-এর ফরাসি ভাষাতে রচিত ১১২টি কবিতা যার ভেতর বর্তমানে আমার অনূদিত চারটি কবিতাও ছিল। মূল ভাষা থেকে অনুবাদ করতে পারলে ভাল হতো কিন্তু আমি যেহেতু ফরাসি ভাষা জানি না, আমাকে ইংরেজি অনুবাদের আশ্রয়ী হতে হয়েছে। বুদ্ধেদেব বসু-র অনুবাদের পর কবিতাগুলো আবার অনুবাদের কোনো প্রয়োজন আছে কিনা শে প্রশ্ন অনেকেই তুলতে পারেন। ১৯৬০ থেকে ২০২২—দীর্ঘ বাষট্টি বছর পেরিয়ে গেছে—এর ভেতর আমাদের অনুভূতি, বোধ, চিন্তাচেতনার অনেক পরিবর্তন হয়েছে, এবং একথা আমরা স্বীকার করতে বাধ্য যে যেকোনো শিল্পকর্মের ব্যাখ্যা একাধিক যেমন হতে পারে তেমনি সেই শিল্পের উপলব্ধিও ভিন্নতর হতে পারে। সেইসাথে রয়েছে ভাষার সদাপরিবর্তশীলতা। ।
===={{{{{{{========{{{{{{==}}}}}}}}}}====}}=