অতুল বসু মৃত্যু ১০ জুলাই,১৯৭৭ সাল। ১৮৯৮ সালে বাংলাদেশের ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তার ছেলেবেলা ময়মনসিংহ শহরেই কেটেছে। ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশন-এর ময়মনসিংহ শাখায় তার প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন হয়। এরপর পড়াশোনা করেন ভারতের পশ্চিম বঙ্গের রাজধানী কলকাতার জুবিলি আর্ট একাডেমিতে। এই আর্ট একাডেমির পাঠ্যসূচি বাংলার অন্য আট দশটি সাধারণ বিদ্যাপীঠের মত ছিল না। সেখানে তার সহপাঠী ছিলেন হেমেন্দ্রনাথ মজুমদার এবং ভবানীচরণ লাহা। এখানকার ছাত্র থাকাকালীন সময়ে তিনি লন্ডনে অধ্যয়ন এবং ইউরোপ জুড়ে বিশেষ ভ্রমণের জন্য বৃত্তি পান। তার চিত্রকলার বিষয়বস্তু বিনির্মাণে এই ভ্রমণ বিশেষ প্রভাব রেখেছিল। চিত্রকলা বিষয়ক তিনটি প্রতিষ্ঠান নির্মাণে অতুল বসুর ভূমিকা ছিল। ১৯১৯ সালে হেমেন্দ্রনাথ মজুমদার ইন্ডিয়ান একাডেমি অফ আর্ট প্রতিষ্ঠা করেন। এক্ষেত্রে অতুল বসু তাকে সহায়তা করেছিলেন। এই প্রতিষ্ঠান বাস্তববাদের উপর গুরুত্বারোপ করত এবং বাংলার স্কুলগুলোতে এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির চেষ্টা করত। ওয়াস টেকনিকে অঙ্কিত লিরিক্যাল থিমের সাথে এর সুস্পষ্ট পার্থক্য ছিল। এই একাডেমি মূলত প্রতিকৃতি, প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং পল্লীর চিত্র অঙ্কনের ধারাকে অনুসরণ করেছিল। ১৯২১ সালে ভবানীচরণ লাহার সহযোগিতায় অতুল বসু সোসাইটি অফ ফাইন আর্টস প্রতিষ্ঠা করেন। এই সোসাইটি প্রচলিত প্রাচ্য কলাচিত্রের তৎপরতা ও প্রদর্শনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছিল। এছাড়া ১৯৩৩ সালে প্রদোৎকুমার ঠাকুর কর্তৃক একাডেমি অফ ফাইন আর্টস প্রতিষ্ঠার সময়ও অতুল বসু সক্রিয় সহযোগিতা করেন। তিনি কিছুকাল আবার কলকাতা স্কুল অফ আর্টস-এর অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। চিত্রকর্ম মূলত তেল রং ব্যবহার করে অতুল বসু তার শৈল্পিক অভিব্যক্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটাতেন। তার চিত্রকর্মে কোমল উপস্থাপনা বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল। কেবল সে চিত্রশিল্পীর পক্ষেই এটি সম্ভব যে তার শৈল্পিক পেশায় সূক্ষ্ণ কারিগরি তারতম্য সম্বন্ধে জানে। এছাড়া তার ছবিগুলোতে তুলির ব্যবহার অতি ব্যপৃত ছিল। তিনি উইন্ডসোর দুর্গ এবং বাকিংহাম প্রাসাদে সংরক্ষিত মূল বিষয়গুলো থেকে প্রতিকৃতি অঙ্কন করে বিখ্যাত হন। তার আত্মপ্রতিকৃতির শৈল্পিক মান ছিল অতি উঁচু। তার অসংখ্য শিল্পকীর্তির মধ্যে স্কেচ-এ স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের আবক্ষ প্রতিমূর্তি ('রয়েল বেঙ্গল টাইগার') এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাবিধ্বস্ত নোয়াখালী অভিযানের সময়ে মহাত্মা গান্ধীর চিন্তামগ্ন মূর্তিটি উল্লেখযোগ্য। ভারতের স্বাধীনতার পর সংসদে ও কলকাতার ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধে জাতীয় নেতাদের প্রতিকৃতি তার শিল্পপ্রতিভার উজ্জ্বল স্বাক্ষর। বিখ্যাত চিত্রকর্মসমূহ কল্পনাপ্রবণ ও স্মৃতি জাগরূক স্ফিংস (তেল প্লাইউড দ্বারা অঙ্কিত) আত্মপ্রতিকৃতি (১৯৪৫) রচিত গ্রন্থ ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত "Verified Perspective" সম্মাননা অতুল বসু তার প্রথম শিল্প নৈপুণ্যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে 'গুরুপ্রসন্ন বৃত্তি' পান। লণ্ডনের রয়াল অ্যাকাডেমির ছাত্রাবস্থায় বিখ্যাত 'আইভরি' পুরস্কার লাভ করেন। ======={{{{{{{{{{{{{{{{}}}}}}}}}}}}}}}}}}}==== |
Sunday, 10 July 2022
শুভ প্রয়াণ দিবস। চিত্রশিল্পী অতুল বসু। Vol -792. Dt -10.09.2022. ২৫ আষাঢ় ১৪২৯. রবিবার। The bolgger in litareture e-magazine
Saturday, 9 July 2022
শুভ প্রয়াণ দিবস। হিন্দু পেট্রিয়ট পত্রিকার সম্পাদক রায়বাহাদুর রাজকুমার সর্বাধিকারী। Vol -791. Dt -09.07.2022. ২৪ আষাঢ়। উল্টো রথযাত্রা। The blogger in literature e-magazine
Thursday, 7 July 2022
শুভ প্রয়াণ দিবস। বিশিষ্ট কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়। Vol -790. Dt -08 July,2022. ২৩ আষাঢ়,১৪২৯. শুক্রবার। The blogger in literature e-magazine
Wednesday, 6 July 2022
শুভ প্রয়াণ দিবস। শার্লক হোমস এর স্রষ্টা আর্থার কোনান ডয়েল। Vol -789. Dt - 07.07.2022. ২২ শা আষাঢ় ১৪২৯.
Tuesday, 5 July 2022
শুভ প্রয়াণ দিবস। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শঙ্করী প্রসাদ বসু। Vol - 788. Dt - 06.07.2022. ২১ আষাঢ়, ১৪২৯. The blogger in literature e-magazine
শুভ প্রয়াণ দিবস। ব্যঙ্গরসিক সাহিত্যস্রষ্টা বনবিহারী মুখোপাধ্যায়।Vol -787.. Dt -5.7.2022. ২০ শা আষাঢ় , ১৪২৯. The blogger in literature e-magazine
বনবিহারী মুখোপাধ্যায়.
দরদি চিকিৎসক বনবিহারী ৮০ বৎসর বয়সে ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দের ৫ই জুলাই প্রয়াত হন।
বেপরোয়া' নামে তার একটা দল ছিল। দলের অন্যতম সভ্য বিষ্ণুচরণ ভট্টাচার্যের সম্পাদনায় ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে "বেপরোয়া" নামে যে পত্রিকা প্রকাশিত হয় তার বেশির ভাগ লেখাই তিনি লিখতেন। তার গল্প উপন্যাস নাটকের যে ভাবসংঘাত, তা বেশিরভাগই শ্লেষ ও ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের মধ্যে ফুটে উঠলেও তাতে ব্যক্তিগত আক্রমণ ছিল না। সমকালীন সমাজের মধ্য যে অন্ধতার তথা রক্ষণশীলতা ছিল কেবল তার বিরুদ্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খ সমালোচনা থাকতো.
ডাক্তারি পেশায় আসার আগে বনবিহারীর কাছে সংস্কৃত অত্যন্ত প্রিয় বিষয় ছিল এবং সংস্কৃত কবিতা রচনায় পারদর্শী ছিলেন। সংস্কৃত কলেজ থেকে "কাব্যতীর্থ" উপাধি পান। সংস্কৃত ভাষার পাশাপাশি দর্শনশাস্ত্রে সুপরিচিত তিনি ফরাসি সাহিত্যেও অধিকার অর্জন করেছিলেন। এছাড়া নক্ষত্রবিজ্ঞান, পক্ষীতত্ত্ব বিষয়ে তার জ্ঞান ছিল। 'বঙ্গবাণী', 'শনিবারের চিঠি' প্রভৃতিতে নিয়মিত লিখতেন। ' ' বনবিহারী যেমন ভাল লিখতে পারতেন, তেমন আঁকতেও পারতেন। নিজের রচনা তিনি হাসির ছবি দিয়ে নিজেই সাজাতেন। সেসময় বাংলাদেশে শক্তিশালী কার্টুনিস্ট হিসাবে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে নিজেকে পরিচিত করাতে পেরেছিলেন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দেবী চৌধুরীরাণী অবলম্বনে 'ঢেলে সাজা' নাম দিয়ে কার্টুনের সহযোগিতায় তার প্যারডি তৎকালে বিশেষ উপভোগ্য হয়েছিল। তার ব্যঙ্গ কবিতা ও কার্টুন 'ভারতবর্ষ' পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হত। তার রচিত উপন্যাস ও গ্রন্থ গুলি হল-
- উপন্যাস-
- 'দশচক্র'
- 'যোগভ্রষ্ট'
- অন্য গ্রন্থ-
- 'সিরাজের পেয়ালা'
- 'নরকের কীট'
বনবিহারী তার বিধবা ভগিনী 'শৈল'র পুনর্বিবাহ দিয়েছিলেন সামাজিক বাধানিষেধ উপেক্ষা করে। ওই বিবাহে তিনিই পৌরহিত্য করেন এবং সেখানে বিচারপতি আশুতোষ মুখোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। সৈয়দ মুজতবা আলী বনবিহারীকে বলতেন - "ইণ্ডিয়ান ভলতেয়ার"। সরকারি চাকরি থেকে অবসরের পর তিনি ভাগলপুরে বসবাস করতে থাকেন এবং পরামর্শ চিকিৎসকরূপে ডাক্তারি করতেন।
জন্ম ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার গরলগাছা গ্রামে। পিতা বিপিন বিহারী মুখোপাধ্যায়। মায়ের নাম অপর্ণা। পরে অবশ্য মুখোপাধ্যায় পরিবার কলকাতার বেহালায় বসবাস করতে থাকেন। প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী বিনোদ বিহারী মুখোপাধ্যায় ছিল তার সর্বকনিষ্ঠ ভ্রাতা। মুখোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যরা ছিলেন বিদ্যোন্মুখ, প্রগতিশীল ও সংস্কৃতিবান। মেডিক্যাল কলেজে অধ্যাপনা কালে বাংলাসাহিত্যের প্রখ্যাত সাহিত্যিক বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় তথা বনফুল ছিলেন তার ছাত্র। চিকিৎসকের পেশায় বনবিহারীর অসামান্য জনপ্রিয়তা ছিল। অকৃতদার তিনি সাধারণ মানুষের সেবায় সতত নিয়োজিত ছিলেন। অসহায়রা তার যথেষ্ট সহায়তা পেতেন। নিজে সাহিত্য অনুরাগী হিসাবে প্রেরণাও দিতেন ছাত্রদের। বনফুল পরবর্তীকালে মাস্টারমশাইয়ের জীবনী ভিত্তি করে "অগ্নীশ্বর" উপন্যাস রচনা করেছেন। যেটি তারই ভাই অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সুর-সংযোজনায় উত্তমকুমার অভিনীত ছায়াছবিটি যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছিল সেসময় ।
Monday, 4 July 2022
মহা প্রয়াণ দিবস। স্বামী বিবেকানন্দ। Vol -786. Dt- 4th July,2022. ১৯ শা আষাঢ়,১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
শুভ জন্মদিন শ্রদ্ধাঞ্জলি। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় । একজন বাঙালি ভাষাতাত্ত্বিক পণ্ডিত, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ। Dt -26.11.2024. Vol -1059. Tuesday. The blogger post in literary e magazine.
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (২৬ নভেম্বর ১৮৯০ — ২৯ মে ১৯৭৭) একজন বাঙালি ভাষাতাত্ত্বিক পণ্ডিত, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ. মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্...
-
যোগীন্দ্রনাথ সরকার (২৮ অক্টোবর, ১৮৬৬ - ২৬ জুন, ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দ) বা (১২ কার্তিক, ১২৭৩ - ১২ আষাঢ়, ১৩৪৪ বঙ্গাব্দ) একজন খ্যাতনামা ভারতীয় ...
-
সুখলতা রাও (২৩ অক্টোবর,১৮৮৬- ৯ জুলাই,১৯৬৯) একজন বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজসেবী যিনি ১৮৮৬ সালের ২৩ শে অক্টোবর, কলকাতায় বিখ্যাত শিশুসাহিত্যি...
-
রাজা অজিত সিং বাহাদুর (১৬ অক্টোবর ১৮৬১ - ১৮ জানুয়ারী ১৯০১) বিবেকানন্দ লিখেছেন— "আমি আপনার কাছে আরও একটি অনুরোধ করব— যদি সম্ভব হয় আমা...