শতবর্ষের আলোকে
সত্যজিৎ রায়
২ মে ১৯২১ সালে (১৮ বৈশাখ ১৩২৮ বঙ্গাব্দ) কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। এঁর পিতামহ ছিলেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী (লেখক, চিত্রকর, ভারতীয় মুদ্রণশিল্পের পথিকৃত)। পিতার নাম সুকুমার রায় (প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক), মায়ের নাম সুপ্রভা দেবী। এঁদের আদি নিবাস ছিল বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার মসুয়া গ্রামে।
প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন তাঁর মায়ের কাছে। ৮ বৎসর বয়সে (১৯২৯ খ্রিস্টাব্দ) বালিগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যালয়ের পাঠ শেষে তিনি ভর্তি হন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ প্রেসিডেন্সি কলেজে। এই কলেজে প্রথম দু’ বছর বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেন। শেষ বছরে বিষয় পাল্টে তিনি অর্থনীতি পড়েন। ফলে তাঁর লেখাপড়ার সময় দীর্ঘতর হয়ে উঠে। এই সময়ে ইনি পাশ্চাত্য চিরায়ত চলচ্চিত্র এবং সঙ্গীত নিয়ে এতটাই আগ্রহী হয়ে উঠেন যে, তাঁর মূল পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে। শেষ পর্যন্ত তিনি ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বিএ (অনার্স) পাশ করেন।
মায়ের উৎসাহে সত্যজিৎ ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে শান্তিনিকেতনে যান এবং সেখানকার কলাভবনে ভর্তি হন। এই সূত্রে তিনি বিখ্যাত চিত্রশিল্পী নন্দলাল বসু এবং বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়ের কাছে শিক্ষালাভের সুযোগ পান। নিয়মানুযায়ী বিশ্বভারতীতে সত্যজিতের পাঁচ বছর পড়াশোনা করার কথা থাকলেও তার আগেই তিনি শান্তিনিকেতন ছেড়ে কলকাতায় চলে আসেন।
১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে ডি জে কেমার নামক ব্রিটিশ বিজ্ঞাপন সংস্থায় 'জুনিয়র ভিজুয়ালাইজার' পদে যোগদান করেন। এখানে তিনি বেতন পেতেন ৮০ টাকা। ইনি প্রথম বিজ্ঞাপনে ভারতীয় ধাঁচের ক্যালিওগ্রাফিক উপাদান ব্যবহার করা শুরু করেন। একই সঙ্গে তিনি অক্ষরশৈলীতে বিশেষ আগ্রাহী হয়ে উঠেন। তাঁর নকশা করা দুটি ফন্ট 'Ray Roman' এবং 'Ray Bizarre' ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পুরস্কার লাভ করেছিল।
এই সময় থেকে খুব আগ্রহ নিয়ে চলচ্চিত্র দেখা শুরু করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি কলকাতায় অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের সাথে যোগাযোগ করে নতুন মার্কিন চলচ্চিত্রগুলোর বিষয়ে খবর নিতেন। বিশেষ করে নরম্যান ক্লেয়ার নামের রয়্যাল এয়ারফোর্সের এক কর্মচারী এ বিষয়ে তাঁকে বিশেষ ভাবে সাহায্য করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে কলকাতার প্রেক্ষাগৃহগুলোতে হলিউডে নির্মিত প্রচুর ছবি দেখানো হতো। এই সূত্রে হলিউডের চলচ্চিত্রগুলো কলকাতার চলচ্চিত্র প্রেমিকদের কাছে প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছিল। ১৯৪৭ সালে সত্যজিৎ এবং বংশী চন্দ্রগুপ্ত কলকাতা ফিল্ম সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। এই সোসাইটিতে চলচ্চিত্র দেখানো হতো এবং এই বিষয়ে পরে ঘরোয়াভাবে আলোচনার ব্যবস্থা করা হতো। উল্লেখ্য এই সমিতি প্রথম প্রদর্শন করেছিল ‘ব্যাটেলশিপ পটেমকিন’। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে তৈরি নির্বাক চলচ্চিত্র। পরিচালক ছিলেন সোভিয়েত রাশিয়ার সেরগেই আইজেনস্টাইন।
সত্যজিৎ সাধারণ মানুষের কাছে ততটা পরিচিত হয়ে না উঠলেও, কলকাতার চলচ্চিত্র অঙ্গনে তাঁর নামটি বেশ সুপরিচিত হয়ে উঠেছিল। এই কারণেই ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে যখন ফরাসি চলচ্চিত্রকার জঁ রেনোর তাঁর দ্য রিভার ছবি নির্মাণের জন্য কলকাতায় আসেন, তখন সত্যজিৎকে তাঁর ছবির চিত্রগ্রহণের উপযোগী স্থান খোঁজার ক্ষেত্রে সাহায্যকারী হিসাবে খুঁজে নিয়েছিলেন। এটাই ছিল আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত কোনও প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকারের সঙ্গে তাঁর প্রথম পরিচয়। এই সময়ই তিনি রেনোর'র কাছে পথের পাঁচালী-র চলচ্চিত্রায়ণ নিয়ে আলাপ করেন। রেনোর এই বিষয়ে বিশেষ ভাবে তাঁকে উৎসাহিত করেন। এবং অনেকে মনে করেন, বাস্তবধর্মী চলচ্চিত্র নির্মাণের মৌলিক উপাদনগুলো সম্পর্কে রেনরো-র কাছ থেকে তিনি বিশেষ ধারণা লাভ করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে সত্যজিৎ তাঁর দূরসম্পর্কের বোন ও বহু দিনের বান্ধবী বিজয়া দাসকে বিয়ে করেন। রেনোর তাঁর ছবিতে সত্যজিতের বন্ধু বংশী চন্দ্রগুপ্তকে শিল্প নির্দেশক এবং সহযোগী হিসাবে নেন হরিসাধন দাসগুপ্তকে। এই ছবিতে সুব্রত মিত্রও ছিলেন। পরে ইনি সত্যজিৎ-এর ছবিতে সিনেমাটোগ্রাফার হিসাবে কাজ করেছেন। এই ছবিতে কাজ করার জন্য সত্যজিতের ইচ্ছা ছিল, কিন্তু তিনি তখনও বিজ্ঞাপন সংস্থায় শিল্প নির্দেশক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। এই সংস্থা সত্যজিৎকে তাদের লন্ডনস্থ প্রধান অফিসে কাজ করার জন্য পাঠান।সন্তান সন্দীপ রায় (পুত্র)।
লন্ডনে অবস্থানকালে তিনি প্রায় শ'খানেক চলচ্চিত্র দেখেন। এর ভিতরে ইতালীয় নব্য বাস্তবতাবাদী ছবি লাদ্রি দি বিচিক্লেত্তে (ইতালীয় Ladri di biciclette ইংরেজি Bicycle Thieves (সাইকেল চোর) দেখেন। এই ছবিটি তাঁকে পথের পাঁচালী তৈরিতে বিশেষ ভাবে উৎসাহিত করেছিল।
এই ছবি তৈরির জন্য পথের পাঁচালীর লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধবা স্ত্রী রমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে অনুমতি নেন। তিনি তাঁর জমানো টাকা, বিমা কোম্পানি থেকে গৃহীত ঋণ এবং কতিপয় বন্ধু ও আত্মীয় স্বজনের সহায়তায় ১৯৫২ সালের শেষ দিকে দৃশ্যগ্রহণ শুরু করেন। আর্থিক অসুবিধার কারণে, থেমে থেমে এই ছবি তৈরি করতে তাঁর প্রায় দীর্ঘ তিন বছর লেগে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ১৯৫৫ সালে ছবিটি নির্মাণ সম্পন্ন হয় ও সেই বছরের ২৬ আগস্ট তারিখে ছবিটি মুক্তি পায়। মুক্তি পাওয়ার পর পরই ছবিটি দর্শক-সমালোচক সবার অকুণ্ঠ প্রশংসা লাভ করে। ছবিটি বহু দিন ধরে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে এবং ভারতের বাইরে প্রদর্শিত হয়।
এই ছবির সাফল্যের পর তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনি ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে তৈরি করেন অপরাজিত । এই ছবি তাঁকে আন্তর্জাতিক মহলে উচ্চাসনে পৌঁছে দেয়। এই ছবির জন্য তিনি ভেনিসে গোল্ডেন লায়ন পুরস্কার লাভ করেন। 'অপু-ত্রয়ী' শেষ করার আগে সত্যজিৎ আরও দু’টি চলচ্চিত্র নির্মাণ সমাপ্ত করেন। প্রথমটি ছিল ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত পরশপাথর, আর পরেরটি ছিল জলসাঘর (১৯৫৮)। এর পর 'অপু-ত্রয়ী'-এর শেষ অপুর সংসার তৈরি করেন ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে।
আন্তর্জাতিক ভাবে সত্যজিৎ রায় চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসাবেই সর্বাধিক পরিচিত। কারণ, তাঁর সৃষ্ট ৩৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র, প্রামাণ্যচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিক ভাবে প্রচারিত হয়েছে সব চেয়ে বেশি। তাঁর নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র পথের পাঁচালী ১১টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছিল, এদের মধ্যে অন্যতম ছিল কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাওয়া "শ্রেষ্ঠ মানব দলিল" (Best Human Document) পুরস্কারটি। পথের পাঁচালি, অপরাজিত ও অপুর সংসার – এই তিনটি চলচ্চিত্রকে একত্রে 'অপু-ত্রয়ী' বলা হয়। এটি তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজ বা ম্যাগনাম ওপাস হিসাবে বহুল স্বীকৃত।
তিনি বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি চরিত্রের স্রষ্টা। একটি হল প্রাতিজনিক গোয়েন্দা ফেলুদা, অন্যটি বিজ্ঞানী প্রফেসর শঙ্কু। এছাড়া তিনি প্রচুর ছোটগল্প লিখেছেন যেগুলো বারটির সংকলনে প্রকাশ পেত এবং সংকলনগুলোর শিরোনামে “বার” শব্দটি বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হত (যেমন ‘‘একের পিঠে দুই”, “এক ডজন গপ্পো”, ইত্যাদি)। ধাঁধা ও শব্দ-কৌতুক (pun)-এর প্রতি তার আগ্রহ এ গল্পগুলোতে প্রকাশ পায়। অনেক সময় ফেলুদাকে ধাঁধাঁর সমাধান বের করে কোন কেসের রহস্য উন্মোচন করতে হত। ফেলুদার বিভিন্ন গল্পে তার সঙ্গী উপন্যাস-লেখক জটায়ু (লালমোহন গাঙ্গুলি), আর তার খুড়তুতো ভাই তপেশরঞ্জন মিত্র ওরফে তোপসে হচ্ছে গল্পের বর্ণনাকারী, যার ভূমিকা অনেকটা শার্লক হোমসের পার্শ্বচরিত্র ডক্টর ওয়াটসনের মত। প্রফেসর শঙ্কুর বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীগুলো ডায়েরী আকারে লেখা, যে ডায়েরী বিজ্ঞানীটির রহস্যময় অন্তর্ধানের পর খুঁজে পাওয়া যায়। সত্যজিতের ছোটগল্পগুলোতে অনিশ্চিত উৎকণ্ঠা, ভয় ও অন্যান্য বিষয়ে সত্যজিতের আগ্রহের ছাপ পড়ে, যে ব্যাপারগুলো তিনি চলচ্চিত্রে এড়িয়ে চলতেন। [৫২] সত্যজিতের অধিকাংশ রচনাই ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে এবং বর্তমানে তার বইগুলোর দ্বিতীয় প্রজন্মের পাঠকসমাজ গড়ে উঠেছে।
তার লেখা অধিকাংশ চিত্রনাট্যও “একশান” সাহিত্যপত্রে বাংলায় প্রকাশিত হয়েছে। সত্যজিৎ তার ছেলেবেলার কাহিনী নিয়ে লেখেন যখন ছোট ছিলাম (১৯৮২)। চলচ্চিত্রের ওপর লেখা তার প্রবন্ধের সংকলনগুলো হল: আওয়ার ফিল্মস, দেয়ার ফিল্মস (১৯৭৬), বিষয় চলচ্চিত্র (১৯৮২), এবং একেই বলে শুটিং (১৯৭৯)। ৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সত্যজিতের চলচ্চিত্র বিষয়ক নিবন্ধের একটি সঙ্কলন পশ্চিমে প্রকাশ পায়। এই বইটির নামও Our Films, Their Films। বইটির প্রথম অংশে সত্যজিৎ ভারতীয় চলচ্চিত্র নিয়ে আলোচনা করেন, এবং দ্বিতীয় অংশে হলিউড, কিছু পছন্দের চিত্রনির্মাতা (চার্লি চ্যাপলিন, আকিরা কুরোসাওয়া) ও ইতালীয় নব্যবাস্তবতাবাদের ওপর আলোচনা করেন। বিষয় চলচ্চিত্র বইটিতে চলচ্চিত্রের নানা বিষয়ে সত্যজিতের ব্যক্তিগত দর্শন আলোচিত হয়েছে। সম্প্রতি বইটির একটি ইংরেজি অনুবাদ Speaking of Films নামে প্রকাশ পেয়েছে। এছাড়াও সত্যজিৎ ‘‘তোড়ায় বাঁধা ঘোড়ার ডিম’’ নামে একটি ননসেন্স ছড়ার বই লেখেন, যেখানে লুইস ক্যারলের ‘‘জ্যাবারওয়কি’’-র একটি অনুবাদ রয়েছে।
সত্যজিৎ “রে রোমান” (Ray Roman) ও “রে বিজার” (Ray Bizarre) নামের দুইটি টাইপফেস নকশা করেন। এর মধ্যে রায় রোমান ১৯৭০ সালে একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার জেতে। চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণের অনেক পরেও কলকাতার কিছু মহলে তিনি একজন প্রভাবশালী গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সত্যজিত তার নিজের লেখা সমস্ত বইয়ের প্রচ্ছদ ও ভেতরের ছবি আঁকতেন। এছাড়া তার চলচ্চিত্রের সব বিজ্ঞাপনগুলোও তিনিই তৈরি করতেন।
১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে ঘরে বাইরে ছবির কাজ করার সময় সত্যজিতের হার্ট অ্যাটাক হয় এবং এ ঘটনার পর অবশিষ্ট নয় বছরে তাঁর কাজের পরিমাণ ছিল অত্যন্ত সীমিত। স্বাস্থ্যগত কারণে ঘরে বাইরে নির্মাণের সময় তাঁর ছেলে সন্দীপ রায়ের সহায়তা নিয়েছিলেন। উল্লেখ্য ১৯৮৪ সালে ছবিটি সমাপ্ত করেছিলেন। ১৯৮৭ সালে সত্যজিৎ তাঁর বাবা সুকুমার রায়ের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন। শারীরিক অসুস্থতার পরেও সত্যজিৎ তিনটি ছবি করেছিলেন। এই ছবি তিনটি হলো - গণশত্রু (১৮৮৯), শাখা প্রশাখা (১৯৯০), আগন্তুক (১৯৯০)।
১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে এপ্রিল হৃদরোগ প্রকট আকার ধারণ করলে সত্যজিৎ হাসপাতালে ভর্তি হন। মৃত্যুর কিছু সপ্তাহ আগে অত্যন্ত অসুস্থ ও শয্যাশায়ী অবস্থায় তিনি তাঁর জীবনের শেষ পুরস্কার সম্মানসূচক অস্কার গ্রহণ করেন।
পরিচালিত চলচ্চিত্র
অপু-ত্রয়ী
পথের পাঁচালী (১৯৫৫), অপরাজিত (১৯৫৬) ও অপুর সংসার (১৯৫৯)
কলকাতা-ত্রয়ী
প্রতিদ্বন্দ্বী (১৯৭০), সীমাবদ্ধ (১৯৭১) ও জন অরণ্য (১৯৭৬)
গুপি-বাঘা সিরিজ
গুপি গাইন বাঘা বাইন (১৯৬৯), হীরক রাজার দেশে (১৯৮০)
ফেলুদা সিরিজ
সোনার কেল্লা (১৯৭৪), জয়বাবা ফেলুনাথ (১৯৭৮)
অন্যান্য চলচ্চিত্র
পরশপাথর (১৯৫৮), জলসাঘর (১৯৫৮), দেবী (১৯৬০), তিন কন্যা (১৯৬১), কাঞ্চনজঙ্ঘা (১৯৬২), অভিযান (১৯৬২), মহানগর (১৯৬৩), চারুলতা (১৯৬৪), কাপুরুষ মহাপুরুষ (১৯৬৫), নায়ক (১৯৬৬), চিড়িয়াখানা (১৯৬৭), অরণ্যের দিনরাত্রি (১৯৭০), অশনি সঙ্কেত (১৯৭৩), শতরঞ্জ কি খিলাড়ি (১৯৭৭), সদগতি (১৯৮১), ঘরে বাইরে (১৯৮৪), গণশত্রু (১৯৮৯), শাখাপ্রশাখা (১৯৯০) এবং আগন্তুক (১৯৯১)।
তথ্যচিত্র
রবীন্দ্রনাথ টেগোর (১৯৬১), টু (১৯৬৪), সিকিম (১৯৭১), দ্য ইনার আই (১৯৭২), বালা (১৯৭৬), পিকু (১৯৮০) এবং সুকুমার রায় (১৯৮৭)
১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল সত্যজিৎ মৃত্যুবরণ করেন।
∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆
দৈনিক শব্দের মেঠোপথ
Doinik Sabder Methopath
Vol -360. Dt -02.04.2021
১৮ বৈশাখ,১৪২৮. রবিবার
=================================
No comments:
Post a Comment