অ্যানি বেসান্ত
লন্ডন শহরে ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে ১ অক্টোবর অ্যানি বেসান্তের জন্ম হয় । পিতার নাম উইলিয়াম পেজউড । ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে রেভারেন্ড ফ্র্যাঙ্ক বেসান্তের সঙ্গে তার বিবাহ হয় । কিন্তু এ বিয়ে বেশিদিন টেকেনি । ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে এঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ।
১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে চার্লস ব্রেডলের সঙ্গে পরিচিত হয়ে ইনি সামাজিক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আন্দোলন আরম্ভ করেন । সেই সময় ইনি ‘ ফেবিয়ান সােসাইটির সদস্য হন।‘নােলটন প্যাম্ফলেট ’ নামে পুস্তিকা প্রকাশ করার অপরাধে এঁরা কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হন । কিন্তু আপিলে অব্যহতি পান । এই সময় তিনি ‘ অ্যানেক্স ’ ছদ্মনামে সংবাদপত্রে লিখতেন ।
১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে মাদাম ব্লাবাকীর প্রভাবে এসে অ্যানি Theosophical Society টির সদস্যা হন এবং নিরামিষ আহার শুরু করেন । এরপর ভারতবর্ষে এসে তিনি হিন্দুধর্ম গ্রহণ করেন এবং কাশীতে ‘ থিওসফিক্যাল সােসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন । ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি সেখানকার বিখ্যাত সেন্ট্রাল হিন্দু কলেজ স্থাপন করেন ।
নিজের রচিত গ্রন্থাবলির আয় তিনি জনহিতকর কাজে ব্যয় করতেন । কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের মূলে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন । অ্যানি বেসান্ত । ওই বিশ্ববিদ্যালয় পরে তাকে ডি . এল . উপাধিতে ভূষিত করেন ।
থিওসফিক্যাল সােসাইটি ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে প্রেসিডেন্ট পদে নিযুক্ত করেন । সমিতির পত্রিকা ‘ The Theosophist ’ – এর কাজে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ পর্যটন করেন ব্যাসান্ত । নিজের রাজনৈতিক মত প্রচারের উদ্দেশ্যে তিনি ‘ কমন উইন ’ নামে একটা পত্রিকা প্রকাশ করেন । পরে ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে ‘ ম্যাডরাস স্ট্যান্ডার্ড নামে দৈনিক সংবাদপত্রের স্বত্ব কিনে তিনি তা ‘ নিউ ইন্ডিয়া ’ নামে প্রকাশ করেন ।
১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে ইনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যােগদান করেন এবং দেশের সর্বত্র সভাসমিতি করে আর প্রবন্ধাদি লিখে স্বাধীনতা আন্দোলন পরিচালনা করতে শুরু করেন । এই কারণে তাঁকে কারাদণ্ড ভােগ করতে হয় । কারামুক্তির পরের বৎসরই ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় অনুষ্ঠিত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে ইনি সভানেত্রীর পদত্ব করেন ।
১৮৮০ এর দশকের শেষের দিকে তিনি বার্কবেক সাহিত্য ও বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করেন। সেখানে তার ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক কার্যক্রমে বিপদাশঙ্কা তৈরী হয়। এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের গভর্নরেরা তার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ আটকে দিতে চেয়েছিলেন।
তিনি অধিকারের জন্য লড়াই করেছেন, তার চিন্তা ভাবনা সঠিক ছিল, চিন্তার স্বাধীনতা থেকে শুরু করে, নারীর অধিকার, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, জন্ম নিয়ন্ত্রণ, ফ্যাবিয়ান সমাজতন্ত্র এবং শ্রমিকের অধিকার, সবই। তিনি চার্লস ব্র্যাডলফএর মতই জাতীয় ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ এবং সাউথ প্লেস এথিকাল সোসাইটির নেতৃস্থানীয় সদস্য ছিলেন।
বিবাহবিচ্ছেদ ফ্রাঙ্কের জন্য অবিশ্বাস্য ছিল, এবং এমনকি মধ্যবিত্ত শ্রেণীর নাগালের মধ্যেও ছিল না। অ্যানিকে তার সারা জীবন শ্রীমতি বেসান্ত হয়েই থাকতে হয়েছিল। প্রথমদিকে তিনি উভয় সন্তানের সাথেই যোগাযোগ রাখতে পেরেছিলেন এবং মাবেল তার সাথেই বসবাস করত; তিনি তার স্বামীর কাছ থেকে অল্প কিছু টাকাও পেতেন। ফ্রাঙ্ক বেসান্তকে ছেড়ে বেরিয়ে এসে, এবং চিন্তার নতুন স্রোতের দিকে উন্মুক্ত হয়ে, তিনি কেবল তার দীর্ঘস্থায়ী ধর্মীয় বিশ্বাসগুলিই নয়, বরং সমগ্র প্রচলিত চিন্তাভাবনাগুলি নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করলেন। তিনি গির্জাকে আক্রমণ করে এবং কিভাবে তারা মানুষের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করে তা নিয়ে লিখতে শুরু করলেন। বিশেষ করে তিনি ইংল্যান্ডের চার্চকে আক্রমণ করে লিখেছিলেন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশ্বাসের ধারক হিসাবে।
শীঘ্রই তিনি, এনএসএস এর সংবাদপত্র জাতীয় সংস্কারক এর জন্য লিখে সাপ্তাহিক মজুরি উপার্জন করা শুরু করলেন। এনএসএস একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তৈরীর উদ্দেশ্যে এবং খ্রিস্টানদের বিশেষ অবস্থা দেওয়ার বিরুদ্ধে সওয়াল করে এবং তাকে প্রবক্তা হিসাবে কাজ করার অনুমতি দেয়। জনতার মাঝে বক্তৃতা ভিক্টোরীয় যুগে খুব জনপ্রিয় বিনোদন ছিল। বেসান্ত সুবক্তা ছিলেন, এবং শীঘ্রই তার চাহিদা বেড়ে গেল। রেল ব্যবহার করে, তিনি দেশ জুড়ে ঘুরে বেড়াতেন, দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সব কথা বলতেন, সবসময় উন্নতি, সংস্কার এবং স্বাধীনতার দাবি করতেন। বহু বছর ধরে বেসান্ত ন্যাশনাল সেকুলার সোসাইটির নেতা, চার্লস ব্র্যাডলফ এর বন্ধু ছিলেন। প্রাক্তন সৈনিক ব্র্যাডলফ, বহুদিন থেকে বিবাহ বিচ্ছিন্ন ছিলেন; বেসান্ত তার ও তার মেয়েদের সাথে থাকতেন, এবং তারা অনেক প্রকল্পে একসঙ্গে কাজ করতেন। তিনি একজন নাস্তিক এবং একজন গণপ্রজাতন্ত্রী ছিলেন; তিনি নর্থাম্পটন সংসদ সদস্য (এমপি) হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। আমেরিকান জন্ম নিয়ন্ত্রণ অভিযানকারী চার্লস নোল্টন এর একটি বই ফ্রুটস অফ ফিলোসফি ১৮৭৭ সালে প্রকাশ করে, বেসান্ত এবং ব্র্যাডলফের নাম ঘরে ঘরে চর্চিত হতে থাকে। এতে দাবি করা হয়েছিল যে, শ্রমিক পরিবার কত সন্তান চায়, তা নির্ধারণ করতে না পারলে তারা কখনই সুখী হতে পারে না। এটিতে তাদের পরিবার ছোট রাখার উপায়ও বলা হয়েছিল। নোল্টনের বই অত্যন্ত বিতর্কিত ছিল, এবং গির্জাগুলি জোরালোভাবে এর বিরোধিতা করেছিল। বেসান্ত ও ব্র্যাডলফ জাতীয় সংস্কারকএ বলেন:
আমরা নৈতিকভাবে প্রতিরক্ষা করতে পারি না এমন কিছুই আমরা প্রকাশ করতে চাই না। আমরা যা প্রকাশ করি তাকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।[
তাদের দুজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং নোল্টনের বই প্রকাশের জন্য তারা বিচারের সম্মুখীন হন। তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়, কিন্তু আবেদনের ভিত্তিতে ছাড়া হয়। বিরোধিতার সঙ্গে সঙ্গে বেসান্ত ও ব্র্যাডলফ, লিবারেল প্রেসে, ব্যাপক সমর্থনও পেয়েছিলেন। চিঠিপত্রে এবং মতামত বিভাগে, এবং এর সঙ্গে আদালতেও যুক্তি ও পাল্টা যুক্তি চলতে থাকে। বিচারের সময় মলথুসিয়ান লীগ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বেসান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এই লীগ, গর্ভনিরোধের প্রচারে যে জরিমানা করা হ্ত তা বিলুপ্তির জন্য প্রচার চালাতে থাকে। কিছু সময়ের জন্য, মনে হচ্ছিল তাদের কারাগারে যেতে হবে। শেষ পর্যন্ত, অভিযোগগুলি যথাযথভাবে সাজানো হয়নি, এই প্রযুক্তিগত বিন্দুতে, মামলাটি রদ হয়ে যায়। এই ঘটনার ফলে বেসান্তের কাছ থেকে বাচ্ছাদের হেফাজত হাতছাড়া হয়। তার স্বামী আদালতকে বোঝাতে পেরেছিলেন যে, অ্যানি তাদের যত্ন নেওয়ার যোগ্য নন, এবং বাচ্ছাদের স্থায়ীভাবে তাকে হস্তান্তর করা হয়।
৬ই মার্চ ১৮৮১ সালে, তিনি, লীসেস্টারের হাম্বারস্টোন গেটে, লীসেস্টার সেকুলার সোসাইটির নতুন সেক্যুলার হলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। অন্যান্য বক্তারা ছিলেন জর্জ জেকব হোলিওক, হ্যারিয়েট ল এবং চার্লস ব্র্যাডলফ। ব্র্যাডলফের রাজনৈতিক সম্ভাবনা নোল্টন ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় নি এবং ১৮৮১ সালে তিনি সংসদে নির্বাচিত হন। তার নাস্তিকতার জন্য, আনুগত্যের শপথের পরিবর্তে তিনি নিশ্চিতকরণ করার অনুমতি চান। যখন নিশ্চিতকরণ প্রত্যাখ্যান করা হয়, ব্র্যাডলফ শপথ নিতে রাজি হন। কিন্তু এই বিকল্পটিকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। যদিও অনেক খ্রিস্টান ব্র্যাডলফের কথা শুনে বিস্মিত ছিল, অন্যরা (যেমন উদার নেতা গ্ল্যাডস্টোন) বিশ্বাসের স্বাধীনতার জন্য কথা বলেছিলেন। উপ-নির্বাচনের এবং আদালতে উপস্থিতির ধারাবাহিকতার পর বিষয়টি মিটতে (ব্র্যাডলফের পক্ষে) ছয় বছরেরও বেশি সময় নেয়। এর মধ্যে, বেসান্ত আইরিশ হোম রুলার্স দের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে যান এবং গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তার সংবাদপত্রে তাদের সমর্থন করতে থাকেন। এই সময় আইরিশ জাতীয়তাবাদীরা উদারপন্থী এবং মৌলবাদীদের সাথে একটি জোট গঠন করেন। বেসান্ত আইরিশ হোম রুল আন্দোলনের নেতাদের সাথে দেখা করেন। বিশেষ করে, যিনি ভূমিযুদ্ধের মাধ্যমে, জমিদারদের বিরুদ্ধে সরাসরি সংগ্রামে, আইরিশ কৃষককে সংগঠিত করতে চেয়েছিলেন, সেই মাইকেল ডেভিটের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তিনি পরবর্তী কয়েক দশক ধরে ডেভিট এবং তার ল্যান্ড লীগের পক্ষে অনেকবার বলেছিলেন এবং লিখেছিলেন।
ব্র্যাডলফের সংসদীয় কাজ ধীরে ধীরে বেসান্তকে তার থেকে বিচ্ছিন্ন করে। সংসদীয় রাজনীতিতে নারীর কোনো অংশ থাকত না। বেসান্ত আসল রাজনৈতিক নির্গমপথ খুঁজছিলেন, যেখানে একজন বক্তা, লেখক এবং সংগঠক হিসাবে তার দক্ষতা কিছু বাস্তব ভাল কাজ করতে পারবে।
বেসান্তের কাছে, রাজনীতি, বন্ধুত্ব ও ভালবাসা সবসময় ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত ছিল। লন্ডনে বসবাসরত সংগ্রামরত তরুণ আইরিশ লেখক জর্জ বার্নার্ড শ', এবং ফেবিয়ান সোসাইটির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, তার মধ্যে সমাজতন্ত্রের বীজ বপন করেছিল। অ্যানি শ'এর কাজের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন এবং ১৮৮০র দশকের প্রথম দিকে তার ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। শ'কে তার সাথে বসবাসের আমন্ত্রণ করে, প্রথম পদক্ষেপটি করেছিলেন বেসান্ত। এটি শ' প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, কিন্তু তিনিই বেসান্তকে ফেবিয়ান সোসাইটিতে যোগ দিতে সাহায্য করেছিলেন। প্রথম দিকে, রাজনৈতিক পুঁজিবাদী বিকল্প ব্যবস্থার পরিবর্তে সমাজটি আধ্যাত্মিক ব্যক্তিদের একত্রিত করছিল।বেসান্ত ফেবিয়ানদের জন্য লিখতে শুরু করলেন। এই নতুন গৃহীত দায়িত্ব – এবং শ'এর সঙ্গে তার সম্পর্ক – বেসান্তের সঙ্গে ব্র্যাডলফের, যিনি যেকোন ধরনের সমাজতন্ত্রের বিরোধিতা করতেন, মধ্যে দূরত্ব রচনা করল। যদিও ব্র্যাডলফ যেকোন মূল্যে বাকস্বাধীনতা রক্ষার পক্ষে ছিলেন, কিন্তু তিনি শ্রমিকশ্রেণির জঙ্গিবাদকে উৎসাহিত করার বিষয়ে খুব সতর্ক ছিলেন। বেকারত্ব ছিল সে সময়ের একটি কেন্দ্রীয় বিষয়, এবং ১৮৮৭ সালে লন্ডনের কিছু বেকার ট্রাফালগার স্কয়ারে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে। ১৩ই নভেম্বরের সভায় বক্তব্য রাখতে রাজি হন বেসান্ত। পুলিশ জমায়েতকে আটকানোর চেষ্টা করে, লড়াই শুরু হয়, এবং সৈন্য ডাকা হয়। অনেকে আহত হন, একজন মারা যান, এবং অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়; বেসান্ত নিজেই গ্রেফতার বরণ করতে যান, কিন্তু পুলিশ তা স্বীকার করেনি।ঘটনাটি একটি সংবেদন তৈরি করে, এবং রক্তাক্ত রবিবার হিসাবে পরিচিত হয়ে ওঠে। বেসান্তকে এর জন্য ব্যাপকভাবে দায়ী করা - বা তার জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়। তিনি কারাগারে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য আইনি সহায়তা আয়োজনে এবং তাদের পরিবারের জন্য সমর্থন দেওয়ার জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ব্র্যাডলফ তার সাথে বিচ্ছেদ ঘটান, কারণ তার মনে হয়েছিল যে, সভায় এগিয়ে যাওয়ার আগে বেসান্তের তার পরামর্শ নেওয়া উচিত ছিল। এই সময়ে তার আরেকটি কার্যকলাপ ছিল ১৮৮৮ সালের লন্ডন দেশলাই কারখানা কর্মী ধর্মঘট। তিনি তরুণ সমাজতান্ত্রিক, হার্বার্ট বারোজ দ্বারা এই "নতুন ইউনিয়নবাদ" এ আকৃষ্ট হয়েছিলেন। তিনি বো, লন্ডনএর ব্রায়ান্ট এবং মে এর দেশলাই কারখানা কর্মীরা, যারা প্রধানত তরুণী ছিল এবং খুব সামান্য বেতন পেত, তাদের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। তারাও হাড় ক্ষয়ের ফসসি চোয়ালএর মত শিল্প সংক্রান্ত অসুস্থতার শিকার ছিল। এটি দেশলাই উৎপাদনে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্বারা সৃষ্ট হত। কিছু দেশলাই কর্মী, ইউনিয়ন গড়ে তোলার জন্য, বারোজ এবং বেসান্তের সাহায্য চেয়েছিল।
‘Home Rule League ’ স্থাপন করে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে বিখ্যাত হােমরুল আন্দোলনের ইনিই ছিলেন প্রধান পরিচালিকা।
১৯২৬-২৭ খ্রিস্টাব্দে ইনি জিদ্দু কৃষ্ণমূর্তির সঙ্গে ইংল্যান্ড ও আমেরিক ভ্রমণ করেন এবং সেখানে তাঁকে নতুন ত্রাণকর্তা হিসাবে প্রচার করেন । তাঁর লিখিত গ্রন্থগুলাে সাধারণ মানুষের কাছে বিশেষভাবে সমাদৃত ।
অ্যানি বেসান্ত পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় নেন ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে । পরিতাপের বিষয় হল , একজন বিদেশিনী হয়েও ভারতকে যিনি স্বদেশ হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন , খ্রিস্টধর্ম ছেড়ে যিনি সনাতন হিন্দুধর্মে দীক্ষা নিয়েছিলেন সেই অ্যানি বেসান্ত সম্পর্কে তেমন কিছু করা হয়নি । জাতীয় কংগ্রেস দীর্ঘদিন ভারত শাসন করেছে , কিন্তু তাদের সংগঠনের একজন সভাপতির স্মৃতিরক্ষায় তেমন কিছুই করেননি । একজন বিদেশিনী হয়েও অ্যানির ভারতীয় সমাজ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল হয়ে ওঠার ঘটনা ভগিনী নিবেদিতার সঙ্গে তুলনীয় । এঁরা দু’জনই হিন্দুধর্ম গ্রহণ করেছিলেন ।
========{===={{{===========∆∆∆∆==
No comments:
Post a Comment