মোরিস পোলিদর মারি বের্নার মাতরলাঁক (Maurice Polydore Marie Bernard Maeterlinck)
"The famous author had paid me the left-handed compliment of cribbing the most important part of my work ... He clearly desired his readers to infer that he had arrived at certain of my theories (the result of ten years of hard labour in the veld) by his own unaided reason, although he admits that he never saw a termite in his life. You must understand that it was not merely plagiarism of the spirit of a thing, so to speak. He has copied page after page verbally."
১৮৭৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাকে সাঁ-বার্বের জেসুই কলেজে প্রেরণ করা হয়, যেখানে ফরাসি রোমান্টিক রচনাকে অবজ্ঞা করা হতো এবং সেখানে শুধু ধর্মসম্বন্ধীয় নাটক অনুমোদিত ছিল । এই বিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতা ক্যাথলিক মন্ডলী এবং সেখানে সংগঠিত ধর্মের প্রতি তাঁর বিমুখতাকে প্রভাবিত করে।
১৯০১ সালে মাতরলাঁক
তিনি ছাত্রাবস্থায় কবিতা এবং ছোট গল্প রচনা করতেন । কিন্তু তার পিতা চাইতেন তাকে আইনজীবী বানাতে । ১৮৮৫ সালে গঁ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ক পড়া শেষ করার পর, তিনি কিছু মাস ফ্রান্স এর প্যারিস এ অতিবাহিত করেন । তাঁর সেখানে নতুন প্রতীকীবাদ আন্দোলনের কিছু সদস্যদের সাথে সাক্ষাত হয়, যাদের মধ্যে ভিলিয়ার্স দে এল'ইসলে অ্যাডাম ছিলেন একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, যিনি মাতরলাঁকের পরবর্তী রচনাসমূহ দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন ।
মাতরলাঁকের প্রথম নাটক, প্রিন্সেস মালেইন, ওক্টাভ মিরবোর কাছ থেকে এক উদ্যমী প্রশংসা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি একজন বিখ্যাত ব্যক্তিতে পরিণত হন; ল্য ফিগারো-এর সাহিত্য সমালোচক, আগস্ট, ১৮৯০ । পরবর্তী বছরসমূহে, তিনি অদৃষ্টবাদ এবং অতীন্দ্রি়বাদ দ্বারা চিহ্নিত প্রতীকীবাদী নাটক এর ক্রমধারা রচনা করেন, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইন্ট্রুডার (১৮৯০), দ্য ব্লাইন্ড (১৮৯০) এবং পেলিসেট মেলিসান্ড (১৮৯২)
১৮৯৫ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত শিল্পী ও অভিনেত্রী জর্জেট লেবলাঙ্ক এর সাথে অন্তরঙ্গ সম্পর্কে জড়িত ছিলেন । পরবর্তী দুই দশক মাতরলাঁকের কাজ লেবলাঙ্ককে প্রভাবিত করে। অ্যাগলাভ্যাইন এট সেলাইসেট নাটকের মধ্য দিয়ে মাতরলাঁক চরিত্র, বিশেষ করে নারী চরিত্র তৈরি করতে শুরু করেন, বেশির ভাগই তাদের ভাগ্যের উপর নিয়ন্ত্রিত ছিল । লেবলাঙ্ক মঞ্চে এইসব নারী চরিত্রে অভিনয় করতেন । যদিও অতীন্দ্রি়বাদ ও দর্শনশাস্ত্র তার কর্মজীবনে তার কাজকে প্রভাবিত করেছিল, তবুও সে ধীরে ধীরে তার প্রতীকীবাদকে আরও বেশি অস্তিত্ব-সম্বন্ধীয় রচনাশৈলী দিয়ে আগের বিষয়ে ফিরে আসেন ।
১৮৯৫ সালে তার পিতা-মাতা তার এই খোলামেলা সম্পর্ককে অসমর্থন করলে, মাতরলাঁক ও ল্যব্লঁ প্যারিস এর পাসি জেলায় চলে যান। ক্যাথলিক চার্চ তাকে তার স্পেনীয় স্বামীর থেকে তার বিবাহবিচ্ছেদে অনুমোদন দিতে অনিচ্ছুক ছিলেন । তারা প্রায়ই অতিথিদের (যেমন-মিরবো, জিন লরেইন ও পল ফোর্ট) আপ্যায়ন করতেন। তারা তাদের গ্রীষ্মের দিনগুলো নরম্যান্ড এ অতিবাহিত করতেন । এই সময়ের মধ্যে মাতরলাঁক তার "টুয়েলভ সংস" (১৮৯৬), "দ্য ট্রেজার অব দ্য হাম্বল" (১৮৯৬), "দ্য লাইফ অব দ্য বি" (১৯০১) এবং "অ্যারিয়ান এন্ড ব্লুবিয়ার্ড" (১৯০২) প্রকাশ করেন।
১৯০৩ সালে মাতরলাঁক নাটকীয় সাহিত্যের জন্য বেলজিয়াম সরকারের নিকট থেকে ত্রিবার্ষিক পুরস্কার পান ।এই সময়ে এবং মহাযুদ্ধের শুরুতে, তিনি একজন মহাজ্ঞানী ও সেই সময়ের উচ্চ ধ্যান-ধারণার মূর্তপ্রতীক হিসেবে সমগ্র ইউরোপে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন ।
১৯০৬ সালে মাতরলাঁক ও ল্যব্লঁ গ্র্যাস এর একটি বাগানবাড়িতে চলে আসেন । তিনি তার সময়গুলো হাঁটতে ও চিন্তার মধ্যে অতিবাহিত করতেন । যখন তিনি লেবলাঙ্কের থেকে দূরে সরে যাওয়ার টান অনুভব করতেন, তখন তিনি বিষণ্ণতায় ভোগতেন । তিনি তার অস্থিরতা বুঝতে পেরে নরম্যান্ডের সেইন্ট ভ্যান্ড্রিলেইনের বেনেডিক্টিন মঠকে খাজনা দেন তাকে এই অস্থিরতা থেকে আরাম দেওয়ার জন্য । মঠকে খাজনা দেওয়ার মাধ্যমে একটি রাসায়নিক কারখানাকে বিক্রি হওয়ার অপব্যবহার থেকে রক্ষা করেন এবং এভাবেই তিনি পোপের কাছ থেকে আশীর্বাদ পান । লেবলাঙ্ক প্রায়শই একজন মঠধারিণীর পোশাকে ঘুরে বেড়াতেন; তিনি রোলার স্কেইট পরিধান করে ঘরের আশপাশে ঘুরে বেড়াতেন । এই সময়, তিনি তার প্রবন্ধ "ফুলের বুদ্ধিমত্তা" (১৯০৬) রচনা করেন, যার মধ্যে তিনি সমাজতান্ত্রিক মনোভাবের সাথে সহানুভূতি প্রকাশ করেন। তিনি শ্রমিকদের বিভিন্ন সংস্থাকে এবং সমাজতান্ত্রিক দলকে অর্থ দান করেন । এই সময়, তিনি তার সর্বশ্রেষ্ঠ সাফল্যের জন্ম দিয়েছেন: রূপকথার নাটক, নীল পাখি(১৯০৮, তবে মূলত ১৯০৬ সালে লেখা হয়েছিল) । "ফুলের বুদ্ধিমত্তা" লেখার পর, তিনি অস্থিরতা ও লেখার প্রতিবন্ধকতায় ভোগেন । যদিও তিনি পরবর্তী এক বা দুই বছরে এই অসুখ থেকে সুস্থতা লাভ করেন, তবুও তিনি আগের উদ্ভাবনাগুলোর মতো আর কখনোই লেখতে পারেননি । তার পরবর্তী নাটকগুলি, যেমন মেরি-ভিক্টোয়ার (১৯০৭) ও মেরি ম্যাগডালেন (১৯১০), লেবলাঙ্কের জন্য নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রেখেছিল, লক্ষ্যণীয়ভাবে ইহা তার পূর্বসূরিদের থেকে নিম্নতর ছিল এবং কখনও কখনও কেবল তার পূর্বের ফর্মুলা পুনরাবৃত্তি করত। যদিও সেইন্ট ভ্যান্ডারিলে তার কিছু নাটক উন্মুক্তভাবে মঞ্চস্থ করা হয় এবং তা সফল হয়, তবুও মাতরলাঁক মনে করেছিলেন যে তিনি তার গোপনীয়তা হারাচ্ছেন । ১৯১০ সালের ১১ জুন, তার মায়ের মৃত্যু তাকে আবারও অস্থিরতায় ফেলে ।
১৯১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে মাতরলাঁক ডাহনকে বিয়ে করেন । তিনি আমেরিকার আমন্ত্রণ সাদরে গ্রহণ করেন । স্যামুয়েল গোল্ডউইন তার চলচ্চিত্রের জন্য তাকে কিছু চিত্রনাট্য রচনা করার অনুরোধ করেন । মাতরলাঁকের নতির শুধুমাত্র দুটি এখনও বিদ্যমান আছে; গোল্ডউইন সেগুলো ব্যবহার করেননি । মাতরলাঁক সেগুলো "মৌমাছির জীবনের" উপর ভিত্তি করে বানিয়েছিলেন । ইহার প্রথম কয়েক পাতা পড়ার পর গোল্ডউইন তার অফিসে বিস্ফারিত কন্ঠে চিৎকার করে বললেন, "ওহ্ ঈশ্বর, নাটকের নায়ক একটা মৌমাছি!"
রচনা কর্ম :
কাব্য
- সেরেস কডস (১৮৮৯)
- ডিওয চেনসন্স (১৮৯৬)
- কুইঞ্জ চেন্সন (ডিওয চেন্সন এর সম্প্রসারিত সংস্করণ:১৯০০)
নাটক
- লা প্রিন্সেস মালেইন (প্রিন্সেস মালেইন) (প্রকাশকাল ১৮৮৯)
- এল'ইন্ট্রাস (ইন্ট্রুডার) (প্রকাশকাল ১৮৯০; প্রথম মঞ্চস্থ ২১ মে ১৮৯১)
- লেস এভিউগলস (দ্য ব্লাইন্ড) (প্রকাশকাল ১৮৯০; প্রথম মঞ্চস্থ ৭ ডিসেম্বর ১৮৯১)
- লেস সেপ্ট প্রিন্সেসেস (দ্য সেভেন প্রিন্সেসেস) (প্রকাশকাল ১৮৯১)
- পেলিস এন্ড মেলিসান্ড (প্রকাশকাল ১৮৯২; প্রথম মঞ্চস্থ ১৭ মে ১৮৯৩)
- আলাদিন এট পেলোমাইডস (প্রকাশকাল ১৮৯৪)
- ইন্টেরিয়ার (ইন্টিরিয়র) (প্রকাশকাল ১৮৯৪; প্রথম মঞ্চস্থ ১৫ মার্চ ১৮৯৫)
- লা মোর্ট দে টিনটাগালস (দ্য ডেথ অব টিনটাগালস) (প্রকাশকাল ১৮৯৪)
- অ্যাগলাভ্যাইন এট সেলাইসেট (প্রথম মঞ্চস্থ ডিসেম্বর ১৮৯৬)
- অ্যারিয়ান এট বার্ব-ব্লিউ (অ্যারিয়ান এন্ড ব্লুবিয়ার্ড) (প্রথম প্রকাশ জার্মান অনুবাদে ১৮৯৯)
- সয়ার বিয়াটরাইস (সিস্টার বিটরাইস) (প্রকাশকাল ১৯০১)
- মন্না ভান্না (প্রথম মঞ্চস্থ মে ১৯০২; প্রকাশকাল ১৯০২)
- জয়যাল (প্রথম মঞ্চস্থ ২০ মে ১৯০৩; প্রকাশকাল ১৯০৩)
- লে মিরাকল দে সেইন্ট আনটয়েন (দ্য মিরাকল অব সেইন্ট এন্টনি) (প্রথম মঞ্চস্থ জার্মান অনুবাদে ১৯০৪)
- এল'ওইজিউ ব্লিউ (দ্য ব্লু বার্ড) (প্রথম মঞ্চস্থ ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯০৮)
- মেরি-ম্যাগডালাইন (মেরি ম্যাগডালেন) (প্রথম মঞ্চস্থ জার্মান অনুবাদে ১৯১০; ফ্রান্সে প্রকাশকাল ১৯১৩)
- লে বর্গমিস্ট্রে দে স্টিলমান্ড (প্রথম মঞ্চস্থ বুয়েনোস আইরেসে ১৯১৮; প্রকাশকাল ১৯১৯)
- লেস ফিয়ানকেইলস (প্রকাশকাল ১৯২২)
- দ্য ক্লাউড দ্যাট লিফ্টেড (প্রকাশকাল ১৯২৩)
- লে মালহিয়ার পাসে (প্রকাশকাল ১৯২৫)
- লা পুইসেন্স দেস মোর্টস (প্রকাশকাল ১৯২৬)
- বার্নিকুয়েল (প্রকাশকাল ১৯২৬)
- মেরি-ভিক্টোয়ার (প্রকাশকাল ১৯২৭)
- জুডাস দে কেরিওথ (প্রকাশকাল ১৯২৯)
- লা প্রিন্সেস ইসাবেল (প্রকাশকাল ১৯৩৫)
- জিন ডি'আর্ক (জোয়ান অব আর্ক) (প্রকাশকাল ১৯৪৮)
প্রবন্ধ
- "আওয়ার ফ্রেন্ড দ্য ডগ" ডড,মিড এন্ড কোম্পানি (পুনর্মুদ্রণ: সাইমন ও সাস্টার,১৯৪৩)
- লে ট্রেজর দেস হাম্বলেস (দ্য ট্রেজার অব দ্য হাম্বল):১৮৯৬
- লা সাগেস এট লা ডেস্টিনি (অভিজ্ঞতা ও ভাগ্য):১৮৯৮
- লা ভায় দেস এবায়েলস (মৌমাছির জীবন):১৯০১
- লে টেম্পল এনসেভেলি (প্রোথিত মন্দির):১৯০২
- লে ডাবল জার্ডিন (দ্বিভাগবিশিষ্ট বাগান):১৯০৪
- এল'ইনটেলিজেন্স দেস ফ্লেয়ার্স (ফুলের বুদ্ধিমত্তা):১৯০৭
- লা মোর্ট (আমাদের মৃত্যুর পরের জীবন, প্রথমে ইহার অসম্পূর্ণ সংস্করণ মৃত্যু শিরোনামে ১৯১১ সালে ইংরেজিতে প্রকাশ পায়;তারপর ১৯১৩ সালে ইহার সম্পূর্ণ সংস্করণ ফ্রেঞ্চে প্রকাশ পায়)
- এল'হোট ইনকনু (প্রথম প্রকাশ ইংরেজি অনুবাদে ১৯১৪;মুল সংস্করণ ফ্রেঞ্চে ১৯১৭)
- লেস ডেব্রিস দে লা গিউয়ার:১৯১৬
- লে গ্রান্ড সিক্রেট:১৯২১ (দ্য গ্রেট সিক্রেট:১৯২২)
- লা ভায় দেস টারমাইটস (উইপোকার জীবন):১৯২৬
- লা ভায় দে এল'এস্পেস (মহাশূন্যের জীবন):১৯২৮
- লা গ্রান্ড ফীরি:১৯২৯
- লা ভায় দেস ফোরমিস (পিঁপড়ার জীবন):১৯৩০
- এল'আরাইগনি দে ভিরি:১৯৩২
- আভান্ট লে গ্রান্ড সাইলেন্স (মহানীরবতার আগে):১৯৩৪
- এল'ওমব্রে দেস আইলস (পাখার ছায়া):১৯৩৬
- ডিভান্ট ডিউ:১৯৩৭
- এল'অটরে মান্ড ওঁ লে ক্যাডরেন স্টেলাইয়ার (অন্য দুনিয়া, অথবা নক্ষত্র প্রণালী):১৯৪১
স্মৃতিকথা
- বুলস ব্লুজ:১৯৪৮
অনুবাদ
- লে লিভ্রে দেস xii বিগুইন্স এন্ড এল'ওরনেমেন্ট দেস নোসেজ স্পিরিচুয়ালস(ফ্লেমিশ "রুজব্রোক" থেকে ফ্রেঞ্চে অনুবাদ করেন):১৮৮৫
- এল'ওরনেমেন্ট দেস নোসেজ স্পিরিচুয়ালস দে রুয়াইজব্রোক এল'এডমিরেবল:১৮৯১
- এনাবেলা, এন এডাপশন অব জন ফোর্ড'স 'টিস পিটি শি'স অ্যা হুর(মঞ্চস্থ ১৮৯৪)
- শেক্সপিয়রের "ম্যাকবেথ" অনুবাদ করে ১৯০৯ সালে মঞ্চস্থ করেন
সম্মাননা :
১৯২০: Order of Leopold[২৮] এর গ্রান্ড কর্ডন লাভ ।
১৯৩২: রাজা আলবার্ট এক রাজকীয় ফরমানের মাধ্যমে মরিসকে কোঁত উপাধিতে ভূষিত করেন। কিন্তু মরিস নিবন্ধীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ফরম পূরণে অবহেলা করায় তা আর বাস্তবায়ন হয়নি।
১৯১১ : সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, "তার বহুমুখী সাহিত্যকর্মের সমাদরের জন্যে এবং বিশেষ করে তার নাটকীয় কাজের জন্যে, যা তার কল্পনার প্রাচুর্যতা এবং ছন্দোময় কল্পনাশক্তির মাধ্যমে বিশিষ্টতা অর্জন করেছে, যা তার রূপকথার ছলের মধ্যে মাঝে মাঝে প্রকাশ করে এক গভীর উদ্দীপনা যখন তা এক রহস্যময়তার মধ্যে পাঠকদের অনুভূতি ও অন্তর স্পর্শ করে এবং তাদের কল্পনাকে উদ্দীপিত করে।"
১৯৩০ সালে তিনি একটা জমিদার বাড়ি কিনেন এবং এর নাম দেন ওরলামন্ড, যা তার রচিত কুইঞ্জ চ্যান্সন্সে দেখা যায় ।
১৯৩২ সালে বেলজিয়ামের রাজা প্রথম আলবার্ট তাকে কাম্ট উপাধি দেন ।
১৯৪০ সালে নিউইয়র্ক টাইমস এর একটি শিরোনাম অনুসারে, তিনি লিসবন থেকে গ্রিক লাইনার নিয়া হেলাসে করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পৌঁছান । তিনি বেলজিয়াম এবং ফ্রান্সে নাৎসি বাহিনীর আক্রমণ থেকে বাঁচতে লিসবন চলে আসেন । দ্য টাইমসকে তিনি বলেছেন, "আমি জানতাম যে যদি জার্মানরা আমাকে ধরতে পারতো, তাহলে আমাকে এক গুলিতে হত্যা করত । কারণ, আমাকে তারা আমার নাটকের ("স্টিলমান্ডের মেয়র" ১৯১৮ সালে বেলজিয়ামে জার্মানদের ব্যবসায় প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি করেছিল) জন্য জার্মানির শত্রু হিসেবে গণ্য করতো ।" আমেরিকায় তার আগে থেকেই যাতায়াত থাকায়, সে তখনও তার সুনামের জন্য আমেরিকানদের নৈমিত্তিক, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ফ্রান্সের প্রতি প্রচন্ড রকম মমত্ববোধ সম্পন্ন হিসেবে খুঁজে পান ।
যুদ্ধ শেষে ১৯৪৭ সালের ১০ আগস্ট তিনি নাইসে ফিরে আসেন । তিনি ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত বিশ্ব লেখক সমিতি পেন ইন্টারন্যাশনালের সভাপতি ছিলেন । ১৯৪৮ সালে, ফরাসি একাডেমি তাকে ফরাসি ভাষার জন্য পদক প্রদান করে । ৬ মে, ১৯৪৯ সালে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান
মৃত্যু - ৬ মে ১৯৪৯।
No comments:
Post a Comment