Friday, 9 July 2021

আলোচনা পর্ব। শিশু-কিশোর মনের কাল্পনিক চরিত্র। ০৯.০৭.২০২১. Vol -428 The blogger in literature e-magazine

শিশু-কিশোর মনের কাল্পনিক চরিত্র ও অন্যান্য চরিত্র।

=={{{{{{{{{{{{{{{{{==========={{{{{{{{{{{{{{{{{



প্রশ্নঃ অমিত ও লাবণ্য চরিত্র দুটির রচয়িতা কে? 
Ans: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রশ্নঃ ‘জয়গুন’ কোন উপন্যাসের চরিত্র? 
Ans: সূর্যদীঘল বাড়ি
প্রশ্নঃ ‘গয়া’ কোন গল্পের চরিত্র? 
Ans: মামলার ফল
প্রশ্নঃ ‘রতন’ চরিত্রটি রবীন্দ্রনাথের কোন ছোট গল্পের?
Ans: পোস্টমাস্টার
প্রশ্নঃ ‘মুর্দা ফকির’ চরিত্রটি কোন নাটকের? 
Ans: কবর
প্রশ্নঃ ‘তিলোত্তমা’ চরিত্রটির স্রষ্টা ঔপন্যাসিক- 
Ans: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
প্রশ্নঃ ‘আদুরী’ চরিত্রটি কোন নাটকের? 
Ans: নীলদর্পণ
প্রশ্নঃ ‘অপর্ণা’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যে নাটকের চরিত্র–
Ans: বিসর্জন
প্রশ্নঃ শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্যের বড়ায়ি কি ধরনের চরিত্র?
Ans: রাধাকৃষ্ণে প্রেমের দূতী
প্রশ্নঃ ‘রোহিনী’ কোন উপন্যাসের নায়িকা? 
Ans: কৃষ্ণকান্তের উইল
প্রশ্নঃ রোহিণী-বিনোদিনী-কিরণময়ী কোন গ্রন্থগুচ্ছের চরিত্র ? 
Ans: কৃষ্ণকান্তের উইল-চোখের বালি-চরিত্রহীন
প্রশ্নঃ ‘ঠকচাচা’ চরিত্রটি কোন উপন্যাসের? 
Ans: আলালের ঘরের দুলাল
প্রশ্নঃ নদের চাঁদ কোন পালাগানের চরিত্র?
Ans: মহুয়া
প্রশ্নঃ ‘অর্জুন’ চরিত্রটি কোন গ্রন্থের?
Ans: চিত্রাঙ্গদা
প্রশ্নঃ ‘গৃহদাহ’ উপন্যাসের প্রধান দুটি চরিত্রের নাম কি? 
Ans: সুরেশ ও অচলা
প্রশ্নঃ বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কিশোর চরিত্র কে? 
Ans: ইন্দ্রনাথ
প্রশ্নঃ মনসামঙ্গলের চরিত্র কোনটি?
Ans: সনকা
প্রশ্নঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মহেশ গল্পের প্রধান চরিত্র কে?
Ans: গফুর
প্রশ্নঃ বিদ্রোহী বালিকা বধূ ‘জামিলা’ কোন উপন্যাসের চরিত্র? 
Ans: লালসালু
প্রশ্নঃ জাগো বাহে কুণ্ঠে সবাই’- এই অবিস্মরণীয় আহ্বানউচ্চারণরণ করে কোন চরিত্রটি? 
Ans: সৈয়দ শামসুল হকের ‘নূরুল দীনের সারাজীবন’ নাটকের নূরুল দীন
প্রশ্নঃ ‘হেমাঙ্গিনী’ ও ‘কাদম্বিনী’ কোন বিখ্যাত গল্পের দুই চরিত্র? 
Ans: মেজদিদি
প্রশ্নঃ ‘অর্পণা’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন নাটকের নায়িকা? 
Ans: বিসর্জন
প্রশ্নঃ ‘রাজলক্ষ্মী’ চরিত্রের স্রষ্টা ঔপন্যাসিক- 
Ans: শরৎচন্দ্র
প্রশ্নঃ বড়াই ও ধারা চরিত্রদ্বয়ের স্রষ্টা কে? 
Ans: চণ্ডীদাস
প্রশ্নঃ ভাডুদত্ত কোন কাব্যের চরিত্র? 
Ans: চণ্ডীমঙ্গল
প্রশ্নঃ ‘অভয়া’ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কোন উপন্যাসের চরিত্র? 
Ans: শ্রীকান্ত
প্রশ্নঃ ধনপতি সওদাগর কোন নগরের অধিবাসী ছিলেন? 
Ans: উজানীনগর
প্রশ্নঃ কোন চরিত্রটি ‘লালসালু’ উপন্যাসে নেই? 
Ans: করিমা বিবি
প্রশ্নঃ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ উপন্যাসের প্রধান দুটি চরিত্রের নাম- 
Ans: গোবিন্দলাল ও রোহিনী
প্রশ্নঃ ভিখু, পাঁচী কোন গল্পের চরিত্র? 
Ans: প্রাগৈতিহাসিক
প্রশ্নঃ ‘রহমত’ চরিত্র কোন গল্পের? 
Ans: কাবুলিওয়ালা
প্রশ্নঃ ‘আলালের ঘরের দুলাল’ উপন্যাসের চরিত্র কোনটি? 
Ans: তিনটিই
প্রশ্নঃ ‘কপাল কুণ্ডলা’ উপন্যাসের নায়কের নাম কি? 
Ans: নবকুমার
প্রশ্নঃ শশী, কুসুম চরিত্র দুটির স্রষ্টা কে? 
Ans: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রশ্নঃ ‘অন্নদা দিদি’ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কোন উপন্যাসের চরিত্র? 
Ans: শ্রীকান্ত
প্রশ্নঃ ‘নিমচাঁদ’ চরিত্রের সাক্ষাৎ পাওয়া যায় কোন গ্রন্থে? 
Ans: সধবার একাদশী
প্রশ্নঃ শকুন্তলা চরিত্রটির স্রষ্টা কে? 
Ans: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
প্রশ্নঃ ‘চাঁদ সওদাগর’ বাংলা কোন কাব্যধারার চরিত্র? 
Ans: মনসামঙ্গল
প্রশ্নঃ ‘রাজলক্ষ্ণী’ চরিত্রের স্রষ্টা কোন ঔপন্যাসিক? 
Ans: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
প্রশ্নঃ ‘মৃন্ময়’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন ছোট গল্পের নায়িকা? 
Ans: সমাপ্তি
প্রশ্নঃ শর্মিলা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কোন উপন্যাসের নায়িকা? 
Ans: দুইবোন
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথের ‘ছুটি’ গল্পের চরিত্র কোনটি? 
Ans: ফটিক
প্রশ্নঃ অমিত ও লাবণ্য কোন উপন্যাসের চরিত্র? 
Ans: শেষের কবিতা
প্রশ্নঃ ‘রোহিণী’ চরিত্রটি কোন উপন্যাসের?
Ans: কৃষ্ণকান্তের উইল
প্রশ্নঃ নিচের কোনটি শরৎ সাহিত্যের চরিত্র নয় 
Ans: সুরবালা
প্রশ্নঃ ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাসের নায়ক কে? 
Ans: অমিত রায়
প্রশ্নঃ বড়াই ও রাধা চরিত্র দুটি কোন গ্রন্থের? 
Ans: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
প্রশ্নঃ ধর্মমঙ্গলের চরিত্র কোনটি?
Ans: তিনটিই
প্রশ্নঃ কোনটি ‘লালসালু ’ উপন্যাসের চরিত্র নয়?
Ans: মাজেদা
প্রশ্নঃ ‘কপাল কুণ্ডলা’ কোন প্রকৃতির রচনা? 
Ans: রোমান্সমূলক উপন্যাস
প্রশ্নঃ ‘বিষাদ সিন্ধু’ উপন্যাসের নায়কের নাম লিখুন? 
Ans: ইমাম হোসেন
প্রশ্নঃ ‘অপু ও দূর্গা’ চরিত্র দুটি কোন উপন্যাসের? 
Ans: পথের পাঁচালী
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিম্নোক্ত কোন তিনটি গল্পেই মুসলমান চরিত্র রয়েছে? 
Ans: ক্ষুধিত পাষাণ, মুকুট ও সুভা
প্রশ্নঃ খুল্লনা ও লহনা চরিত্রদ্বয় কোন কাব্যের অন্তর্গত? 
Ans: চণ্ডীমঙ্গল
প্রশ্নঃ ‘ঠক চাচা’ চরিত্রটি কোন উপন্যাসে পাওয়া যায? 
Ans: আলালের ঘরের দুলাল।



ব্যোমকেশ বক্সী
একেবারে টলস্টয়-এর স্টাইলে বর্ণনা করলে ব্যোমকেশের চেহারা দাঁড়ায়- ধারালো নাক, লম্বা গড়ন, একটু স্থূল মুখমণ্ডল। যাবতীয় জটিল রহস্যের জাল একটার পর একটা খুলে ফেলে সে বুদ্ধিদীপ্ত কৌশল ও শুভ বুদ্ধির দ্বারা। ব্যোমকেশের আছে এক আশ্চর্য বিশ্লেষণী দক্ষতা। সে কথা বলে কম। চেহারাটা বাইরে থেকে এমন করে রাখে যেন সহজে কেউ তার ভেতরটা পড়ে ফেলতে না পারে। ব্যোমকেশের সহযোগী বন্ধু অজিত। ব্যোমকেশ পুলিশের চাকরি না করেই সত্যের অনুসন্ধানে নিজেকে সর্বদা সচেষ্ট রাখে। একটি খুনের মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পরিচয় ঘটে কৃষ্ণকলি সত্যবতীর সঙ্গে। সেই পরিচয় পরিণয়ে রূপ নিতে বেশি সময় লাগেনি। বাংলা সাহিত্যের এই অনবদ্য গোয়েন্দা চরিত্রটির স্রষ্টা শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যোমকেশ বকশীকে নিয়ে তার কাহিনি মোট ৩৩টি। ১৯৩২ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত তিনি এই কাহিনিগুলো লিখেছেন। ব্যোমকেশকে নিয়ে লেখকের প্রথম বই ‘সত্যান্বেষী’। আজ আর শুধু বইয়ের পাতায় বন্দি নেই ব্যোমকেশ। তাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে টিভি সিরিজ, সিনেমা ও রেডিও অনুষ্ঠান।



ফেলুদা
বাংলা সাহিত্যে সত্যজিৎ রায়ের কিংবদন্তি গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদা। পুরো নাম প্রদোষচন্দ্র মিত্র। ১৯৬৫ সালে ডিসেম্বর মাসে ফেলুদার প্রথম গল্প ‘ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি’যখন প্রকাশিত হয় তখন রীতিমত চারিদিকে হই চই পড়ে যায়। ২১ রজনী সেন রোডে ফেলুদার বাস। ফেলুদা শার্লক হোমসের ফ্যান। রহস্য সমাধানে তিনি শারীরিক শক্তি কিংবা অস্ত্রের ব্যবহার করেন না। পর্যবেক্ষণ ও অসম্ভব বিশ্লেষণী ক্ষমতার মাধ্যমে তিনি একের পর এক রহস্যের জট খোলেন। জটায়ু নামে রহস্য উপন্যাস লেখেন ফেলুদার বন্ধু জনপ্রিয় লেখক লালমোহন বাবু। ফেলুদার সব অভিযান খাতায় লিপিবদ্ধ করে রাখে তপেশরঞ্জন মিত্র। ডাকনাম তোপসে। জনপ্রিয় এই গোয়েন্দা কাহিনিতে আমরা দেখা পাই সিধু জ্যাঠা, মগনলাল ও মেঘরাজের। ফেলুদার কাহিনি নিয়ে সিনেমা, টিভি সিরিজ, টেলিফিল্ম- এক কথায় সবই নির্মিত হয়েছে। ও হ্যাঁ, ফেলুদার ট্রেডমার্ক হল, চারমিনার সিগারেট।

কাকাবাবু
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের অমর সৃষ্টি রাজারায় চৌধুরী। যাকে সবাই ‘কাকাবাবু’ বলে চেনে। কাকাবাবু সরকারি চাকরি করেন। তার একটা পা ভাঙা, ক্রাচে ভর দিয়ে অতি কৌশলে হাঁটেন। এক পা খোঁড়া বলে লেখক বোধহয় ইচ্ছা করেই তার দুই হাতে অনেক জোর দিয়েছেন। কাকাবাবু অবিবাহিত। রহস্যের খোঁজ যেখানেই পান মুহূর্তে সেখানেই ছোটেন তিনি। তার অভিযানে সব সময়ের সঙ্গী সন্তু ওরফে সুনন্দ। মাঝে মাঝে সন্তুর বন্ধু জোজোও তাদের সঙ্গ নেয়। জোজো আবার স্বভাবে চাপাবাজ টাইপের। অন্যান্য চরিত্রের মধ্যে প্রায়ই দেখা পাওয়া যায় দেবলীনা দত্ত, শৈবাল দত্ত, রিনি ও নরেন্দ্র ভার্মাকে। ‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’ নামে আনন্দমেলা পত্রিকায় ১৯৭৯ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় কাকাবাবুর কাহিনি। ২০১২ সাল অর্থাৎ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সুনীল বাবু মোট ৩৬টি কাকাবাবুর কাহিনি লিখে গেছেন।

তিন গোয়েন্দা
রবার্ট আর্থারের ‘থ্রি ইনভেস্টিগেটরস’র ছায়া অবলম্বনে তিন গোয়েন্দা লেখা হয়। ১৯৮৫ সালের আগস্টে তিন গোয়েন্দা বের হওয়ার পর এতো জনপ্রিয় হয় যে, তিন গোয়েন্দার লেখক রকিব হাসান একটানা ১৬০টি বই লেখেন। পরবর্তীতে শামসুদ্দিন নওয়াবও তিন গোয়েন্দা সিরিজের কিছু বই লেখেন। তিন গোয়েন্দা হলো কিশোর পাশা, রবিন মিলফোর্ড ও মুসা আমান। তাদের বাস প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসের রকি বীচে। একমাত্র বাঙালি কিশোর পাশা। ছোটবেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা মাকে হারায়। বড় হয় চাচী মেরি ও চাচা রাশেদ পাশার কাছে। বই পাগল আমেরিকান রবিন মিলফোর্ড। দলের পেশীশক্তিওয়ালা মুসা আমান আমেরিকান-আফ্রিকান। স্যালভেজ ইয়ার্ডে পুরনো এক মোবাইল হোমে তাদের হেডকোয়ার্টার। এখান থেকেই তাদের সকল অপারেশন পরিচালিত হয়। তিন গোয়েন্দা পড়তে পড়তে আমরা একে একে পরিচিত হতে থাকি- ওমর শেরিফ, ক্যাপ্টেন ইয়ান ফ্লেচার, রাঁধুনি নিসানজা কিম, গোয়েন্দা ভিক্টর সাইমন, হলিউড মুভি পরিচালক ডেভিড ক্রিস্টোফার, চিরশত্রু শুঁটকি টেরি, কুকুর রাফি ও জর্জিনা পার্কারের সঙ্গে।    


টেনিদা : ‘
ডি-লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফিলিস ইয়াক ইয়াক’ সংলাপের মাধ্যমে সহজেই পাঠক হৃদয় দখল করে আছেন যিনি তিনি আমাদের টেনিদা ওরফে ভজহরি মুখার্জি। টেনিদা থাকেন কলকাতার পটলডাঙায়। তার মুখের গল্প শুনতে অনেকে ভিড় করে। তুখোড় গল্প বলিয়ে তিনি। ফুটবল মাঠে যেমন সেরা তিনি। আবার ক্রিকেট খেলার ক্যাপ্টেন। কেউ বিপদে পড়েছে সেখানে টেনিদা নেই- এটা হতে পারে না। তার পর্বতের মতো খাড়া নাক দেখে চমকে যায় পাঠক। মোট চারজনের টিম টেনিদার। এই চারজনকে নিয়েই তিনি বিভিন্ন অভিযানে বের হন। প্রত্যেক রহস্যের সমাধান না করা পর্যন্ত তাদের অভিযান থামে না। টেনিদার সঙ্গী প্যালারমতার সব কাহিনির বর্ণনাকারী। হাবুল সেন কথা বলে ঢাকাইয়া ভাষায়। টিমের মধ্যে সবচেয়ে চালাক ক্যাবলা। টেনিদাকে নিয়ে লেখা হয়েছে মোট ৫টি উপন্যাস, ৩২টি গল্প আর ১টি নাটিকা। এ ছাড়াও তৈরি হয়েছে কমিকস, মুভি ও অ্যানিমেটেড সিরিজ। বাংলা সাহিত্যের এই জনপ্রিয় চরিত্রটির কারিগর নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়।


ঘনাদা
প্রেমেন্দ্র মিত্র এর ‘মশা’ গল্পে প্রথম ঘনাদা ওরফে ঘনশ্যাম দাসের দেখা পাই। সেটা ১৯৪৫ সালের কথা। ঘনাদাকে নিয়ে ১৯৪৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত মোট পনেরোটি বই প্রকাশিত হয়। ঘনাদা ৭২ নং বনমালী লস্কর লেনে একটি মেসে থাকেন। মেসের প্রতিবেশী শিবু, শিশির, গৌর আর সুধীর এই চার যুবককে নিয়েই তার সব কাহিনি। ঘনাদা নিজের জীবনের নানা অভিযান সম্পর্কে আজগুবি ও অবিশ্বাস্য গল্প মুখে মুখে বানিয়ে শোনান। তবে বানানো গল্পের ভেতর বাস্তবের শক্ত ভীত থাকে। ঘনাদার গল্পগুলিতে তিনি নিজেই নায়ক। সবাই বিশ্বাস করে ঘনাদা বুদ্ধিতে তুলনাহীন। ঘনাদার আরেকটা পরিচয় তিনি খুব ভোজনরসিক। ঘনাদার গল্পে আমরা আরও দেখা পাই রাঁধুনি রামভুজ, বানোয়াড়ি, বাপী দত্ত, সুশীল চাকীর। ঘনাদার অধিকাংশ গল্প জুড়ে থাকে রোমাঞ্চ-ইতিহাস-ঐতিহ্য-বিজ্ঞান ও কল্পকাহিনি।



প্রফেসর শঙ্কু
সালটা ১৯৬১। সন্দেশ পত্রিকায় বের হলো ‘ ব্যোমযাত্রীর ডায়েরি’। সেখানে দেখা মেলে স্কটিশ চার্চ কলেজের অধ্যাপক প্রফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কুর। তিনি একজন পদার্থ বিজ্ঞানী ও আবিষ্কারক। অকুতোভয়, আত্মভোলা শঙ্কু ৬৯টি ভাষা জানেন। বিহারের গিরিডিতে তার কাজের ক্ষেত্র। অবিবাহিত বিজ্ঞানী হিসেবে তার খ্যাতি জগতজোড়া। শঙ্কুর আবিষ্কারের ঝুঁড়িতে আছে ৭২টি আবিষ্কার। তারমধ্যে কয়েকটি হলো, ম্যাঙ্গোরেঞ্জ, অ্যানাইহিলিন, নার্ভিগার, মিরাকিউরল, অমনিস্কোপ, ক্যামেরাপিড। পোষা বিড়াল নিউটন ও চাকর প্রহ্লাদকে নিয়েই তার কাজ কারবার। কখনো কখনো প্রতিবেশী অবিনাশ চট্টোপাধ্যায় ও শুভাকাঙ্ক্ষী নকুড় বাবুকেও আমরা দেখতে পাই। মঙ্গলগ্রহ থেকে শুরু করে ইংল্যান্ড, জার্মানি, জাপান, স্পেন এমনকি সাহারা মরুভূমি ও সমুদ্রের তলদেশেও তিনি অভিযান চালান। প্রফেসর শঙ্কু চরিত্রের অমর স্রষ্টা সত্যজিৎ রায় ১৯৬১ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত শঙ্কুকে নিয়ে মোট ৩৮টি সম্পূর্ণ ও ২টি অসম্পূর্ণ কাহিনি লিখেছেন।

∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆


No comments:

শুভ জন্মদিন শ্রদ্ধাঞ্জলি। রুনা লায়লা । খ্যাতনামা বাংলাদেশী কণ্ঠশিল্পী। তিনি বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, পপ ও আধুনিক সংগীতের জন্য বিখ্যাত। তবে বাংলাদেশের বাইরে গজল শিল্পী হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে তাঁর সুনাম আছে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতীয় এবং পাকিস্তানি চলচ্চিত্রের অনেক গানে তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন। রুনা লায়লা বাংলা, উর্দু, পাঞ্জাবি, হিন্দি, সিন্ধি, গুজরাটি, বেলুচি, পশতু, ফার্সি, আরবি, মালয়, নেপালি, জাপানি, স্পেনীয়, ফরাসি, লাতিন ও ইংরেজি ভাষাসহ মোট ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান করেছেন। Dt - 17.11.2024. Vol -1055. Sunday. The blogger post in literary e magazine.

রুনা লায়লা  (জন্ম: ১৭ নভেম্বর ১৯৫২ ----) একজন খ্যাতনামা বাংলাদেশী কণ্ঠশিল্পী। তিনি বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, পপ ও আধুনিক সংগীতের জন্য বিখ্যাত। ত...