¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥
রাখি বন্ধন উৎসব
( রাখি পূর্ণিমা)
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
Doinik Sabder Methopath
Vol - 88. Dt - 03/08/2020
১৮ ই শ্রাবণ, ১৪২৭. সোমবার
=================================
রবীন্দ্রনাথ ও রাখিবন্ধন অনুষ্ঠান
ড. প্রবালকান্তি হাজরা।
(বিশিষ্ট সাহিত্যিক ,শিক্ষাবিদ্ ও রবীন্দ্র গবেষক)
প্রাচীন ভারতবর্ষের অন্যতম উৎসব ছিল রাখি বন্ধন। একে রক্ষা বন্ধন ও বলা হয়। এটি প্রতীকি ব্যাপার। শ্রাবণ মাসের শুক্লা দশমী তিথিতে পালিত হয় ঝুলন উৎসব। কৃষ্ণ ও তাঁর সখী রাধিকার ঝুলন উৎসব হয় দশমী থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত। শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথি কে বলে রাখি পূর্ণিমা । পৌরাণিক মতে একদিন রাধা কৃষ্ণের হাতে রাখি বেঁধে দিয়ে তাদের ভালোবাসার বন্ধনকে অটুট রেখেছিলেন। এসব পৌরাণিক যুগের কথা।
পৌরাণিক কাল পেরিয়ে, মধ্য যুগে এসে জানা যায়- চিতোরের রানী কর্ণাবতী তার রাজ্যের শান্তি শৃঙ্খলা অটুট রাখার জন্য সম্রাট হুমায়ুন বাদশা কে রাখি পাঠিয়েছিলেন . বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ায় রাখি একটি বিশেষ ভূমিকা নিয়ে থাকে। কিন্তু রাখি বন্ধন কে কেন্দ্র করে আজকের বাঙ্গালীর যে উন্মাদনা দেখি। সেটির স্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ। এক ঐতিহাসিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ শতকের গোড়ায় এ রাখি বন্ধন সমগ্র বাঙালি জাতির কাছে সম্প্রীতি রক্ষার বার্তাবাহী একটি আনুষ্ঠানিক উৎসব হয়ে ওঠে।
পরাধীন ভারতবর্ষে বিশ শতকের শুরু থেকেই বাঙালি হিন্দু মুসলমান দুটি সম্প্রদায় দেশকে স্বাধীন করার জন্য ইংরেজ বিরোধী হয়ে ওঠে। কূটকৌশলী ইংরেজ তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন ঘটাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এজন্য অখন্ড বঙ্গ প্রদেশের মুসলমান প্রধান অঞ্চল নিয়ে আলাদা একটি প্রদেশ বিভক্ত করতে সচেষ্ট হয়। ১৯০৩ সালের ৩ রা ডিসেম্বর ক্যালকাটা গ্যাজেটে এজন্য সরকারি প্রস্তাব প্রকাশিত হয় । প্রস্তাব প্রকাশ মাত্রেই হিন্দু মুসলমান উভয় সম্প্রদায় বুঝতে পারে অখন্ড বঙ্গ কে ভঙ্গ করার মধ্য দিয়ে ইংরেজ সরকার দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ ঘটাতে চাইছে। শুরু হয় আন্দোলন। বীর পূজার মাধ্যমে শিবাজী উৎসব প্রতাপাদিত্য উৎসব অনুষ্ঠিত হলো। এরা বীর এদের বীরত্বের প্রভাব বাঙালি জীবনে যাতে সঞ্চারিত হয় তাই এই উৎসব পালন । প্রায় এক বছর নানাভাবেই বাঙালি ভেবেছে কিভাবে প্রতিবাদ করা যাবে।
রবীন্দ্রনাথের বয়স তখন প্রায় ৪৪ বৎসর। কবি খ্যাতি তার প্রবল। সে সময় শান্তিনিকেতনে একটি স্কুল গড়ে, সেটি নিয়ে ব্যস্ত আছেন। বিদেশি শাসনের তিনি অবসান চান ।দেশের হিত নিয়ে নানা লেখা লিখেছেন অথচ বঙ্গভঙ্গ করার প্রস্তাবের সময় থেকে সমগ্র বাঙালি জাতির সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ এর বিরোধিতা করেন ।তিনি বারবার গঠনমূলক পথে দেশের কাজ করার উৎসাহী। তাই ভাবলেন এই বঙ্গভঙ্গ কে কেন্দ্র করে বাঙালির যে দেশাত্মবোধের জাগরণ ঘটেছে সেটিকে গঠনমূলক পথে চালিত করতে হবে ।বিলেতি বস্ত্র পোড়ানো বয়কট এসব দেশ গঠনের নঙর্থক দিক। এজন্য তিনি দেশের গঠনমূলক কাজ কিভাবে হবে তা জানতে এক দীর্ঘ প্রবন্ধ লিখলেন "স্বদেশী সমাজ" নামে. তা পাঠ করলেন বিভিন্ন সভায়। ছাপিয়ে বিলি করলেন। শুধু তাই নয় গঠনমূলক কাজ কিভাবে হাতেনাতে করতে হবে সেজন্য দুটি সংবিধান বানালেন। একটি শহরের জন্য, অন্যটি গ্রামের জন্য। তাঁর কথা ইংরেজ বিদেশি শাসক, তারা আমাদের দেশের কল্যাণ চায় না। তাই এই সময়ে দেশপ্রেমের যে জোয়ার এসেছে তাকে দেশের গঠনমূলক পথে দেশ গড়ার কাজে বইয়ে দিতে হবে। শুধু বক্তৃতা নয় দেশপ্রেমে বাঙালিকে মাতিয়ে তোলার জন্য এক মাসে লিখলেন ২৩টি দেশপ্রেম মূলক গান। যেমন ----
আমার সোনার বাংলা .........
এবার তোর মরা গাঙে বান এসেছে......
আমি ভয় করব না........
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে .....
ও আমার দেশের মাটি .....
আমরা মিলেছি আজ মায়ের ডাকে ...
আমাদের যাত্রা হল শুরু .....
সংকোচের ও বিহবলতা নিজেরে অপমান.....
আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে .....
ওই ভুবন মনোমোহিনী মা....
এখন আর দেরি নয় ..........প্রভৃতি
গান লিখে গোটা দেশকে মাতিয়ে তুললেন । বন্দেমাতরম্ ধ্বনি তো ছিল ই। ঘোষণা হল ১৯০৫ সালে ১৬ ই অক্টোবর বঙ্গভঙ্গ কার্যকর করবে ইংলিশ সরকার। ৩রা সেপ্টেম্বর ছাত্রসমাজ গর্জে উঠলো। ৩ দিনের জাতীয় শোকের ব্রত নিল, সবাই জুতো চাদর ত্যাগ করবে। ১৬ ই অক্টোবর জাতীয় শোক দিবস ঘোষিত হল, ঐদিন ঘরে ঘরে হবে অরন্ধন। রবীন্দ্রনাথ ডাক দিলেন বাঙালি হিন্দু মাত্রেই মুসলমানদের হাতে রাখি পরিয়ে ভাতৃত্বের বন্ধন অটুট রাখবেন- ১৬ ই অক্টোবর (৩০ শে আশ্বিন )
বহু গণ্যমান্য লোক নিয়ে রবীন্দ্রনাথ গঙ্গার ঘাটে গিয়ে স্নান করলেন. তারপর হলুদ জলে চোবানো রাখি সামনে যাকে পেলেন তার হাতে বেঁধে দিলেন . মেয়েরা খই ছড়াচ্ছে, শাঁখ বাজাচ্ছে সমবেত স্বরে সকলে গাইতে গাইতে চললেন -
"" বাংলার মাটি বাংলার জল বাংলার বায়ু বাংলার ফল
পূর্ণ হউক পূর্ণ হউক পূর্ণ হউক হে ভগবান
বাংলার ঘর বাংলার হাট বাংলার বন বাংলার মাঠ পূর্ণ হউক পূর্ণ হউক পূর্ণ হউক হে ভগবান বাঙালির পণ বাঙালির আশা বাঙালির কাজ বাঙালির ভাষা
সত্য হউক সত্য হউক সত্য হউক হে ভগবান বাঙালির প্রাণ বাঙালির মন বাঙালির ঘরে যত ভাই বোন
এক হউক এক হউক এক হউক হে ভগবান । রবীন্দ্রনাথ গঙ্গার ঘাট থেকে চিৎপুর রোড চলে গেলেন, নাখোদা মসজিদ সেখানে মুসলমানদের হাতে রাখি পরিয়ে দিয়ে নতুনভাবে রাখি বন্ধন উৎসবের সূচনা করলেন
সেই ১৯০৫ সাল থেকে ২০২০ সাল শত বছরেরও বেশি কাল ধরে চলছে রাখি বন্ধন। তবে এই উৎসব পৌরাণিক সূত্র ধরে প্রতিবছর শ্রাবণী পূর্ণিমা অনুষ্ঠিত হয়। এই দিনের তিথিকে বলে রাখি । তাই সেই পূর্ণিমা -রাখি পূর্ণিমা . কিন্তু উৎসব রাখি বন্ধনের। রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে বহু অসাম্প্রদায়িক উৎসবের সূচনা করেছেন ।তেমনি একটি অসম্প্রদায়িক ভাতৃত্বের বন্ধন সূচক অনুষ্ঠান রাখি বন্ধন উৎসব। বছর বছর শ্রাবণী পূর্ণিমা এলেই বাঙালি মেতে ওঠে রাখি বন্ধনে, যা হয়ে ওঠে সামাজিক-সাংস্কৃতিক মিলনের বন্ধন।
££££££££££££££££££££££££££££££££
রাখিবন্ধনের সেকাল ও একাল
সংস্কৃতে- রক্ সা > রখ্ খা>রাখি /রাখী । রক্ষার্থে যা, তাই রাখি। রক্ষা সম্পর্কিত যে মাঙ্গলিক উপাচারসহ আনুষ্ঠানিক বন্ধন , তাই রাখি বন্ধন।
শ্রাবণী পূর্ণিমা- রাখি পূর্ণিমা। রাখি বন্ধন উৎসব এই তিথি মেনে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এই অনুষ্ঠানের সূচনা দশমী তিথি ঝুলনযাত্রা। রাধা কৃষ্ণের ঝুলন যাত্রা তে কৃষ্ণ পরম ভোক্তা আর শ্রীমতি রাধিকা ও গোপীরা হলেন ভগবানকে আনন্দদানের রসময় শরিক। ভগবানকে আনন্দদানের মধ্য দিয়ে নিজেদের আনন্দিত করেন। ভগবানের সঙ্গে একটি শাশ্বত সম্বন্ধ গড়ে তোলেন। সেই সূচনা তিথি থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত উৎসব চলতে থাকে । পূর্ণিমার দিনে এসে পরিবারের, আত্মীয়ের- অনাত্মীয়ের বা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের দিদি বা বোন দাদা - ভাইদের হাতে রাখি বেঁধে দেন, সারা বছর রক্ষা করার উদ্দেশ্য নিয়ে। দাদা বা ভাই সম্প্রীতির বন্ধনে, ভাতৃত্বের বন্ধন আবদ্ধ হয়ে উপহার তুলে দেন। এভাবেই একটা সামাজিক- সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট মেনে রাখি বন্ধন চলে আসছে। কিন্তু এই রাখি বন্ধন এর উৎস সম্পর্কে আমাদের একটু জেনে নেওয়া ভালো -
পৌরাণিক প্রসঙ্গ -
শাস্ত্রীয় ও লৌকিক জনশ্রুতি মেনে বলা হয় - ভগবান কৃষ্ণের হাতে ভক্তরূপ রাধিকাসহ গোপীরা রাখি বেঁধে দেন ভালোবাসার বন্ধন হিসেবে।
আবার মহাকাব্য "মহাভারত" তে উল্লেখিত আছে, শ্রীকৃষ্ণ কোনো এক যুদ্ধযাত্রায় হাতের কব্জিতে আঘাত পান এবং রক্তপাত ঘটে, পান্ডব পত্নী দ্রৌপদী তৎক্ষণাৎ শাড়ির আঁচল ছিড়ে ক্ষত জায়গায় বেঁধে দেন। রক্তপাত বন্ধ হয় ।অভিভূত কৃষ্ণ নিজের বোন বলে স্বীকার করেন এবং প্রতিদান স্বরূপ সম্মতি প্রদান করেন, বিপদের সময় পাশে থাকবেন। কুরু পাণ্ডবের পাশা খেলায় দ্রৌপদীকে বাজি রেখে পাণ্ডবরা যখন হেরে যান। কৌরবরা কূটচালের দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ করতে যান, সখা কৃষ্ণ দ্রৌপদীর সম্মান রক্ষার্থে বস্ত্র দান করেন এবং দ্রৌপদীর মান রক্ষা করেন।
আরেক কাহিনী- বলি রাজা ও লক্ষীদেবীর।
দৈত্য রাজ বলি বিষ্ণু ভক্ত ছিলেন। বলির রাজ্য রক্ষার্থে ভগবান বিষ্ণুর আগমন ঘটে। দীর্ঘদিন লক্ষীদেবী বৈকুন্ঠে না পেয়ে সাধারণ মেয়ের ছদ্মবেশে দৈত্যরাজ বলির কাছে আসেন এবং স্বামী পরিত্যাক্তা অসহায় বলে আশ্রয় চান ।বলিরাজ তাকে আশ্রয় দেন। শ্রাবণী পূর্ণিমার দিন দেবী লক্ষী রাজা হাতে রাখি বেঁধে ভাতৃত্বের বন্ধন আবদ্ধ করেন । পরে লক্ষীদেবী সবিস্তারে সব বলেন। ভগবান বিষ্ণু এবং লক্ষীদেবী পরে বৈকুণ্ঠ ধামে ফিরে যান।
আরেকটি লোকিক উপাদান - দেবতা গণেশের বোন গণেশের হাতে রাখি বেঁধে দেন ।গণেশের দুই ছেলে শুভ ও লাভের হিংসে হয়। রাখি বাঁধার কেউ নেই। তারা পিতা গণেশের কাছে বোন চান । তখন গণেশ দিব্য আগুন থেকে এক মেয়ের জন্ম দেন যিনি - সন্তোষী মা । শুভ ও লাভ তার হাতে রাখি পরিয়ে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ করেন।
এইসব পৌরাণিক কাহিনী রাখি বন্ধনের উৎসমূলে জায়গা পেয়ে আসছে।
মধ্যযুগীয় প্রসঙ্গ
৩২৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মহামতি আলেকজান্ডার ভারত আক্রমণ করেন ।আলেকজান্ডারের স্ত্রী রোজানা রাজা পুরু কে পবিত্র সুতো পাঠিয়ে অনুরোধ করেন যাতে তিনি আলেকজান্ডারের কোন ক্ষতি না করেন। পুরু রাজা কাটোচ বংশীয়। এই রাখি সম্মান তিনি রক্ষা করেন । যুদ্ধে তিনি আলেকজান্ডারের গায়ে কোন আঘাত করেন নি।
আরেকটি প্রসঙ্গ - চিতোরের রানী কর্ণবতী ১৫৩৫ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে একে রাখি পাঠিয়েছিলেন কারণ গুজরাটের সুলতান বাহাদুর শাহ তার দুর্গ আক্রমণ করেছেন এবং তিনি অসহায় বোধ করছেন। সম্রাট হুমায়ুনের সৈন্য পাঠাতে দেরি হওয়ায় বাহাদুর শাহ দুর্গ জয় করেন। ১৫৩৫ সালের ৮ই মার্চ ১৩০০০ পুরস্ত্রীকে নিয়ে পরাজিত রানী কর্ণবতী জহর ব্রত পালন করেন। হুমায়ুনের সৈন্যরা পরে বাহাদুর শাহ কে উচ্ছেদ করে পুত্র বিক্রমজিৎ সিংহ কে সম্রাট ঘোষণা করেন।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট রাখি বন্ধনের এমনই প্রসঙ্গ প্রচলিত আছে।
আধুনিক প্রসঙ্গ -
রাখি বন্ধনের আধুনিক প্রসঙ্গ একান্ত সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় প্রেক্ষাপট অবলম্বন করে অনুষ্ঠিত । ইংরেজ কর্তৃক বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন রোধ করার উদ্দেশ্য নিয়ে হিন্দু- মুসলমানের মধ্যে সম্পর্ক অটুট রাখতে ,ভাতৃত্বের বন্ধন ,সম্প্রীতির বন্ধনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সহ অন্যান্যরা এই উৎসবের সূচনা করেছিলেন।
আজ এই উৎসব একান্ত সামাজিক-সাংস্কৃতিক রুপরেখায় পরিণত হয়েছে ।আধুনিক জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে নানান রং রস মেখে জনসমাজে প্রতিপালিত হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের ,বিবিধ বিষয় অবলম্বনে, বর্ণময় এই রাখি বন্ধন আজ সম্প্রীতির বন্ধন , রক্ষা বন্ধন, সম্মাননার বন্ধন হয়ে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে ধর্মের নামে বজ্জাতি ভুলে সব এক হয়ে পালন করেন। মহান ভারতবর্ষের জাতীয় ঐক্য রক্ষা করেন।
=================================
No comments:
Post a Comment