Wednesday, 11 September 2024

শুভ জন্মদিন শ্রদ্ধাঞ্জলি। বিনায়ক নরহরি "বিনোবা ভাবে"। ভারতে অহিংসা ও মানবাধিকারের প্রবক্তা ও সমর্থক। প্রায়শই তিনি আচার্য (সংস্কৃতে অর্থ শিক্ষক) নামে পরিচিত হতেন, ও তিনি বিশেষভাবে ভূদান আন্দোলনের জন্য পরিচিত ছিলেন। তাঁকে ভারতের জাতীয় শিক্ষক বলে মানা হয় এবং তাঁকে গান্ধীজীর অধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারীও বলা হয়। তিনি মারাঠি ভাষাতে শ্রীমদভগবদ্গীতা অনুবাদ করেছেন যার নাম "গীতাঈ" অর্থাৎ মা গীতা। Dt - 11.09.2024. Vol - 995. Wednesday. The blogger post in literary e magazine.



বিনায়ক নরহরি "বিনোবা ভাবে" 
 (১১ই সেপ্টেম্বর, ১৮৯৫ সাল– ১৫ই নভেম্বর, ১৯৮২ সাল) 




ভারতে অহিংসা ও মানবাধিকারের প্রবক্তা ও সমর্থক। প্রায়শই তিনি আচার্য (সংস্কৃতে অর্থ শিক্ষক) নামে পরিচিত হতেন, ও তিনি বিশেষভাবে ভূদান আন্দোলনের জন্য পরিচিত ছিলেন। তাঁকে ভারতের জাতীয় শিক্ষক বলে মানা হয় এবং তাঁকে গান্ধীজীর অধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারীও বলা হয়। তিনি মারাঠি ভাষাতে শ্রীমদ ভগবদ্গীতা অনুবাদ করেছেন যার নাম "গীতাঈ" অর্থাৎ মা গীতা. 
১৮৯৫ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর কোঙ্কণের, অধুনা যা মহারাষ্ট্র নামে পরিচিত, কোলাবার গাগোজি (বর্তমানে গাগোদে বুদরুক) নামে ছোটো একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শম্ভু রাও ও রুক্মিণী দেবীর জ্যেষ্ঠপুত্র ছিলেন বিনায়ক। তাঁদের পাঁচ সন্তানের মধ্যে চারিটি ছেলে, যথাক্রমে বিনায়ক (স্নেহ করে ডাকা হত বিন্যা), বালকৃষ্ণ, শিবাজী ও দত্তাত্রেয় এবং একটি মেয়ে। তার বাবা ছিলেন একজন আধুনিক যুক্তিবাদী প্রশিক্ষিত বয়নশিল্পী। তিনি বরোদায় কাজ করতেন। তিনি তার ঠাকুরদা শম্ভুরাও ভাবের কাছে বড় হয়ে ওঠেন। তার ওপর তার মা রুক্মিণী দেবীর গভীর প্রভাব পড়ে, যিনি কর্ণাটকের একজন ধার্মিক মহিলা ছিলেন। খুব কম বয়সেই তিনি ভগবদ্গীতা পাঠে উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠেছিলেন।

নব প্রতিষ্ঠিত কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে গান্ধীজীর বক্তৃতার কথা একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হলে সেটি তার নজরে আসে। ১৯১৮ সালে, ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিতে যখন তিনি বম্বে যাচ্ছিলেন, তখন বিদ্যালয় এবং মহাবিদ্যালয়ের শংসাপত্রগুলি আগুনে আহুতি দিয়ে দেন। দৈনিক পত্রিকায় মহাত্মা গান্ধীর কয়েকটি লেখা পড়ে, ভাবে এই নির্ণয় নেন। তিনি গান্ধীজীকে একটি চিঠি লেখেন এবং গান্ধীজীও তার উত্তর দেন, এভাবে চিঠি আদান প্রদানের পর গান্ধীজী তাঁকে আহমেদাবাদের কোচরাব আশ্রমে এসে তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করার পরামর্শ দেন। এরপর, ভাবে, ৭ই জুন,১৯১৬ সালে গান্ধীজীর সাথে দেখা করেন এবং পরবর্তীকালে তিনি লেখাপড়া ছেড়ে দেন। ভাবে গান্ধীজীর আশ্রমে অতি উৎসাহের সঙ্গে শিক্ষাদান, অধ্যয়ন, চরকা কাটা, যৌথ জীবনের মানোন্নয়ন ইত্যাদি কাজে যোগদান করেন। এভাবে গান্ধীজীর নানা ধরনের গঠনমূলক কার্যাবলী যেমন, খাদি সংক্রান্ত, গ্রামীণ শিল্প, নতুন শিক্ষা পদ্ধতি (নঈ তালিম), স্বাস্থব্যবস্থা ও স্বাস্থবিধি ইত্যাদির সঙ্গে বিশেষভাবে জড়িয়ে পড়েন।
ভাবে, গান্ধীজীর ইচ্ছানুসারে ৮ই এপ্রিল, ১৯২১ সালে, ওয়ারধা আশ্রমের ভার নেন। ১৯২৩ সালে, তিনি মহারাষ্ট্র ধর্ম নামে একটি মারাঠি মাসিক পত্রিকা বার করেন যাতে তিনি উপনিষদ নির্ভর কিছু রচনা লেখেন। এরপর এই মাসিক পত্রিকাটি সাপ্তাহিক হয় এবং তা প্রায় তিন বছর চলে। ১৯২৫ সালে, মন্দিরে দলিতদের প্রবেশের বিষয়টি দেখভাল করার জন্য ভাবেকে গান্ধীজী কেরালার বাইকমে পাঠান।

ভাবে, ১৯২০ এবং ১৯৩০ এর দশকে বহুবার বন্দী হয়েছেন। ১৯৪০ এর দশকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে অহিংস আন্দোলন পরিচালনা করার জন্য তার পাঁচ বছরের কারাবাস হয়। কারাবাসের জীবন ভাবের কাছে লেখা এবং পড়ার অবসর ছিল। তিনি এই কারাবাসকালীন সময়েই লিখেছিলেন দুটি বই, ইশাভাস্যাবৃত্তি এবং স্থিতপ্রাজ্ঞ দর্শন। তিনি চারটি দক্ষিণ ভারতীয় ভাষা শিখেছিলেন। ভেলোর জেলে থাকাকালীন "লোক নাগরী" লিপি তৈরী করেন। কারাবাস কালে তিনি সহবন্দীদের ধারাবাহিক ভাবে মারাঠিতে ভগবদ্গীতার বাণী শোনাতেন। সারা দেশব্যাপী পর্যায়ক্রমে চলা ব্রিটিশ বিরোধী অসহযোগ আন্দোলনে ভাবে যোগ দেন ও অন্যান্য স্বদেশী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কারাবরণ করেন। এরকম নানা কার্যাবলী সত্বেও তিনি জনমানসে ততটা পরিচিত হননি। ১৯৪০ সালে যখন গান্ধীজী তাঁকে দিয়ে প্রথম শুরু হওয়া অহিংস আন্দোলনের প্রচার শুরু করালেন তখন থেকেই তিনি বিশেষভাবে পরিচিতি লাভ করেন। সবাই তাঁকে তার ডাকনাম বিনোবা নামেই ডাকত। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ভাবের ছোটোভাই বালকৃষ্ণও গান্ধীবাদী ছিলেন। গান্ধীজী তার ও মণিভাই দেশাইয়ের ওপর আস্থা রেখেউরালি কাঞ্চনে একটি প্রাকৃতিক চিকিৎসা আশ্রম তৈরী করেন, এবং সেখানেই বালকৃষ্ণ সারা জীবন কাটান.

স্বাধীনতা সংগ্রাম

বিনোবা কুটীর সবরমতী আশ্রম
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তিনি গান্ধীজীর সহযোগী ছিলেন। তিনি কিছু দিন সবরমতী আশ্রমে কাটিয়েছেন যে কুটীরে, তার নামেই সেটির নাম "বিনোবা কুটীর"। সেখানে তিনি তার সহ আশ্রমিকদের মারাঠিতে ভগবদ গীতা প্রসঙ্গ শোনাতেন।

পরবর্তীকালে এই আলোচনা ও ব্যাখ্যাগুলি "টকস্ অন দ্য গীতা" নামে একটি বই আকারে প্রকাশিত হয় এবং দেশ ও দেশের বাইরে নানা ভাষায় তার অনুবাদ হয়। ভাবে অনুভব করেছিলেন, ঈশ্বরের নির্দেশই তার এই ব্যাখ্যা বা আলোচনাকে প্রণোদিত করে এবং বিশ্বাস করতেন তার অন্যান্য কাজও যদি মানুষ ভুলে যায় কিন্তু এর প্রভাব স্থায়ী হবে।

১৯৪০ সালে ভাবেকে গান্ধীজী ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে একক সত্যাগ্রহী (একক ব্যক্তি যিনি সম্মিলিত পদক্ষেপের পরিবর্তে) হিসাবে মনোনীত করেন।.] এটা শোনা যায় যে, ভাবের কৌমার্যকে, যা তিনি তার কৈশোরে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, গান্ধীজী ঈর্ষা করতেন এবং যা গান্ধীজীর ব্রহ্মচর্য নীতির সাথে খাপ খায়। ভাবে ভারত ছাড়ো আন্দোলনেও যোগ দেন।
চর্চা মূলধারায় ছড়িয়ে দিতে পারে না। ইতিমধ্যে, ভারত তার ক্রমবর্ধমান বিরাট মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে এই ধারণা প্রচারে সক্ষম হয়েছে। যদিও কিছু মানুষ গান্ধীজীকে নায়ক হিসেবে মানেন, তবুও কিছু মানুষ তার দৃষ্টিভঙ্গীর বিপরীতে মার্কিনী ভোগবাদকে সমর্থন করেন ও কৃষিকাজে প্রযুক্তির প্রয়োগ দ্বারা বিকল্পের সমর্থন করেন। এখনও বি.ভি.এম. এর অস্তিত্ব থাকা ও অন্য ধরনের বিকল্প চাষাবাদ ও সামাজিক ব্যবহার, যা তার সদস্যরা ১৯৬০ এর দশক থেকে অনুসরণ করে,একটা ধারণা প্রতিষ্ঠা করে


ধার্মিক ও সামাজিক কর্ম

গান্ধীজী ও ভাবে
ভাবের ধর্ম সম্বন্ধীয় দৃষ্টিভঙ্গি খুব উদার ছিল এবং অন্যান্য ধর্মের সত্যগুলির সঙ্গে সংশ্লেষিত ছিল। বিষয়টি প্রত্যক্ষ করা যায় তার রচিত একটি মন্ত্র "ওঁম তৎ সৎ" এ, যেখানে সব ধর্মের চিহ্ন ব্যবহৃত হয়েছে। তার তোলা স্লোগান ছিল "জয় জগত" অর্থাৎ "সারা বিশ্বের জয়"। তিনি যে বিশ্বের সামগ্রিক জয় চাইতেন, সেই দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলিত হয়েছে এতে।

ভাবে, ভারতের গ্রামের সাধারণ মানুষদের জীবনযাত্রা আন্তরিকভাবে লক্ষ্য করেছেন এবং গভীর অধ্যাত্মিকতার ভিত্তিতে তিনি যেমন অসুবিধাগুলি অনুভব করেছেন তেমন তার সুরাহা করবার চেষ্টা করেছেন। এটিই তার সর্বোদয় আন্দোলনের মূল ভিত্তি। এর আর একটি উদাহরণ হল ভূদান (জমি দান) আন্দোলন, যা শুরু হয়েছিল ১৯৫১ সালের ১৮ই এপ্রিল পোচামপল্লীতে, ৮০ টি হরিজন পরিবারের সঙ্গে কথা বলে। তিনি সারা ভারত পায়ে হেঁটে সম্পন্ন ভূস্বামীদের কাছে এই আবেদন করছিলেন, যাতে তারা তাঁকে তাদের পরিবারের এক সন্তান মনে করে জমির এক ষষ্ঠাংশ দেন, যা তিনি ভূমিহীন গরীব মানুষদের দান করেন। অহিংসা এবং সমবেদনা তার দর্শনের বিশেষত্ব ছিল। তিনি গোহত্যা বিরোধী প্রচারও করেছিলেন।

ভাবে বলেছিলেন,"আমি ১৩ বছর সারা ভারত পায়ে হেঁটে ঘুরেছি। আমার জীবনের বিরামহীন স্থায়ী কাজের প্রেক্ষাপটে আমি ৬টি আশ্রম গড়ে তুলেছি.

কুরআন ইত্যাদির। দ্যানেশ্বরের লেখা কবিতা ও অন্যান্য মারাঠি সন্তদের লেখার বিষয়ে তার মতামত, তার অসীম জ্ঞানের পরিধির সাক্ষ্য দেয়। ভাবে ভগবদ্গীতাকে মারাঠিতে অনুবাদ করেছেন। তিনি গীতার বাণী ও শিক্ষায় অত্যন্ত প্রভাবিত ছিলেন এবং তা নিজের জীবনে আত্তিকরণ করতে চেয়েছেন। তিনি প্রায়ই বলতেন, "গীতা আমার জীবনের শ্বাস প্রশ্বাস"।

 কিছু বই:

দ্য এসেন্স অফ কুরআন
দ্য এসেন্স অফ ক্রিশ্চান টিচিংস
থটস্ অফ এডুকেশান
স্বরাজ্য শাস্ত্র
ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে বিনোবা ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়, তারই নামাঙ্কিত।
গ্রন্থপঞ্জী
গীতাঈ 
গীতা প্রচানে (সমস্ত ভারতীয় ভাষায়)
বিচার পথী (মারাঠি, হিন্দী, গুজরাটী ও ইংরাজীতে)
স্থিতপ্রাজ্ঞ দর্শন (মারাঠি, হিন্দী,গুজরাটি ও ইংরাজীতেও অনুদিত)
মধুকর (স্বাধীনতার আগে লিখিত তার সংগ্রহিত ও সংকলিত প্রবন্ধ সংকলন)
ক্রান্ত দর্শন
তিসরী শক্তি বা দ্য থার্ড পাওয়ার (জাতির রাজনৈতিক জীবন সম্বন্ধে তার দৃষ্টিভঙ্গি)
স্বরাজ্য শাস্ত্র (তার রাজনৈতিক গ্রন্থ)
ভূদান গঙ্গা – ৯/১০ খন্ড, (মারাঠি ও হিন্দীতে) ১৮ই এপ্রিল, ১৯৫১ থেকে তার বক্তৃতা সমূহের সংগ্রহ ও সংকলন)
নির্বাচিত কাজ (হিন্দীতে ২১ খন্ড, সম্পাদনা করেছেন গৌতন বাজাজ)
প্রেম দ্বারা চালিত (তার নিজের কথায় নিজের জীবন).

বিনোবা ভাবে ও ভূদান আন্দোলন
১৯৫১ সালের ১৮ই এপ্রিল, তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার পোচামপল্লীতে ভাবে ভূদান আন্দোলন শুরু করেন।  তিনি ভূস্বামী ভারতীয়দের কাছ থেকে জমি দান হিসেবে গ্রহণ করেন এবং তা চাষাবাদের জন্য ভূমিহীন দরিদ্রদের দান করেন। ১৯৫৪ সালের পর, "গ্রাম দান" কার্যক্রমে পুরো গ্রামকেই দান হিসেবে চেয়েছিলেন। তিনি প্রায় ১০০০ এর ওপর গ্রাম দান হিসেবে পেয়েছিলেন। এর মধ্যে ১৭৫ টি গ্রাম শুধু তামিলনাড়ুতেই পেয়েছিলেন। প্রখ্যাত গান্ধীবাদী ও নিরীশ্বরবাদী লাভানাম ভাবের অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার কিছু অংশে এই আন্দোলনের জন্য ঘোরার সময় তার অনুবাদকের কাজ করেছিলেন।

জীবনের শেষভাগ ও মৃত্যু

পাউনার আশ্রমের ভবন
ভাবে তার জীবনের শেষদিক মহারাষ্টের ওয়ার্ধা জেলার পাউনার এ তার ব্রাহ্ম বিদ্যা মন্দির আশ্রমে কাটিয়েছেন। তিনি জীবনের শেষ কয়েকটি দিন জৈন ধর্ম বর্ণিত জৈন সন্তদের মতো "সমাধী মরণ" / "সান্থারা" গ্রহণ করে খাদ্য ও ওষুধ গ্রহণ পরিহার করে ১৯৮২ সালের ১৫ই নভেম্বর ইহলোক ত্যাগ করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] সেই সময়ের ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী, যিনি সেইসময় সোভিয়েত নেতা ব্রেজনেভের শেষকৃত্যের কারণে মস্কোতে ছিলেন, ভাবের শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকার জন্য সফর আংশিক বাতিল করে দেশে ফিরে আসেন।.

১৯৫৮ সালে গোষ্ঠী নেতৃত্বের জন্য তিনিই প্রথম আন্তর্জাতিক রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার পান। ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি তাকে মরণোত্তর ভারতরত্ন উপাধিতে ভূষিত করা হয়।.






============∆∆∆∆∆========≠======











No comments:

শুভ জন্মদিন শ্রদ্ধাঞ্জলি। পশুপতি ভট্টাচার্য । খ্যাতনামা চিকিৎসক ও সাহিত্যিক। Dt -15.11.2024. Vol -1053. Friday. The blogger post in literary e magazine

পশুপতি ভট্টাচার্য  ১৫ নভেম্বর ১৮৯১ -  ২৭ জানুয়ারি ১৯৭৮   একজন খ্যাতনামা চিকিৎসক ও সাহিত্যিক। জন্ম  বিহার রাজ্যে পিতার কর্মস্থল আরায়। তাদ...