প্রথিতযশা রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী হিসাবে তিনি নাইটিঙ্গেল অব বেঙ্গল নামেও ভূষিত হয়েছিলেন ""তোমাকেই দেখলুম সংসারে থেকেও গান তোমার কাছে এত প্রিয়। মেয়েদের মধ্যে এটা কম দেখা যায়। তারা সংসার করতে বড্ড ভালবাসে।’ | ” | |
— রবি ঠাকুর, |
কবি তাঁর রচিত গানকে সাহানার কণ্ঠ মাধুর্যে সার্থক হয়ে উঠতে দেখে তিনি লিখেছেন
“ | "" তুমি যখন আমার গান করো শুনলে মনে হয় আমার গান রচনা সার্থক হয়েছে—যে গানে আমি যতখানি আছি ততখানি ঝুনুও (সাহানা) আছে—। | ” |
— রবিঠাকুর সাহানা দেবী (ঝুনু) (১৭ মে ১৮৯৭ – ৬ এপ্রিল ১৯৯০) একাধারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্নেহধন্যা বিশিষ্ট গায়িকা অন্যদিকে ছিলেন ঋষি অরবিন্দের প্রিয় শিষ্যা ও শ্রীমায়ের আদরিনী কন্যা। তিনি শিশুবয়স থেকেই গান গেয়ে মুগ্ধ করেছিলেন কবিকে। রবীন্দ্রসঙ্গীত— এই তো তোমার আলোক ধেনু তোমায় নতুন করে পাবো বলে তোমার সোনার থালায় সাজাব রূপ সাগরে ডুব দিয়েছি অরূপ রতন আশা করি অতুলপ্রসাদী— কেন যে গাহিতে তোর কাছে আসব মা গো কোথা হে ভবের কাণ্ডারী তব অন্তর এত মন্থর আগে তো তা জানি নি। জন্ম ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ১৭ মে বাংলাদেশের ফরিদপুরের এক ব্রাহ্ম পরিবারের সাংগীতিক পরিমণ্ডলে। পিতা প্যারীমোহন গুপ্ত ছিলেন সিভিল সার্জন মাতা তরলা দেবী ছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের জ্যেষ্ঠা ভগিনী। সাহানা দেবীর ডাকনাম ছিল 'ঝুনু'। জ্যাঠামশাই কৃষ্ণগোপাল গুপ্ত ছিলেন তৎকালীন প্রখ্যাত আইসিএস। পিতামহ কালীনারায়ণ গুপ্ত ছিলেন সমাজসেবক, ব্রাহ্মধর্মের প্রচারক ও ব্রহ্মসংগীত রচয়িতা। কবি অতুলপ্রসাদ সেন ছিলেন তার পিসতুতো দাদা। ঝুনু'র দেড় বৎসর বয়সে পিতার মৃত্যু হলে তিনি মায়ের সঙ্গে চলে আসেন কলকাতার রসা রোডে মামার বাড়িতে। মামারবাড়ির শিল্প, শিক্ষা, সংস্কৃতি, স্বদেশপ্রেম ও সঙ্গীতে আলোকিত পরিবারে কেটেছে তার শৈশব ও কৈশোর। রবীন্দ্রনাথের প্রিয় ছাত্রী তার মাসিমা অমলা দাশই তার সংগীত জীবনের উৎস। ১৯০৫-০৬ খ্রিস্টাব্দে প্রথম কলকাতার ভবানীপুরে আট বৎসর বয়সে "কালমৃগয়া" নাটকে ঋষিকুমারের ভূমিকায় গান ও অভিনয় করেন ঝুনু। কবিগুরুর কাছে গান শেখা ছাড়াও তিনি কবির ব্যবস্থাপনায় বিষ্ণুপুর ঘরানার পণ্ডিত সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তালিম নেন। তার কাছেই সাহানা স্বরলিপি দেখে গান করতে শেখেন। রবীন্দ্রনাথের "বসন্ত উৎসব"-এর গান তিনি রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় গেয়েছেন। ' বিসর্জন' ও 'বসন্ত উৎসব'-এর আমার যাবার বেলা পিছু ডাকে ও যদি তারে নাই চিনি গো গান দু-খানি নিয়ে তার প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে তিনি যে কয়েকটি গান রেকর্ড করেছেন সেখানে তাকে হারমোনিয়াম বাজিয়ে সাহায্য করেছেন দিলীপকুমার রায়। দিলীপকুমার রায়ের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা হয় ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে অতুলপ্রসাদ সেনের লখনউ-এর বাড়িতে। অবশ্য তার সঙ্গের বন্ধুত্ব সাহানাকে জীবনের এক নতুন পথে পরিচালিত করে। সাহানা তার "স্মৃতির খেয়া" গ্রন্থে উল্লেখ করেন— “ দিলীপকুমারের কথাবার্তা শুনেই আমি প্রথম যোগজীবনের সম্বন্ধে আলো পাই ও ধীরে ধীরে সেই দিকে আকৃষ্ট হই। ” নানা ঘাত-প্রতিঘাতে তার জীবনের স্রোত বয়ে গেলেও তার সঙ্গীতসাধনা থেমে থাকেনি কখনো। আঠারো-ঊনিশ বৎসর বয়সে তার বিবাহ হয় কাশী তথা বারাণসীর এক চিকিৎসক বিজয়কুমার বসুর সঙ্গে। পাঁচ-ছয় বৎসর সেখানে কাটিয়ে সংসার ত্যাগ করেন। এরপর চরম শারিরীক অসুস্থতা ও তীব্র মানসিক টানাপড়েনে যুবতী বয়সে অনাত্মীয় পরিবেশে অভিভাবকহীন অবস্থায় তিনি বাঁচার এক সংগ্রামী জীবদ্দশায় এসে পৌঁছান। কিছুদিন অতিবাহিত করেন এক ভাওয়ালি আরোগ্যনিকেতনে। তবে তিনি কবিগুরুর অকুন্ঠ স্নেহ সারাজীবন লাভ করেছেন। আলিপুর বোমা মামলায় প্রমাণাভাবে ছাড়া পাওয়ার পর অরবিন্দ ঘোষকে তিনি কৈশোরে প্রথম দেখেন ও পরিচিত হন মামার বাড়িতে। সেই সূত্র ধরেই ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের ২২ নভেম্বর দিলীপকুমারের সহযোগিতায় তিনি চলে যান পণ্ডিচেরিতে শ্রী অরবিন্দ আশ্রমে। ঋষি অরবিন্দ ও শ্রীমায়ের সান্নিধ্য লাভের পর সেই আশ্রম ছেড়ে তিনি আর কলকাতায় বা পূর্ব জীবনে ফিরে আসেন নি। সেখানে তিনি এমব্রয়ডারি বিভাগে কাজে লিপ্ত থাকেন। সেই সঙ্গে গান ও কবিতা রচনা ও সঙ্গীত সাধনা করতে থাকেন। ভাওয়ালি সেবাসদনে থাকার সময় তিনি বেশ কিছু কবিতা বাংলা ও ইংরেজিতে লিখেছেন। কিছু কবিতার স্বরলিপি করে পাঠিয়েছিলেন ভারতবর্ষ পত্রিকায়। এছাড়াও তিনি 'রবীন্দ্রায়ণ', 'শৃণ্বন্তু', 'বসুধারা', সংগীতবিজ্ঞান প্রবেশিকা প্রভৃতি পত্রিকায় লিখতেন। ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে দেশ পত্রিকায় তার ধারাবাহিক রচনা 'পণ্ডিচেরির পথে' প্রকাশিত হতে থাকে। তার রচিত গ্রন্থসমূহ হল— কাব্যগ্রন্থ— নীরাজনা আত্মকথা— স্মৃতির খেয়া অনুবাদ— শাশ্বত মুহূর্ত অন্যান্য গ্রন্থ— শ্রীঅরবিন্দ প্রণাম শ্রীঅরবিন্দ ও শ্রীমার চরণছায়ায় স্বরলিপি— কাকলি (অতুলপ্রসাদ সেনের গানের বই) মৃত্যু - ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের ৬ এপ্রিল পণ্ডিচেরির আশ্রমে। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে নিবিড় যোগ ছিল রসা রোডের বাড়ির। প্রায়ই আসতেন তিনি। এলেই কবিতা, গান, গল্পের আসর বসে যেত। এখানেই শিশু বয়সে সাহানা কবিকে দেখেন। প্রথম দর্শনেই তাঁর মনে হয়েছিল ‘কী সুন্দর চেহারা, কোথায় যেন যিশুখ্রিস্টের আদল আসে— গৌরবর্ণ, লম্বা, দোহারা, চোখ-নাক-মুখ সব যেন দেখবার মত। দেখলে চেয়ে থাকতে ইচ্ছে করে।’ এই সময়েই এক বার মাসির কাছে শেখা ‘ঘুরে ফিরে এমনি করে ছড়িয়ে দে রে ফাগের রাশি...’ গানটি গেয়ে রবীন্দ্রনাথকে মুগ্ধ করে দিয়েছিলেন ছোট্ট সাহানা। কবির নজরে তখন থেকেই পড়ে গেলেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে নিবিড় যোগ ছিল রসা রোডের বাড়ির। প্রায়ই আসতেন তিনি। এলেই কবিতা, গান, গল্পের আসর বসে যেত। এখানেই শিশু বয়সে সাহানা কবিকে দেখেন। প্রথম দর্শনেই তাঁর মনে হয়েছিল ‘কী সুন্দর চেহারা, কোথায় যেন যিশুখ্রিস্টের আদল আসে— গৌরবর্ণ, লম্বা, দোহারা, চোখ-নাক-মুখ সব যেন দেখবার মত। দেখলে চেয়ে থাকতে ইচ্ছে করে।’ এই সময়েই এক বার মাসির কাছে শেখা ‘ঘুরে ফিরে এমনি করে ছড়িয়ে দে রে ফাগের রাশি...’ গানটি গেয়ে রবীন্দ্রনাথকে মুগ্ধ করে দিয়েছিলেন ছোট্ট সাহানা। কবির নজরে তখন থেকেই পড়ে গেলেন। ১৯০৫-০৬ সাল নাগাদ ভবানীপুরের পোড়াবাজার মাঠে আয়োজিত এক প্রদর্শনীতে অমলা দাশের পরিচালনায় মঞ্চস্থ হয় ‘মায়ার খেলা’ ও ‘কালমৃগয়া’। যার মধ্যে দ্বিতীয়টিতে ঋষিকুমার-এর ভূমিকায় মাত্র আট বছর বয়সে গান ও অভিনয়ে মাতিয়ে দিয়েছিলেন সাহানা দেবী। আবার ১৪-১৫ বছর বয়সে এক বার দেশবন্ধু তাঁকে বলেছিলেন, ‘তুই যদি আমার এই গানটিতে ভাল সুর দিতে পারিস তবে তোকে একটা হীরের নেকলেস দেব।’ সাহানার সুরারোপ এতটাই পছন্দ হল তাঁর মামাবাবুর, নেকলেস তো দিলেনই, এক দিন বাড়িতে বিপিনচন্দ্র পাল এলে, তাঁকেও শোনাতে বললেন। তিনিও মুগ্ধ হন। গানটি ছিল, ‘কেন ডাকো অমন করে/ ওগো আমার প্রাণের হরি...’। মাঘোৎসব উপলক্ষে ১৫ বছর বয়সে জোড়াসাঁকোর বাড়িতে প্রথম গান করেন সাহানা। শুধু রবীন্দ্রনাথ নন, ঠাকুরবাড়ির প্রত্যেকেই ছিলেন তাঁর গানের অনুরাগী। কবিরই পরামর্শে বিষ্ণুপুরের সঙ্গীত-রত্নাকর সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সঙ্গীত-শিক্ষা। অতুলনীয় কণ্ঠশিল্পীর পাশাপাশি সুরেনবাবু ছিলেন এক জন যশস্বী স্বরলিপিকার। অনেক রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপি করেছেন তিনি। তাঁর শিক্ষায় স্বরলিপিকরণেও যথেষ্ট দক্ষ হয়ে উঠেছিলেন সাহানা দেবী। তাঁর পিসতুতো দাদা বিশিষ্ট সঙ্গীতমনীষী অতুলপ্রসাদ সেন। অতুলদার অনেক গান তিনি গেয়েছেন। এ গানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিষাদময়তা যে দার্শনিক স্তরে গিয়ে পৌঁছয়, তা অপূর্ব ভঙ্গিতে প্রকাশিত হয়েছে সাহানা দেবীর পরিবেশনে। মাঝে মাঝেই দাদার সঙ্গে বসত গানের আসর। অনেক সময়েই সেখানে থাকতেন রবীন্দ্রনাথও। অতুলপ্রসাদের লখনউয়ের বাড়ির আসর জমে উঠত ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, দিলীপকুমার রায়ের উপস্থিতিতে। এই সব শিল্পীদের গান শোনা ও সঙ্গীত-সংক্রান্ত আলোচনায় সমৃদ্ধ হতেন সাহানা। পরবর্তী কালে অতুলপ্রসাদের বহু গানের স্বরলিপিও করেছেন সাহানা দেবী। মামার বাড়ি ও দেশবন্ধুর প্রভাবে স্বদেশি আন্দোলনের আঁচ তাঁর উপর পড়েছিল। ১৯২০ সালে কলকাতায় লালা লাজপত রায়ের সভাপতিত্বে কংগ্রেসের বিশেষ অধিবেশন বসে। এখানে সরলা দেবী চৌধুরানীর পরিচালনায় সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত ‘বন্দে মাতরম্’ গানে গলা মিলিয়েছিলেন সাহানা। ১৯২২ সালের গয়া-কংগ্রেসে সভাপতি ছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন। এখানেও সাহানা দেবী ও সতী দেবী মিলে গেয়েছিলেন ‘বন্দে মাতরম্’। স্বদেশি আন্দোলন সম্পর্কে নিজের সুচিন্তিত বক্তব্য আত্মকথা ‘স্মৃতির খেয়া’য় লিখেছেন সাহানা দেবী। সারা জীবন রবীন্দ্রনাথ ছিলেন তাঁর মনোজগতের শ্রেষ্ঠ আসনে। কবিও তাঁকে বরাবর ভীষণ কাছের বলে ভাবতেন। ১৯১৬ সালে ডাক্তার বিজয়কুমার বসুর সঙ্গে বিয়ে হয় সাহানা দেবীর। তিনি থাকতেন কাশীতে। ফলে, ১৯১৭ থেকে ১৯২২ অবধি সাহানা ছিলেন সেখানকার বাসিন্দা। ওই সময়ে রবীন্দ্রনাথ সেখানে গিয়ে কিছু দিন ছিলেন এবং তখন সাহানাকে শিখিয়েছিলেন বেশ কয়েকটি গান। সাহানা দেবীর দাম্পত্যজীবন সুখের হয়নি। পাঁচ বছরের মধ্যেই ফিরে এসেছিলেন কাশী থেকে। নিদারুণ মানসিক সঙ্কটে চিঠি লিখলেন রবীন্দ্রনাথকে। কবি যে উত্তর দিলেন, তাতে নতুন করে জেগে ওঠার মন্ত্র ছিল। আবারও গানে ফিরলেন সাহানা। ১৯২৩ সালের অগস্ট মাসে কলকাতার এম্পায়ার রঙ্গমঞ্চে চার দিন ধরে অভিনীত হয় ‘বিসর্জন’ নাটক। জয়সিংহের ভূমিকায় রবীন্দ্রনাথ ও দিনেন্দ্রনাথ রঘুপতি। এ নাটকে রবীন্দ্রনাথ সাহানাকে নিয়েছিলেন গানের জন্যে। তখন এ নাটকে তিনটি গান ছিল, ‘ওগো পুরবাসী’, ‘আমি একলা চলেছি এ ভবে’ এবং ‘থাকতে আর তো পারলি নে মা’। কিন্তু, যে হেতু সাহানা গাইবে, তাই আরও সাতটি গান রবীন্দ্রনাথ জুড়লেন নাটকে। তার মধ্যে দু’টি পুরনো গান, ‘তিমিরদুয়ার খোলো’ ও ‘দিন ফুরালো হে সংসারী’। এর সঙ্গে নতুন করে লিখলেন পাঁচটি গান— ‘আমার আঁধার ভালো’, ‘কোন ভীরুকে ভয় দেখাবি’, ‘আঁধার রাতে একলা পাগল’, ‘আমার যাবার বেলায় পিছু ডাকে’ এবং ‘জয় জয় পরমা নিষ্কৃতি হে নমি নমি’। গানগুলি জোড়াসাঁকোর বাড়িতে বসে এক এক করে শিখিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। নিজের গান, সাহানা দেবীর গলায় শোনার যে তীব্র আকাঙ্ক্ষা ছিল কবির, এ তার অন্যতম প্রমাণ! সাহানাও ভীষণ ভরসা করতেন তাঁকে। ১৯২৬ সালে যখন তিনি ক্ষয়রোগে আক্রান্ত, তখন অসহায় হয়ে রবীন্দ্রনাথের কাছে আশ্রয় চেয়ে চিঠি লিখলেন। কবি সাহানাকে আশ্রমের একটি আলাদা বাড়িতে রেখে, নিজের হাতে সেবা-চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে সুস্থ করে তুলেছিলেন। শুধু রবীন্দ্রনাথ বা অতুলপ্রসাদের গান নয়, ভজন, কীর্তন, হিন্দি ভক্তিগীতিও গাইতেন নানা জায়গায়। যার মধ্যে কিছু ধরা আছে রেকর্ড-রেডিয়োয়। নলিনীকান্ত সরকার ‘আসা যাওয়ার মাঝখানে’ নামে স্মৃতিকথায় লিখেছেন, একটি আসরে সাহানা দেবীর গলায় বিদ্যাপতির পদ, ‘মাধব বহুত মিনতি করি’ শুনে তাঁর মনে হয়েছিল, ‘এই মিনতি, এই প্রার্থনা যেন প্রাণবন্ত হয়ে উঠল সাহানা দেবীর কণ্ঠে।’ আর এক বার, দিলীপকুমার রায়ের থিয়েটার রোডের বাড়িতে নলিনীকান্ত দেখেছিলেন সাহানা দেবীর নৃত্য। ‘নৃত্যের তালে তালে’ গানটি নিজেই গেয়ে যে অপূর্ব নাচ সে দিন তিনি নেচেছিলেন, তা দেখে প্রত্যেকেই মুগ্ধ হন। তিনি ছিলেন এক জন স্বয়ংসম্পূর্ণ শিল্পী।।। ################################ |
No comments:
Post a Comment