Monday, 13 May 2024

জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি।‌চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার এবং লেখক মৃণাল সেন। Dt - 14.05.2024. Vol - 878

১৯৫৫ সালে মৃণাল সেনের প্রথম পরিচালিত ছবি রাত-ভোর মুক্তি পায়। এই ছবিটি বেশি সাফল্য পায় নি। তাঁর দ্বিতীয় ছবি নীল আকাশের নিচে তাকে স্থানীয় পরিচিতি এনে দেয়। তাঁর তৃতীয় ছবি বাইশে শ্রাবণ থেকে তিনি আন্তর্জাতিক পরিচিতি পান।



মৃণাল সেন একজন ব্যক্তিত্ব যাঁর কাছে অ্যালাঁ রেনে বা জঁ লুক গোদার বর্তমান থাকেন, চলচ্চিত্রের ইতিহাস যাঁর জানা, সোফিয়া লোরেন ও গার্সিয়া মার্কেস যাঁর বন্ধু ছিলেন, জাফর পানাহি কলকাতায় এসে যাঁর খোঁজ করেন--- এই তথ্যগুলিও আমরা জানি। 

কলকাতা মৃণাল সেনকে ভুলে যায়নি। অন্তত মানেটা তেমনই দাঁড়াচ্ছে।


মৃণাল সেন যৌবনের শুরুতে একটি রাজনৈতিক কাজ হিসেবেই চলচ্চিত্রকে দেখেছিলেন, জীবনের শেষ ছবি অবধি তাই দেখে গেছেন। এই রাজনীতি শুধু রাজনৈতিক বাস্তবের রেপ্লিকা হয়ে ছিল না, সিনেমাটিক ভাষাবদলও ছিল একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। অনুজ ফরাসি নব্য তরঙ্গের উদ্দেশ্যও ছিল এমনটাই।

‘অপরাজিত’ মৃণাল সেনের কাছে সবচেয়ে সমকালীন ছবি ছিল। মৃণাল নিজে এই সমকালীনতার বিশ্বাসে চিরদিন স্থিত থাকতে চেয়েছেন। সমকালীনতা মানে, তিনি জানাচ্ছেন, সমসময়ের সাংবাদিক ধারাবিবরণী নয়, খ্রিস্টের জন্মের আগের ঘটনা অবলম্বনে লেখাও হয়ে উঠতে পারে চরম সমকালীন (যেমন তাঁর প্রিয় উপন্যাস স্পার্টাকুস), শুধু ইতিহাস সচেতন হতে জানতে হয়।
সমর সেন, অরুণ মিত্র, বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, আইপিটিএ গ্রুপ, বিজন ভট্টাচার্য, ঋত্বিক ঘটক-- প্রত্যেকে ছিলেন সাম্যবাদী ভাবাপন্ন ইন্টেলেকচুয়াল ও কেউ কেউ কমিউনিস্ট পার্টির মেম্বার। আমরা এই বিশেষ প্রজন্মটির কথা বলছি। মৃণাল সেন এদের একজন ছিলেন। 


জন্ম - ১৯২৩ সালের ১৪ মে।  বাংলাদেশের ফরিদপুরের একটি শহরে বৈদ্যব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । ফরিদপুরে থাকাকালীন তিনি সেখানেই উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি পড়াশোনার জন্য কলকাতায় আসেন এবং স্কটিশ চার্চ কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা পড়াশোনা করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সাংস্কৃতিক শাখার সঙ্গে যুক্ত হন। যদিও তিনি কখনও কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হন নি। চল্লিশের দশকে তিনি সমাজবাদী সংস্থা আইপিটিএর (ইন্ডিয়ান পিপ্‌লস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশন) সঙ্গে যুক্ত হন এবং এর মাধ্যমে তিনি সমমনোভাবাপন্ন মানুষদের কাছাকাছি আসেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করবার পর তিনি একজন সাংবাদিক, একজন ওষুধ বিপণনকারী এবং চলচ্চিত্রে শব্দ কলাকুশলী হিসাবে কাজ করেন। 



১৯৬৯ সালে তার পরিচালিত ছবি ভুবন সোম মুক্তি পায়। এই ছবিতে বিখ্যাত অভিনেতা উৎপল দত্ত অভিনয় করেছিলেন। এই ছবিটি অনেকের মতে মৃণাল সেনের শ্রেষ্ঠ ছবি। তার কলকাতা ট্রিলোজি অর্থাৎ ইন্টারভিউ (১৯৭১), কলকাতা ৭১ (১৯৭২) এবং পদাতিক (১৯৭৩) ছবি তিনটির মাধ্যমে তিনি তৎকালীন কলকাতার অস্থির অবস্থাকে তুলে ধরেছিলেন। মধ্যবিত্ত সমাজের নীতিবোধকে মৃণাল সেন তুলে ধরেন তার খুবই প্রশংসিত দুটি ছবি এক দিন প্রতিদিন (১৯৭৯) এবং খারিজ (১৯৮২) এর মাধ্যমে। খারিজ ১৯৮৩ সালের কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ জুরি পুরস্কার পেয়েছিল। ১৯৮০ সালের চলচ্চিত্র আকালের সন্ধানে। এই ছবিতে দেখানো হয়েছিল একটি চলচ্চিত্র কলাকুশলী দলের একটি গ্রামে গিয়ে ১৯৪৩ খ্রীষ্টাব্দের দুর্ভিক্ষের উপর একটি চলচ্চিত্র তৈরির কাহিনী। কীভাবে ১৯৪৩ এর দুর্ভিক্ষের কাল্পনিক কাহিনী মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় সেই গ্রামের সাধারণ মানুষদের সাথে সেটাই ছিল এই চলচ্চিত্রের সারমর্ম। আকালের সন্ধানে ১৯৮১ সালের বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ জুরি পুরস্কার হিসাবে রুপোর ভালুক জয় করে। মৃণাল সেনের পরবর্তীকালের ছবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য মহা পৃথিবী (১৯৯২) এবং অন্তরীণ (১৯৯৪)। এখনও অবধি তার শেষ ছবি আমার ভুবন মুক্তি পায় ২০০২ সালে।

মৃণাল সেন বাংলা ভাষা ছাড়াও হিন্দি, ওড়িয়া ও তেলুগু ভাষায় চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। ১৯৬৬ সালে ওড়িয়া ভাষায় নির্মাণ করেন মাটির মনীষ, যা কালীন্দিচরণ পাণিগ্রাহীর গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়। ১৯৬৯ এ বনফুলের কাহিনী অবলম্বনে হিন্দি ভাষায় নির্মাণ করেন ভুবন সোম। ১৯৭৭ সালে প্রেম চন্দের গল্প অবলম্বনে তেলুগু ভাষায় নির্মাণ করেন ওকা উরি কথা। ১৯৮৫ সালে নির্মাণ করেন জেনেসিস, যা হিন্দি, ফরাসি ও ইংরেজি তিনটি ভাষায় তৈরি হয়।



রচনা কর্ম: 

জনৈকের জীবনচরিত (১৯৪৬, নিউ এজ) - অনুবাদক
চার্লি চ্যাপলিন (১৯৫৩, নিউ এজ)
ভিউস অন সিনেমা (১৯৭৭, ইংরেজি)
সিনেমা, আধুনিকতা (১৯৯২, প্রতিক্ষণ প্রকাশনী)
মন্টেজ: লাইফ, পলিটিক্স, সিনেমা (২০০২, ইংরেজি, সীগাল বুক্‌স)
অলোয়েজ বিইঙ্গ বর্ন (২০০৪, ইংরেজি, স্টেলার পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড)


চিত্রনাট্য : 

দ্য রুইন্স (১৯৮৪, ইংরেজি, সীগাল বুক্‌স)
অকালের সন্ধানে (১৯৮২, বিভব)
ইন সার্চ অব ফেমিন (১৯৮৫, ইংরেজি, সীগাল বুক্‌স)
অন্তরীণ (১৯৯৭, বিতর্ক)
দ্য অ্যাবসেন্স ট্রিলজি (১৯৯৯, সীগাল বুক্‌স)
চিত্রনাট্য (২০০৪, পুনশ্চ)
আমার ভুবন (২০০৪, দে'জ পাবলিশিং)



মৃত্যু

মৃণাল সেন ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের ৩০ তারিখ রবিবার সকালে নিজ বাসভবনে ৯৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

পুরস্কার ও সম্মান : 

মৃণাল সেন পরিচালিত চলচ্চিত্র গুলি প্রায় সবকটি বড় চলচ্চিত্র উৎসব থেকে পুরস্কার জয় করেছে। ভারত এবং ভারতের বাইরের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। তিনি ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ দি ফিল্ম সোসাইটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন।

১৯৮১ সালে তিনি ভারত সরকার দ্বারা পদ্মভূষণ পুরস্কার লাভ করেন।
২০০৫ সালে তিনি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পান।
তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ অবধি ভারতীয় সংসদের সাম্মানিক সদস্যপদ লাভ করেন।
ফরাসি সরকার তাকে কম্যান্ডার অফ দি অর্ডার অফ আর্টস অ্যান্ড লেটারস (Ordre des Arts et des Lettres ) সম্মানে সম্মানিত করেন। এই সম্মান ফ্রান্সের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান।
২০০০ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাকে অর্ডার অফ ফ্রেন্ডশিপ সম্মানে ভূষিত করেন।




আমরা দেখেছি, মৃণাল সেনের ছবি এই বাংলা সাহিত্যের সমান্তরাল ধারাটিকে কীভাবে খুঁজে যাচ্ছিল একটি বিরাট সময় জুড়ে, তরুণ লেখক আশীষ বর্মন ছিলেন মৃণালের কাহিনিকার (আকাশ কুসুম বা ইন্টারভিউ), কমিউনিস্ট অমলেন্দু চক্রবর্তীর অবিরত চেনামুখ মৃণালের হাতে রূপ পেয়েছিল একদিন প্রতিদিন–এ। সাহিত্য থেকে সিনেমা, সিনেমা থেকে সাহিত্য- এই লাগাতার যাতায়াত প্রক্রিয়াটির একজন অনিবার্য অংশ ছিলেন মৃণাল। 


1960 এর দশকের সেনের বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র, যেমন আকাশ কুসুম ( আপ ইন দ্য ক্লাউডস , 1965), বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের প্রচলন থেকে মুক্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। সেনের সর্বশ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, ভুবন শোম (মিস্টার শোম , 1969) বিখ্যাত ভারতীয় অভিনেতা অভিনীতউৎপল দত্ত একজন নিঃসঙ্গ আমলা হিসেবে যিনি ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে একজন টিকিট সংগ্রাহকের স্ত্রীর মুখোমুখি হন। ফিল্মটির ইম্প্রোভাইজেশন এবং ব্যঙ্গাত্মক হাস্যরসের ব্যবহার এবং গ্রামীণ ভারতের প্রাকৃতিক চিত্র এটিকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের একটি ল্যান্ডমার্ক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

তার কলকাতা ট্রিলজিতে- ইন্টারভিউ (1971), কলকাতা 71 (1972), এবং পদাতিক ( দ্য গেরিলা ফাইটার , 1973)- সেন শৈলীগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং খণ্ডিত বর্ণনার মাধ্যমে সমসাময়িক কলকাতার (বর্তমানে কলকাতা ) নাগরিক অস্থিরতা অনুসন্ধান করেছেন। সেনের দুটি সর্বাধিক প্রশংসিত চলচ্চিত্র, এক দিন প্রতিদিন ( এবং শান্ত রোলস দ্য ডন , 1979 ), যা একটি নিখোঁজ কন্যার জন্য হতাশাগ্রস্ত একটি পরিবারকে চিত্রিত করে এবং খারিজ (দ্য কেস ইজ ক্লোজড , 1982), এমন একটি পরিবারের বিষয়ে যার ভৃত্য তাদের বাড়িতে কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ায় মারা গেছে । খারিজ 1983 সালে কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ জুরি পুরস্কার জিতেছিলেন। আকালের সন্ধ্যা (ইন সার্চ অফ ফামিন , 1980), 1943 সালের বাংলার দুর্ভিক্ষের নথিভুক্ত একটি চলচ্চিত্রের কলাকুশলীর গল্প, 1981 সালে বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সিলভার বিয়ার (বিশেষ জুরি পুরস্কার) জিতেছিল।
1980 এর দশকে সেন একজন জাতীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন এবং ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে বিবেচিত হন। তিনি মহাপৃথিবী ( ওয়ার্ল্ড উইদিন, ওয়ার্ল্ড উইদাউট , 1992), অন্তরিন ( দ্য কনফাইন্ড , 1994), এবং আমার ভুবন ( মাই ল্যান্ড , 2002) এর মতো পরবর্তী কাজগুলিতে সামাজিক উদ্বেগগুলি অন্বেষণ করতে থাকেন।
অন্যান্য চলচ্চিত্র : তার পরিচালিত অন্য ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘পুনশ্চ’ (১৯৬১), ‘অবশেষে’ (১৯৬৩), ‘প্রতিনিধি’ (১৯৬৪), ‘আকাশ কুসুম’ (১৯৬৫), ‘এক আধুরি কাহানী’ (১৯৭১), ‘কোরাস’ (১৯৭৪), ‘মৃগয়া’ (১৯৭৬), ‘পরশুরাম’ (১৯৭৮), ‘চালচিত্র’ (১৯৮১), ‘খান্ধার’ (১৯৮৩)।

ভিন্ন ভাষার চলচ্চিত্র : মৃণাল সেন বাংলা ভাষা ছাড়াও হিন্দি, উড়িয়া ও তেলেগু ভাষায় চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। ১৯৬৬ সালে উড়িয়া ভাষায় নির্মাণ করেন ‘মাতিরা মানিশা’, যা কালীন্দিচরণ পাণিগ্রাহীর গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়। ১৯৬৯-এ বনফুলের কাহিনী অবলম্বনে হিন্দি ভাষায় নির্মাণ করে ‘ভুবন সোম’। ১৯৭৭ সালে প্রেম চন্দের গল্প অবলম্বনে তেলেগু ভাষায় নির্মাণ করেন ‘ওকা ওরি কথা’। ১৯৮৫ সালে নির্মাণ করেন ‘জেনেসিস’- যা হিন্দি, ফরাসি ও ইংরেজি তিনটি ভাষায় তৈরি হয়।

 পরিচালিত অন্য ছবিগুলো : 
  ‘পুনশ্চ’ (১৯৬১), ‘অবশেষে’ (১৯৬৩), ‘প্রতিনিধি’ (১৯৬৪), ‘আকাশ কুসুম’ (১৯৬৫), ‘এক আধুরি কাহানী’ (১৯৭১), ‘কোরাস’ (১৯৭৪), ‘মৃগয়া’ (১৯৭৬), ‘পরশুরাম’ (১৯৭৮), ‘চালচিত্র’ (১৯৮১), ‘খান্ধার’ (১৯৮৩)।

ভিন্ন ভাষার চলচ্চিত্র : মৃণাল সেন বাংলা ভাষা ছাড়াও হিন্দি, উড়িয়া ও তেলেগু ভাষায় চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। ১৯৬৬ সালে উড়িয়া ভাষায় নির্মাণ করেন ‘মাতিরা মানিশা’, যা কালীন্দিচরণ পাণিগ্রাহীর গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়। ১৯৬৯-এ বনফুলের কাহিনী অবলম্বনে হিন্দি ভাষায় নির্মাণ করে ‘ভুবন সোম’। ১৯৭৭ সালে প্রেম চন্দের গল্প অবলম্বনে তেলেগু ভাষায় নির্মাণ করেন ‘ওকা ওরি কথা’। ১৯৮৫ সালে নির্মাণ করেন ‘জেনেসিস’- যা হিন্দি, ফরাসি ও ইংরেজি তিনটি ভাষায় তৈরি হয়।




°°°°°°°°°°°========================°°°°


















No comments:

শুভ জন্মদিন শ্রদ্ধাঞ্জলি। প্রবোধচন্দ্র বাগচী । বিংশ শতাব্দীর ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম পণ্ডিত, সাহিত্যের গবেষক এবং শিক্ষাবিদ। তিনি ছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় উপাচার্য। Dt -18.11.2024. Vol -1055 .Monday. The blogger post in literary e magazine.

প্রবোধচন্দ্র বাগচী    (১৮ নভেম্বর ১৮৯৮ - ১৯ জানুয়ারি ১৯৫৬)  বিংশ শতাব্দীর ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম পণ্ডিত, সাহিত্যের গবেষক এবং শিক্ষাবিদ। ...