Saturday, 16 November 2024

শুভ জন্মদিন শ্রদ্ধাঞ্জলি। কমলকুমার মজুমদার। সাহিত্যিক ও শিল্পী। বিংশ শতাব্দীর একজন বাঙালি ঔপন্যাসিক যিনি আধুনিক বাংলা কথাসাহিত্যের অন্যতম স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব হিসাবে পরিগণিত। তাঁকে বলা হয় 'লেখকদের লেখক'। তাঁর উপন্যাস অন্তর্জলী যাত্রা এর অনন্যপূর্ব আখ্যানভাগ ও ভাষাশৈলীর জন্য প্রসিদ্ধ। Dt -16.11.2024. Vol -1054. Saturday. The blogger post in literary e magazine.



কমলকুমার মজুমদার


ছিলেন সাহিত্যিক ও শিল্পী।  বিংশ শতাব্দীর একজন বাঙালি ঔপন্যাসিক যিনি আধুনিক বাংলা কথাসাহিত্যের অন্যতম স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব হিসাবে পরিগণিত। তাকে বলা হয় 'লেখকদের লেখক'। তার উপন্যাস অন্তর্জলী যাত্রা এর অনন্যপূর্ব আখ্যানভাগ ও ভাষাশৈলীর জন্য প্রসিদ্ধ। 
তিনি ১৬ নভেম্বর, ১৯১৪ সালে উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলার, টাকি শহরে জন্ম গ্রহণ করেন।পিতার নাম প্রফুল্লকুমার মজুমদার ও মাতার নাম রেনুকাময়ী। বাবা প্রফুল্লচন্দ্র ছিলেন পুলিশ অফিসার। মা ছিলেন বাড়ির সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের এক নিবেদিত প্রাণ। কমলকুমারের ছোটবেলাটা সেই সাংস্কৃতিক পারিবারিক আবহাওয়াতেই কেটেছে।

তাঁদের পৈতৃক নিবাস ছিল উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত শহর টাকিতে। তবে তাঁদের কলকাতার রাসবিহারী অ্যাভিনিউতে একটা ভাড়াবাড়ি ছিল। বছর ছয়েক বয়সে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বিষ্ণুপুরের ‘বিষ্ণুপুর শিক্ষা সংঘ’ স্কুলে কমলকুমার ও তাঁর ভাই নীরদের সঙ্গে একই শ্রেণিতে ভর্তি হন। কয়েক বছর পর সেখান থেকে কলকাতার ক্যাথিড্রাল মিশনারি স্কুলে। এখানেও বেশি দিন তাঁর মন টেকেনি। সংস্কৃত ভাষা শিখতে ভর্তি হলেন ভবানীপুরের এক সংস্কৃত টোলে। কমলকুমার মজুমদার ছিলেন প্রখ্যাত বাঙালি চিত্রকর নীরদ মজুমদারের (১৯১৬ - ১৯৮২) জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা। তাঁদের কনিষ্ঠা ভগিনী শানু লাহিড়ী (১৯২৮-২০১৩) ছিলেন প্রখ্যাত চিত্রকর ও চিত্রকলার প্রশিক্ষক। 

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিভিন্ন স্থানে কর্মরত ছিলেন। উল্লেখযোগ্য ভাবে, বাংলা সরকারের জনগণনা বিভাগ, গ্রামীণ শিল্প ও কারুশিল্প, ললিতকলা একাডেমি এবং সাউথ পয়েন্ট স্কুলে। এছাড়াও তিনি ছবি, নাটক, কাঠের কাজ, ছোটদের আঁকা শেখানো, ব্যালেনৃত্যের পরিকল্পনা, চিত্রনাট্য রচনা করেন। বিভিন্ন পত্রিকায় তার লেখা সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। তিনি নিজে অঙ্কভাবনা নামে একটি পত্রিকার সম্পাদনাও করতেন।

১৯৬৯ সালে তার প্রথম গ্রন্থ 'অন্তর্জলি যাত্রা' প্রকাশিত হয়। ১৯৭০ সালে তার দ্বিতীয় গ্রন্থ 'নিম অন্নপূর্ণা' প্রকাশিত হয়। পরবর্তী গ্রন্থাবলি : গল্পসংগ্রহ, পিঞ্জরে বসিয়া শুক, খেলার প্রতিভা ও দানসা ফকির।

তিনি ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রয়াত হন।

'সৃষ্টির একুশ শতক' পত্রিকার ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর সংখ্যায় প্রখ্যাত গণিতজ্ঞ নারায়ণ চন্দ্র ঘোষের বিখ্যাত নিবন্ধ অঙ্ক ভাবনা প্রকাশিত হয়। পরে নারায়ণ চন্দ্র ঘোষ ও প্রশান্ত মাজীর যৌথ সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় কমলকুমার মজুমদার ও অঙ্ক ভাবনা শীর্ষক গ্রন্থটি আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৯৩৮০-৯০৭-৯ {{আইএসবিএন}} এ প্যারামিটার ত্রুটি: চেকসাম.

উপন্যাসসমূহ হল:

অন্তর্জলী যাত্রা,
গোলাপ সুন্দরী,
অনিলা স্মরণে,
শ্যাম-নৌকা,
সুহাসিনীর পমেটম,
পিঞ্জরে বসিয়া শুক এবং
খেলার প্রতিভা।

ছোটগল্প :
নিম অন্নপূর্ণা, গল্প সংগ্রহ।


তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যের দুরূহতম লেখকদের একজন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিখ্যাত ছিলেন; যেমন সুহাসিনীর পমেটম উপন্যাসে ২৫০ পৃষ্ঠায় যতি-চিহ্ন বিহীন মাত্র একটি বাক্য লক্ষ্য করা যায়। তিনি বাংলা সাহিত্যের দুর্বোধ্যতম লেখক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। দীক্ষিত পাঠকের কাছে কমলকুমার অবশ্যপাঠ্য লেখক হিসেবেই সমাদৃত হলেও অদ্যাবধি তিনি সাধারণ্যে পাঠকপ্রিয়তা লাভ করেন নি. 








========={{{{{{{{∆}}}}}}}}===========













No comments: