নিখিল রঞ্জন দাস
পিতা - বিজয় গোবিন্দ দাস
মাতা - জ্ঞানদা দাস
জন্ম - ১২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪১.
ঠিকানা - চন্দনপুর। উত্তর বাদলপুর। কাঁথি।
পূর্ব মেদিনীপুর।
পরিবার -
মালতি দাস।
দুই কন্যা - সুতপা ও সুজাতা।
দুই পুত্র - মৃণালকান্তি ও তুষার কান্তি।
পেশা - বালটিকুরি ইএসআই হসপিটাল
হেড ক্লার্ক।
বুকের ভেতর থেকে
বুকের ভেতর থেকে উঠে আসে
দুঃখের ঘ্রাণ
অন্যমনস্ক বাতাসে ঝড় তুলে
বয়ে এলো এলো পাথাড়ি
কখনো তোমার মুখ মনে পড়ে
আবার কখনো মনেও পড়ে না
টুপটাপ বৃষ্টি ঝরে চোখের জলের মতো
হিম রাত্রি এত দীর্ঘ
জাগরণে এত ক্লান্তি
ঘুমের ভেতর এত দুঃস্বপ্ন
পা বাড়ালেই কাঁটা ফোটে।
শূন্যতায় কোথায় দাঁড়াবো ?
চারিদিকে এত ঘন একাকীত্ব
মাঝে মাঝে তাই -
হৃদয় বিশ্বাসঘাতক হয়ে উঠলে
নিজেকে বড় ভয় হয়
সেই মুহূর্তে আমি আর একটা কসাই
কিছু আলাদা না।
.......…....../////.......
২.
এর চেয়ে নীরবতা ভালো ছিল
দুঃখি সেই সবচেয়ে
যার দুঃখের কাহিনী টুকু
শোনবার ও কেউ নেই
প্রিয়তম এই পৃথিবীতে।
সুখী সেই সবচেয়ে
যার দুঃখের প্রত্যাশা নেই
কারো কাছে আশা নেই
নেই ক্ষোভ কারোর বিরুদ্ধে।
-------_--------/////---------
৩.
ভালোবাসা : শব্দ শুধু
প্রেম
যেন এক ঈগলের ডানা
মহাশূন্যে নিক্ষিপ্ত বিশ্বাস
ভেঙেচুরে বহুবার বিমর্ষ ব্যথায়
তবুও আঁকড়ে ধরে বুকের গভীরে ফোটা
মুকুলের বুকভরা শিশিরের অনুভব,
আলিঙ্গন গাঢ় হলে রাত্রির প্রহর
কেন তবু মনে হয়
হৃদয়ের পোড়া গন্ধ জীবন দুর্ভার
বুঝি তাই
নির্বেদ জীবনসত্য
ভালোবাসা শব্দ শুধু
বহু ব্যবহারের মূল্যহীন অথবা
নগদ মূল্যে কেনা
কোন এক সবুজ
শিফন শাড়ি।
-----------/////----------
৪.
তুমি আবার এসো ফিরে
সন্ধ্যে হয়ে এলো তুমি এলে না -
অথচ ফিরে এলো সমস্ত পাখিরা
দিনের দর্পণ থেকে পৃথিবী মুখ ফিরিয়ে নিলে
রাত্রির আয়নায়
রাতের পাঠশালায় কয়েকটা পড়ুয়া নক্ষত্র
কি পড়ে স্তব্ধতার পাতা খুলে
প্রান্তরের নিঃশ্বাস লাগে চোখমুখে
অন্ধকার নিবিড় হয় নদীর বুকে
ইতস্তত: নুড়ির অক্ষর
কতকাল দেখিনি তোমাকে ভোরের প্রচ্ছদে
স্মৃতি ধাবমান ট্রেনের জানালায়
ছোট ছোট টিলার মতো পিছু হাঁটে।
------------/////-------------
৫.
সত্যি
আমার শুধু হারিয়ে যায় - সুখ
আমার শুধু ভেঙে যায় - স্বপ্ন
আমায় শুধু কাদায় - স্মৃতি
আমারিতো বিবাগী হওয়ার কথা
কিন্তু তা পারলাম কই !
ভালোবাসি বলে পথ চলতে
পিছুটান মনে হয় তুমি আছো
কিন্তু আসলে তুমি তো নেই !
----------/////--------
৬.
পিয়মুখচন্দা
আমায় তুমি ভালোবাসো
তাইতো আমি কবি
আমার এরূপ, সে যে তোমার
ভালোবাসার ছবি
আমার কাব্য লুকিয়ে ছিল
তোমার ভালোবাসায়
আমার প্রেম সফল হল
হঠাৎ তোমার আশায়
তোমায় ভালোবাসতে গিয়ে
আছি আছি বিভোর হয়ে
কাঁদছি আমি লিখছি আমি
তোমার স্মৃতি স্মরি
আমার জনম ধন্য ভাবি
আমি যেন তপ্ত হয়ে মরি
তোমায় আমি ভালোবাসি
তাইতো আমি কবি
তোমার ও রূপ সে যে আমার
ভালোবাসার ছবি।
--------///-----------
৭.
কত না অশ্রুজল
সামনে এই অশান্ত
সমুদ্রের ইশারায়
আমি তাকে বলেছিলাম
এসো নেমে যাই
উপত্যকার কোল ছোঁয়া দিগন্ত
রশ্মি পাতের ম্লান কাজল দিয়ে
চোখ ঠোঁট নড়ে নি
শুধু অস্ফুট সে বলেছিল
বড় ভয় পাই।
---------////-------
৮.
তুমি চিরন্তন
ভেতরে কে কথা বলে ওঠে সময় সময়
আমি শিউরে উঠি ভাবী
আবার কি হবে
সব শব্দ কোথায় তৈরি হয়
হাঁটু মোড়ানোর শব্দ
আমি সকলই আভাস পাই চকিতে
কেউ কি আমার মত দ্যাখে
কেউ কি আমার মত ভাবে
কোন তৃণ থেকে ছিটকে আসে তীর
তারপর ফেরে ফিরে আসে
আপন প্রকোষ্ঠে
আমাদের সুখ দুঃখ আমাদের ভালোবাসা
আমাদের ঘিরে রাখে মায়াবী রেখায়
তুমি জানোনা!
সে দোষ তোমার তোমারই
আমি চমকে উঠি আমি
শিউরে উঠি দেখি
ভাবি আবার সেই দৃশ্য
তুমি পুনর্বার সামনে এসে
চকিতে দাঁড়াও।
----++++--------///-------
৯.
কাজল লতা
আচ্ছা বুকে এত সুগন্ধ পেলে কোথায় !
কি মিষ্টি তোমার মধুর নামের, আহা-
কি মিষ্টি প্রকাশ তোমার প্রেমের
যা সবচেয়ে দামি
গুপ্ত বাক্সের ডালা তুলে দুটি আগুলে
তুমি যেন সবকিছুই নামিয়ে দিয়েছো
এই মাটিতে
কিন্তু তুমি জানতেনা
তুমি কত বড় দাম্ভিক আর অভিমানী
তাই বুকের বাইরে বেরিয়ে এসেই
আত্মহত্যা করে বসলে ,এক পলক তাকিয়ে
টুকরো টুকরো মৃত্যু নীলপাপড়ির
শরীর হয়ে
প্রেম তাই নবজন্মের ব্যর্থ পলাতক
সুরক্ষিত কপাট ছাড়া।।
-----------/////-------
১০.
এক জনমে নয়
তোমার উন্মুখ বৃত্তের উৎসারিত রক্তে
ডুবিয়ে নেব আমার উদাসীনতা
তোমার গোপন গর্ভে রেখে যাব
আমার আগামী দিনের প্রতিশ্রুতি,
তুমি যেন রাজি হয়ো না
প্রেমের আসনে বসিয়ে সাধনার ছবি
আর আসবো না আকন্ঠ দোগে
জেনে নেবো তোমার শরীর- আমোদ,
আমি যেন নির্বোধ কামুক এক গুন্ডুষে
পান করবো তোমার সমস্ত
যৌবনের মদ
পেয়ালায় যদি না ধরে মাফ করো
আমায় , আমি যে ওয়াদি পাউস।
---------------০০০০০--------------------
দৈনিক শব্দের মেঠোপথ
Doinik Sabder Methopath
Vol -316. Dt - 21.03.2021
৭ চৈত্র, ১৪২৭. রবিবার
∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆
No comments:
Post a Comment