∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆
জন্মদিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য
বেগম রোকেয়া
জন মিল্টন
============||||||||||||||||||============
Doinik Sabder Methopath
Vol -216. Dt -09.12.2020
২৩ অগ্রহায়ণ,১৪২৭, বুধবার
÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷!!!!!!!!!!!!!!!÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷
নন্দিনী সরকার
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন হলেন একজন বিখ্যাত বাঙালী চিন্তাবিদ, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক,সাহিত্যিক,ও সমাজ সংস্কারক।
2004 সালে বিবিসি বাংলার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী রূপে ষষ্ঠ স্থানে নির্বাচিত করেছিলেন বেগম রোকেয়াকে।
বেগম রোকেয়া বাঙালী মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত। ছোট গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, বিজ্ঞান, কল্পকাহিনী, ও শ্লেষাত্মক রচনায় বেগম রোকেয়ার স্টাইল স্বকীয় বৈশিষ্ট মণ্ডিত।
বাংলাদেশের রংপুর জেলায় 1880 সালের 9 ই ডিসেম্বর বেগম রোকেয়ার জন্ম হয়।
উনি মারা গেছেন 1932 সালের 9ই ডিসেম্বর কলকাতায়।
ওনার বাবা জাহিরুদ্দিন মুহম্মদ আবু আলি হায়দর সাবের। আর মা হলেন রাহাতুন্নেসা চৌধুরী।পিতা আরবি উর্দু ফার্সি বাংলা হিন্দী ও ইংরাজিতে পারদর্শী হলেও মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে ছিলেন রক্ষণশীল। রোকেয়ার বড়ো দুই ভাই ও বড়ো বোন আধুনিক মনস্ক ও উদারমনা ছিলেন। তাই রোকেয়ার শিক্ষালাভ ও সাহিত্য চর্চায় ওনাদের অবদান অনস্বীকার্য । তৎকালীন সমাজে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভের সুযোগ না থাকলেও ছোটবেলায় কলকাতার এক মেম দিদিমণির কাছে কিছুদিন পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি মায়ের সাহায্যে। কিন্তু সমাজের ভ্রুকুটিতে তা অচিরেই বন্ধ হয়ে যায়। বড়ো ভাই বোনেদের সাহায্যে ঘরেই তিনি বাংলা, ইংরেজি, উর্দু, ফার্সি, আরবি আয়ত্ত করেন।
1998 সালে রোকেয়া দেবীর বিবাহ হয় ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, সমাজ সচেতন, কুসংস্কার মুক্ত ও প্রগতিশীল সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন মহাশয়ের সাথে। বেগম রোকেয়ার সাহিত্য চর্চার সূত্রপাত এই স্বামীর উতসাহেই। স্বামীর সাহায্যেই দেশী বিদেশী লেখকদের রচনার সাথে রোকেয়ার পরিচয় ঘটে। 1902 সালে "নভপ্রভা" পত্রিকায় "পিপাসা" গল্প ছাপার মাধ্যমে রোকেয়ার সাহিত্যিক রূপে আত্মপ্রকাশ ঘটে। যদিও ওনাদের বিবাহিত জীবন খুব বেশী দিন স্থায়ী হয় নি। 1909 সালে স্বামী মারা যান। তার আগে দুটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করেও অকালে মারা যায়।
স্বামীর মৃত্যুর পর বেগম রোকেয়া পুরোপুরি নিজেকে নারী শিক্ষা ও সমাজসেবায় নিয়োগ করেন।1909 সালে 5 জন ছাত্রী নিয়ে ভাগলপুরে শুরু করেন সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্ল স্কুল কিন্তু পারিবারিক কারনে কলকাতায় চলে এসে 1911 সালে এই শহরেই 8 জন ছাত্রী নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্ল স্কুল আজ্কেও যার খ্যাতি সমান ভাবে উজ্জ্বল।
বেগম রোকেয়া একসাথে স্কুল পরিচালনা, সাহিত্য চর্চা, সাংগাঠনিক ও সামাজিক কাজকর্ম সমান তালে চালাতে থাকেন। 1916 সালে মুসলিম নারীদের নিয়ে "আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম " প্রতিষ্ঠা করেন।
রোকেয়া নারী পুরুষের সমকক্ষতার যুক্তি দিয়ে নারীদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক স্বাবলম্বীতা অর্জন করে সমান আধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এবং শিক্ষার অভাবকে নারীর পশ্চাদপদতার প্রধান কারণ বলেছিলেন।
উদ্ভাবনা, যুক্তিবাদীতা এবং কৌতুক প্রিয়তা বেগম রোকেয়ার রচনার বিশেষ সহজাত বৈশিষ্ট্য।
তাঁর "সুলতানার স্বপ্ন" উপন্যাসটি নারীবাদী ইউটোপিয়ান সাহিত্যের ক্লাসিক নিদর্শন হিসেবে ধরা হয়।তাঁর উপন্যাস " অবরোধবাসিনী "তে মুসলিম নারী সমাজের অবরোধ প্রথাকে তিনি বিদ্রুপ বাণে জর্জরিত করেছেন।
1932 সালে 9ই ডিসেম্বর উ,কলকাতার সোদপুরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আজো তাঁর সমাধি সোদপুরের পানিহাটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অবস্থিত।
বাংলাদেশ সরকার ওনার সম্মানের জন্য প্রতি বছর 9 ই ডিসেম্বর "রোকেয়া দিবস" রূপে উদযাপন করে। বিশিষ্ট নারীদের "বেগম রোকেয়া পদক" দেওয়া হয়।ওনার জন্মস্থলে "বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্র" স্থাপন করা হয়েছে। আর রংপুর বিশ্ব বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে 2009 সালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে।
তাছাড়া বহু আগেই 1960 সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে "রোকেয়া হল" নামে এক ছাত্রীনিবাস গঠন করা হয়েছিল।
রোকেয়া শব্দের অর্থ মানুষকে ভালবাসা যা বেগম রোকেয়া তাঁর জীবন দিয়ে প্রমান করে গেছেন।।
------------------/////---------------------------------
জন মিলটন
সোমদত্তা জানা
জন মিল্টন লন্ডনের চীপসাইড পল্লীর ব্রেজস্ট্রীটে 1608 খ্রিষ্টাব্দের 9 ডিসেম্বর পিতৃগৃহে জন্মগ্রহণ করেন। কবির পিতা ছিলেন অক্সফোর্ডশায়ার এক সম্পন্ন গৃহস্থ পরিবারের সন্তান। বাবা ছিলেন একজন বিদ্বান ও সংস্কৃতিমনস্ক মানুষ। ধ্রুপদী জ্ঞানচর্চা ও সঙ্গীতের ক্ষেত্রে ছিল তাাঁর বিশেষ অনুরাগ। কবির জীবনেএই মানুষটির উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছিল।
জন মিল্টন প্রথম শিক্ষা লাভ করেন জনৈক পাদ্রী টমাস ইয়ং এর কাছে। 1623 সালে সেন্ট পলস স্কুলে তার আনুষ্ঠানিক বিদ্যাভাস শুরু হয় এবং 1625 খ্রিস্টাব্দে তিনি ভর্তি হন কেমব্রিজের ক্রাইস্টটস কলেজে। স্কুলে অন্য বিষয়ের মধ্যে ল্যাটিন, গ্রিক ও হিব্রু ভাষা শিক্ষা করেন। পাঠে তাঁর ঐকান্তিক অনুরাগ সারা জীবনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল এবং তাঁর অন্ধত্বের একটি কারণ দুর্বল দৃষ্টি শক্তির উপর বহু বছরের অতিরিক্ত চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তিনি প্রচলিত পাঠক্রমে বিশ্বাসী ছিলেন না, বরং বিরূপতায় জন্ম নিয়েছিল মনে। যার ফলে কেমব্রিজে থাকাকালীন তিনি পঠন-পাঠন নিয়ে ভাবতে থাকেন, যার রূপ পাওয়া যায় তার "On Education" প্রবন্ধে যেটি তিনি 1644 খ্রিস্টাব্দে রচনা করেন। জন মিল্টন একাধারে ছিলেন একজন ইংরেজ কবি, বুদ্ধিজীবী ও পরে ইংল্যান্ডের কাউন্সিল অফ স্টেট এর অধীনে এবং পরে অলিভের ক্রমওয়েল এর অধীনে একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।
"Paradise Lost" এর জন্য তিনি সবথেকে বেশি চর্চিত হয়েছেন।ইংরেজি সাহিত্যে তার প্রতিভা অতুলনীয়। তিনি অমিত্রাক্ষর ছন্দে "Paradise Lost" রচনা করেছিলেন। এটি একটি 'epic' বা মহাকাব্যিক কবিতা হিসেবে খ্যাত। অন্য একটি মহাকাব্য হচ্ছে " Paradise Regained"। এছাড়াও অন্যান্য ল্যাটিন কবিতা " On the Death of a Fair Infant," "At a vacation Exercise " ইত্যাদি রচনা করেছিলেন। তাঁর "On His Blindness" কবিতাটিতে তার ঈশ্বরের প্রতি কিছু কথা ব্যক্ত করেছেন যেখানে তিনি বলেছেন " when I consider how my light is spent, / Ere half my days, in this dark world and wide"......... কবি 1674 সালের 8 নভেম্বের লন্ডনে স্বগৃহে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য সনেট গুলির বৈশিষ্ট্য হলো এগুলো দেহেমনে পুরোপুরি পেত্রার্কীয় ধারার সনেট থেকে একেবারেই আলাদা ,স্বতন্ত্র। ইংরেজি সাহিত্যের পাশাপাশি ল্যাটিন সাহিত্যেও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।।
∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆
No comments:
Post a Comment