( ১০ সেপ্টেম্বর ১৮৯০ - ২১ নভেম্বর ১৯৭৪)
একজন বাঙালি শিশুসাহিত্যিক।
আদি নিবাস ছিল বর্তমান বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের মসুয়ায়।
তাঁর পিতা বিখ্যাত শিশুসাহিত্যিক, সঙ্গীতজ্ঞ, চিত্রশিল্পী ও যন্ত্রকুশলী উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। মা বিধুমুখী দেবী। বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক ব্রাহ্ম সমাজের দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের মেয়ে।
তাঁর বড় ভাই (বড়দা) ছিলেন প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক বাংলা সাহিত্যে ননসেন্সের প্রবর্তক সুকুমার রায়।
তাঁর আরও ছোট দুই ভাই ছিলেন সুবিনয় রায় এবং সুবিমল রায় ।
এছাড়াও তাঁর আরও দুই বোন ছিল সুখলতা রাও এবং শান্তিলতা।
পরিবার
বিএ পড়ার সময় ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে তাঁর বিবাহ হয়েছিল। তাঁর স্বামী ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অরুণনাথ চক্রবর্তী।
তাঁর দুই কন্যা এবং দুজনেই কৃতি।
জ্যেষ্ঠা কল্যাণী কারলেকার বিশিষ্ট সমাজসেবী, ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপিকা ও লেখিকা।
কনিষ্ঠা নলিনী দাশ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, অধ্যাপিকা, অধ্যক্ষা ও শিশু সাহিত্যিক।
বিখ্যাত সমাজ সংস্কারক দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন তাঁর মাতামহ।
রচনা কর্ম:
ছোটবেলার দিনগুলি
ছোট ছোট গল্প
সাদিব ম্যাজিক
গাছপালার কথা
রাজবাড়ি (উপন্যাস)
কখনো কখনো দুই কন্যাকে নিজ-উদ্ভাবিত পদ্ধিতিতে পড়াশোনা করিয়েছেন। তারই ফাঁকে কখন পারিবারিক পত্রিকা সন্দেশ-এ লিখতে লিখতে হয়ে উঠেছেন লেখিকা। যেটুকু লিখেছিলেন, তা ছিল সরস, সুন্দর ছোটদের মনের মতন সব লেখা। সন্দেশ পত্রিকাতে তিনি ‘গাছপালার কথা’ নামে প্রবন্ধ লিখতেন যাতে গাছপালা নিয়ে নানারকম তথ্য থাকত। শেষ বয়সে তিনি লিখেছিলেন তাঁর ছোটবেলার স্মৃতিকথা নিয়ে ‘ছেলেবেলার দিনগুলি’। আর লিখেছিলেন একদম ছোট্টদের জন্য গল্পের বই ‘ছোট্ট ছোট্ট গল্প’ । এই বইয়ের গল্পগুলি খুব ছোট্ট ছোট্ট আর খুব ভাল, সবে যারা পড়তে শিখেছে, তাদের জন্য। এই বইটার উপরি পাওনা হল তাঁর ভাইপো সত্যজিত রায়ের আঁকা ছবি। যে পারিবারিক পরিবেশে বেড়ে উঠেছিলেন তাতে বোধহয় এ ছাড়া উপায় ছিল না। শিশু-সাহিত্যিক সুখলতা রাও ছিলেন বড়দিদি। লীলা মজুমদার ছিলেন খুড়তুতো বোন। পুণ্যলতা লিখেছেন অল্প,অথচ তাঁর লেখার দক্ষতা প্রশ্নাতীত। ১৯৭৪ সালের ২১ নভেম্বর তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার আগে পর্যন্ত তিনি ছিলেন কর্মশীল।
মৃত্যু - ২১ নভেম্বর ১৯৭৪ সাল।
============≠$$$$$$$==============
No comments:
Post a Comment