∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆
বিশেষ আলোচনা পর্ব
ভগবতী বন্দনা ও পুরাণ প্রসঙ্গ
=============*********=======≠=====
Doinik Sabder Methopath
Vol -281. Dt - 13.02.2021
৩০ মাঘ, ১৪২৭. শনিবার
÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷∆∆∆∆∆÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷
শ্রী সরস্বতীর অষ্টোত্তর শতনাম :
সর্বোত্তম নাম তার দেবী সরস্বতী।১
দেবগণ কৃত নাম হয় যে ভারতীয়।। ২
বেদকত্রী হয়ে দেবী হন বেদমাতা।৩
গীৰ্ব্বাণী নামে তিনি জগৎ বিখ্যাত 4
বাগদেবী হলেন তিনি বাক্য সৃষ্টি করি।৫
শ্বেতাম্বরধরা নাম শ্বেত বস্ত্র পরি ।।৬
বাক্যের স্বরূপ বলে বাণী নাম তার।৭
করেন অক্ষরা নামে জগৎ উদ্ধার॥৮
পদ্মাসনা নাম হল পদ্ম পরী বসি।৯
মুক্তি প্রদায়িনী বলে মােক্ষদা প্রবাসী ।।১০'
শ্বেতবীণা করে তাই শ্বেতবীণাধরা।১১
শ্বেতপদ্ম ধরি হন শ্বেতপদ্মকরা।১২
জগত তারণ হেতু জগদ্ধাত্রী নাম।১৩
ক্ষেমঙ্করী নামে হয় পূর্ণ মনস্কাম।১৪
অক্ষসূত্র করে তাই অক্ষসূত্রকরা।১৫
শুভঙ্করী নামে দেবী পালেন এ ধারা ১৬
কোন বিদ্যা নাহি হয় কৃপা বিনা তাঁর।
স্ব্বিদ্যা-অধিষ্ঠাত্রী নামটি তাহার ১৭
পাপনাশ করি হন দূরিত-নাশিনী।১৮
গন্ধৰ্ব্বেরা পূজে তারে বলি বীণাপাণি ১৯
সনকাদি ঋষিগণে বলে সনাতনী।২০
আদ্যাশক্তি ব’লে দেবী হন পুরাতনী।
মহেশ্বরী নাম তার মহেশ্বর-পুরে।২১
সাবিত্রী তাহার নাম হয় ব্রহ্মপুরে॥২২
বৈষ্ণবী নামেতে তিনি বিষ্ণুপুরে খ্যাত।২৩
ত্রৈলােক্য-জননী নামে সর্বত্র বিদিত ২৪
সর্বমন্ত্রময়ী নাম সামাদি বেদেতে।২৫
বিভাবরী নাম তার বিদিত জগতে ২৬
তুষ্টি নাম হ’ল করি সন্তোষ বিধান।২৭
পুষ্টি নাম হ’ল তার করি পুষ্টি ধান ২৮
ক্রোধ রূপা তিনি হন শত্রুর মন্দিরে।২৯
ধনেশ্বরী নাম তার কুবের-আগারে।৩০
ত্রিপুরা তাহার নাম বিখ্যাত ভুবনে।৩১
তপস্বিনী নাম তার মুনি তপোবনে।৩২
কুমারী তাহার নাম গৃহস্থের ঘরে॥৩৩
মহাভয়ঙ্করী নাম হয় দৈত্যপুরে।৩৪
ভক্তিবশ্যা নাম তার ভক্তের ভবনে।৩৫
উগ্রচণ্ডা নামে খ্যাত এ তিন ভুবনে।৩৬
বীরমাতা নামে খ্যাত হন ক্ষত্রকুলে।৩৭
বিজয়িনী নাম তার হয় রণস্থলে।৩৮
কুলাচাররত স্থানে শ্রীকুলসুন্দরী।৩৯
ত্রিভুবন মধ্যে দেবী শ্রী ভুবনেশ্বরী॥৪০
সিদ্ধিদাত্রী নাম তার সিদ্ধি দান করে।৪১
খেচরী নামেতে খ্যাত গগন মাঝারে৪২
বুদ্ধিদান করি দেবী হলেন বুদ্ধিদা।৪৩
বিতরণ করে জ্ঞান হলেন জ্ঞানদা॥৪৪
যােগিনীগণেরা ডাকে বলিয়া যােগিনী।৪৫
জ্ঞানীরা সকলে ভজে বলি মনস্বিনী।৪৬
মঙ্গলা নামেতে দেবী মঙ্গলদায়িনী।৪৭
বহ্নিতে তিনিই পুনঃ জ্বালিনীরূপিণী॥৪৮
গুণের অতীত বলে নাম যে নির্গুণ।৪৯
সৰ্ব্বগুণযুতা তাই নাম যে সণ্ডণা॥৫০
ক্লেশ নাশ করি দেবী ক্লেশ-বিনাশিনী।৫১
সুদক্ষ মন্ত্রণা দানে নাম যে মন্ত্রী॥৫২
আনন্দে সদাই মগ্ন সদানন্দময়ী।৫৩
বলিপ্রিয়া নামে তিনি সদা কৃপাময়ী॥৫৪
মন্দাকিনী নামে তিনি সাগরবাসিনী।৫৫
জয়দা নামেতে দেবী বিজয়দায়িনী।৫৬
বসুমতি রূপে তিনি পৃথিবীরূপিণী।৫৭
শ্মশানে তিনিই দেবী শ্মশানবাসিনী ৫৮
পার্বতী তিনিই দেবী তিনি শ্বেতবর্ণা।৫৯
বারাণসী-ধামে তিনি দেবী-অন্নপূর্ণা॥৬০
গুহ্যবিদ্যা খ্যাত তার বিদ্যার মাঝারে।৬১
পাৰ্ব্বর্তী তাহার নাম নগেন্দ্র-মন্দিরে।৬২
ক্ষমাণ্ডণে বিভূষিতা তাই ক্ষমাবতী।৬৩
পাতালে নাগিনী নামে তাহার বসতি।৬৪
দশভূজা নামে তিনি শ্রীদুর্গারমণী।৬৫
অষ্টাদশভূজা রূপে দুঃখ বিনাশিনী॥৬৬
গঙ্গা নামে জল রূপে বসতি ধরায়।৬৭
স্বর্গ ধাম মন্দাকিনী তাহাকেই কয় ৬৮
ভােগবতী নাম তার পাতাল-ভুবনে।৬৯
সতী নাম হয় তার মহেশ-ভবনে।৭০
অচিন্তা তাহার নাম চিন্তা বিনাশিয়া।৭১
সুমতি তাহার নাম বুদ্ধি ভিতরিয়া॥৭২
পুণ্যের আধার তাই নাম পুণ্যালয়া।৭৩
পীনােন্নতত্তনী স্তন উন্নত বলিয়া॥৭৪
করেতে লেখনি ধরি লেখনি-ধারিণী।৭৫
হাসিমুখ সদা তাই নাম স্মেরাননী॥৭৬
মহামায়া নামে তিনি মায়ার আধার।৭৭
গজেন্দ্র গমনা তাই ধীর গতি তার।৭৮
মধুর বচন তাই মধুর ভাষিণী।৭৯
নারায়ণ বামে তিনি হন নারায়ণী॥৮০
চন্ড মুন্ড বধে দেবী চামুণ্ডারূপিণী।৮১
প্রচণ্ডা রূপেতে তিনি দানব-ঘাতিনী ৮২
মেঘের বরণে নব নীল ঘনশ্যামা।৮৩
নীল সরস্বতী রূপে তিনি যে মা উমা॥৮৪
জীবের দুর্গতি নাশি দুর্গতি-হারিণী।৮৫
কামরূপ তিনি হন কামাক্ষ্যা বাসিনী॥৮৬
ময়ূর-বাহন তিনি সাজেন কৌমারী।৮৭
মুক্তকেশী নাম তার কেশ মুক্ত করে॥৮৮
অট্টহাসি বলে তারে হেরি উচ্চ হাস৷৮৯
পূণ্যশ্লোকা নামে তিনি জগতে প্রকাশ॥৯০
সুন্দর নিয়ম তার তাইত সুনীতি।৯১
কৈবল্যদায়িনী নাম দিয়ে মুক্তি ৯২
পরম ঈশ্বরী তিনি বিদিত ভুবনে।৯৩
গীতিপ্রিয়া নামে খ্যাত সঙ্গীত-ভবনে ৯৪
বামদেবী নাম তার জানে সর্বজন।৯৫
তরুণী নামেতে পূজে যত ভক্ত জন ৯৬
ক্ষোভকরি ক্ষোভহরি তিনি সরস্বতী।৯৭
ঐশ্বর্যশালী তাই নাম ভূতিমতী ৯৮
মন্দ মন্দ হাসি তাই নাম মন্দ হাসা।৯৯
সত্যবতী নাম তার তিনি সৰ্বভাষা ১০০
সিংহ হারি চড়ি দেবী শ্রীসিংহবাহিনী।১০১
থাকিয়া কমলবনে কমলবাসিনী॥১০২
তারাগণ মধ্যে তাঁর নাম অরুন্ধতী।১০৩
শবাসনা নামে তার সর্বোপরি স্থিতি ১০৪
গৌরী নামে বিভাষিত সৰ্ব্বত্র বিভূতি।১০৫
শিবকে করিয়া দূত নাম শিবদূতী।১০৬
সুরগণ মধ্যে তিনি দেবী সুরেশ্বরী।১০৭
মােক্ষদাত্রী নামে তিনি জগত-ঈশ্বরী॥১০৮
সরস্বতীর প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ঋগ্বেদে। বৈদিক যুগ থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত তিনি হিন্দুধর্মের একজন গুরুত্বপূর্ণ দেবী। হিন্দুরা বসন্তপঞ্চমী (মাঘ মাসের শুক্লাপঞ্চমী তিথি) তিথিতে সরস্বতী পূজা করে।এই দিন ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েদের হাতেখড়ি হয়।বৌদ্ধ ও পশ্চিম ও মধ্য ভারতে জৈনরাও সরস্বতীর পূজা করেন।জ্ঞান, সংগীত ও শিল্পকলার দেবী হিসেবে ভারতের বাইরে জাপান, ভিয়েতনাম, বালি (ইন্দোনেশিয়া) ও মায়ানমারেও সরস্বতী পূজার চল আছে।
দেবী সরস্বতী বাক্যের অধিষ্ঠাত্রী। বাক্য কী? বাক্য হলো সার্থক পদসমষ্টি। পদ কী? যা শক্তিবিশিষ্ট, তাকে পদ বলে। শক্তি হলো পদ ও তার অর্থের সম্বন্ধ। মহাভারত বলছে, ‘সসৃজে দণ্ডনীতি সা ত্রিষু লোকেষু বিশ্রুতা’ – সরস্বতী দণ্ডনীতির সৃষ্টি করেছিলেন। মহাকাব্যের প্রত্যেক পর্বের শুরুতে ‘নারায়ণং নমস্কৃত্য’ প্রভৃতি শ্লোকে দেবী সরস্বতীকে বন্দনা করা হয়েছে – ‘দেবীং সরস্বতীঞ্চৈব ততো জয়মুদীরয়েৎ’।
দেবী সরস্বতীর সঙ্গে দুটো বিষয় খুব গভীরভাবে সম্পৃক্ত – একটি হল নিরুক্ত (semantics), এবং অন্যটি দণ্ডনীতি, যাকে আমরা politics বলতে পারি। পদ ও তার অর্থের সম্পর্ক সাধারণত সিমান্টিক্সে আলোচিত হয়। কোনও একটি পদ দিয়ে অমুক বস্তু কেন বুঝব, সেটা কী শুধু একটি প্রথা বা বৃদ্ধব্যবহারজনিত? নাকি পদ (শব্দও বলতে পারি) যে পদার্থকে বোঝায়, সে দুটির (পদ ও পদার্থ) মধ্যে কোনও অন্তরঙ্গ নিবিড় সম্বন্ধ আছে? এ নিয়ে বহু কথা বিভিন্ন জায়গায় আলোচিত হয়েছে।
এটি বৈয়াকরণের বিষয় নয়। ‘সনৎসুজাতীয়-প্রকরণে’ বলা হয়েছে, যিনি শব্দগত অর্থ, ব্যুৎপত্তি প্রভৃতির ব্যাক্রিয়া অর্থাৎ তত্ত্বার্থ বোঝেন, তাঁকে বৈয়াকরণ বলে। ষড়ঙ্গের মধ্যে যেমন ব্যাকরণ আছে, তেমনি রয়েছে নিরুক্ত। আচার্য যাস্কের নিরুক্তের কথা পাওয়া যায় শাস্ত্রে। নিরুক্ত হলো নিঃশেষে ব্যাখ্যাত বা কথিত। পদের অবয়বশক্তি থেকে নির্বচন করে পদের অর্থ নিষ্কাশিত হয়। পদের অর্থের জন্য পদের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। স্পষ্টত বোঝা যাচ্ছে যে পদের শক্তিই পদার্থকে নির্দেশ করে। কোন শব্দ বা পদ দিয়ে কোন অর্থ বুঝব, তাকে এইভাবে বায়বীয় শক্তি দিয়ে বোঝার মধ্যে এক ধরণের রাজনীতি আছে। সে নিয়ে প্রচুর তত্ত্ব ও কথাবার্তা রয়েছে।
শাস্ত্রের যে দণ্ডনীতি, তা কেমন ধরনের রাজনীতি? পুরাণ বলে, দেবী সরস্বতী এই দণ্ডনীতির সৃষ্টি করেছিলেন। সাধারণত চার বিদ্যার কথা শাস্ত্রে পাওয়া যায় – আন্বীক্ষিকী, ত্রয়ী, বার্তা ও দণ্ডনীতি। আন্বীক্ষিকী হলো যুক্তিবিজ্ঞান। ত্রয়ী হল তিন বেদ, বার্তা হলো অর্থনীতি, এবং দণ্ডনীতি হলো রাজনীতি। আচার্য মনু যুক্তিবিজ্ঞানকে স্বতন্ত্রভাবে মানেননি। তিনি তিন বিদ্যার সমর্থক – ত্রয়ী, বার্তা, ও দণ্ডনীতি। যুক্তিবিজ্ঞানের বিষয়টি তাঁর মতে এই ত্রয়ীর অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ কিনা বেদের যুক্তি তাঁর কাছে শিরোধার্য।
কিন্তু বেদ তো শব্দ-প্রমাণ। তাঁকে বহু ক্ষেত্রে নির্বিচারে মেনে নিতে হয়। যুক্তিবিজ্ঞান নির্বিচারবাদের ঘোর বিরোধী। দেবতাদের গুরু আচার্য বৃহস্পতি আন্বীক্ষিকী ও ত্রয়ী, দুটিকেই মানেননি। দেবগুরু বার্তা ও দণ্ডনীতি, এই দুই বিদ্যা মেনেছেন। তাঁর অভিমত, অর্থনীতি ও রাজধর্ম জানলে যুক্তিবিজ্ঞান বা তিন বেদকে পৃথক বিদ্যা মানা নিষ্প্রয়োজন। এই দুই বিদ্যা – অর্থনীতি ও রাজনীতি – সব কিছুর নিয়ামক।
অসুরদের গুরু শুক্রাচার্য আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছেন। তিনি মনে করেন, বিদ্যার সংখ্যা এক, এবং সেটি হলো দণ্ডনীতি। একত্ববাদী শুক্র কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, ত্রয়ী, বার্তা ও আন্বীক্ষিকীর উৎস হলো দণ্ডনীতি বা রাজনীতি, যা সৃষ্টি করেছিলেন দেবী সরস্বতী। এতক্ষণ পদ ও পদার্থের সম্পর্ক নিয়ে যা বলা হচ্ছিল, তাকে ত্রয়ীর অন্তর্ভুক্ত করে বিবেচনা করলে রাজনীতির বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
শব্দ বা পদ কিংবা বাক্য দিয়ে কোন অর্থ বুঝবো তা যেমন শেষমেশ রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে, তেমনি যুক্তিশাস্ত্র, ত্রয়ী, অর্থনীতি, সব কিছুর অন্তিম নিয়ন্ত্রক হলো রাজনীতি বা দণ্ডনীতি। দণ্ডনীতি বলতে শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কিত প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত যে কোনও নীতিকে বোঝায়। শাসন হলো উপদেশ, দমন, নিয়ন্ত্রণ ও শাস্তি। নীতি হলো নৈতিকতা, রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি; ন্যায়, সাম-দান ইত্যাদি। বার্তা বা অর্থনীতিকে তাই এক কালে রাজনৈতিক অর্থনীতি বলা হতো। অর্থনীতির বিবর্তন ঘটেছিল প্রধানত নীতিশাস্ত্রের শাখা হিসাবে। অর্থনীতির যে দুটো উৎস – নৈতিকতা ও যন্ত্রবিদ্যা – তাদের রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ আছে। সর্বোপরি, অর্থনীতির সঙ্গে মানুষের লক্ষ্যের বা মানবকল্যাণের যোগ রয়েছে।
রাজনীতি পরম শিল্প। অর্থনীতি চূড়ান্তে এসে যোগ হয় নীতিশাস্ত্র ও রাজনীতির চর্চার সঙ্গে। আমাদের দেশে যে চার পুরুষার্থের কথা বলা হয়, তার প্রথমটি হল ধর্ম বা নীতি। ‘ধর্ম’ শব্দের একটি অর্থ হলো, যা ধন প্রদান করে। রাজধর্ম বা রাজনীতিও কিন্তু ধন প্রদান করে। ‘ধন’ শব্দ দিয়ে পার্থিব ও অপার্থিব, দু’প্রকার ধনকেই বুঝতে হবে। ক্ষত্রিয়রা মোক্ষের কথা ভাবে না। তাদের কাছে তিনটি পুরুষার্থ – ধর্ম, অর্থ ও কাম। যুধিষ্ঠির ধর্মপুত্র, ভীম কামকে বেশি গুরুত্ব দেন, কিন্তু অর্জুন বেশ পণ্ডিত মানুষ, তিনি বলছেন, অর্থই হলো পরম পুরুষার্থ। অপার্থিব ধনের কথা ঋষিরা ভাবতে পারেন। অর্জুনের মতে, পণ্ডিতরা যাকে ধর্ম বলে মনে করেন, তার উদ্ভব ধন থেকেই। ক্ষমতাশালী যাকে ধনে মারে তাকে প্রাণেও মারে এবং তার ধর্মও হরণ করে। অর্থ থেকেই ধর্ম, কাম ও স্বর্গ আসে। দারিদ্র জীবনের মহাপাপ।
" জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে। বীণারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমোঽস্তুতে।। নমঃভদ্রকাল্যৈ নমো নিত্যং নসরস্বত্যৈ নমো নমঃ। বেদ-বেদাঙ্গ-বেদান্ত-বিদ্যা-স্থানেভ্য এব চ।। এস স-চন্দন পুষ্পবিল্ব পত্রাঞ্জলি সরস্বতৈ নমঃ।।"
=================================
No comments:
Post a Comment