কৃষ্ণ কমল ভট্টাচার্য
মৃত্যু - ১৩ আগষ্ট,১৯৩২ সাল।
বিএ পাস করার পর তিনি প্রথমে বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। এরপর বিদ্যালয়সমূহের উপ-পরিদর্শক এবং ১৮৬২ খ্রিষ্টাব্দে প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেন । এখানে এগারো বছর অধ্যাপনা করবার পর বিএল পাস করেন এবং ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দে ওকালতি করবার জন্য কলেজ ত্যাগ করেন । ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা 'ঠাকুর আইন অধ্যাপক' নিযুক্ত হন । ১৮৯১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রিপন কলেজে (বর্তমান সুরেন্দ্রনাথ কলেজ) অধ্যক্ষতা করেন ।
কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্যের রচিত গ্রন্থ -
দুরাকাঙ্ক্ষের বৃথা-ভ্রমণ এবং
বিচিত্রবীর্য
তাঁর অপরিণত বয়সের রচনা হলেও তাঁর প্রতিভার স্বাক্ষর বহন করে । তাঁর পৌল ও ভর্জিনী মূল ফরাসি থেকে অনুবাদ । তিনি সাপ্তাহিক পত্রিকা হিতবাদী র প্রথম সম্পাদক ছিলেন । ভারতী, অবোধবন্ধু এবং পূর্ণিমা পত্রিকায় তাঁর প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল । তিনি হিন্দুশাস্ত্র চতুর্থ ভাগ সঙ্কলন করেছিলেন এবং বাচস্পত্যাভিধান সঙ্কলনে তারানাথ তর্কবাচস্পতিকে সাহায্য করেন । তারানাথ তর্কবাচস্পতি তাকে বিদ্যাম্বুধি উপাধি দিয়েছিলেন ।
তাঁর দুরাকাঙ্ক্ষের বৃথা-ভ্রমণ সম্পর্কে সাহিত্যিক অক্ষয়চন্দ্র সরকার বলেছেন :
...ইহাতে কাদম্বরীর আড়ম্বর নাই, বিদ্যাসাগরের সরসতা নাই, অক্ষয়কুমারের প্রগাঢ়তা নাই, প্যারীচাঁদের গ্রাম্য সরসতা নাই, অথচ যেন সকলই আছে । এবং উহাদের ছাড়া আরও যেন কিছু নূতন আছে । ... আমার বিশ্বাস দুরাকাঙ্ক্ষের ভাষা বঙ্কিমচন্দ্রের ভাষার জননী ।
তিনি সংস্কৃত কাব্যগুলির ছাত্রপাঠ্য সংস্করণ প্রকাশ করে ছাত্রদের সংস্কৃত শিক্ষার পথ সহজ করেছিলেন। তিনি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সদস্য ছিলেন ।
কঁৎ-এর পজিটিভিজম দর্শনে বিশ্বাসী কৃষ্ণকমল ছিলেন নাস্তিক। প্রখ্যাত পণ্ডিত রামকমল ভট্টাচার্য তাঁর অগ্রজ ছিলেন।
No comments:
Post a Comment