দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চরম প্রাণঘাতী অধ্যায়ে হিটলারের আক্রোশে কোটি কোটি মানুষের মৃত্যু , দেশহারা লাখো ইহুদি। দেশান্তরী হওয়া ইহুদিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন জার্মান-সুইডিশ নোবেল বিজয়ী কবি ও নাট্যকার নেলি সাক্স।
১৮৯১ সালের ১০ ডিসেম্বর জার্মানির বার্লিনে এক ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মাত্র ১৭ বছর বয়সে কবিতা ও গল্প লেখা শুরু করেন সাক্স। জার্মানির পত্রপত্রিকায় তার লেখা গুরুত্ব সহকারে প্রকাশও করে জার্মান পত্রিকাগুলো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরের বছর ১৯৪০ সালে মাকে নিয়ে জার্মানি থেকে পালিয়ে সুইডেন চলে যান সাক্স। সেখানে গিয়েও জার্মানির গুপ্তচর পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে পারেন নি তারা। তাদেরকে এক সপ্তাহ পর ক্যাম্পে নৌ রিপোর্ট করতে বলা হয়। কিন্তু ১৯০৯ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী প্রথম মহিলা কবি লেগারলফের সহায়তায় তারা সে যাত্রায় বেঁচে যান। নেলি সাক্স ও তার মাকে আশ্রয় দিতে সুইডিশ রাজপরিবারকে বিশেষ অনুরোধ করেছিলেন লেগারলফ। 15 বছর বয়সে পড়ার পর Gosta Berling , সুইডিশ ঔপন্যাসিক সেলমা ল্যাগারলফ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর সাথে একটি চিঠিপত্র শুরু করেন যিনি সাহিত্য পুরস্কারে বিজয়ী প্রথম মহিলা ছিলেন। এই চিঠিতে লেজারলফ তরুণ অসাধু বন্ধুত্বের মূল ভিত্তি স্থাপন করার সময় উপদেশ লেখার পরামর্শ দিয়েছেন - চিঠিপত্রটি 35 বছর ধরে চলছে, শেষ মুহূর্তে ল্যাজারলফ জার্মানির কাছ থেকে শ্যাসের পালানোর ব্যবস্থা করেছিলেন।সীমান্ত এলাকায় শরণার্থী শিবিরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাক্স এতটাই ভয় পেয়েছিলেন, এক পর্যায়ে তিনি প্রায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরবর্তী সময়ে লেগারলফের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন সাক্স।
রিফিউজি হিসেবে সুইডেন পালিয়ে যাওয়ার পর সাক্স তার মাকে নিয়ে এক কামরার ছোট্ট একটি বাসা ভাড়া নেন। তারপর জীবিকা নির্বাহের জন্য অনুবাদক হিসেবে কাজ শুরু করেন। স্টকহোমেই সাক্স তার বাকি জীবন অতিবাহিত করেন। খুব দ্রুত সাক্স সুইডিশ ভাষা রপ্ত করেন এবং ১৯৫২ সালে সেখানকার নাগরিকত্ব লাভ করেন। সে সময়ে বিশ্বযুদ্ধ ও সার্বিক সামাজিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তার অনেক শক্তিশালী কবিতা ও নাটক রয়েছে। ১৯৫০ সালে তার মায়ের মৃত্যু হলে তিনি ভীষণ ভেঙে পড়েন। নানান প্রতিকূলতা ও নিগ্রহ তার জীবনকে এক রকম স্থবির করে দেয়।
নেলি সাক্স প্রথম জীবনে মূলত রোমান্টিক ধারার কবিতা লিখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা আর তার পলাতক জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত তার কাব্যভাষায় আনে বিরাট পরিবর্তন। তার অনেক লেখা ইহুদিদের প্রতি নাৎসি বাহিনীর নির্যাতন মুখপাত্রের ভূমিকা হিসেবে কাজ করেছিল। সংকটময় ও কণ্টকাকীর্ণ জীবনে তিনি বেশ কিছু অসাধারণ রচনার জন্ম দিয়ে গেছেন।
রচনা কর্ম :
‘ডেথ’ [১৯৪৬],
‘এক্লিপস অব স্টারস’ [১৯৪৯], ‘
নো ওয়ান নোস্ হয়ার টু গো’ [১৯৫৭],
‘ফ্লাইট অ্যান্ড মেটামরফোসিস’ [১৯৫৯]
এবং নাটক ‘ইলি’ [১৯৫১] ইত্যাদি।
১৯৬৬ সালে নেলি সাক্স সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। এ ছাড়াও লেখালেখির জন্য অনেক স্বীকৃতি ও সম্মাননা রয়েছে তার। ১৯৬৫ সালে জার্মান বুক ট্রেড কর্তৃক অর্জন করেন পিস-প্রাইজ। বিবিধ কষ্ট ও গ্লানিময় এক জীবন পার করা সত্ত্বেও সৃষ্টিশীলতা তথা লেখালেখির সঙ্গে কখনও আপস করেননি তিনি।
১৯৭০ সালের ১২ মে ৭৮ বছর বয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নেলি সাক্স মৃত্যুবরণ করেন।
কবিতা পাঠ।
১.
গ্লেন্দে রাটসেল II" ("জ্বলন্ত কৌতুক II")
চরম মধ্যে সরাসরি চুবান
ব্যথা সঙ্গে লুকানো এবং অনুসন্ধান খেলা না
আমি যদি আমার মুখের মধ্যে বালি নিতে শুধুমাত্র আপনি চাইতে পারেন
তাই আমি পুনরুত্থান স্বাদ করতে পারেন
আপনি সব আমার বিষাদ পরিত্যক্ত আছে
এবং আপনি আমার ভালবাসা থেকে বিচ্ছিন্ন, প্রিয় বেশী।
২.
ইমমার নোকাম মারা যান স্টিরেন জেস্ল্লুংজেন" ("এখনও তার কপালের চারপাশে লুপড")
এখনও আপনার কপাল কাছাকাছি looped
অসুস্থতা এর কঠোর দিগন্ত
যুদ্ধ চলমান বিদ্রোহ সঙ্গে -
রেসকিউ দড়ি অলস মধ্যে নিক্ষিপ্ত
রাতে ডুবে যাওয়া তাদের ধরতে
হে-এ-হে-একটি
স্বর একটি ঘূর্ণায়মান সমুদ্র মধ্যে cradled
শব্দ সব সর্বস্বান্ত চলে গেছে।
৩.
ডেক গিকরুমে লেনি ডেস লিডেনস"
("দুঃখের চূড়ান্ত লাইন")
দুঃখের কুটিল লাইন
গডফায়ার বরাবর tumbling
মহাবিশ্বের জ্যামিতি
চিরতরে আলো নেতৃত্বের ট্রিল উপর
এবং পতনশীল অসুস্থতা আবার dimmed
শেষ পৌঁছানোর উদাসীন -
৪.
Diese Nacht "(" শেষ নাইট ")
গত রাত
আমি একটি অন্ধকার পাশ রাস্তায় নিচে হাঁটা ছিল
কোণার কাছাকাছি
আমার ছায়া নিচে রাখা
আমার বাহুতে
এই ক্লান্ত পোশাক
বহন করা চেয়েছিলেন,
আর রঙটা আমার কাছে আপীল করল
আপনি ফ্যাকাশে অতিক্রম!
৫.
হিয়ার ওড দ" ("এখানে এবং সেখানে")
এখানে এবং সমবেদনা এর লণ্ঠন
মাছ দিতে হবে
যেখানে হুক গ্রাস করা হয়েছে
বা choking ভাল অনুশীলন করা হয়েছে।
যে যেখানে যন্ত্রণা বড়
মুক্তির জন্য পাকা হয়ে গেছে।
অথবা সেখানে, প্রেমিক একে অপরের আঘাত যেখানে,
প্রেমীদের
যারা চিরতরে মৃত্যুর কাছাকাছি আছে।
=================================
No comments:
Post a Comment