(৪ নভেম্বর ১৯২৯ - ২১ এপ্রিল ২০১৩)
একজন ভারতীয় লেখক এবং গণিত বিশারদ।তাকে ‘মানব কম্পিউটার’ নামে ডাকা হয়। তাঁর এই অসাধারণ গণন-ক্ষমতার জন্য তাকে ১৯৮২ সালে ‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’ এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি একজন লেখক হিসেবে বেশ কিছু বই লিখেছেন যার মধ্যে আছে উপন্যাস, গণিত, ধাঁধা ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের উপর বই।
দেবী ব্যাঙ্গালুরুতে একটি কন্নড় ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার জন্মতারিখ ১৯২৯ সালের ৪ নভেম্বর। বাল্যকালে শকুন্তলার অসাধারণ স্মরণশক্তি ও সংখ্যা-গণনার দক্ষতাকে তার বাবা বেশি গুরুত্ব দেননি। যদিও মাত্র তিন বছর বয়সে তাকে তাসের বিভিন্ন খেলা রপ্ত করিয়ে ফেলেছিলেন। শকুন্তলার বাবা ছিলেন একটি সার্কাসের দলে। তিনি ওই দল ছেড়ে মেয়েকে নিয়ে বিভিন্ন ‘রোড শো’ শুরু করেন। তিনি প্রথাগত কোন শিক্ষায় শিক্ষিত হননি। মাত্র ছয় বছর বয়সে শকুন্তলা মাইসোর বিশ্ববিদ্যালয়ে অসাধারণ এই দক্ষতার প্রদর্শনী করেন। ১৯৪৪ সালে শকুন্তলা তার পিতার সাথে লন্ডন চলে আসেন। এরপর ১৯৬০ এর মাঝামাঝি সময়ে তিনি ভারতে চলে আসেন।
মানব ক্যালকুলেটর বা মানব কম্পিউটার
শকুন্তলা দেবীর এই অসাধারণ ক্ষমতা প্রকাশ পেলে সমস্ত বিশ্ব ব্যাপী তার প্রদর্শনী শুরু হয়। ১৯৫০ সালে ইউরোপে,১৯৭৬ সালে নিউইয়র্কে তার প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৮৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক আর্থার জেসন তার উপর গবেষণা করেন। তিনি শকুন্তলা দেবীর মানসিক দক্ষতার উপর বেশ কিছু পরীক্ষা করেন। জেসন ১৯৯০ সালে তার একাডেমীক জার্নালে লেখেন, ৬১,৬২৯,৮৭৫ এর ৩ বর্গমূল এবং ১৭০,৮৫৯,৩৭৫ এর ৭ বর্গমূল করতে দিলে শকুন্তলা দেবী জেসনের নোটবুকে লেখার আগেই এগুলোর উত্তর ৩৯৫ ও ১৫ বলে দেন।
২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল শকুন্তলা দেবী ব্যাঙ্গালুরুতে শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে ৮৩ বছর বয়সে মারা যান। তিনি বেশ কিছু দিন ধরেই হার্ট ও কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০১৩ সালের ৪ নভেম্বরে তার ৮৪ তম জন্ম দিবসে গুগল তাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিশেষ ডুডল তৈরি করে। ২০২০ সালে আত্মজীবনীমূলক চলচ্চিত্র শকুন্তলা দেবী (চলচ্চিত্র) মুক্তি পায়।
=================!!!!!!!!¡!¡!!!!!¡!!!!!!!======
No comments:
Post a Comment