সালমান রুশদি
তাঁর জন্ম ১৯ জুন, ১৯৪৭ মুম্বই । ১ম স্ত্রী পদ্মা লক্ষী (বিবাহ. ২০০৪–২০০৭) ২য় এলিজাবেথ ওয়েস্ট সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ১৯৯৭সালে ২০০৪),সন্তান - জাফর রুশদি ও মিলান রুশ।
১৯৮৮ সালে প্রকাশিত তার চতুর্থ উপন্যাস দ্য স্যাটানিক ভার্সেস বিশ্বব্যাপী একটি বড় আকারের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। বইটি প্রকাশের পর বেশ কয়েকটি দেশের মুসলিমরা প্রতিবাদ জানায় যা অনেক সময় সহিংস রূপ ধারণ করে। তাকে মৃত্যুর হুমকি দেয়া হয়। ইরানের প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি এই বই রচনার জন্য ১৯৮৯ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া জারি করেছিল।
রুশদি ১৯৯৯ সালের জানুয়ারিতে ফ্রান্সের Ordre des Arts et des Lettres-এর একজন কমান্ডার মনোনীত হন।২০০৭ সালের জুন মাসে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে নাইট ব্যাচেলর উপাধিতে ভূষিত করেন। ২০০৮ সালে দ্য টাইমস ১৯৪৫ সালের পর থেকে যুক্তরাজ্যের সেরা ৫০ জন সাহিত্যিকের তালিকায় তাকে ১৩তম স্থান প্রদান করে।
২০০০ সালের পর থেকে রুশদি মূলত নিউ ইয়র্ক সিটির ইউনিয়ন স্কোয়ার এলাকায় বাস করে আসছেন। ২০০৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় অবস্থিত ইমোরি ইউনিভার্সিটিতে ডিস্টিংগুইশড রাইটার ইন রেসিডেন্স হিসেবে ৫ বছরের জন্য কাজ শুরু করেন।২০০৮ সালের মে মাসে তাকে অ্যামেরিকান একাডেমি অফ আর্টস অ্যান্ড লেটারস এর একজন সম্মানসূচক বিদেশী সদস্য পদ প্রদান করা হয়।
২০১০ সালের নভেম্বরে তার রুকা অ্যান্ড দ্য ফায়ার অফ লাইফ উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়। সে বছরেরই শুরুর দিকে তিনি আত্মজীবনী রচনা শুরু করেছেন বলে ঘোষণা দেন.
সিনেমা
মিডনাইটস চিলড্রেন, Bridget Jones's Diary, Then She Found Me,
পুরস্কার:
ম্যান বুকার পুরস্কার, Costa Novel Award, The Best of the Booker,
আহমেদ সালমান রুশদি একজন ব্রিটিশ ভারতীয় ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক। তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস মিডনাইটস চিলড্রেন ১৯৮১ সালে ম্যান বুকার পুরস্কার অর্জন করেছিল। তার লেখার অনেকটা অংশ জুড়েই থাকে ভারতীয় উপমহাদেশ। বলা হয়ে থাকে যে তিনি জাদু বাস্তবতার সাথে ঐতিহাসিক কল্পকাহিনী একত্রিত করে লিখেন।
প্রথম পাতাকলকাতাপশ্চিমবঙ্গদেশবিদেশসম্পাদকের পাতাখেলাবিনোদনজীবন+ধারাজীবনরেখাফোটোব্যবসাঅন্যান্য
লুকিয়ে বাঁচতে চাই না: রুশদি
সংবাদ সংস্থা
প্যারিস ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:২০
এই বিজ্ঞাপনের পরে আরও খবর
কেটে গিয়েছে কয়েকটা দশক। ১৯৮৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাঁর নামে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছিলেন ইরানের তৎকালীন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা রুহোল্লা খোমেইনি। অপরাধ— ‘ধর্মদ্রোহ’। তাঁর কলম থেকেই যে বেরিয়েছিল ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’। খোমেইনি মারা গিয়েছেন, কিন্তু ‘ফতোয়া’ জারি থেকেছে বছরের পর বছর। সেই সময়ের সেই আতঙ্কের দিনগুলো নিয়ে প্যারিসে একটি সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন সলমন রুশদি। বললেন, ‘‘এ ভাবে লুকিয়ে বাঁচতে চাই না।’’
ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই লেখক ১৩ বছর বেনামে কাটিয়েছেন। প্রতিনিয়ত পুলিশি পাহারায় কার্যত ‘বন্দি’ থেকেছেন। রুশদি সম্প্রতি বলেছিলেন, ‘‘তখন ৪১ বছর বয়স ছিল। আর আজ আমি ৭১। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই ঠিক।’’ ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে ‘ছদ্মনামে’র জীবন থেকে বেরিয়ে আসেন রুশদি। তার বছর তিনেক আগেই তেহরান ঘোষণা করেছিল, লেখকের বিরুদ্ধে জারি হওয়া পরোয়ানা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। রুশদি এ দিন বলেন, ‘‘আমরা এমন একটা পৃথিবীতে বাস করি, যেখানে সব কিছু খুব দ্রুত বদলে যায়। এটা অনেক পুরনো একটা বিষয়। এখন ভয় পাওয়ার মতো আরও অনেক কারণ গজিয়ে উঠেছে। আরও অনেক লোক রয়েছেন, যাঁদের মাথার উপরে খাড়া ঝুলছে।’’ গত বিশ বছর ধরে নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা রুশদি। সম্প্রতি পূর্ব ফ্রান্সে একটি বই-উৎসবে তিনি বলেছিলেন, ‘‘এখন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবন কাটাই।’’ যদিও প্যারিসে এই সাক্ষাৎকার চলাকালীন ফরাসি প্রকাশকের দফতরের বাইরে পুলিশি পাহারা ছিল।
আমরা বাবা-মায়ের কথা শুনতাম, মসজিদে যেতে হবে বললে যেতাম। কিন্তু আমাদের একটা গোপন দ্বিতীয় জীবন ছিল। আমরা পার্টি করতাম, গাঁজা খেতাম, মেয়েদের সাথে বেড়াতে যেতাম এবং সম্ভব সবকিছুই করতাম।"
তখন আমি বাদামি চামড়ার বন্ধু চাইতাম না। আমার সব বন্ধুই ছিল শ্বেতাঙ্গ, উদার, সমাজের মূল ধারার - সেটাই ছিল আমার জগৎ।" তার ছাত্রজীবন ছিল খুবই আনন্দের, তার সঙ্গী ছিল মিউজিক, নাচ, ক্লাব ইত্যাদি
সাংবাদিক ইয়াসমিন স্যাটানিক ভার্সেস বইটি পড়লেন।
"আমি অবমাননা বোধ করিনি, আমি সে ধরণের মুসলিম নই। কিন্তু আমি ভাবলাম, সে কেন এটা করলো? আমার মনে হলো যে এটাতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে একটা উস্কানি দেয়া হচ্ছে" - বললেন তিনি।
যখন বইটি পোড়ানো শুরু হলো, তখন ইয়াসমিনের শ্বেতাঙ্গ বন্ধুরা অনেকেই ক্ষুব্ধ হলেন।
"খুব দ্রুতই এটা 'ওরা এবং আমরা' এমন একটা ব্যাপারে পরিণত হলো। কোন ডিনার পার্টিতে আমি রুশদীর ব্যাপারে ভিন্নমত প্রকাশ করলে লোকজন ঘর থেকে বেরিয়ে যেতো। কঠিন একটা অবস্থার সৃষ্টি হলো।"
ইয়াসমিন বলছিলেন, তার জন্য এটা একটা 'ঘুম ভেঙে জেগে ওঠার মত' ব্যাপার হলো।
"আমি একজন মুসলিম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলাম। আমি বললাম, আমি মুসলিম, আমার মা মুসলিম, পরিবার মুসলিম। শ্বেতাঙ্গ উদারপন্থীরা - যাদের সাথে আমি কাজ করতাম - তারা অবাক হলো। তারা কখনো আমাকে এভাবে দেখেনি। তাদের জন্য এটা অস্বস্তিকর হয়ে উঠলো।"
∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆
No comments:
Post a Comment