(২৯ আগস্ট ১৮৬২ - ৬ মে ১৯৪৯)
একজন বেলজীয় নাট্যকার, কবি এবং প্রবন্ধকার, যিনি একজন ফ্লেমিশ হয়েও ফরাসি ভাষায় রচনা করতেন। তিনি ১৯১১ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান, "তার বহুমুখী সাহিত্যকর্মের সমাদরের জন্যে এবং বিশেষ করে তার নাটকীয় কাজের জন্যে, যা তার কল্পনার প্রাচুর্যতা এবং ছন্দোময় কল্পনাশক্তির মাধ্যমে বিশিষ্টতা অর্জন করেছে, যা তার রূপকথার ছলের মধ্যে মাঝে মাঝে প্রকাশ করে এক গভীর উদ্দীপনা যখন তা এক রহস্যময়তার মধ্যে পাঠকদের অনুভূতি ও অন্তর স্পর্শ করে এবং তাদের কল্পনাকে উদ্দীপিত করে।" তাঁর রচনার মুখ্য বিষয়বস্তু হচ্ছে মৃত্যু এবং জীবনের মর্মার্থ। তাঁর নাটক প্রতীকীবাদ
আন্দোলনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
মাতরলাঁক বেলজিয়ামের গঁ শহরের এক সম্ভ্রান্ত ফরাসিভাষী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা মাতিল্ড কোলেত ফ্রঁসোয়া (প্রদত্ত নাম: ভাঁ দঁ বশ) একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান ছিলেন। তাঁর পিতা পলিদোর একজন দলিলপত্র সম্পাদক ছিলেন, যিনি তাদের সম্পত্তির ভান্ডার তত্ত্বাবধান করতেন।
১৮৭৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাকে সাঁ-বার্বের জেসুই কলেজে প্রেরণ করা হয়, যেখানে ফরাসি রোমান্টিক রচনাকে অবজ্ঞা করা হতো এবং সেখানে শুধু ধর্মসম্বন্ধীয় নাটক অনুমোদিত ছিল । এই বিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতা ক্যাথলিক মন্ডলী এবং সেখানে সংগঠিত ধর্মের প্রতি তাঁর বিমুখতাকে প্রভাবিত করে।
১৯০১ সালে মাতরলাঁক
তিনি ছাত্রাবস্থায় কবিতা এবং ছোট গল্প রচনা করতেন । কিন্তু তার পিতা চাইতেন তাকে আইনজীবী বানাতে । ১৮৮৫ সালে গঁ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ক পড়া শেষ করার পর, তিনি কিছু মাস ফ্রান্স এর প্যারিস এ অতিবাহিত করেন । তাঁর সেখানে নতুন প্রতীকীবাদ আন্দোলনের কিছু সদস্যদের সাথে সাক্ষাত হয়, যাদের মধ্যে ভিলিয়ার্স দে এল'ইসলে অ্যাডাম ছিলেন একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, যিনি মাতরলাঁকের পরবর্তী রচনাসমূহ দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন
মাতরলাঁকের প্রথম নাটক, প্রিন্সেস মালেইন, ওক্টাভ মিরবোর কাছ থেকে এক উদ্যমী প্রশংসা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি একজন বিখ্যাত ব্যক্তিতে পরিণত হন; ল্য ফিগারো-এর সাহিত্য সমালোচক, আগস্ট, ১৮৯০ । পরবর্তী বছরসমূহে, তিনি অদৃষ্টবাদ এবং অতীন্দ্রি়বাদ দ্বারা চিহ্নিত প্রতীকীবাদী নাটক এর ক্রমধারা রচনা করেন, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইন্ট্রুডার (১৮৯০), দ্য ব্লাইন্ড (১৮৯০) এবং পেলিসেট মেলিসান্ড (১৮৯২)
১৮৯৫ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত শিল্পী ও অভিনেত্রী জর্জেট লেবলাঙ্ক এর সাথে অন্তরঙ্গ সম্পর্কে জড়িত ছিলেন । পরবর্তী দুই দশক মাতরলাঁকের কাজ লেবলাঙ্ককে প্রভাবিত করে। অ্যাগলাভ্যাইন এট সেলাইসেট নাটকের মধ্য দিয়ে মাতরলাঁক চরিত্র, বিশেষ করে নারী চরিত্র তৈরি করতে শুরু করেন, বেশির ভাগই তাদের ভাগ্যের উপর নিয়ন্ত্রিত ছিল । লেবলাঙ্ক মঞ্চে এইসব নারী চরিত্রে অভিনয় করতেন । যদিও অতীন্দ্রি়বাদ ও দর্শনশাস্ত্র তার কর্মজীবনে তার কাজকে প্রভাবিত করেছিল, তবুও সে ধীরে ধীরে তার প্রতীকীবাদকে আরও বেশি অস্তিত্ব-সম্বন্ধীয় রচনাশৈলী দিয়ে আগের বিষয়ে ফিরে আসেন ।
১৮৯৫ সালে তার পিতা-মাতা তার এই খোলামেলা সম্পর্ককে অসমর্থন করলে, মাতরলাঁক ও ল্যব্লঁ প্যারিস এর পাসি জেলায় চলে যান। ক্যাথলিক চার্চ তাকে তার স্পেনীয় স্বামীর থেকে তার বিবাহবিচ্ছেদে অনুমোদন দিতে অনিচ্ছুক ছিলেন । তারা প্রায়ই অতিথিদের (যেমন-মিরবো, জিন লরেইন ও পল ফোর্ট) আপ্যায়ন করতেন। তারা তাদের গ্রীষ্মের দিনগুলো নরম্যান্ড এ অতিবাহিত করতেন । এই সময়ের মধ্যে মাতরলাঁক তার "টুয়েলভ সংস" (১৮৯৬), "দ্য ট্রেজার অব দ্য হাম্বল" (১৮৯৬), "দ্য লাইফ অব দ্য বি" (১৯০১) এবং "অ্যারিয়ান এন্ড ব্লুবিয়ার্ড" (১৯০২) প্রকাশ করেন।
১৯০৩ সালে মাতরলাঁক নাটকীয় সাহিত্যের জন্য বেলজিয়াম সরকারের নিকট থেকে ত্রিবার্ষিক পুরস্কার পান । এই সময়ে এবং মহাযুদ্ধের শুরুতে, তিনি একজন মহাজ্ঞানী ও সেই সময়ের উচ্চ ধ্যান-ধারণার মূর্তপ্রতীক হিসেবে সমগ্র ইউরোপে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন ।
১৯০৬ সালে মাতরলাঁক ও ল্যব্লঁ গ্র্যাস এর একটি বাগানবাড়িতে চলে আসেন । তিনি তার সময়গুলো হাঁটতে ও চিন্তার মধ্যে অতিবাহিত করতেন । যখন তিনি লেবলাঙ্কের থেকে দূরে সরে যাওয়ার টান অনুভব করতেন, তখন তিনি বিষণ্ণতায় ভোগতেন । তিনি তার অস্থিরতা বুঝতে পেরে নরম্যান্ডের সেইন্ট ভ্যান্ড্রিলেইনের বেনেডিক্টিন মঠকে খাজনা দেন তাকে এই অস্থিরতা থেকে আরাম দেওয়ার জন্য । মঠকে খাজনা দেওয়ার মাধ্যমে একটি রাসায়নিক কারখানাকে বিক্রি হওয়ার অপব্যবহার থেকে রক্ষা করেন এবং এভাবেই তিনি পোপের কাছ থেকে আশীর্বাদ পান । লেবলাঙ্ক প্রায়শই একজন মঠধারিণীর পোশাকে ঘুরে বেড়াতেন; তিনি রোলার স্কেইট পরিধান করে ঘরের আশপাশে ঘুরে বেড়াতেন । এই সময়, তিনি তার প্রবন্ধ "ফুলের বুদ্ধিমত্তা" (১৯০৬) রচনা করেন, যার মধ্যে তিনি সমাজতান্ত্রিক মনোভাবের সাথে সহানুভূতি প্রকাশ করেন। তিনি শ্রমিকদের বিভিন্ন সংস্থাকে এবং সমাজতান্ত্রিক দলকে অর্থ দান করেন । এই সময়, তিনি তার সর্বশ্রেষ্ঠ সাফল্যের জন্ম দিয়েছেন: রূপকথার নাটক, নীল পাখি(১৯০৮, তবে মূলত ১৯০৬ সালে লেখা হয়েছিল) । "ফুলের বুদ্ধিমত্তা" লেখার পর, তিনি অস্থিরতা ও লেখার প্রতিবন্ধকতায় ভোগেন । যদিও তিনি পরবর্তী এক বা দুই বছরে এই অসুখ থেকে সুস্থতা লাভ করেন, তবুও তিনি আগের উদ্ভাবনাগুলোর মতো আর কখনোই লেখতে পারেননি । তার পরবর্তী নাটকগুলি, যেমন মেরি-ভিক্টোয়ার (১৯০৭) ও মেরি ম্যাগডালেন (১৯১০), লেবলাঙ্কের জন্য নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রেখেছিল, লক্ষ্যণীয়ভাবে ইহা তার পূর্বসূরিদের থেকে নিম্নতর ছিল এবং কখনও কখনও কেবল তার পূর্বের ফর্মুলা পুনরাবৃত্তি করত। যদিও সেইন্ট ভ্যান্ডারিলে তার কিছু নাটক উন্মুক্তভাবে মঞ্চস্থ করা হয় এবং তা সফল হয়, তবুও মাতরলাঁক মনে করেছিলেন যে তিনি তার গোপনীয়তা হারাচ্ছেন । ১৯১০ সালের ১১ জুন, তার মায়ের মৃত্যু তাকে আবারও অস্থিরতায় ফেলে।
১৯১০ সালে "নীল পাখি" নাটকের মহড়া চলাকালে তার সাথে ১৮ বছর বয়সী অভিনেত্রী রিনি ডাহন এর সাক্ষাৎ হয় । সে তার হাসি-খুশির সঙ্গীতে পরিণত হয় । কার্ল বিল্ট তাকে সুইডিশ একাডেমির সদস্য হিসেবে মনোনীত করার পর, ১৯১১ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান, যা তার মানসিক অস্থিরতাকে আরো হালকা করে ।১৯১৩ সালে, ধর্মঘট চলাকালে সে আরো বেশি খোলাখুলিভাবে সমাজতান্ত্রিক হয়ে পড়ে এবং পাশাপাশি বেলজিয়ান ট্র্যাড ইউনিয়নের সাথে একত্রে ক্যাথলিক পার্টির বিরোধিতা করে । তিনি তার প্রবন্ধগুলিতে মহাবিশ্বের ইতিহাসের ধরনকে ভুল করার জন্য অতীন্দ্রিবাদ পড়তে এবং ক্যাথলিক চার্চের নিন্দা করতে শুরু করেন । ২৬ জানুয়ারি,১৯১৪ সালে রোমান ক্যাথলিক চার্চ এক রাজকীয় ফরমানের মাধ্যমে তার গীতিনাট্য ওমনিয়াকে লিব্রোরাম প্রোহিবিটোরাম সূচীতে স্থাপন করেন ।
১৯১৪ সালে, যখন জার্মানি বেলজিয়াম আক্রমণ করে, মাতরলাঁক তখন ফরাসি বৈদেশিক সৈন্যবাহিনীতে যোগদান করতে চেয়েছিল, কিন্তু তার বয়সের জন্য তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয় । তিনি এবং লেবলাঙ্ক সিদ্ধান্ত নেন তারা গ্র্যাস ত্যাগ করে নাইস এর কাছাকাছি এক বাগানবাড়িতে উঠবেন, যেখানে তিনি তার জীবনের পরবর্তী দশক অতিবাহিত করেন । তিনি যুদ্ধে বেলজিয়ানদের নির্ভীকতা এবং জার্মানদের অপরাধিত্ব সম্পর্কে বক্তব্য দেন । যদিও তার স্বদেশপ্রেমিকতা, ও ক্ষতির প্রতি তার উদাসীনতা, তবুও তিনি জার্মানিতে তার সম্মানজনক অবস্থার জন্য কৃতজ্ঞ ছিলেন, এটাকে তিনি কৃতিত্ব দিতেন, এটাই একজন মহাজ্ঞানী হিসেবে তার খ্যাতিকে গুরুতরভাবে নষ্ট করে । নাইসে, যখন তিনি "স্টিলমান্ডের মেয়র" রচনা করেন, যা আমেরিকান গণমাধ্যম দ্বারা "মহাযুদ্ধের নাটক" হিসেবে আখ্যায়িত হয় এবং ১৯২৯ সালে ব্রিটিশ ফিল্ম এর উপর একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করে । তিনি আরও রচনা করেন "নীল পাখি" নাটকের পরিণতির একটি ধারাবাহিক বেত্রথ্যাল, স্পষ্টত যেটার নায়িকা লেবলাঙ্ক ছিল না ।
১৯১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে মাতরলাঁক ডাহনকে বিয়ে করেন । তিনি আমেরিকার আমন্ত্রণ সাদরে গ্রহণ করেন । স্যামুয়েল গোল্ডউইন তার চলচ্চিত্রের জন্য তাকে কিছু চিত্রনাট্য রচনা করার অনুরোধ করেন । মাতরলাঁকের নতির শুধুমাত্র দুটি এখনও বিদ্যমান আছে; গোল্ডউইন সেগুলো ব্যবহার করেননি । মাতরলাঁক সেগুলো "মৌমাছির জীবনের" উপর ভিত্তি করে বানিয়েছিলেন । ইহার প্রথম কয়েক পাতা পড়ার পর গোল্ডউইন তার অফিসে বিস্ফারিত কন্ঠে চিৎকার করে বললেন, "ওহ্ ঈশ্বর, নাটকের নায়ক একটা মৌমাছি!"
১৯২০ সালের পরে মাতরলাঁক থিয়েটারে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখা বন্ধ করে দেন, কিন্তু তিনি তার পছন্দের বিষয়: "প্রাকৃতিক, নীতিশাস্ত্র এবং জীবতত্ত্বের" উপর প্রবন্ধ লেখা চালিয়ে যান । ১৯২০'র দশকের শুরুর দিকে এইসবের প্রতি আন্তর্জাতিক চাহিদা প্রবলভাবে হ্রাস পায়, কিন্তু ১৯৩০'র দশকের শেষের দিকে ফ্রান্সে তার বিক্রয় যথেষ্ট পরিমাণে ছিল । ১৯২৫ সালে ডাহন একটি মৃত শিশু জন্ম দেয় ।
মারিস মাতরলাঁকের সম্পর্কে লন্ডনে ড. উইনিফ্রেড ডে কককে একটি চিঠি লিখেছিলেন । তার কিছু অংশ নিচে দেওয়া হল :
আমার গবেষণার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ চুরি করে বিখ্যাত লেখক আমাকে সন্দেহজনক অভিনন্দন জানিয়েছেন । যদিও তিনি স্বীকার করেন যে তিনি তাঁর জীবনে কখনোই উইপোকা দেখেননি, তবুও তিনি তাঁর পাঠকদের স্পষ্টভাবে বোঝাতে চেয়েছিলেন যে তিনি আমার তত্ত্বগুলিতে (দশ বছরের পরিশ্রমের ফল) পৌঁছেছেন তাঁর নিজস্ব নিরাবলম্ব বুদ্ধি দিয়ে । আপনি নিশ্চয় বুঝবেন যে এটা কল্পনার নিছক একটা রচনা নয়, সেজন্যই বলা । তিনি অক্ষরে অক্ষরে পড়ে সেগুলো নকল করেছেন ।
মারিস তার আফ্রিকান জাতীয়তাবাদী বন্ধুদের এক সম্প্রদায়ের সমর্থন পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার গণমাধ্যমে ন্যায়বিচার চেয়েছিলেন এবং মাতরলাঁকের বিরুদ্ধে একটা আন্তর্জাতিক মামলা করার চেষ্টা করেছিলেন । কিন্তু সেটা প্রমাণ করা আর্থিকভাবে অসম্ভব ছিল এবং তাই মামলাটি আর চলেনি । যাইহোক, মারিস একজন আফ্রিকান গবেষক ও ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন, যিনি নিজেকে তার সত্ত্ব চুরির মাধ্যমে প্রকাশ করেন, কারণ তিনি আফ্রিকায় জাতীয়তাবাদী আনুগত্যের বাইরে নিবন্ধ প্রকাশ করেছিলেন । মারিস এই কেলেঙ্কারির সময় গভীরভাবে চিন্তা করেছিলেন এবং বলেছিলেন, "আমি বিস্মিত হয় যে মাতরলাঁক যখন এই ধরনের বিষয়গুলো (সংকটপূর্ণ প্রশংসা) পড়েন, এবং তিনি অচেনা বোয়ারকর্মীর সাথে যে অবিচার করছেন সে সম্পর্কে কোন চিন্তাভাবনা করেন কি?"
সাদা পিঁপড়ের জীবন প্রবন্ধে মাতরলাঁকের নিজস্ব কথা ইঙ্গিত করে যে সত্ত্ব চুরির কথা প্রকাশ হওয়া বা অভিযুক্ত হওয়া সম্ভব, যা তাকে চিন্তিত করেছিল :
পাঠ্যসূচি ও তথ্যসূত্রের সাথে নিবন্ধটিকে বদ্ধ করার জন্য প্রতিটি বিবৃতির বিষয় সহজ ছিল । কিছু অধ্যায়ে কোনো বাক্য ছিল না তবে এর জন্য কথা বলা হবে ; এবং মুদ্রাঙ্কিত বিষয়সমূহ করায়ত্ত করা হবে, যেমনটা আমাদের স্কুলের বইগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ঘৃণ্য বইয়ের সাথে করা হত । খন্ডটির শেষে একটি সংক্ষিপ্ত গ্রন্থপঞ্জি রয়েছে যা একই তাত্পর্য সরবরাহ করবে না এতে সন্দেহ করার কিছুই নেই ।
তিনি বলেছেন, "আমি জানতাম যে যদি জার্মানরা আমাকে ধরতে পারতো, তাহলে আমাকে এক গুলিতে হত্যা করত । কারণ, আমাকে তারা আমার নাটকের ("স্টিলমান্ডের মেয়র" ১৯১৮ সালে বেলজিয়ামে জার্মানদের ব্যবসায় প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি করেছিল) জন্য জার্মানির শত্রু হিসেবে গণ্য করতো ।" আমেরিকায় তার আগে থেকেই যাতায়াত থাকায়, সে তখনও তার সুনামের জন্য আমেরিকানদের নৈমিত্তিক, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ফ্রান্সের প্রতি প্রচন্ড রকম মমত্ববোধ সম্পন্ন হিসেবে খুঁজে পান ।
যুদ্ধ শেষে ১৯৪৭ সালের ১০ আগস্ট তিনি নাইসে ফিরে আসেন । তিনি ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত বিশ্ব লেখক সমিতি পেন ইন্টারন্যাশনালের সভাপতি ছিলেন । ১৯৪৮ সালে, ফরাসি একাডেমি তাকে ফরাসি ভাষার জন্য পদক প্রদান করে । ৬ মে, ১৯৪৯ সালে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
সম্মাননা
১৯২০: Order of Leopoldএর গ্রান্ড কর্ডন লাভ ।
১৯৩২: রাজা আলবার্ট এক রাজকীয় ফরমানের মাধ্যমে মরিসকে কোঁত উপাধিতে ভূষিত করেন। কিন্তু মরিস নিবন্ধীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ফরম পূরণে অবহেলা করায় তা আর বাস্তবায়ন হয়নি।
===========∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆========
No comments:
Post a Comment