Saturday, 27 July 2024

শুভ জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি। নির্মলেন্দু চৌধুরী। উপমহাদেশের একজন বিখ্যাত লোকসঙ্গীত শিল্পী। বাংলা লোকসঙ্গীতকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জনপ্রিয় করে তুলতে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সঙ্গীত সাধনায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মভূষণ খেতাবে ভূষিত হন। Dt - 27.07.2024. Vol - 945. Saturday. The blogger post in literary e magazine.





নির্মলেন্দু চৌধুরী
 (১৯২২ সাল ২৭ জুলাই-১৯৮১ সালের ১৮ এপ্রিল)


লোকসংগীতের কোনো স্বরলিপি নেই, নেই কোনো বাধ্যবাধকতা। সব লোকই লোকগীতি গাইতে পারে নিজের ইচ্ছামতো। এর রচয়িতা মূলত গ্রামীণ মানুষ। শহরেও আছে এদের আবাস। নিরক্ষর মানুষের অভিজ্ঞতাপ্রসূত গানকে অনেকে লোকসংগীত বলে থাকেন। জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে এই গান আহৃত হয়। এই গানে উঠে আসে প্রকৃতি, মানুষের ভালোবাসা, দুঃখ-বেদনা ইত্যাদি। আচার, অনুষ্ঠান, উৎসব সবকিছুই রয়েছে লোকগানে। সাধারণের জীবনচিত্র উঠে আসা এই সংগীতে নির্দিষ্ট কোনো সীমারেখা না থাকলেও একটা সীমিত কাঠামো লোকসংগীতকে আবদ্ধ করে রেখেছে। অঞ্চলভেদে একটা নিজস্বতা আছে এই সংগীতের। আঞ্চলিকতাকে লোকগীতির প্রাণ বলা হয়ে থাকে। বৈশিষ্ট্যে ভরপুর এই সংগীতের মাধ্যমেই একসময় আবহমান বাংলার মানুষের যাপিত জীবনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা ও অগ্রসর চিন্তা-চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল।

 উপমহাদেশের একজন বিখ্যাত লোকসঙ্গীত শিল্পী। বাংলা লোকসঙ্গীতকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জনপ্রিয় করে তুলতে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সঙ্গীত সাধনায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মভূষণ খেতাবে ভূষিত হন.


১৯২২ সালের ২৭ জুলাই বৃহত্তর সিলেট বিভাগ সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় জমিদার বাড়ি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলা বেহেলী গ্রামে। তাঁর বাবার নাম নলিনীনাথ চৌধুরী এবং মায়ের নাম স্নেহলতা চৌধুরী। তিনি ছাত্রজীবনে খেলাধুলার প্রতি বিশেষ আগ্রহী ছিলেন; ক্রমে মাঝি-মাল্লার কণ্ঠে পল্লীগান শুনে এবং পিতামাতার নিকট থেকে শিক্ষা ও উৎসাহ পেয়ে পল্লীগায়ক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।


নির্মলেন্দু চৌধুরী বেহেলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। এরপর চলে আসেন সিলেটে। সিলেট নগরীর লামাবাজারে তাঁদের বাসা ছিলো। সেই সুবাদে তিনি রসময় মেমোরিয়াল হাইস্কুলে ভর্তি হন। ম্যাট্টিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি ভর্তি হন এম সি কলেজে। এ সময় তিনি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনকে বেগবান করতে তাঁর কণ্ঠে ধ্বনিত হয় প্রতিবাদের গান।


প্রথমজীবনে ময়মনসিংহের আবদুল মজিদ ও আবদুর রহিম-এর নিকট লোকসঙ্গীত ও লোকবাদ্যে তালিম গ্রহণ করেন; পরে শান্তিনিকেতনে অশোকবিজয় রাহার নিকট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিক্ষালাভ করেন। ১৯৫৫ সালে বঙ্গ সংস্কৃতি সম্মেলনে শ্রীহট্টের লোকগীতি গেয়ে তিনি সুনাম অর্জন করেন। এ বছরই ওয়ারশে আন্তর্জাতিক লোকসঙ্গীত সম্মেলনে বাংলা লোকসঙ্গীত পরিবেশন করে তিনি স্বর্ণপদক লাভ করেন। তখন থেকে শুরু করে ভারতে ও বিদেশে বহু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে তিনি বাংলা পল্লীগীতিকে আন্তর্জাতিক মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁর শতাধিক গানের রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছে। চলচ্চিত্রে অভিনয় করে এবং নেপথ্যে গান গেয়েও তিনি সুনাম অর্জন করেন। গঙ্গা ছবির গানে তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। সুরকার হিসেবেও তাঁর পরিচিতি ছিল। মলুয়া পালাগানের ভিত্তিতে রচিত ও লং প্লে রেকর্ডকৃত চাঁদ বিনোদ গীতিনাট্য তিনিই পরিচালনা করেন। নির্মলেন্দু চৌধুরী প্রগতি লেখক সংঘ ও ভারতীয় গণনাট্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি কলকাতায় লোকভারতী নামে একটি লোকসঙ্গীত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। কিছুকাল তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগে অধ্যাপনা করেন। এপার বাংলা ওপার বাংলার গান নামে তাঁর একটি গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গীতগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। 

সঙ্গীতে অসাধারণ অবদানের জন্য তিনি ভারত সরকার কর্তৃক ‘পদ্মভূষণ’ উপাধিতে ভূষিত হন।

১৯৮১ সালের ১৮ এপ্রিল কলকাতায় শিল্পী নির্মলেন্দু চৌধুরীর মৃত্যু হয়।


দেশীয় পরিম-লে গ্রামবাংলার এই গানকে মানুষের মুক্তির সোপান রচনায় কাজে লাগাতে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন নির্মলেন্দু চৌধুরী। বাংলার লোকজ গানকে তিনি শুধু জাতীয়ভাবেই সমাদৃত করেননি, ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বলোকে। কণ্ঠজাদুতে লোকসংগীতের যাত্রাপথকে সুদৃঢ় করার স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে লোকগীতি-সম্রাট অভিধায় আখ্যায়িত করা হয়।


মায়ের ভালোবাসায় বিশ্বলোকে

একজন শিক্ষিত মা, জাতিকে একটি শিক্ষিত সন্তান উপহার দিতে পারেন। সন্তান জন্ম নেওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বেশি যাঁর কাছ থেকে শিক্ষা নেয়, তিনি হচ্ছেন জন্মদাত্রী। নির্মলেন্দু চৌধুরীও মা স্নেহলতার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন। তাঁর সংগীতের হাতেখড়ি হয়েছিল মায়ের কাছেই। প্রথম সন্তান হওয়ার সুবাদে বাড়তি আহ্লাদ পেয়েছেন। এক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে মিষ্টি গলা। মা তাঁর সুরে বিমোহিত হন। বিরল প্রতিভার অন্বেষণ করেন কৈশোরেই। কথা বলেন স্বামীর সঙ্গে। তিনি ছেলের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন স্ত্রীকে। পাশাপাশি খোঁজখবর নেন ছেলেকে ভালো সংগীতশিল্পী করার ব্যাপারে। অনেক ভাবনাচিন্তার পর নির্মলেন্দু চৌধুরীকে শান্তিনিকেতনে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেন পিতা নলিনীনাথ চৌধুরী। কিন্তু নির্মলেন্দুর শারীরিক অবস্থা এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আশাহত হৃদয়ে এ-ইচ্ছার বাস্তবায়ন থেকে বিরত থাকেন তিনি। বাড়িতেই রাখেন রবীন্দ্রসংগীতের শিক্ষক। কিন্তুউচ্চারণ সমস্যার কারণে সে-যাত্রা রবীন্দ্রসংগীত শিক্ষা থেকে বিরত থাকতে হয় নির্মলেন্দুকে। কিন্তু সংগীতচর্চা থেমে থাকে না তাঁর। পাশাপাশি চালিয়ে যেতে থাকেন লেখাপড়া। সিলেটে অবস্থানকালীন সময়ে সুরসাগর প্রাণেশ চন্দ্র দাশের কাছে তালিম নেন তিনি।


এটা শুধু একটা গানই ছিল না। কিষাণ-কিষাণীর বাক্যালাপের মধ্য দিয়ে গানটি হয়ে উঠেছিল একটি প্রাণবন্ত নাটক। গানের সুর ও কথায় অভিব্যক্ত হয়েছিল দুর্ভিক্ষপীড়িত কিষাণ-কিষাণীর দুঃখ যন্ত্রণার অনুভূতি ও তাদের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের শানিত চেতনা। কৃষাণীর অভিনয় করতে গিয়ে গান গাইতে গাইতে আমি একাত্ম হয়ে গিয়েছিলাম কিষাণীর দুঃখের সাথে, আমার চোখ দিয়ে জল ঝরছিল। আমার ও নির্মলের এই গান লক্ষাধিক শ্রোতার হৃদয়ে জ্বেলে দিয়েছিল প্রতিবাদের আগুন। রাতের আঁধার ছিন্ন করে বিপুল করতালি ও সেø­াগানে ভেঙে পড়েছিল সেদিন সম্মেলনের ময়দান।


নির্মলদের বাড়ি ছিল লোকসঙ্গীতের প্রাণকেন্দ্র। প্রতিদিন সেখানে বসত গানের আসর। ওরা ভাইবোন সবাই তাদের সুরেলা কণ্ঠ ও প্রতিভা দিয়ে লোকসঙ্গীতের ভুবনকেই আলোকিত করে তুলেছিল। আর সেই সংগীতভুবনের রাজা ছিল নির্মল নিজে। তবে নির্মল যে কেবলমাত্র তার প্রতিভার সাহায্যে এই রাজ্যকে জয় করে নিয়েছিল তা নয়, এ ব্যাপারে তার মা ছিলেন প্রেরণা ও শক্তি। তাঁর ছিল চমৎকার সঙ্গীতের এক দরাজ কণ্ঠ আর ছিল অফুরন্ত লোকসঙ্গীতের ভা-ার। একাই গান গেয়ে মাতিয়ে তুলতে পারতেন আসর। আর যখন ছেলে মেয়েদের নিয়ে একসাথে গান ধরতেন তখন সত্যিই সেই সম্মিলিত কণ্ঠের সুরের মূর্ছনায় মনে হতো ঘরের পরিবেশ পাল্টে গিয়ে যেন আমরা খোলা আকাশের নীচে উন্মুক্ত প্রান্তরে প্রকৃতির কোলে বসে মাটি, নদী, হাওর, ক্ষেত, খামার ও গ্রামের মানুষের সাথে একাত্ম হয়ে যাচ্ছি।

এদিন তিনি একে একে পরিবেশন করেন নৌকাবাইচের গান – ‘সোনার বান্দাইল নাও’, ভাওয়াইয়া – ‘প্রেম জানে না রসিক কালাচান’, হাছন রাজার – ‘লোকে বলে, বলেরে’, টানা ভাটিয়ালী ‘মইষ রাখ মইষাল বন্ধুরে’, নাচের গান – ‘সোহাগ চান বদনে ধ্বনী’, ধামাইল – ‘আমি কি হেরিলাম জলের ঘাটে গিয়া’ প্রভৃতি। নির্মলের গানে মুগ্ধ হলেন শ্রোতারা। সুনাম ছড়িয়ে পড়ল চারদিকে। এ বছরই শান্তিনিকেতনে গিয়ে সংগীত পরিবেশনের আমন্ত্রণ জানানো হলো তাঁকে। শান্তিনিকেতনের সবাই মুগ্ধ হলো তাঁর সুরশৈলীতে। শুরু হয় নতুন এক নির্মলেন্দুর

পথচলা। নানা অনুষ্ঠান থেকে আমন্ত্রণ আসতে থাকে। সব অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন তিনি। দরাজ কণ্ঠে গান ধরা মাত্র অনুষ্ঠানস্থল পরিপূর্ণ হয়ে যায় কানায় কানায়। চৌরাস্তার মোড়ে অনুষ্ঠান হলে ট্রাফিক জ্যাম এড়ানো যায় না।

জনপ্রিয়তা যখন এই পর্যায়ে, তখন নির্মলেন্দুকে রাষ্ট্রীয় সফরে নেওয়ার জন্য মনোনীত করা হয়। এ-প্রসঙ্গে স্মৃতিচারণমূলক ‘নির্মল হৃদয়’ নিবন্ধে ভারতের প্রখ্যাত সাংবাদিক অমিতাভ চৌধুরী লিখেছেন – ‘একদিন মন্ত্রী অনিলকুমার চন্দের চিঠি পেলাম। তিনি লিখেছেন –

অমিতাভ, আমি ভারত সরকারের সাংস্কৃতিক দল নিয়ে যাচ্ছি পূর্ব ইউরোপ ও রাশিয়া। রাণী (চন্দ) লিখেছে, একটি ছেলে নাকি শান্তিনিকেতনে এসে দারুণ গান গেয়ে গেছে। তুমি চেন তাকে? চেনা থাকলে নামটা জানাও, আমি পঁচিশে বৈশাখ কলকাতা যাচ্ছি। ৪৮ চৌরঙ্গি রোডে সকাল বেলা আমার সঙ্গে ওকে দেখা করতে বল।
গানের ভুবনে নির্মলেন্দু : হেমাঙ্গ বিশ্বাসের মূল্যায়ন

গানের ভুবনে নির্মলেন্দুর শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় পাওয়া যায় তাঁর সম্পর্কে করা হেমাঙ্গ বিশ্বাসের অকপট বক্তব্যে। হেমাঙ্গ বিশ্বাস উজান গাঙ বাইয়া বইয়ে নির্মলেন্দু চৌধুরীকে যেভাবে মূল্যায়ন করেছেন, তা থেকে শিল্পী হিসেবে তাঁর সুদৃঢ় অবস্থানেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। তিনি সাবলীলভাবে নির্মলেন্দু চৌধুরীর অসাধারণ প্রতিভাকে উপস্থাপন করে তাঁকে অনন্য স্থানে অধিষ্ঠিত করেছেন। ব্রিটিশবিরোধী সুরমা উপত্যকার সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে হেমাঙ্গ বিশ্বাসের সরল উচ্চারণ – ‘একটা দুটো ভালো কণ্ঠের অভাব বোধ করছিলাম,’ …আমার এই দাবী পূরণ করতে গিয়ে কৃষক নেতা রোহিণী দাস (সুনামগঞ্জ) একটি তরুণ ছেলেকে এনে বললেন – গলাটা পরীক্ষা করে দেখতে। গলা শুনেই আমি লাফিয়ে উঠেছিলাম। তখন মাইক চোখেও দেখিনি আমরা। তাই দরকার ছিল যেমন সুরেলা, তেমনি জোরালো, তেমনি মেঠো গলার। ছেলেটি সেই দাবি পূরণ করেছিল। তার নাম নির্মলেন্দু চৌধুরী। তাকে তখনই শিখিয়েছিলাম – চল চলরে কমরেড গানটি। এই সময় লোকসুরে ভাটিয়ালিতে রচনা করেছিলাম একটি গান, যা আমার ধারণায় অতি সফল সুর সংযোজনার কল্যাণে গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছিল। নির্মল এ গান বহু জায়গায় গেয়েছিলো, কলকাতাতেও তার গলায় এ-গান বেশ জনপ্রিয় হয়েছিলো।

গানটি ছিলো –

ও চাষী ভাই –

তোর সোনার ধানে বর্গী নামে দেখরে চাহিয়া।

তোর লুটে নেয় ফসল

দেশবিদেশী ধনিক, বণিক, ফ্যাসীদস্যুদল।

পঙ্গপালে দলে দলে ছাইলো দুনিয়া।

জাপানের হাওয়াই জাহাজ

আসমান হতে মোদের বুকে হানছে কলের বাজ।

তারা জোর জুলুমে কুলের বধূ নেয়রে হরিয়া।

এর পরেই আমি রচনা করেছিলাম ‘কাস্তেটারে দিও জোরে শান’, যে-গান অভূতপূর্ব জনপ্রীতি লাভ করেছিল।




















===============≠==≠≠=============















No comments:

শুভ জন্মদিন শ্রদ্ধাঞ্জলি। অশোকবিজয় রাহা । একজন ভারতীয় বাঙালি কবি, প্রাবন্ধিক এবং সমালোচক। তিনি রবীন্দ্র অধ্যাপক হিসেবে দীর্ঘদিন বিশ্বভারতীতে দায়িত্ব পালন করেন। Dt -14.11.2024. Vol -1052. Thrusday. The blogger post in literary e magazine.

অশোকবিজয় রাহা  (১৪ নভেম্বর ১৯১০ – ১৯ অক্টোবর ১৯৯০)  সময়টা ছিল আঠারোশো উননব্বইয়ের অক্টোবর। গঁগ্যার সাথে বন্ধুত্বে তখন কেবল চাপ চাপ শূন্যতা আ...