হেমন্তের জাতীয় উৎসব
শ্যামামায়ের পূজা ও দীপাবলী উৎসব
জন্মদিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন
পন্ডিত জহরলাল নেহেরু
=========!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!===========
Doinik Sabder Methopath
Vol -191. Dt - 14.11.2020
২৮ কার্তিক, ১৪২৭. শনিবার
÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷✓✓✓✓÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷
শ্রীরামকৃষ্ণের অবিরত আকুতি ‘দেখা দে মা’ শুনে পাথরের মূর্তি থেকে কালিকা বেরিয়ে এসেছিলেন চিন্ময়ী রূপে। জগদীশ্বরী মায়ের সেই রূপ প্রত্যক্ষ করেছিলেন পুত্র গদাধর। অর্থকষ্টে উদ্বিগ্ন শিষ্য যুবক নরেন্দ্রনাথকে শ্রীরামকৃষ্ণ পাঠিয়েছিলেন তাঁর মায়ের কাছে অর্থ চাইতে। বিহ্বল নরেন টাকাপয়সা চাইতে পারেননি। বারবার গিয়ে একই কথা বলেছিলেন, ‘‘বিবেক দাও! বৈরাগ্য দাও! জ্ঞান দাও! ভক্তি দাও!’’
কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাধারণত শ্যামা পুজা বা কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা আগামীকাল শনিবার। করোনা মহামারীর দুর্যোগ মাথায় নিয়েই স্বাস্থবিধি মেনে এবার এ পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পুরাণ মতে কালী দেবী দুর্গারই একটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালি নামের উৎপত্তি। কালী পূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুন্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত। কালীপূজার দিন হিন্দু সম্প্রদায় সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন। এটিকে বলা হয় দীপাবলী।
হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা ও দীপাবলি অনুষ্ঠিত হবে শনিবার রাতে। কার্তিক মাসের অমবস্যা তিথিতে শ্যামা বা কালী পূজা ও দীপাবলি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালনের মাধ্যমে ভক্তের জীবনে কল্যাণের অঙ্গীকার নিয়ে পৃথিবীতে আগমন ঘটে দেবী শ্যামা বা কালীর। শ্যামা দেবী শান্তি, সংহতি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামের প্রতীক।
হিন্দু পূরাণ মতে, কালী দেবী দূর্গারই একটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালী পূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তিকে জাগ্রত করতেরই কালীপূজা করা হয়।
কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুন্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত।
কালী পূজার দিন হিন্দু সম্প্রদায় সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন।
দুর্গাপূজার মতো কালীপূজাতেও গৃহে বা মন্ডপে মৃন্মময়ী প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা করা হয। মন্দিরে বা গৃহে প্রতিষ্ঠিত প্রস্তরময়ী বা ধাতুপ্রতিমাতেও কালীপূজা করা হয়। মধ্যরাত্রে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে গৃহস্থ বাড়িতে সাধারণত অতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ্যমতে আদ্যাশক্তি কালীর রূপে কালীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, কালী শ্মশানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। এই কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে শ্মশানে মহাধুমধামসহ শ্মশানকালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
=================================
১৪ নভেম্বর দিনটি প্রতি বছর শিশু দিবস (Children's Day 2019) হিসাবে পালিত হয় ভারতে। এই দিনটি ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর (Pandit Jawaharlal Nehru) জন্মদিন। স্কুলগুলিতে এই দিনটিতে পড়াশুনোর পরিবর্তে নানা রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কোথাও আবার শিশুদের পিকনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। কচি বাচ্চাদের হাতে এই দিনটিতে তুলে দেওয়া হয় নানা উপহারও। সব মিলিয়ে শিশু দিবস (Children's Day) পুরোপুরিই শিশুদের দিন। দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে শিশুদের গুরুত্বকে মনে করেই এই দিনটি পালিত হয়। এছাড়াও, এই দিনে শিশুদের অধিকার সম্পর্কে সব মানুষকে আরও সচেতন করার চেষ্টা করা হয়। শিশুরা যাতে সঠিক শিক্ষা পায়, দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে শিক্ষা পায় সে ব্যাপারেও প্রচার করা হয় এই দিনটিকে উপলক্ষ করে। পাশাপাশি শিশুদের সঠিক পুষ্টির প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরা হয়, কেননা শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ ।
কেন ১৪ নভেম্বর পালন করা হয় শিশুদিবস?
রাষ্ট্রসংঘ ১৯৫৪ সালের ২০ নভেম্বর দিনটিকে শিশু দিবস হিসাবে পালনের জন্যে ঘোষণা করেছিল । সেই ঘোষণা অনুযায়ী এ দেশেও পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ২০ নভেম্বর দিনটিই শিশু দিবস হিসাবে পালিত হয়ে ছিল। তবে ১৯৬৪ সালের ২৭ মে, পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর প্রয়াণের পর সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে প্রতি বছর ১৪ নভেম্বর, শিশুদের প্রিয় চাচা নেহেরুর জন্মদিনটিকেই শিশু দিবস হিসাবে উদযাপন করা হবে ভারতে। তারপর থেকেই প্রতিবছর ১৪ নভেম্বর দিনটি শিশু দিবস হিসাবে পালন করা হয়।
শিশু দিবস বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন দিনে পালিত হয়
এমনিতে আন্তর্জাতিক শিশু দিবস হিসাবে ২০ নভেম্বর দিনটিই পালিত হয়। ১৯৫৯ সালে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে শিশুদের অধিকার নিয়ে প্রচারের কথা বলে এই দিনটি পালনের কথা ঘোষণা করে। জীবনের অধিকার, সুরক্ষার অধিকার, অংশগ্রহণের অধিকার এবং বিকাশের অধিকার - শিশু অধিকারকে চারটি মূল ভাগে বিভক্ত করা হয়।
তবে, ভারতের মতো এমন অনেক দেশ রয়েছে যেখানে ২০ নভেম্বরের পরিবর্তে শিশু দিবস অন্য দিনে পালিত হয়।
অনেক দেশে, ১ জুন, শিশু দিবস হিসাবে পালন করা হয়। পাশাপাশি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের জুনের দ্বিতীয় রবিবার পালন করা হয় শিশু দিবস। আবার পাকিস্তানে শিশু দিবস হল ১ জুলাই, ৪ এপ্রিল শিশু দিবস উদযাপিত হয় চিনে। অন্যদিকে ব্রিটেনে শিশু দিবস পালন করা হয় ৩০ অগাস্ট, জাপানে ৫ মে, পশ্চিম জার্মানিতে ২০ সেপ্টেম্বর । তবে সব দেশেই শিশু দিবস পালেন উদ্দেশ্য একটাই, দেশের শিশুদের অধিকার ও তাঁদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ফের একবার সচেতনতার বার্তা দেওয়া।
অন্যান্য দেশের পালনীয় তারিখ :-
জানুয়ারির প্রথম শুক্রবার বাহামা দ্বীপপুঞ্জ
জানুয়ারি ১১তিউনিসিয়া
জানুয়ারির দ্বিতীয় শনিবার থাইল্যান্ড
ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় রবিবার কুক দ্বীপপুঞ্জ
নাউরু নিউই টোকেলাউ কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ
মার্চের প্রথম রবিবার নিউজিল্যান্ড
চৈত্র ৩ (মার্চ ১৭) বাংলাদেশ
এপ্রিল ৪ হংকং তাইওয়ান
এপ্রিল ৫ ফিলিস্তিনী অঞ্চলসমূহ
এপ্রিল ১২ বলিভিয়া হাইতি
এপ্রিলের শেষ শনিবার কলম্বিয়া
এপ্রিল ২৩ তুরস্ক
এপ্রিল ২৪ জাম্বিয়া
এপ্রিল ৩০ মেক্সিকো
মে ৫ জাপান দক্ষিণ কোরিয়া
মে-র দ্বিতীয় রবিবার স্পেন
মে ১০ মালদ্বীপ
মে ১৭ নরওয়ে
মে ২৭ নাইজেরিয়া
মে-র শেষ রবিবার হাঙ্গেরি আসেনশন উৎসব
আমেরিকান সামোয়া ফক্ল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ
জুন ১ - আলবেনিয়া অ্যাঙ্গোলা আর্মেনিয়া
আজারবাইজান বেলারুশ বেনিন বুলগেরিয়া
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা গণচীন কম্বোডিয়া
চেক প্রজাতন্ত্র পূর্ব তিমুর ইকুয়েডর ইস্তোনিয়া
ইথিওপিয়া জর্জিয়া (রাষ্ট্র) গিনি-বিসাউ
কাজাখস্তান কসোভোর কিরগিজিস্তান
লাওস লাতভিয়া লেবানন লিথুয়ানিয়া
ম্যাসেডোনিয়া প্রজাতন্ত্র মাকাও
মলদোভা মঙ্গোলিয়া মন্টিনিগ্রো মোজাম্বিক
মায়ানমার নিকারাগুয়া পোল্যান্ড পর্তুগাল
রোমানিয়া রাশিয়া সাঁউ তুমি ও প্রিন্সিপি
সার্বিয়া স্লোভাকিয়া স্লোভেনিয়া তাজিকিস্তান
তানজানিয়া তুর্কমেনিস্তান ইউক্রেন উজবেকিস্তান ভিয়েতনাম ইয়েমেন
জুন ২ উত্তর কোরিয়া
জুনের দ্বিতীয় রবিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
জুলাই ১ পাকিস্তান
জুলাইর তৃতীয় রবিবার কিউবা পানামা
ভেনেজুয়েলা
জুলাই ২৩ ইন্দোনেশিয়া
জুলাই ২৪ ভানুয়াটু
আগস্টের প্রথম রবিবার উরুগুয়ে
আগস্টের দ্বিতীয় রবিবার আর্জেন্টিনা
আগস্ট ১৬ প্যারাগুয়ে
আগস্টের তৃতীয় রবিবার পেরু
সেপ্টেম্বর ৯ কোস্টা রিকা
সেপ্টেম্বর ১০ হন্ডুরাস
সেপ্টেম্বর ১৪ নেপাল
সেপ্টেম্বর ২০ জার্মানি
অক্টোবর ১ এল সালভাদোর গুয়াতেমালা
শ্রীলঙ্কা
অক্টোবরের প্রথম শুক্রবার সিঙ্গাপুর
অক্টোবরের প্রথম বুধবার (স্বীকৃতি এবং সাক্ষাৎ)
আগস্টের দ্বিতীয় রবিবার (উদ্যাপন) চিলি
অক্টোবর ৮ ইরান
অক্টোবর ১২ ব্রাজিল
অক্টোবরের ৪র্থ শনিবার অস্ট্রেলিয়া মালয়েশিয়া
নভেম্বরের প্রথম শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকা
নভেম্বর ১১ ক্রোয়েশিয়া
নভেম্বর ১৪ ভারত
নভেম্বর ২০ আরব লীগ আরব বিশ্বে
আজারবাইজান কানাডা ক্রোয়েশিয়া
মিশন ইথিওপিয়া ফিনল্যান্ড ফ্রান্স
গ্রিস প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ড ইসরায়েল
কেনিয়া মালয়েশিয়া ম্যাসেডোনিয়া প্রজাতন্ত্র
নেদারল্যান্ডস ফিলিপাইন রাশিয়া সার্বিয়া
স্লোভেনিয়া দক্ষিণ আফ্রিকা স্পেন সুইডেন
সুইজারল্যান্ড সংযুক্ত আরব আমিরাত
ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
ডিসেম্বর ৫ সুরিনাম
ডিসেম্বর ২৩ দক্ষিণ সুদান সুদান
ডিসেম্বর ২৫ কঙ্গো প্রজাতন্ত্র
গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ক্যামেরুন
বিষুবীয় গিনি গাবন চাদ মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র
ডিসেম্বরের শেষ শুক্রবার ডোমিনিকানন
-------------------------------------------------
পন্ডিত জওহরলাল নেহরুর জন্মদিনটি শিশুদিবস হিসেবে পালিত হয়।দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহরুর জন্মদিন টি দীর্ঘদিন ধরে শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।ব্যক্তি জীবনে পন্ডিত নেহরু ছিলেন শিশুদের অত্যন্ত কাছের মানুষ, "চাচা নেহরু"। তাই তাঁর জন্মদিন টি শিশুদিবস হিসেবে পালন করবার ভিতর দিয়ে এক ই সঙ্গে পন্ডিত নেহরুর প্রতি শ্রদ্ধা এবং শিশুদের প্রতি দায়িত্ববোধের পরিচায়ক।
সেইদিক থেকে বিচার করে এই "শিশু দিবসে" র একটি বড়ো রকমের সামাজিক গুরুত্ব আছে। শিশুরাই জাতির ভবিষত্। এই ভবিষ তের প্রতি সমাজ যদি তার সঠিক দায়িত্ববোধের পরিচয় না রাখে তবে আগামী প্রজন্মের বিকশিত হওয়ার সুযোগ ক্রমশঃ সঙ্কুচিত হতে থাকবে।
শিশুদের মনোরাজ্যে এখন একটা বিরাট অদল বদল ঘটে চলেছে।
একদিকে ভয়াবহ আর্থিক তান্ডবের জেরে কিছু মানুষের হাতে সম্পদের সিংহভাগ এসে জড়ো হচ্ছে।অপর দিকে যাঁদের হাতে কিছু পৌঁচচ্ছে না, সেই অংশের মানুষের ভিতরে ক্ষুধা এখন ও সবথেকে বড়ো জ্বলন্ত সমস্যা।একদিকে ক্ষুধার জ্বালায় আদিবাসী শবরদের ভিতর মৃত্যুস্রোত। অপরদিকে শিশুদিবসের প্রাক্কালে খবরের কাগজে দেখা যাচ্ছে সন্দর্ভ; শিশুদের হাতে মোবাইল সহ আধুনিক প্রযুক্তি বেশি তুলে দেওয়ার জেরে শিশুদের কথা বলতে শেখাতে অহেতুক বিলম্ব ঘটছে।
তাই শিশুর অভিভাবকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ; শিশুকে যেন খাওয়া র সময়েও তার হাতে মোবাইল সহ কোনো ইলেকট্রনিক গ্যাজেট যেন তার হাতে না দেওয়া হয়।মা যেন অন্তত দিনে আধ ঘন্টা শিশুটির সঙ্গে একটানা কথা বলেন। আধুনিক এই পর্যবেক্ষণ দেখে শিশু দিবসের প্রাক্কালে কিছু প্রশ্ন জাগছে মনে।সময়ের নিরিখে আমরা এগোচ্ছি? নাকি পিছোচ্ছি?
শিশুর অধিকার সময়ের নিরিখে সুরক্ষিত হচ্ছে? নাকি অরক্ষিত হচ্ছে? চারিদিকে শিশুদের উপর যৌন অত্যাচারের ভয়াবহ খবরে কান পাতা দায়। আবার এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে অহেতুক গুজব সহনাগরিকের জীবন কি ভাবে বিপর্যস্ত করতে পারে তার একটা জ্বলন্ত ছবি সাম্প্রতিক সময়ের ফিল্ম" হামি" র ভিতর দিয়ে আমরা দেখেছি।পকসো আইন যেমন হয়েছে, তেমনি ই এই আইনের অপপ্রয়োগ নিয়ে সমাজের সচেতন একটি অংশ সমান ভাবে আওয়াজ তুলেছেন। রাজনৈতিক শত্রুতার উদ্দেশ্য নিয়ে এই পকসো আইন ব্যবহৃত হচ্ছে- এমন অভিযোগ নানা জায়গা থেকে উঠতে শুরু করেছে।শিশুদের সামাজিক সুরক্ষার প্রশ্নটি তাই সেই অনাদরেই পড়ে থাকছে।
---------------------------------------------
শিশু-কিশোরদের বিশেষ সংখ্যা :
শিশু-কিশোরদের লেখা মুক্তগদ্য।
আমার বিদ্যালয়
শুভমিতা চৌধুরী
দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশন স্কুল।
শ্রেণি তৃতীয়. বয়স -৯.
“শিক্ষা হচ্ছে মানুষের মধ্যে ইতিমধ্যে থাকা উৎকর্ষের প্রকাশ।”
স্বামী বিবেকানন্দ
ছাত্রজীবনে অধ্যয়নই ঈশ্বরসাধনা। আর তাই বিদ্যালয় শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, দেবালয়ও বটে। আমার বিদ্যালয়, 'দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশন স্কুল' কার্যতই ঈশ্বরসাধনার পীঠস্থান ও চরিত্রগঠনের কর্মশালা। ঋষি অরবিন্দ এবং মাদার (মীরা আলফাসা) -এর আদর্শে অতি যত্নে লালিত এই বিদ্যালয় ১৯৮১ খ্রীষ্টাব্দে স্থাপিত হয়।
ঋষি অরবিন্দের শিষ্যা লক্ষ্মীদেবীর টালিগঞ্জ স্থিত বাসভবনটি তিনি বিদ্যালয় গঠনের জন্য দান করেন। সেই বাসভবনটি প্রথম অধ্যক্ষা স্বর্গীয়া জয়া মিত্র এবং স্বর্গীয় প্রদ্যোত কুমার ভট্টাচার্য্য মহাশয়ের যৌথ প্রয়াসে আজকের এই বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়।
সবুজ গাছপালায় ঘেরা আমাদের বিদ্যালয় একটি প্রাচীন আশ্রমের সমকক্ষ। ইঁট, কাঠ, পাথরের জঙ্গলে আমার বিদ্যালয় যোগায় অফুরান অক্সিজেন। এখানে শ্রেণীকক্ষ, লাইব্রেরী, ল্যাবরেটরি, অডিটোরিয়াম, ক্যান্টিন, খেলার মাঠ ছাড়াও রয়েছে একটি ধ্যানের ঘর। বিদ্যালয়ের ধ্যানের ঘর আমার খুব প্রিয়। এই ঘর ঋষি অরবিন্দের আশীর্বাদধন্য বিদ্যালয়টির সকল শক্তির উৎস।
বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অন্যান্য কর্মীরাও প্রতিনিয়ত আমার বড় হয়ে ওঠার পথ সুগম করার লক্ষ্যে সহযোগিতা করেন। বিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময়ে আমার শিক্ষক শিক্ষিকাগণ পরম যত্নে আমাদের শিক্ষাদান করেন। এছাড়া আমারই সঙ্গে বেড়ে ওঠা এবং এই বিদ্যালয়ের আদর্শে উদ্বুদ্ধ এক ঝাঁক সহপাঠী মা-বাবাকে কাছে না পাওয়ার দুঃখ ভুলিয়ে রাখে। এই সকল কারণে আমার বিদ্যালয় আমার বাড়ীর মতোই প্রিয়।
নিজের নামের সঙ্গে সাযূজ্য রেখে আমার বিদ্যালয় পড়াশোনা ছাড়াও নিয়মিত শরীরচর্চা, মনোনিবেশের শিক্ষা, জীবন যুদ্ধে লড়াই করার মানসিক শক্তিসঞ্চয় ইত্যাদি বিভিন্ন জীবনধর্মী শিক্ষায় প্রতিমুহূর্তে আমাকে শক্তিশালী করে। আমাদের অধ্যক্ষ শ্রী রঞ্জন মিত্র এই মহৎ কর্মযজ্ঞকে নিপুণ হাতে নেতৃত্ব দেন।
শিশুদের আঁকা ছবি :
অপূর্ব মাইতি
বিবেকানন্দ মিশন স্কুল
ক্লাস পঞ্চম । বয়স 12।
ময়ূখ প্রামানিক
বিবেকানন্দ মিশন স্কুল হলদিয়া।
শ্রেণী ষষ্ঠ. বয়স -১১।
শিশু-কিশোরদের লেখা কবিতা
আদর্শ বিদ্যালয়
দেবাংশু শেখর পড়িয়া
মডেল ইনস্টিটিউশন
কন্টাই। শ্রেণি - ষষ্ঠ
আদর্শ বিদ্যালয় আমাদের চোখে একটাই
যে বিদ্যালয়ে পড়া আর খেলা দুটোই।
সেইটাই সেইটাই ওইযে একটাই
মনটাই বেজায় খুশি সবটাই ।
মাঝে মাঝে শুধু পড়া
লাগে যে প্রচুর কড়া
মাঝে মাঝে মনটা বলে
চল চল চল।
ফুটবল গ্রাউন্ডে চল
নইলে চাপে পড়ে,
হয়ে যাবি রে কল।
চল চল চল
ফুটবল গ্রাউন্ডে চল
তখন মনটা বসে ক্লাসে
পরে বসে যেমন আসর
মন্দিরে যেন বাজে কাঁসর।।
No comments:
Post a Comment