লেখকের শুভ জন্মদিনে পরম পবিত্র বইটি নিয়ে বিশেষ আলোচনা -
শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত
বইতে উনিশ শতকের হিন্দু ধর্মগুরু রামকৃষ্ণ পরমহংসের কথোপকথন ও কার্যকলাপের বিবরণী লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। কথামৃত-এর পাঁচটি খণ্ড যথাক্রমে ১৯০২, ১৯০৪, ১৯০৮, ১৯১০ ও ১৯৩২ সালে প্রকাশিত হয়।
লেখক পরিচিতি:
মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত । যিনি "শ্রীম" ছদ্মনামে রচনা করেন। তিনি কলকাতার রিপন কলেজের অধ্যাপক। কলকাতার একাধিক স্কুলে তিনি শিক্ষকতাও করেছিলেন। ১৩ বছর বয়স থেকে তিনি ডায়েরি লিখতেন। ১৮৮২ সালে রামকৃষ্ণ পরমহংসের সঙ্গে তার আলাপ হয়। রামকৃষ্ণের ব্যক্তিত্বে আকর্ষিত হয়ে মহেন্দ্রনাথ তার কথোপকথন ও কার্যকলাপের স্টেনোগ্রাফিক রেকর্ড রাখতে শুরু করেন নিজের ডায়েরিতে।
এই রেকর্ড পরবর্তীকালে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত
নামক বইয়ের আকার নেয়।প্রথম দিকে মহেন্দ্রনাথ যখন ডায়েরি লিখতে শুরু করেছিলেন, তখন তার সেটি প্রকাশের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। রচনাপদ্ধতি সম্পর্কে তিনি লিখেছিলেন, "বাড়ি ফেরার পর স্মৃতি থেকে সব কিছু লিখে রাখতাম। মাঝে মাঝে সারা রাতও জেগে থাকতে হত...মাঝে মাঝে টানা সাত দিন বসে থেকে লিখতে হত। গানগুলিকে স্মরণে আনতে হত, কোনক্রমে সেগুলি গাওয়া হয়েছিল, সেগুলিও মনে করতে হত, সমাধি ও অন্যান্য সব ঘটনার কথা মনে করতে হত।" কথামৃতের প্রতিটি পরিচ্ছেদে মহেন্দ্রনাথ তথ্যের পাশাপাশি সময় ও স্থানের উল্লেখ করেছেন।
গ্রন্থ সম্পর্কিত:
"কথামৃত" শব্দটি বৈষ্ণব ধর্মগ্রন্থ ভাগবত পুরাণ-এর ১০।৩১।৯ সংখ্যক শ্লোক থেকে গৃহীত।
"কথামৃত-এর প্রথম খণ্ড (১৯০২) প্রকাশের আগে আ লিফ ফ্রম দ্য গসপেল অফ শ্রীরামকৃষ্ণ (১৮৯৭) নামে একটি ছোট ইংরেজি পুস্তিকা প্রকাশিত হয়। রামকৃষ্ণ পরমহংসের মৃত্যুর পর তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেলে মহেন্দ্রনাথ নিজের ডায়েরিটি প্রকাশের উদ্যোগ নেন। তিনি ভেবেছিলেন এর মাধ্যমে রামকৃষ্ণের চিন্তাভাবনার কথা সঠিকভাবে লোকসমক্ষে প্রচার করা যাবে। ডায়েরি প্রকাশের আগে তিনি সারদা দেবীর অনুমতিও নেন। ১৮৯৮ থেকে ১৯০২ সালের মধ্যে তার ডায়েরির অংশবিশেষ বঙ্গদর্শন, উদ্বোধন, হিন্দু পত্রিকা, সাহিত্য পত্রিকা, জন্মভূমি প্রভৃতি প্রথম সারির সাময়িকপত্রে প্রকাশিত হয়। কিন্তু ‘কথামৃত’ শব্দটি প্রথমে ছিল না। তত্ত্বমঞ্জুরী পত্রিকায় নাম ছিল ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণলীলামৃত’ পরে নাম হল ‘ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণপরমহংসের কথা’ ১৮৯৯ থেকে ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃতম্’। প্রথম চারটি খণ্ড যথাক্রমে ১৯০২, ১৯০৪, ১৯০৮ ও ১৯১০ সালে প্রকাশিত হয়। মহেন্দ্রনাথের অসুস্থতার জন্য পঞ্চম খণ্ডটির প্রকাশ বিলম্বিত হয়। অবশেষে ১৯৩২ সালে পঞ্চম খণ্ডটি প্রকাশিত হয়।১৯৩২ সালে মারা যাওয়ার আগে মহেন্দ্রনাথ ভেবেছিলেন ছয় বা সাতটি খণ্ড পর্যন্ত প্রকাশের পর তিনি গোটা বইটির বিষয়বস্তু কালানুক্রমিকভাবে সাজাবেন।
আলোচনা:
শ্রীম কথিত রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জীবনের দিনপঞ্জি, কথোপকথন, ধর্মোপদেশের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ (১৮৮২ সালের ফেব্রুয়ারি হতে ১৮৯৯ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের) যেমন বইটিতে লিপিবদ্ধ হয়েছে, তেমনই সমকালীন বহু মনীষীর সঙ্গে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণের বাক্যালাপ ও সাক্ষাতকারের বিবরণ, বহু ধর্মসঙ্গীত, পরমহংসদেব কথিত গল্প ও উপদেশাবলী বইটিকে অমরত্ব দিয়েছে।
শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ কথামৃত (প্রথম ভাগ)
সূচিপত্র
উপক্রমণিকা - ঠাকুর শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণের সংক্ষিপ্ত চরিতামৃত
প্রথম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ
দ্বিতীয় খণ্ড - শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার,আনন্দ ও কথোপকথন
তৃতীয় খণ্ড - সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ
চতুর্থ খণ্ড - শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ।
পঞ্চম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বর-কালীবাড়িতে শ্রীযুক্ত অমৃত, শ্রীযুক্ত ত্রৈলোক্য প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তের সঙ্গে কথোপকথন
ষষ্ঠ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বর-কালীবাটীতে ভক্তসঙ্গে ব্রহ্মতত্ত্ব ও আদ্যাশক্তির বিষয়ে কথোপকথন — বিদ্যাসগর ও কেশব সেনের কথা।
সপ্তম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে
অষ্টম খণ্ড - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের সিঁদুরিয়াপটী ব্রাহ্মসমাজে আগমন ওশ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী প্রভৃতির সহিত কথোপকথন
নবম খণ্ড - শ্রীযুক্ত জয়গোপাল সেনের বাড়িতে শুভাগমন
দশম খণ্ড - শ্রীযুক্ত সুরেন্দ্রের বাগানে মহোৎসব
একাদশ খণ্ড - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের পণ্ডিত দর্শন
দ্বাদশ খণ্ড - সিঁথির ব্রাহ্মসমাজ পুনর্বার দর্শন ও বিজয়কৃষ্ণ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগকে উপদেশ ও তাঁহাদের সহিত আনন্দ
ত্রয়োদশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বর ভক্তসঙ্গে
চতুর্দশ খণ্ড - শ্রীরামকৃষ্ণের ভক্তগৃহে আগমন ও তাঁহার সহিত নরেন্দ্র, গিরিশ, বলরাম, চুনিলাল, লাটু, মাস্টার, নারায়ণ প্রভৃতি ভক্তের কথোপকথন ও আনন্দ
পঞ্চদশ খণ্ড - শ্রীরামকৃষ্ণের ঈশান, ডাক্তার সরকার, গিরিশ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে শ্যামপুকুরের বাটীতে আনন্দ ও কথোপকথন
ষোড়শ খণ্ড - শ্রীরামকৃষ্ণের সহিত বিজয়কৃষ্ণ, নরেন্দ্র, মাস্টার, ডাক্তার প্রভৃতি ভক্তের কথোপকথন ও আনন্দ
সপ্তদশ খণ্ড - শ্যামপুকুর বাটীতে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ
অষ্টাদশ খণ্ড - শ্রীরামকৃষ্ণ,নরেন্দ্র, গিরিশ ঘোষ,ডাক্তার সরকার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে কথোপকথন ও আনন্দ
পরিশিষ্ট - ১ - বরাহনগরের মঠ
পরিশিষ্ট - ২ - মাস্টার কে অশ্বিনী কুমারের চিঠি ।
শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ কথামৃত (দ্বিতীয় ভাগ)
সূচিপত্র
প্রথম খণ্ড - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে নরেন্দ্রাদি অন্তরঙ্গ সঙ্গে
দ্বিতীয় খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মোৎসব।
তৃতীয় খণ্ড - শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে — শ্রীযুক্ত অধর সেনের দ্বিতীয় দর্শন
চতুর্থ খণ্ড - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ সুরেন্দ্র ভবনে উৎসব মন্দিরে
পঞ্চম খণ্ড - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কলিকাতায় ভক্তমন্দিরে
ষষ্ঠ খণ্ড - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি মধ্যে
সপ্তম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে ভক্ত সঙ্গে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ
অষ্টম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে মন্দিরে ভক্ত সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ
নবম খণ্ড - ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরে
দশম খণ্ড - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও কমল কুটীরে শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেন
একাদশ খণ্ড - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর-কালীমন্দিরে ভক্তসঙ্গে
দ্বাদশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে ভক্তসঙ্গে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ
ত্রয়োদশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে প্রাণকৃষ্ণ, মাস্টার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
চতুর্দ্দশ খণ্ড - শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ভক্তসঙ্গে ও কলিকাতায় চৈতন্যলীলা-দর্শন।
পঞ্চদশ খণ্ড - সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজে শ্রীরামকৃষ্ণ — দুর্গাপূজা দিবসে
ষোড়শ খণ্ড - রামের বাটীতে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ
সপ্তদশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে নবমীপূজা দিবসে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ
অষ্টাদশ খণ্ড - শ্রীরামকৃষ্ণের অধরের বাড়ি আগমন ও ভক্তসঙ্গে কীর্তনানন্দ
উনবিংশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ
বিংশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে কালীপূজা মহানিশায় ভজনানন্দে- সমাধিস্থ শ্রীরামকৃষ্ণ
একবিংশ খণ্ড - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ মারোয়াড়ী ভক্ত মন্দিরে ভক্তসঙ্গে
দ্বাবিংশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে পঞ্চবটীমূলে শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে
ত্রয়োবিংশ খণ্ড - দোলযাত্রাদিবসে শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ভক্তসঙ্গে
চতুবিংশ খণ্ড - শ্রীরামকৃষ্ণের কলিকাতায় ভক্তমন্দিরে আগমন —শ্রীযুক্ত গিরিশ ঘোষের বাটীতে উৎসব
পঞ্চবিংশ খণ্ড - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ শ্যামপুকুরে ভক্তসঙ্গে
ষড়বিংশ খণ্ড - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কাশীপুর বাগানে ভক্তসঙ্গে
সপ্তবিংশ খণ্ড - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে কাশীপুরের বাগানে
পরিশিষ্ট - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তহৃদয়ে।
শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ কথামৃত (তৃতীয় ভাগ)
সূচিপত্র
প্রথম খণ্ড - বিদ্যাসাগর ও ঠাকুর রামকৃষ্ণ
দ্বিতীয় খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে মণি প্রভৃতি সঙ্গে
তৃতীয় খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে মণি, বলরাম প্রভৃতি সঙ্গে
চতুর্থ খণ্ড - অধর, ৺যদু মল্লিক ও ৺খেলাত ঘোষের বাটীতে
পঞ্চম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে মণি প্রভৃতি সঙ্গে
ষষ্ঠ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে রাখাল, হাজরা, মণি প্রভৃতি সঙ্গে
সপ্তম খণ্ড - ঈশান মুখোপাধ্যায়ের বাটীতে ভক্তসঙ্গে
অষ্টম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে নরেন্দ্র, সুরেন্দ্র, ত্রৈলােক্য প্রভৃতি সঙ্গে
নবম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে পণ্ডিত শশধর প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে ।
দশম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে অধর, বিজয়, মণি প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
একাদশ খণ্ড - প্রহলাদচরিত্রাভিনয় দর্শনে বাবুরাম,মাষ্টার প্রভৃতি সঙ্গে
দ্বাদশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে বাবুরাম, ছােট নরেন, মাষ্টার,পলটু, তারক প্রভৃতি(সম্ভবামি যুগে যুগে’)
ত্রয়ােদশ খণ্ড - অন্তরঙ্গ সঙ্গে বলরাম মন্দিরে ও দেবেন্দ্রের বাটীতে
চতুর্দশ খণ্ড - বলরাম মন্দিরে গিরিশ, মাষ্টার প্রভৃতি সঙ্গে
পঞ্চদশ খণ্ড - বলরাম মন্দিরে নরেন্দ্র, ভবনাথ, গিরিশ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
যােড়শ খণ্ড - ভক্তসঙ্গে ভক্তমন্দিরে, রামের বাটীতে
সপ্তদশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে দ্বিজ, পণ্ডিতজী, মাষ্টার, কাপ্তেন, ত্রৈলােক্য, নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
অষ্টাদশ খণ্ড - কলিকাতায় শ্রীনন্দ বসু প্রভৃতির বাটীতে
উনবিংশ খণ্ড - শোকাতুরা ব্রাহ্মণীর বাটীতে ভক্তসঙ্গে
বিংশ খণ্ড - শ্যামপুকুর বাটীতে সুরেন্দ্র, মণি,ডাঃ সরকার, গিরিশ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
একবিংশ খণ্ড - শ্যামপুকুর বাটীতে ডাঃ সরকার, নরেন্দ্র, মাষ্টার প্রভৃতি সঙ্গে
দ্বাবিংশ খণ্ড - শ্যামপুকুরে কালীপূজা দিবসে ভক্তসঙ্গে
ত্রয়ােবিংশ খণ্ড - কাশীপুর বাগানে নরেন্দ্রাদি ভক্তসঙ্গে
চতুর্বিংশ খণ্ড - কাশীপুরে নরেন্দ্র, রাখাল প্রভৃতি সঙ্গে (এর ভিতর থেকে যা কিছু )
পঞ্চবিংশ খণ্ড - কাশীপুর বাগানে নরেন্দ্রাদি ভক্তসঙ্গে (বুদ্ধদেবতত্ব)
ষড়বিংশ খণ্ড - কাশীপুর বাগানে শশী, রাখাল, সুরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে
পরিশিষ্ট - বরাহনগর মঠ, নরেন্দ্রাদি ভক্তগণ।
শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ কথামৃত (চতুর্থ ভাগ )
সূচিপত্র
প্রথম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে রাখাল, প্রাণকৃষ্ণ প্রভৃতি সঙ্গে
দ্বিতীয় খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে রাখাল, রাম নিত্যগােপাজা প্রভৃতি সঙ্গে
তৃতীয় খণ্ড - বলরাম মন্দিরে নরেন্দ্র, রাখাল, মাষ্টার প্রভৃতি সঙ্গে
চতুর্থ খণ্ড - নন্দনবাগান ব্রাহ্মসমাজে রাখাল, মাষ্টার প্রভৃতি সঙ্গে
পঞ্চম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বর রাখাল, রাম, তারক প্রভৃতি সঙ্গে
ষষ্ঠ খণ্ড - পেনেটীর মহােৎসবে রাখাল, রাম, মাষ্টার প্রভৃতি সঙ্গে
সপ্তম খণ্ড - দক্ষিণেশ্নরে রাখাল, মাষ্টার, লাটু প্রভৃতি সঙ্গে
অষ্টম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ভক্তসঙ্গে
নবম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে রাখাল, রাম, কেদার প্রভৃতি সঙ্গে
দশম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে রাখাল, লাটু, মাষ্টার, মহিমা প্রভৃতি সঙ্গে
একাদশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে রাখা, মাষ্টার, মণিলাল প্রভৃতি সঙ্গে
দ্বাদশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে রাখাল, রাম. নিত্য, অধর প্রভৃতি সঙ্গে
এয়ােদশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে জন্মােৎসবদিবসে বিজয় কেদার, সুরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে
চতুর্দশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে সুরেন্দ্র, ভবনাথ, রাখাল, মাষ্টার প্রভৃতি সঙ্গে
পঞ্চদশ খণ্ড - বলরামমন্দিরে মাষ্টার, বলরাম, শশধর প্রভৃতি সঙ্গে
ষােড়শ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে রাখাল, মাষ্টার, লাটু, শিবপুরের ভক্তগণ প্রভৃতি সঙ্গে
সপ্তদশ খণ্ড - অধরের বাটীতে নরেন্দ্রাদি ভক্তসঙ্গে
অষ্টাদশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে রাম, বাবুরাম, অধর প্রভাত সঙ্গে
ঊনবিংশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বয়ে নরেন্দ্র, মাষ্টার প্রভৃতি সঙ্গে
বিংশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে মহেন্দ্র, রাধিকা গােস্বামী প্রভৃতি সঙ্গে
একবিংশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে লাটু, মাষ্টার মণিলাল, মুখুয্যে প্রভৃতি সঙ্গে
দ্বাবিংশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে বাবুরাম, মাষ্টার, নীল কণ্ঠ, মনােমোহন প্রভৃতি সঙ্গে
ত্ৰয়ােবিংশ খণ্ড - বলরাম মন্দিরে নরেন্দ্র, নারাণাদি সঙ্গে
চতুবিংশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে রাখাল, মাষ্টার, মহিমাচরণ প্রভৃতি সঙ্গে
পঞ্চবিংশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে রাখাল, পণ্ডিত শ্যামাপদ প্রভৃতি সঙ্গে
ষড়বিংশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে জন্মাষ্টমী দিবসে নরেন্দ্রাদি প্রভৃতি সঙ্গে
সপ্তবিংশ খণ্ড - শ্যামপুকুরে ডাক্তার সরকার, নরেন্দ্র, শশী, মাষ্টার, গিরিশ, শরৎ প্রভৃতি সঙ্গে
অষ্টবিংশ খণ্ড - শ্যামপুকুরে ডাকার সরকার, নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে
ঊনত্রিংশ খণ্ড - শ্যামপুকুরে নরেন্দ্র, মণি প্রভৃতি সঙ্গে
ত্রিংশ খণ্ড - শ্যামপুকুরে মিশ্র, হরিবল্লভ, নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে
একত্রিংশৎ খণ্ড - কাশীপুর উদ্যানে নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
দ্বাত্রিংশৎ খণ্ড - কাশীপুর উদ্যানে নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
ত্রয়ত্রিংশৎ খণ্ড - কাশীপুর উদ্যানে নরেন্দ্র, লাটু প্রভৃতি সঙ্গে
বরাহনগর মঠ - নরেন্দ্র, রাখাল প্রভৃতি মঠের ভাইদের ৺ শিবরাত্রি ব্রত
শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ কথামৃত (পঞ্চম ভাগ)
সূচিপত্র
প্রথম খণ্ড - বলরাম মন্দিরে রাখাল, নিত্যগোপাল, বলরাম প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে , প্রাণকৃষ্ণের বাটীতে মহােৎসব। রাম, কেদার, মনোমোহন প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে ,কমলকুটীর-কেশব, সমাধ্যায়ী, ত্রৈলােক্য প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
দ্বিতীয় খণ্ড - দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে—রাম, মনােমোহন, রাখাল, সুরেন্দ্র, মাষ্টার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে,শ্যামপুকুর বিদ্যাসাগর স্কুলে ; গড়ের মাঠে সার্কাস দর্শন—পরে বলরামের বাটী-বলরাম, মাষ্টার প্রভৃতি সঙ্গে ,গরাণহাটায় ষড়ভুজ দর্শন ; রাজমােহনের বাড়ি , মনােমােহনের বাড়ি হইয়া সুরেন্দ্রের বাড়ি সুরেন্দ্র, মাষ্টার, সদরওয়াল সঙ্গে
তৃতীয় খণ্ড - সিন্দুরিয়া পটীতে মণি মল্লিকের ব্রহ্মোৎসবে—বিজয়, মণিলাল, মাষ্টার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে,দক্ষিণেশ্বরে রাম, মাষ্টার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
চতুর্থ খণ্ড - বেলঘরে গােবিন্দ মুখুয্যের বাড়ি—মহােৎসব,দক্ষিণেশ্বরে রাখাল, মাষ্টার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
পঞ্চম খণ্ড - সিঁথির বাগানে মহোৎসব,কাসারি পাড় হরিভক্তি-প্রদায়িনী সভায়,দক্ষিণেশ্বরে—মাষ্টার, মনােহর সাঁই, গােস্বামী সঙ্গে
ষষ্ঠ খণ্ড - কলিকাতায় বলরাম ও অধরের বাড়ি—সঙ্কীৰ্ত্তনানন্দে, দক্ষিণেশ্বর, মন্দিরে-রাখাল, মাষ্টার, কিশােরী প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
সপ্তম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে—অধর, মাষ্টার, রামলাল প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে,বলরামের বাটী—মাষ্টারাদি ভক্তসঙ্গে,দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে—রাখাল, লাটু, কিশােরী প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে,বলরাম মন্দিরে ও পরে অধরের বাড়ি
অষ্টম খণ্ড - অধরের বাড়ি—ঈশান, রাখাল প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
নবম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে—রাখাল, হাজরা প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
দশম খণ্ড - অধরের বাড়ি—দুর্গাপূজা মহােৎসবে ভক্তসঙ্গে ।
একাদশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে-রাখাল, মাষ্টার, ঈশান, কিশােরী প্রভূতি ভক্তসঙ্গে
দ্বাদশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে—রাখাল, মাষ্টার, ঈশান, কিশােরী প্রভৃতি ভক্ত সঙ্গে
ত্রয়ােদশ খণ্ড - রামচন্দ্রের কাকুড়গাছির বাগানে ও সুরেন্দ্রের বাগানে শ্রীরামকৃষ্ণের আগমন,দক্ষিণেশ্বরে—রাখাল, মাষ্টার, লাটু প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
চতুর্দশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে—মাষ্টার, বলরাম, রাখাল প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
পঞ্চদশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে-ফল হারিণী পূজা দিবসে
ষােড়শ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে-- জন্মোৎসব দিবসে
সপ্তদশ খণ্ড - গিরিশ-মন্দিরে ও পরে স্টার থিয়েটারে
অষ্টাদশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে—মেনাবলম্বী শ্রীরামকৃষ্ণ
পরিশিষ্ট - শ্রীরামকৃষ্ণ ও নরেন্দ্র
পরিশিষ্ট (ক) শ্রীরামকৃষ্ণ ও বঙ্কিম
পরিশিষ্ট (খ) শ্রীরামকৃষ্ণ কেশবের সহিত দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে
পরিশিষ্ট (গ) শ্রীরামকৃষ্ণ সুরেন্দ্রের বাটীতে
পরিশিষ্ট (ঘ) শ্রীরামকৃষ্ণ মনােমােহন মন্দিরে
পরিশিষ্ট (ঙ) শ্রীরামকৃষ্ণ রাজেন্দ্র মিতের বাটীতে
পরিশিষ্ট (চ) শ্রীরামকৃষ্ণ জ্ঞান চৌধুরীর বাড়িতে ব্রহ্মোৎসবে ।
বিশেষত্ব :
গ্রন্থকার ছদ্মনামের অন্তরালে নিজ ব্যক্তিত্বকে অবলুপ্ত করে পরমহংসদেবের জীবন ও চরিতকথা অসামান্য নৈপুণ্যের সাথে তুলে ধরেছেন।
ভক্তের উদ্দেশে শ্রী শ্রী মা (Sri Maa Sarada) চিঠিতে লিখেছিলেন, "তাঁহার নিকট যাহা শুনিয়াছিলে সেই কথাই সত্য। ইহাতে তোমার কোন ভয় নাই। একসময় তিনিই তোমার কাছে ওই সকল কথা রাখিয়াছিলেন। এক্ষণে আবশ্যকমত তিনিই (Sri Ramkrishna) প্রকাশ করাইতেছেন। ওই সকল কথা ব্যক্ত না করিলে লোকের চৈতন্য হইবে নাই জানিবে। তোমার নিকট যে সমস্ত তাঁহার কথা আছে তাহা সবই সত্য। আমি একদিন তোমার মুখে শুনিয়া আমার বোধ হইল যে, তিনিই ওই সমস্ত কথা বলিতেছেন।"
"আমি ও আমার এই দুটি অজ্ঞান। ‘আমার বাড়ি’, ‘আমার টাকা’, ‘আমার বিদ্যা’, ‘আমার এই সব ঐশ্বর্য’ — এই যে-ভাব এটি অজ্ঞান থেকে হয়। ‘হে ঈশ্বর, তুমি কর্তা আর এ-সব তোমার জিনিস — বাড়ি, পরিবার, ছেলেপুলে, লোকজন, বন্ধু-বান্ধব — এ-সব তোমার জিনিস’ — এ-ভাব থেকে জ্ঞান হয়।"
মৃত্যুকে সর্বদা মনে রাখা উচিত। মরবার পর কিছুই থাকবে না। এখানে কতকগুলি কর্ম করতে আসা। যেমন পাড়াগাঁয়ে বাড়ি — কলকাতায় কর্ম করতে আসা। বড় মানুষের বাগানের সরকার, বাগান যদি কেউ দেখতে আসে, তা বলে ‘এ-বাগানটি আমাদের’, ‘এ-পুকুর আমাদের পুকুর’। কিন্তু কোন দোষ দেখে বাবু যদি ছাড়িয়ে দেয়, আর আমের সিন্দুকটা লয়ে যাবার যোগ্যতা থাকে না; দারোয়ানকে দিয়ে সিন্দুকটা পাঠিয়ে দেয়। (হাস্য)
“ভগবান দুই কথায় হাসেন। কবিরাজ যখন রোগীর মাকে বলে, ‘মা! ভয় কি? আমি তোমার ছেলেকে ভাল করে দিব’ — তখন একবার হাসেন; এই বলে হাসেন, আমি মারছি, আর এ কিনা বলে আমি বাঁচাব! কবিরাজ ভাবছে, আমি কর্তা, ঈশ্বর যে কর্তা — এ-কথা ভুলে গেছে। তারপর যখন দুই ভাই দড়ি ফেলে জায়গা ভাগ করে, আর বলে ‘এদিকটা আমার, ওদিকটা তোমার’, তখন ঈশ্বর আর-একবার হাসেন, এই মনে করে হাসেন; আমার জগদ্ব্রহ্মাণ্ড, কিন্তু ওরা বলছে, ‘এ-জায়গা আমার আর তোমার’।”
বিশ্বাস আর ভক্তি চাই — বিশ্বাসের কত জোর শুনঃ একজন লঙ্কা থেকে সমুদ্র পার হবে, বিভীষণ বললে, এই জিনিসটি কাপড়ের খুঁটে বেঁধে লও। তাহলে নির্বিঘ্নে চলে যাবে; জলের উপর দিয়ে চলে যেতে পারবে। কিন্তু খুলে দেখো না; খুলে দেখতে গেলেই ডুবে যাবে। সে লোকটা সমুদ্রের উপর দিয়ে বেশ চলে যাচ্ছিল। বিশ্বাসের এমন জোর। খানিক পথ গিয়ে ভাবছে, বিভীষণ এমন কি জিনিস বেঁধে দিলেন যে, জলের উপর দিয়ে চলে যেতে পাচ্ছি? এই বলে কাপড়ের খুঁটটি খুলে দেখে, যে শুধু ‘রাম’ নাম লেখা একটি পাতা রয়েছে। তখন সে ভাবলে, এঃ, এই জিনিস! ভাবাও যা, অমনি ডুবে যাওয়া।
“কথায় বলে হনুমানের রামনামে এত বিশ্বাস যে, বিশ্বাসের গুণে ‘সাগর লঙ্ঘন’ করলে! কিন্তু স্বয়ং রামের সাগর বাঁধতে হল!
“যদি তাঁতে বিশ্বাস থাকে, তাহলে পাপই করুক, আর মহাপাতকই করুক, কিছুতেই ভয় নাই।”
No comments:
Post a Comment