¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥
অনু গল্প সংখ্যা
পর্ব -৩
*************!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!**************
Doinik Sabder Methopath
Vol -115. Dt - 30.8.2020
১৩ ভাদ্র, ১৪২৭. রবিবার
∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆
ঈশ্বর
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
-- বিদ্যাসাগর কে মা ? জেঠুরা নাম করছে? -- প্রশ্ন সন্টুর।
অবাক চোখে তাকিয়ে মায়ের উত্তর, উনি ঠাকুরের মতো,খুব ভালো মানুষ।
একের পর এক প্রশ্নে জর্জরিত না কুলুঙ্গি থেকে মলিন বর্ণপরিচয়টা এনে ছেলের হাতে দেন।
-- মা এই বইটা তুমি সন্ধেবেলা পড়ো না!
-- হ্যাঁ বাবা।আমি এর থেকে পড়া শিখি,তুমিও শিখবে।
ছবিটা দেখে সন্টু জিজ্ঞেস করে,এটা কার ছবি?
-- ইনি বিদ্যাসাগর।এই বইটি ইনিই লিখেছেন। -- বলে মা ভক্তিভরে ছবিটি নিজের মাথায় ঠেকিয়ে ছেলের মাথায় ঠেকান।
ছেলে ভক্তিতে চোখ বন্ধ করে বলে,ঠাকুর ঠাকুর,আমাদের ভালো করো।
-----------------/------------
সামাজিক
সুব্রত ঘোষ -দিল্লি
মেছোপুকুর বুজিয়ে প্রোমোটারের মাল্টিস্টোরি বিল্ডিং গণেশদের
একতলা স্যাঁৎস্যাঁতে বাড়িটাতে অন্ধকার নামালো । ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার
বাবা টিবি ধরিয়ে ন’মাস জাল ওষুধ খেয়ে হাসপাতালে গেলো ।সমাজসেবী
মধুবন্তীকে গণেশ দেখলো ।বাবার চিকিৎসার জন্য চেকটা মধুবন্তী গণেশকে
দিলো বাবা মর্গে ঢোকার পর ।চেকটা নিয়ে গণেশ আগে ব্যাঙ্কে ছুটলো ।
ম্লানমুখে মধুবন্তীও চাইলো চেকের টাকাটা গণেশকে বাঁচাক ।
*********"""*******************
অপ্রত্যাশিত
কলমে - শ্রীলিম
রচনা- ২৯ ভাদ্র ১৪১৬, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯।
স্থান - বালিয়াপুর, আসানসোল।
""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
রেলের কামরায় বসে জানলা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে আকাশের ক্ষীণ চাঁদটি দেখতে দেখতে যাচ্ছি। এমন মনে হল চাঁদ যেন আমার সাথে লুকোচুরি খেলছে। শশীকলাটি একবার ডুব দিয়ে ডুব সাঁতার দিয়ে, ঐতো ঐখানেতে ভেসে উঠল। যেখানটাতে কালো মেঘের মাঝখানটাতে স্বচ্ছ শুভ্র নীলাকাশ দেখা যাচ্ছে। সত্যিই রাতটা কী মধুর, আমার তনু-দেহে কী পুলকই না রোমাঞ্চিত হয়ে উঠছে। আমাকে বার বার ডেকে আলতো আবেশে জড়িয়ে জড়িয়ে উতলা করে তুলছে।
কামরার দিকে চেয়ে দেখি একটা শোরগোল পড়ে গেছে। কী হল, ব্যাপারটা কী ? বুঝতে একটু সময় লাগল। দেখলাম দু’জন অতিরিক্ত মেদবহুল আর একটার দেহে মেদের ক্ষীণ আভাসটুকু নেই; তারা টিকিট চেক করতে উঠেছে। যাদের কাছে টিকিট নেই, তাদের তো এই গরমে ঘাম ঝরছেই; এই ঘটনাতে একটু বেশি ঘাম বিগলিত হতে শুরু করেছে। আমার টিকিট করাই ছিল, অতএব আমি সে ব্যাপারে নিশ্চিন্ত রইলাম।
হঠাৎ দেখি, যারা টিকিট চেক করছে তারা একজনের সাথে বচসা করছে। আমি উৎসুক মনে সবকিছু চোখ দিয়ে গোগ্রাসে গিলতে লাগলাম। মন বলছে দেখিই না কী হয় ব্যাপারটা। আমি দেখলাম টিকিট চেকারবাবু বলছে, “তোমার টিকিট নাই, অতএব তোমাকে জরিমানা ভরতে হবে।” অপরদিকে ঐ ব্যক্তিটি চুপচাপ ছিল। দেখলাম তার মুখটা একটু উজ্জ্বল হয়ে উঠল এবং এক চিলতে হাসি দেখা গেল। সে বলল, “আমি জরিমানা দিচ্ছি কিন্তু তার আগে আপনারা আপনাদের পরিচয় পত্র দেখান।” তাদের কাছে এই প্রশ্ন একেবারেই অপ্রত্যাশিত কিন্তু তাতেই তিনজনের মুখ অমাবস্যা রাতের ঘন কালো ছায়ায় ছেয়ে গেল।
------------/------------
পানার ভিড়ে
খুকু ভূঞ্যা
ছাই দিয়ে থালা মাজছে বধূ। ডোবার জল ভরে আছে শ্যাওলায়।যতই হাত দিয়ে পানা ঠেলছে মূহূর্তেই ভরে যাচ্ছে।
কতদিন সে মুখ দেখেনি জলের আয়নায়। আঁচলে ধরেনি জলচাঁদ।যতবার খালি মনটাকে পুবের দিকে ঘোরাতে চেয়েছে, বেড়ে গেছে মেঘ।
পানা সরাতে সরাতে নদী হওয়া হোলো না।
ভাঙা ঘাটে ধুতেই থাকে জন্মের ক্ষতচিহ্ন--
-----------/------------
বাড়া কমা
তপনকান্তি মুখার্জি
মনে বৃষ্টির ঝড় তুলে আমার ফ্ল্যাটে এলো পুরোনো বান্ধবী । সন্ধ্যায় ও যখন চলে গেল , একগোছা যুবতী বেলা ফেলে রেখে গেল ফ্ল্যাটে। আনন্দে আমি সারাঘর ছুটে বেড়ালাম এলোমেলো পদক্ষেপে । ক্লান্ত হয়ে বসলাম । রাত বাড়ল । বয়সও বাড়ল একদিন । আবার বয়সটা কমেও গেল বেশ কিছুটা ।
'----------------/---------------
সাদা কালো
কাজী সামসুল আলম
শর্মা সাহেব, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, এক নম্বরের ঘুষ খোর, আগাম টাকা না পেলে একটিও বিল ছাড়েন না। এরকম অফিসার ডিপার্টমেন্টে আগে কোনো কন্ট্রাক্টর দেখে নি, সবাই একে চামার শর্মা বলেই ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করে। আজ চারদিকে হৈ চৈ, হিন্দি সনমার্গ পত্রিকায় শর্মা সাহেবের ছবি ও খবর বেরিয়েছে। হেডিং দিয়েছে "গরীবো কা মসিহা" । বিহারে নিজের এলাকায় গরীব ছাত্র ছাত্রীদের বইপত্র সহ পড়ার সমস্ত খরচ দেন । এজন্য তিনি পত্রিকাতে বিজ্ঞাপনও দেন।
--------------/-----------
চাঁদ
শুভ্রাশ্রী মাইতি
মেয়েটা কোন আমলা,বৈজ্ঞানিক বা বিমানসেবিকা হতে চায়নি কোনদিন।
ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার বা শিক্ষিকাও নয়।
এমনকি জনপ্রিয় মডেল,সিনেমার লাস্যময়ী নায়িকা বা টিভি সিরিয়ালের পরিচিত মুখ হওয়ার কোন বাসনাও তার হয়নি কখনো।
সে শুধু চাঁদ হতে চেয়েছিল।
ঝকঝকে নির্মল আকাশে চকচকে পূর্ণিমার চাঁদ।শুধু শরীরে নয়,মনেও।
চাঁদ বোধহয় শুনেছিল সে কথা মন দিয়ে।
তাই আজ নির্জন পথের ধারে তার বিবস্ত্র শরীর ঘিরে হিংস্র জান্তব উল্লাসের নারকীয়তা।
একইরকম জ্যোৎস্না ঢেলে চাঁদ একেবারে নির্বাক,নিশ্চুপ সীমাহীন উদাসীনতায়।
মেয়েটা বোধহয় সত্যিই ভুলে গিয়েছিল,চাঁদ হতে গেলে,শুধু আলো নয় কলঙ্কের কালো দাগগুলোকেও শরীরে মেখে নিতে হয় মুখ বুজে।
--------------/-------------
জয়ী
পার্থ সারথি চক্রবর্তী
পোডিয়ামে উঠতে গিয়ে চোখে জল শিবানির!দেশের হয়ে অলিম্পিকে সোনাজয়ী প্যাডলার।কঠিন পরিশ্রমের ফল। কিছুদিন আগেও জীবনে ছিল ঝড়। হঠাৎ বাড়িতে খানতল্লাসি। কার মিথ্যা অভিযোগে! সুযোগসন্ধানীরা অবশ্য নখ-দন্ত শানিয়েছে যথারীতিই। তবে ঈশ্বরে ভরসা ছিল তার।মাটির মেয়ে কখনো দেশবিরোধী কাজ করতে পারেনা! কালের নিয়মে সে কালিমামুক্ত! আজ দেশের গর্ব!
তুমুল হাততলিতে সম্বিত ফিরল.....
------------/-------------
কলির ইংরেজ পুত্র
রজত দাস
একসঙ্গে যাতায়াত হয় তাই মুখোমুখি হয়েছে অনেক বেশি। পৈতৃক দোতলা পাকাপোক্ত মাটির বাড়ি। শেষ পর্যন্ত বাবা মা'র মৃত্যুর পর থেকে বেশ কিছু অশান্তি নিয়ে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। বউ দের ও দিন শুরু হয় গলাবাজি করে।
ছোটো খাটো অশান্তি আলোচনা সভায় মিটেছে কিন্তু মতানৈক্য তাদের শত্রু করে তুলেছে।
শেষ পর্যন্ত বাস্তুজমি ভাগ করে অর্ধেক হলো। রেজিস্ট্রেশন দলিল স্বাক্ষর করে তারা এখন আলাদা।
একবছর পর পুরাতন বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যাবে ছোটো ছেলে।
পুরাতন ভিটে ছেড়ে চলে ঘাঁটি গড়তে হবে অন্যত্র। দুই ভাইয়ের ভরসা এবার বাড়ি বানানোর জন্য আবাস যোজনার সরকারি সাহায্য।
ভ্রাতৃত্বের ঐতিহ্য ও ভেঙে যায় চোখের সামনে পুরনো বাড়িটার মতো।
------------/-----------
বৃষ্টি ধারা
দেবাশিস চক্রবর্ত্তী
আজ রাতের আকাশে কোনো তারার দেখা নেই । আকাশ ঢেকে আছে একরাশ প্রসুতি মেঘে । যে কোন মুহুর্তে ঐ মেঘ প্রসব করবে বৃষ্টি ধারাকে । সেই মেঘের সন্তানকে পরম স্নেহে বুকে জড়িয়ে ধরে লালন করবে প্রকৃতি ।
জানলার গরাদ ধরে নিদহারা বৃদ্ধা শ্রাবণী ভাবে তাঁকে একলা ফেলে যাওয়া সন্তানের কথা । চোখে তাঁর অবিরাম বৃষ্টিধারা ।
----------/------------
টবভাঙ্গা বনসাই
শ্যা ম সু ন্দ র ম ন্ড ল
সমাজটবে রক্তিম একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন। শিল্পী পৃথিবীবাধা ঠেলে তাকে গ্রহণ করে। তার সংকল্প , রক্তিমকে সূর্য করবেই। কিন্তু রক্তিমের শেকড়গুলো তাকে রক্ত না দিয়ে অচল রাখার ফন্দিতে শিল্পীপীড়ন করতে থাকে। অথচ শিল্পীর এই অপমানে রক্তিম নির্বিকার। শিল্পী ক্যানভাসে নদী হয়,তবুও ভাসে না,ভালোবাসা আঁকে অক্লেশে। একদিন শিল্পীপীড়নে বানভাসি জল ছুঁতেই রক্তিমের তীব্র লালেই গুটি কেটে বেরিয়ে আসে লাল প্রজাপতি।
--------------/-------------
গাত্রবর্ণ
বিশ্বনাথ পাকড়াশি
আজই সিজারিয়ান হবে কৃষ্ণার। কেবিনের বিছানায় শুয়ে উদ্বেগের ছড়্ বিছড়।
কৃষ্ণা, আসলে ঘোর কৃষ্ণবর্ণ। আর উজ্জ্বল বেজায় ফর্সা। নেহাত আই.টি. সেক্টরে কর্মরতা পাত্রী, তাই বিয়ের সময় মিইয়ে গিয়েছিল আপত্তির ঝড়। তবু...
অপারেশন শেষের দিকে। নার্স বললেন, ফুলের মত একটা মেয়ে হয়েছে আপনার।
আচ্ছন্ন গলায় কৃষ্ণা প্রশ্ন করে, কালো হয়নি তো?
------------/-------------
শিক্ষার আলো
সুকান্ত আচার্য্য
ব্যাস্ত রাস্তা, লোকজন যে যার নিজের তাগিদে ছুটছে। ছেলেটি আপন মনে ছেঁড়া কাগজ, প্লাস্টিক বোতল, আরও নানা ফেলে দেওয়া জিনিস কুড়িয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ করে একটি খবর কাগজের টুকরোয় দেখতে পেলো লেখা আছে, ' শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে জ্বলবে'। প্রখর রোদে আকাশের দিকে চেয়ে ছেলেটি মনে মনে বলল," ঘরে ঘরে নাকি শিক্ষার আলো জ্বলবে, কিন্তু যাদের পেটে খিদের আগুন জ্বলে, তাদের ঘরে কিভাবে শিক্ষার আলো জ্বলবে!"
---------------/----------
হকার
নন্দিনী সরকার
"পাতি লেবু তিনটে দশ, তিনটে দশ।"
রাত আটটার হাওড়া ব্যান্ডেল লোকালে ফেরি করা ছেলেটার থেকে কিনে নিল বিনীতা। কালকে সকালেই লাগবে।
"পাঁচ টাকায় এক প্যাকেট, পাঁচ টাকায় এক প্যাকেট বাদাম ভাজা"
শুনতে পেয়ে বুড়ো দাদুর কাছ থেকে চার প্যাকেট বাদাম ভাজা কিনল বিনীতা ওর আর ওর মায়ের জন্য।
এর ঠিক এক সপ্তাহ পর থেকে সব লোকাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিনীতা এখন বাসে আর টোটো করে কাজে যায়।
ভদ্রকালী বাজারে পরশু সকালে ট্রেনের ঐ ছেলেটাকে লেবু বিক্রী করতে দেখেছে। খুব রোগা হয়ে গেছে। আর সেই বুড়ো দাদু কি আর বাদাম ভাজা বিক্রী করতে পারছে? মনে মনে ভাবতে থাকে শ্রমজীবী হাসপাতালে আয়ার কাজ করা বিনীতা যার এই ভাবে যাতায়াত করতে খরচ বেশি হচ্ছে আর খুব কষ্ট করে নিজের আর মায়ের খরচ চালাতে হচ্ছে।
------------/-----------
কৃষ্ণকলি
রাজীব ঘাঁটী
সেদিন হঠাৎ করেই ঝিমঝিম বৃষ্টি শুরু হল। হঠাৎ দেখি একটি মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে আমাদের আম গাছটার নীচে এসে দাঁড়াল।মুখে মাস্ক পরা তার উপর ওড়না দিয়ে মুখটা ঢাকা।স্বাভাবিক উচ্চতা,সুঠাম চেহারা মানে ঐ জানলা দিয়ে যেটুকু নজরে আসে।হাতে ডায়রী কলম নিয়ে তখন বৃষ্টির গন্ধ মাখতে মাখতে এলোমেলো ভাবনা গুলোকে সাজিয়ে প্রশ্রয় দেবার চেষ্টা করছি।কেন জানিনা ওড়নার আড়ালে থাকা মুখটা ক্রমশ আমায় টানতে লাগলো। বৃষ্টি বাড়লো । এই করোনায় আমাদের বাড়িতে কাউকে আপ্যায়ন করে বসানো হচ্ছে না । অন্যমনস্ক হতেই দেখি মেয়েটা নেই। ভাবলাম কি নাম হতে পারে মেয়েটার ,মুখটাও দেখলাম না,একটা প্রেমের কবিতা ততক্ষনে ডাইরী বন্দী। হঠাৎ কথার গুঞ্জন কানে আসতেই বসার ঘরে গেলাম । দেখি ঐ মেয়েটা গল্প জমিয়েছে আমার পরিবারের সাথে। আমাকে দেখে বললো নমস্কার। আমি আপনাকে চিনি,আপনার কবিতা আবৃত্তি করি। আমি তো হতবাক । ভালো করে দেখলাম মেয়েটিকে শ্যামলা রঙের মেয়েটি অতি সুন্দর। যেন রবিঠাকুরের সৃষ্ট কোন চরিত্র। এক নজরেই কেমন যেন ভালো লেগে যায়। সঙ্কোচ কাটিয়ে
জিজ্ঞাসা করলাম আপনার নাম ?
ও বললো কৃষ্ণকলি।
--------------/----------
অনুভূতি
অঞ্জন কুমার দাস
বোষ্টমের খঞ্জনী আজ ও বাজে । কিন্তু না মনের মাঝে রাধাকৃষ্ণ দেখা যায় না । ভোর রাতে মহালয়া আজ ও শোনে কিন্তু তেমন রোমাঞ্চ আর জাগে না। কেন? উত্তর খুঁজে পায় না সুমন। দশ বছর বয়সে বাবা মা কে হারিয়ে ফেলে সে। বুড়ি পিসি চোখে র জল ফেলে বলত তাড়াতাড়ি বড় হয়ে ওঠ বাবা। আরো দশটা বছর কাটিয়ে সুমন সত্যি বড়ো হয়েছে । কিন্তু অনেক কিছু ই হারাতে হয়েছে তাকে । তার মধ্যে অন্য অনুভূতি।
--------------/-------------
কিস্তিমাত
শ্রাবণী বসু
ক্ষমতাকে দাবা ভেবে আমাদের বোড়ে বানিয়ে ভোগের পাতে তুলেছিলেন - আপনি,রাজা।
আপনাকে পিতৃতুল্য ভেবে সম্মান দিয়েছি।আশ্রয় চেয়েছি।
বিনয়কে দুর্বলতা ভেবে ঠোঁট ডুবিয়েছেন আমাদের কুমারীত্বে।
সম্পর্কগুলোকে যারা কলুষিত করে ,আপনি তাদের মধ্যে একজন।
চেয়ে দেখুন ,আপনার চারপাশে দাঁড়িয়ে আমরা ছককাটা দাবার ওপর।
আসন্ন মৃত্যুর মুখোমুখি - আপনি।
একঘরও সরার উপায় নেই।
-----/ --------------
হাত ধরে সখা নিয়ে চলো...
বিষ্ণুপদ জানা
' এসেছে শরৎ হিমের পরশ' ছোট্ট মিতা বইয়ের পড়া পড়তে পড়তে মাকে বলে - গ্রামে মামার বাড়িতে শরতের শোভা ....
নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা ..অরুণ আলোর অঞ্জলি... শাপলা শালুক পদ্মের শ্যামল হাসি... মাঠে মাঠে সবুজ ধানের যৌবন ...
অমিতের হাত ধরে যান্ত্রিক শহুরে জীবন ।
ফি বছরের মত এবারও শ্যামল শালুক শাপলা .. মায়ের মুখ ....দেখা হবে না জেনে, মনটা বিষিয়ে ওঠে তার।
তেতলার ছাদে শান বাঁধানো পরিতক্ত জলাধার ... ফুটে উঠেছে ..একটি নীল শাপলা শালুক..
অজান্তে অমিতের এমন উদ্যোগ ...
নিরুতাপ গৃহবন্দী জীবনের পড়ন্ত বিকেল .. হাতে হাত ..সিঁড়ি ভেঙে.. শ্যামল শাপলা মুখ দেখবে বলে..
রিংটোন বেজে ওঠে....
- হাত ধরে সখা নিয়ে চলো...
∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆
No comments:
Post a Comment