Friday, 26 March 2021


মহাদেবী ফারুকাবাদে ২৬ই মার্চ ১৯০৭, এক কায়স্থ আইনজীবি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা গোবিন্দ প্রসাদ বর্মা আর মাতা হেমা রানী। তাঁর জগমহন আর মনমহন নামে দুটি ভাই ও শ্যামা নামে একটি বোন ছিল।ইন্দোরবাসী ডঃ স্বরূপ নারায়ন বর্মার সঙ্গে অনেক ছোট বেলায় মহাদেবী বর্মার বিবাহ হয়।মহাদেবী বর্মা এলাহাবাদ বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে ১৯২৯ সালে বি এ পাশ করেন, এবং ১৯৩৩ সালে এম এ পাশ করেন। ১৯৬৬ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর এলাহাবাদে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।

                       শিশুকালে তিনি আত্মজীবনী লেখেন "মেরা বচপন কি দিন"। অপেক্ষা কৃত উদারমনস্ক পরিবারে তার আনন্দের ছোটবেলা্র কথা সবিস্তারে বর্ণনা করেছেন।মাতা হেমাদেবী তাকে সাহিত্য চর্চায় উৎসাহিত করতেন।প্রাথমিক শিক্ষার জন্য তাকে কনভেন্ট স্কুলে ভর্তি করা হয় পরে ক্রস্থয়েট মহিলা কলেজে ভর্তি হন ।সেখানে ছাত্রীনিবাসে একতার শক্তি সম্পর্কে অবগত হন ।এই সময় থেকেই তিনি কবিতা লিখতে শুরু করেন।
ছায়াবাদী ঘরানার একজন গুরুত্বপূর্ণ কবি মহাদেবী বর্মা ।তিনি চিত্রকর হিসাবেও খ্যাতিলাভ করেন।তিনি অসংখ্য ছোট গল্প লেখেন।"গিল্লু" গল্পটির জন্য তিনি অনেক সমাদর পান ।          তাঁর গ্রন্থগুলি হল -

নীহার (১৯৩০)
রেশমী (১৯৩২)
নীরজা (১৯৩৪)
সন্ধ্যাগীত (১৯৩৬)
দীপশিখা (১৯৩৯)
                       অগ্নিরেখা (১৯৯০)                    (এটি তার মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়)


                       অসাধারণ সাহিত্যকর্মের জন্য অল্পকিছুদিনের মধ্যেই তিনি হিন্দী সাহিত্যজগতে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেন । ১৯৩৪ সালে হিন্দী সাহিত্য সম্মেলনে নীরজা গ্রন্থটির জন্য "সেক্ষরীয় পুরস্কার" লাভ করেন ।১৯৩৬ সালে তিনি জানপীঠ পুরস্কার পান "যাম" কবিতা সংকলনটির জন্য। এছাড়াও তিনি "পদ্মভূষণ" "পদ্মবিভূষণ " এবং "সাহিত্য একাদেমী পুরস্কার"ও পেয়েছেন।

মৃত্যু - ১১ই সেপ্টেম্বর ১৯৮৭।

মহাদেবী বর্মাজী হিন্দি সাহিত্যের একজন মহান কবি ও সুবিখ্যাত লেখিকা, নারী শিক্ষার প্রসারেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। উনাকে আধুনিক হিন্দি কাব্যধারার "ছায়াবাদ" ঘরাণার একজন উল্লেখযোগ্য কবি অনেকে মনে করে থাকেন।





∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆
দৈনিক শব্দের মেঠোপথ
Doinik sabder methopath
Vol - 322.Dt -26.03.2021
১২ চৈত্র,১৪২৭. শুক্রবার
============≠{{{(({{∆∆∆}}}}}}}========


No comments: